বীজ, পিঠা ও নানা রকম খাদ্যের নয়াকৃষি প্রাণবৈচিত্র্য মেলা
উবিনীগ || Tuesday 03 March 2020 ||টাংগাইলের রিদয়পুর বিদ্যাঘরে ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী “বীজ, বৈচিত্র্যময় খাদ্য রান্না, প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা”। নয়াকৃষি আন্দোলন, উবিনীগ ও বীজবিস্তার ফাউনডেশানের যৌথ আয়োজনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রাণবৈচিত্র্য মেলার উদ্দেশ্য ছিল- কৃষকদের হাতে যে সব ধান, চাল, ডাল বা সবজির বৈচিত্র্য আছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে দৈনন্দিন বা বছরের বিশেষ বিশেষ দিনের উৎসবে খাদ্য গ্রহণের জন্য বিশেষ বিশেষ রান্নায় ধান, চাল, সবজি, ডালের ব্যবহার হয়। সেইসব বিশেষ অনুষ্ঠানগুলির জন্য বিভিন্ন ধরণের এবং জাতের ধান, চাল, সবজির, প্রয়োজন হয়। আর এ সবই কৃষক তার নিজ হাতে, নিজ জমিতে উৎপাদন করেন। (এই রিপোর্টটি ইংরেজীতে পড়ুন)
দেশীয় বীজ সংগ্রহ, রক্ষা ও পুনরুৎপাদন নয়াকৃষির কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নয়াকৃষির বীজ সম্পদ কেন্দ্র এবং বীজ আখড়ার মাধ্যমে কৃষকরা একই ফসলের নানা জাতের বীজ সংরক্ষণ করছেন এবং ব্যবহার করছেন। এই কাজ ভালভাবে সম্পাদন করবার জন্যই স্থানীয় জাতের বীজ সম্পর্কে অভিজ্ঞ কৃষকদের নিয়ে নয়াকৃষি বীজ সংঘ গঠিত হয়েছে। নয়াকৃষি বীজ সংঘের সুনির্দিষ্ট কাজ কৃষকের ঘরে বীজ রক্ষা করা এবং কোন ভাবেই যেন এই বীজ হাতছাড়া বা হয়। পাশাপাশি কৃষকের মধ্যে বীজ বিনিময় ব্যবস্থা চালু রাখা, যেন কোম্পানি বা বাজারের দোকান থেকে কৃষককে বীজ কিনতে না হয়। এককাট্টা ফসল আবাদে উৎসাহিত না হয়ে প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর কৃষি উৎপাদন চর্চার জন্য বিভিন্ন জাত ও প্রজাতির বীজ কৃষকদের মধ্যে সংরক্ষণ করা এবং তা নয়াকৃষি কৃষকের মাঝে বিতরণ করা।
নয়াকৃষি মানেই নানান জাত ও প্রজাতির চাষ। অনেক ফসলের আবাদ বা মিশ্র চাষ। নয়াকৃষির কৃষক নিজের হাতে রাখা বীজ, মিশ্র ফসল উৎপাদন করে সকলের খাদ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য সার্বভৗমত্ব নিশ্চিত করে। এই কৃষি একই সাথে খাদ্য যোগান দেয়, পরিবেশ রক্ষা করে, মাটি ও মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
নয়াকৃষি কৃষকের হাতে এইসব ফসলের বীজ আছে বলেই তাদের বাজারের উপর নির্ভরশীল হতে হয় না। আর এ জন্যই সম্ভব হলো টাংগাাইলের রিদয়পুর বিদ্যাঘরে দিনব্যাপী বীজ, বৈচিত্র্যময় খাদ্য রান্না, প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা” র।
টাংগাইল, পাবনা ও নাটোরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় শ’খানেক কৃষক হাসি আনন্দে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন টাংগাইল জেলার মো: আব্দুর রাজ্জাক, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, টাংগাইল। এস. এম. ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, দেলদুয়ার, টাংগাইল, ই্ঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা চেয়ারম্যান, দেলদুয়ার, টাংগাইল, মো: শেয়েব আহমেদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, দেলদুয়ার, টাংগাইল, বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, স্কুল শিক্ষক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব। ঢাকা থেকে উপস্থিত ছিলেন উবিনীগ এবং নয়াকৃষি আন্দোলনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ মজহার এবং নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার। বীজবিস্তার ফাউনডেশনের সভাপতি ড. এম. এ সোবহান। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রনী ভারনয়ী (Ronnie Vernooy), ইতালি ভিত্তিক সংগঠন Bioversity International এর Genetic Resources Policy Specialist.
