রানা প্লাজার ভবন ধসঃ আহত শ্রমিকরা কি আসলেই বেঁচে আছেন?


‘রানা প্লাজা’ একটি ভয়ংকর বিল্ডিংয়ের নাম হয়ে গেছে। এই বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা ছিল, তাতে কাজ করতো কয়েক হাজার শ্রমিক। বিদেশী নামকরা ব্রান্ডের কাপড় তৈরী করতো এখানকার শ্রমিকরা। আসতো কোটি কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা। ডাঁটে চলতো গার্মেন্টের মালিকরা, আর জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা থাকায় শান্তিতে ছিল কয়েক হাজার শ্রমিক। সাভার দিয়ে সব সময় যারা দুরপাল্লার যাত্রা করেছেন অনেকে, কিন্তু কখনো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি, এই ভবনটি একদিন ধসে পড়বে এবং নেমে আসবে অসহনীয় দুর্যোগ হাজার হাজার গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবনে।

কয়েকটি পরিসংখ্যান মনে হয় প্রায় সবার জানা। তবুও এক বছর শেষ হওয়ার পর আবার ঝালাই করে নিতে পারি। ভবন ধসের পঢ় মোট জীবিত উদ্ধ্বর হয়েছে ২৪৩৮ জন, লাশ উদ্ধার ১১১৫ জন , হাসপাতালে মৃত্যু ৫৯ জন, মোট মৃতের সংখ্যা ১১২৭ জন। এর পরেও যারা হাসপাতা্লে গুরুতর আহত অবস্থায় ছিলেন তাদের মৃত্যু ঘটলে সংখ্যাটি গণনায় উঠছে কিনা তা আমরা জানতে পারিনি। মারা গেছে কিন্তু আত্মীয়রা লাশ চিনতে পারেনি ২৯৩টি, হস্তান্তর হয়েছে ৮৩৮ রনের লাশ। খেয়াল করার বিষয় হচ্ছে, আহত শ্রমিক কতজন এই তথ্য নেই। আহৎ মানে তো বেঁচে আছে? কিন্তু আসলেই বেঁচে আছে? এঈ জীবন কি বেঁচে থাকার মতো?

কারখানায় কাজ করলে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে এমন আশংকা থাকে কিন্তু যে শিল্পটি আশির দশকে শুরু হয়ে দিনে দিনে সারা বিশ্বে “মেইড ইন বাংলাদেশ” হিশেবে সুপার শপিং মলে স্থান করে নিতে পেরেছে, তাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, এটা মেনে নেয়া যায় না। ১৯৯০ সালে সারাকা গার্মেন্টের আগুনে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০, সেটা বাড়তে বাড়তে তাজরীনে এসে হোল ১১২ জন, ২৪% বেড়ে গেল। না, আমাদের তাতেও হুঁশ হোল না। ২০১২ সালের নভেম্বরের দুঃখ ঘুচবার আগেই ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে গেল ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা, রানা প্লাজায়। আগুন নয়, ভবনটি ধসে গেল চোখের পলকে। মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১১২৭ জনে, ১০০% বাড়ল। এর মধ্যে আহতদের হিশাব নাই। আহত হলে যেন অপরাধ করে বসে, সে তো মরে নি, কাজেই তাকে নিয়ে ভাবনা কি?