পিঠা তৈরী, নানা রকম খাদ্যের রান্না ও নয়াকৃষি প্রাণবৈচিত্র্য মেলা:
টাংগাইল ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০। কুয়াশায় ঢাকা শীতের ভোর। ভোর থেকেই রিদয়পুর বিদ্যাঘরের বটতলাতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নয়াকৃষির কৃষকদের আনাগোনা। এখানেই তৈরী হয় নানা রকমের পিঠা এবং দুপুরে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের রান্না। মাটির তৈরী চুলা বসান হয়েছে ৬টা। চারিদিকে লাগান হয়েছে রঙ্গিন কাপড়ে সেলাই করা ফুল তোলা সামিয়ানা। শুরু হয়েছে উৎসবের আনন্দ।
মেলা শুরুর আগের রাতেই (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) কৃষকদের মধ্যে শুরু হয়েছে আনন্দ, হাসি, গান। মহিলা কৃষকেরা কে, কোন ধরনের পিঠা তৈরী করবেন তার তালিকা তৈরী করেছেন রাত জেগে।
কৃষক আপারা- রূপসী বেগম, নবীরন বেগম, খাদিজা আক্তার, রীনা বেগম, জাহানারা বেগম, সেলিনা বেগম, রিজিয়া খাতুন, নিহার বানু, সোহাগী বেগম, পারুল আক্তার, আমেনা বেগম আরও অনেকে একে একে রিদয়পুর বিদ্যাঘরের বটতলাতে উপস্থিত হয়েছেন। এখানেই তারা সকালের জন্য নানা রকম পিঠা এবং দুপুরে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের রান্না তৈরী করবেন। কৃষক আপারাই তৈরী করবেন এসব খাবার। গোপনে চলছে অলিখিত প্রতিযোগিতা - কোন দলের রান্না সব থেকে ভাল হয় !!
সকালে পিঠা উৎসব:
ভোর থেকেই কৃষক আপারা যে যার দল নিয়ে চুলার পাশে বসেছে পিঠা তৈরীর জন্য। আজ চারটি দলে ভাগ হয়ে চার ধরণের পিঠা তৈরী হবে।
১. সিদ্ধ কুলি পিঠা:
লাল ভাওয়াল্ল্যা, কার্তিক শাইল, বেগুনবিচি এবং বাঁশমতি ধান
প্রথম দলের কৃষকেরা তৈরী করেন সিদ্ধ পুলি পিঠা। লাল ভাওয়াল্ল্যা (লাল চাল), কার্তিক শাইল (লাল চাল), বেগুনবিচি (সুগন্ধি) এবং বাঁশমতি (সুগন্ধি ধান)। মিশ্র ধান দিয়ে সিদ্ধ কুলি পিঠা তৈরী করলে নরম এবং সুগন্ধ থাকে। খেতে ভাল হয়। সিদ্ধ কুলি পিঠার নকশার নানা রকম নাম রয়েছে- দড়ী পাকনী, ফুল কাঁটা, ঝাকুই পিঠা, কৈতুরী খোপা ও চিমাই কাঁটা। এই পিঠা তৈরিতে কৃষকেরা ছিলেন- ঈশ্বরদী থেকে রিজিয়া বেগম, নাটোর থেকে নিহার বানু, আর টাঙ্গাইলের সোহাগী বেগম, জাহানারা বেগম এবং নবীরন বেগম। পিঠা তৈরির তালে তালে গান গাইছিলেন কৃষকরা। তাদের গানের কলি ছিলো, তোমরা জানিয়া জানন, তোমরা বুঝিয়া বোঝ না কচুরীপানার গুণের কথা করি বর্ণনা
২. চিতই পিঠা: কটকতারা ধান
দ্বিতীয় দলের কৃষকেরা তৈরী করেন চিতই পিঠা। এখানে কটকতারা চাল ব্যবহার করা হয়েছে। সাদা চাল। এই চালের পিঠা তৈরী করলে নরম এবং মোলায়েম হয়। এই দলের সদস্য ছিলেন- টাঙ্গাইলা থেকে রূপসী বেগম, আমেনা ও নবীরণ।
৩. ঝাল ভাপা পিঠা: চামাড়া দীঘা ধান