রানা প্লাজা


সাভারে এনাম মেডিকেল হাসপাতালের কথাও আমরা অনেক শুনেছি, কিন্তু ২৪ এপ্রিলের পর এনাম মেডিকেল হাসপাতালের নাম প্রতি পদে পদে আহত শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িয়ে গেছে। এনাম মেডিকেল হাসপাতালে আগে কী ধরণের চিকিৎসা হোত, সেখানে ডাক্তাররা রানা প্লাজা ভবন ধসে পিষ্ট হওয়া শ্রমিকদের চিকিৎসা কতখানি দিতে পারবে সেটা জানা ছিল না। তবে মানতেই হবে যে সে সময় ডাক্তার, নার্স, এবং হাসপাতালের কর্মচারীদের যে তৎপরতা আমরা টেলিভিশনে দেখেছি, এবং সেখানে গিয়েও দেখেছি সেটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। এনাম মেডিকেল ছাড়াও আরও যে সব হাসপাতাল সে সময় সেবা দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, সাভার সামরিক হাসপাতাল, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং সাভারের আরও কয়েকটি ছোট-খাটো ক্লিনিক। সময়টা এমন ছিল, যাকে যেখানে পেরেছেন উদ্ধ্বারকারীরা সেখানেই পাঠিয়ে দিয়েছেন। ভালমন্দ বাছ-বিচার করার সময় ছিল না, কিংবা কোন পদ্ধতিও কারও জানা ছিল না । সেটাই এখন আমাদের বিবেচ্য বিষয়।

যারা আহত হয়েছিলেন, ধরে নেয়া উচিত হবে না যে তাঁরা সবাই বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সম্পুর্ণভাবে করে সুস্থ হতে পেরেছেন এমন উদাহরণও খুব কম। যারা প্রথম অবস্থায় জীবিত উদ্ধার হয়েছিলেন তাঁরা সবাই অক্ষত ছিলেন না। তিন চার ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার হয়েছেন এমন কয়েকজনের তথ্য (প্রথম আলো, ৬ জুলাই, ২০১৩) থেকে জানা যায় জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ৭০০ জন আহত শ্রমিককে চিকিৎসা দিয়েছে। এদের অনেকেরই মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছে, কোমড়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে, ঠিক মতো হাটতে পারেন না। এদের মধ্যে অনেকেই টাকার অভাবে চিকিৎসা সম্পুর্ণ না করেই ফিরে গেছেন সুস্থ না হয়েই। আটজন শ্রমিককে এই হাসপাতা্লে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা করে তাঁরা ফেরত গেছেন। চিকিৎসার খরচ কত হয়েছে এবং সে খরচ কারা বহন করেছে, সে খবঢ় জানা যায়নি।


রানা প্লাজা ভবন


বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আহত শ্রমিকদের নিয়ে যেসব প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, কিংবা শ্রমিক সংগঠন শ্রমবিকাশ কেন্দ্র নিজস্ব পর্যবেক্ষণে যে তথ্য পেয়েছে তাতে দেখা যায় গুরুতর আহত কমপক্ষে ৬০০ শ্রমিকদের অনেকেরই শরীরের জটিল ও দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি যেমন হাত-পা কেটে ফেলা, এবং বিশেষ করে মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়েছেন। কিডনির সমস্যাও দেখা দিয়েছে অনেকের। ডাক্তারের ভাষায় রেনাল ফেইল্যুর। কৃত্রিমভাবে প্রস্রাব করাতে হয়েছে একাধিক রোগীকে। ভবন ধসের প্রথম তিনদিনের তথ্য হচ্ছে (প্রথম আলো, ২৭ এপ্রিল, ২০১৩) ঢাকা মেডিকেলসহ ৫টি সরকারী হাসপাতাল এবং সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১৪টি বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৬১৩ জন গুরুতর আহত রোগী ভর্তি করানো হয়েছিল। শিশির মোড়ল প্রথম আলোতে আহত শ্রমিকের অবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার দিক থেকে লিখেছেন। তাঁর লেখায় কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় এসেছে। আঘাতের ধরণ ছিল মাথায় আঘাত, হাত-পা ভাঙ্গা। ধসে যাওয়া ভবনের ভেতর কে কি অবস্থায় ছিলেন তার ওপর নির্ভর করে দেখা গেছে শরীরের কোন না কোন অংশ থেতলে গেছে। একজন চিকিৎসকের মতে যারা ঘাড়ে বা মেরুদন্ডে আঘাত পেয়েছেন তাদের শরীরের নীচের অংশ প্যারালাইসিস হয়ে যাবে। আবার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণে শরীরের ডান বা বাঁ দিক প্যারালাইসিসের শিকার হবে। অনেক শ্রমিক বেঁচে ছিলেন ঠিকই কিন্তু হাতটি চাপা পড়ে ছিল কোন একটি ভারী বস্তুর নীচে, পিলার বা দেয়ালের নীচে। এদের উদ্ধ্বার করতে হয়েছে হাতটি কেটে , বা পাটি কেটে। করাত দিয়ে। থেতলে যাওয়া রোগীদের শরীরের ভেতর রক্তক্ষরণ হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেই রক্ত জমাট বেঁধে থাকে। জমাট রক্ত ও চর্বি রক্তনালী দিয়ে ফুসফুসে যায়, এতে গুরুতর ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়ার আশংকা থাকে। যাদের বেশী রক্তক্ষরণ হয়েছে তাদের কিডনির সমস্যা দেখা দেবে বলে ডাক্তাররা আশংকা করেছেন।

একশ্যান এইডের সাম্প্রতিক করা গবেষণায় আহত শ্রমিকদের অবস্থার এক করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। বলা হচ্ছে ১৩০ জন শ্রমিকের অবস্থা আগের তুলনায় খারাপ হয়ে যাচ্ছে (৯%), ২১ জনের অবস্থা গুরুতর। যদিও ভাল দিক হচ্ছে ১০৬৩ জন (৭৪%) ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আর ২২২ জনকে অবস্থা স্থিথিশীল রাখতে গিয়ে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হয়। ের জন্যে যে অর্থের প্রয়োজন সেটা আসছে কোথা থেকে? বেশীর ভাগ শ্রমিকের পারিবারিক ৫ থেকে১০ হাজারের বেশী নয়। এই আয় দিয়ে সংসার চালাবে নাকি চিকিৎসা করবে?

আহত শ্রমিকদের অনুভুতি হচ্ছে, ‘বেচে যাওয়াই অভিশাপ’। তৌফিক মারুফ কালের কন্ঠে (৩০ এপ্রিল, ২০১৩) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রোজিনার কথা লিখেছেন। “ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থেকে বলেন, নিজে বাঁচলাম, হাতটাতো বাঁচাতে পারলাম না। এখন কি আর কাজ করা যাবে? সুস্থ হলে খাওয়া চলবে কি করে?

আহত শ্রমিকরা শুধু শারীরিক নয়, নানা ধরণের সামাজিক সমস্যারও শিকার হন। তাদের একটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই। সেই প্রশ্নটি হচ্ছে ‘হাত নেই, পা নেই বাঁচবো কি করে?’ একজন আহত সেবিকা হাতের বিনিময়ে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছেন। কিন্তু মনে এখন তার আরো বড় ভয় ঢুকেছে। এ ভয় ভবিষ্যত জীবনের অনিশ্চয়তার। “যে হাতে মানুষের চিকিৎসা দিতাম, সেই হাতটাই কাইটা ফালাইতে হইছে”, এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৭০২ নম্বর বেডে শুয়ে কাতর কন্ঠে বলছিলেন লাবনী। সদ্য বিবাহিত এই নারী বলেন, “রানা প্লাজা আমারে পঙ্গু কইরা দিছে। এখন একটা হাত লইয়া শ্বশুর বাড়ি ক্যামনে যাবো? ওরা নাকি আমারে আর ঘরে নিবো না।” এই লাবনী বেগম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নার্সের প্রশিক্ষণ নিয়ে ছয় মাস ধরে ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় নার্স হিশেবে কাজ করছিলেন [পরিবর্তন ২ মে, ২০১৩]

আহত শ্রমিকদের আমরা ‘বেঁচে যাওয়া’ শ্রমিক বলছি। অথচ তাঁরা আসলে কি বেঁচে আছেন? সমকাল পত্রিকায় (২৭ এপ্রিল, ২০১৩) আলতাব হোসেন ও নাহিদ তন্ময় যে পাখী আক্তারের অভিজ্ঞতার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ভয়াবহ। ‘পিপাসায় জানটা বাইরাইয়্যা যায়,আলো-বাতাস নাই। চারপাশে নিকষ অন্ধকার। আটকেপড়া অনেকের চিৎকার,গোঙ্গানি। গা ঘেঁষেই পড়ে আছে সাতটি মৃতদেহ!। রুমের অন্য পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আরও ১৭ লাশ। নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে অনেকের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক চিলতে জায়গার বাতাস দুর্গন্ধে বিষ হয়ে ওঠে। গায়ের ওপর নাড়িভুঁড়ি নিয়ে পোকামাকড়ও ইঁদুরের ছোটাছুটি।’ ধ্বংসস্তূপে চাপাপড়া সহকর্মীদের একের পর এক মৃত্যু আর দীর্ঘ ৪৩ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির বয়ান তুলে ধরেন রানা প্লাজার ষষ্ঠ তলার গার্মেন্টকর্মী পাখি আক্তার। তার দুই পা কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউর ১৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন তিনি এসব কথ বলেন। বিভীষিকাময় মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘জীবনের মায়া কী,তা আমি বুঝেছি। চোখের সামনে সহকর্মীদের জীবনপ্রদীপ একে একে নিভে যেতে দেখেছি। তার বর্ণনা দিতে গিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন পাখি আক্তার। চিকিৎসকরা তাকে কাঁদতে মানা করেছেন। কান্নার আওয়াজ থামে পাখির,কিন্তু চোখের পানি যেন থামে না তার’। এই পাখীর স্বাভাবিক জীবন কি করে আশা করা যায়?

সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারিরীক ও মানসিক সমস্যা নিয়ে বেঁচে থকাতে হবে এই শ্রমিকদের সারা জীবন। কে তাদের দেখবে? কেউ কি তাদের চিকিৎসা যেন সম্পুর্ণভাবে হয় তার দায়িত্ব নেবে বা অর্থ দেবে? গার্মেন্ট মালিকদেরই সব খরচ দেয়ার কথা অথচ তারা গড়িমসি করছেন এক বছর ধরে। তারা মনে করে শ্রমিকরা ছল-চাতুরী করে ক্ষতিপুরণ নেবে তাই অনেক মালিককে নিষ্ঠুরভাবে বলতে শুনেছি, হাত-পা কাটা নিয়ে আসুক তখন দেয়া যাবে। আর পরিবার তাদের দেখবে? পরিবারকে তাঁরাই দেখতো এখন পরিবার তাদের সাথে পঙ্গু হয়ে বসে আছে


আহত শ্রমিক রানা প্লাজা


এসব ঘটনা পরিস্কারভাবে এটা প্রমাণ করে যে ভবন ধসের মতো ঘটনায় আহত হওয়া বা ইঞ্জুরি বলে মুল সমস্যাকে খুব হাল্কাভাবেই তুলে ধরা হয়। আসলে এর সাথে জড়িত আছে পুরো স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার সক্ষমতার প্রশ্ন। একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় আমাদের সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলো যে ভাবে চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেছে তাতে তাদের ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ। কিন্তু একই সাথে বলতে হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের সাথে শ্রম মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ইত্যাদীর কতটুকু সম্পর্ক আছে? হাসপাতালে অর্থোপেডিক, কিডনি, হার্ট, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে কিনা, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের সহযোগিতা করার কোন ব্যবস্থা কি আছে? যে সকল হাসপাতালগুলো গার্মেন্ট শ্রমিকদের চিকিৎসা করেছে তারা শ্রমিকের প্রতি দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে চিকিৎসা করেনি, করেছে যে কোন দুর্ঘটনার শিকার রোগী হিশেবে। এর আগে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় একই অবস্থা দেখেছি। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আজ পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি, কোন নীতি গ্রহণ করা হয়নি কি করে আহত শ্রমিকদের পুরো চিকিৎসা করানো যাবে। তাকে সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকার জন্যে উপযুক্ত করবে।

শ্রমিকরা কি তাহলে ‘আহত’ হলে মরে গেছে ধরে নিতে হবে?


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।