তৃতীয় দলের কৃষকেরা তৈরী করেন ঝাল ভাপা পিঠা। চামাড়া দীঘা ধান লাল এবং মিষ্টি। এই ধানের পিঠা নরম এবং সুস্বাদু হয়। টাংগাইলে এই ধান নিয়ে ছড়াও রয়েছে, “ ইষ্টির মধ্যে মামা’রা যদি থাকে নানী, আর ধানের মধ্যে চামারা যদি থাকে পানি।” এই প্রাণবৈচিত্র্য মেলায় ঝাল ভাপা পিঠার খুব চাহিদা ছিল। সকলেই খুব পছন্দ করেন ঝাল পিঠা। পিঠার মাঝখানে দেয়া ছিল মরিচ, পেয়াজ এবং ধনেপাতার সালাদ। এ দলের সদস্য ছিলেন টাঙ্গাইল থেকে- পারুল বেগম এবং খাদিজা আক্তার।
৪. মিষ্টি ভাপা পিঠা: চামাড়া দীঘা ধান
চতুর্থ দলের কৃষকেরা তৈরী করেন মিষ্টি ভাপা পিঠা। নরিকেল ও খেজুরের গুড় দিয়ে চামাড়া দীঘা লাল চালের গুড়া দিয়ে এই পিঠা সকলের মন জয় করে। এ পিঠা তৈরিতে ছিলেন টাঙ্গাইল থেকে রিনা বেগম, আলেয়া বেগম এবং শাহনাজ বেগম।
নয়াকৃষি কৃষকদের গানের অনুষ্ঠান:
পিঠা উৎসবের পাশাপাশি চলছিল নয়াকৃষি কৃষকদের গানের অনুষ্ঠান। কৃষক আক্কাস আলী “বীজ, পিঠা ও নানা রকম খাদ্যের নয়াকৃষি প্রাণবৈচিত্র্য মেলা’র জন্য নতুন গান রচনা করেন এবং নিজে গান পরিবেশন করেন। কৃষক আরফান আলী, নবকুমার দে, নয়াকৃষির গান, স্থানীয় গান এবং আগে কত রকমের মাছ পাওয়া যেতো এখন তা পাওয়া যায় না এমন গানও পরিবেশন করেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন নবপ্রাণ আন্দোলনের শিল্পী আমীর হোসেন খান। তিনি শুধু সঙ্গীত পরিবেশনই করেন নাই অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করার জন্য হারমোনিয়াম বাজিয়ে সহায়তা করেন এবং তবলায় সঙ্গত করেন নয়াকৃষির কর্মী যোয়াকিম মাংসাং। হারমোনিয়াম, তবলার পাশাপাশি আরও যে সব বাদ্যযন্ত্র ছিল- বাঁশি, একতারা, বেহালা, ঢোল, মন্দিরা ও ডুগডুগি। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি এই গান বাজনা মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলে।
মেলায় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ নয়াকৃষির বিভিন্ন ধরনের চালের তৈরী পিঠা খেয়ে খুশি হন। তারা বলেন, "আমাদের নিজেদের এত রকম ধানের বীজ আছে আমরা তা জানি না।"
রনী ভারনয়ী (Ronnie Vernooy):
রনী ভারনয়ী, ইতালি ভিত্তিক সংগঠন Bioversity International এর Genetic Resources Policy Specialist. তিনি টাংগাইলের বীজ সম্পদ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন জাতের ধানের বীজ দেখে মুগ্ধ হন। এই সময় বীজবিস্তার ফাউনডেশনের সভাপতি ড. এম. এ. সোবহান বলেন, আমাদের বীজ সম্পদ কেন্দ্রে সতের শো (১৭০০) ধানের বীজ আছে এবং প্রতি বছরে এই ধানের জাত রক্ষার জন্য চাষ করা হয়। গবেষণা করা হয়।
বিদেশী পর্যটক: পিঠা মেলা চলাকালিন সময়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে ১৫ জনের একটি পর্যটক দল রিদয়পুর বিদ্যাঘরে আসেন। পিঠা খান এবং ধানের বৈচিত্র্য দেখে মুগ্ধ হন। সকাল ১০টার মধ্যে শেষ হয় পিঠা উৎসবের পর্ব।
পিঠা উৎসবের পরেই শুরু হয় দুপুরের রান্না পর্ব। দুপুরের রান্নার জন্য নয়াকৃষির মহিলা কৃষকেরা ৬টি দলে ভাগ হয়ে কে কি রান্না করবেন তা ঠিক করে নেন। যে সব সুস্বাদু রান্না কৃষক আপারা তৈরী করেছিলেন নিচে তা তুলে ধরা হলো:
সাদা ভাত: সাদা ভাত রান্না হয় ৮ জাত ধানের। তার মধ্যে ৪টি ধানের জাত ছিল লাল ধান - ১. নয়া কাটরা (লাল চাল), ২. আপছায়া (লাল চাল), ৩. চামাড়া দীঘা (লাল চাল) ৪. কালোবকড়ি (লাল চাল), ৫. পাইজাম, ৬. নাজিরশাইল, ৭. ভাওয়াইলা দীঘা ও ৮. সাদা ঢেপা।
পোলাও: পোলাও রান্না হয় ২ ধরণের সুগন্ধি চালের- ১. বাদশা ভোগ ও ২. কালিজিরা।
খিচুরী: খিচুরী রান্না হয় ২ ধরনের চালের- ১. ময়না গিরি, ও ২.কটকতারা।
পায়েস: পায়েস রান্না হয় ২ জাতের ধান চাল দিয়ে- ১. চিনিগুড়ি এবং ২. উকুন মধু।
রান্নার পাশাপাশি কৃষক মহিলারা প্রতিটি চালের বর্ণনা দিয়েছেন। চাল অনুযায়ী রান্নার নিয়ম আছে এবং প্রতিটি চালের পুষ্টি গুণাগুনেরও তারা বর্ণনা দেন। তারা আরও বলেন, গ্রামে বিভিন্ন উৎসবে ঈদ, শবে বরাত, বিয়ে, হিন্দুদের পূজা বা অন্যান্য উৎসবের অনুষ্ঠানে তারা আউশ, আমন ধানের বিভিন্ন চালের ব্যবহার করেন।
ভর্তা: ৩ রকমের: আটঘড়িয়া বেগুন ভর্তা, তেলাকুচার পাতা ভর্তা, এবং ঘিয়া শিম ভর্তা, হয়েছিল।
শাক: খেশারী শাক, পালং শাক,
কুড়িয়ে পাওয়া শাক: ডন্ড কলস, থানকুনি, ন্যাটাপেটা ও ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাক ঘন্ট।
অন্যান্য সবজী: বৈরাগী লাউ ও টাকি মাছ, আটঘড়িয়া বেগুন ভাজা, পুটি সীম ভাজি। তবলা মিষ্টি কুমড়ার চাক ভাজি। পুঁটি শিম এবং কাটিনল আলুর মিশ্র ভাজি। লাল মুলার সবজী। পালং শাক ও বটু মিষ্টিকুমড়ার সবজী।
ডাল: সোনা মুগ ডালের সাথে রু্ই মাছের মুড়ো ঘন্ট। মশুরীর ডাল ভুনা। মুসুরি ডালের পিয়াজু
আমন্ত্রিত অতিথিদের দুপুরের খাওয়ার আগে ফরিদা আপা ঘোষণা দিয়ে বলেন, ভাত, খিচুরি, পোলাও যে যা খাবেন, খাওয়ার পরে বলতে হবে কোন ধানের চাল দিয়ে সেটা তৈরী হয়েছে। এ কথায় আমন্ত্রিত অতিথিরা যা খাবার নিয়েছেন তার নাম এবং চালের নাম মনে রাখার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে সকলেই অনেক উৎসাহিত হয়েছেন এবং আনন্দ পেয়েছেন।
প্রাণবৈচিত্র্য মেলায় ধানের বিভিন্ন রকম জাত প্রদর্শনী ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
ভাতের জন্য ধান:
১. ঝিংগা শাইল, ২. ইন্দ্র শাইল, ৩. হোগলাপাতা, ৪. বাতি মোটা, ৫. বাঁশি শাইল. ৬। সুরমা সাদা, ৭. আশাইল লেম্বোর, ৮. কাশাকালি. ৯. দীঘা, ১০. টেম্ববোরো, ১১. ঢেপা, ১২. চন্দ্র মালতি, ১৩. মাটিসাল ও ১৪. কাজলগুড়া।
পায়েশের জন্য ধান:
১. বউ জামাই, ২. চিনি সাগর, ৩. চিনি আতব, ৪. কালিজিরা, ৫. সাহেব চিকন, ৬. নাজির শাইল, ৭. বাদশা ভোগ, ৮. চিনিগুড়ি, ৯. বাঁশমতি, ১০. রাধুনী পাগল, ১১. সাহেব গিজা ১২. দাদখানি, ১৩. বেগুনবিচি, ১৪ উকুনমধু ও ১৫. সাহেব চিকন।
পিঠার জন্য ধান:
১. বাঁশকলম, ২. কালামোটা, ৩. সোনাজান, ৪. পানি শাইল, ৫. রূপসী, ৬. রাধাবিন্নি, ৭. পানি তরঙ্গ, ৮. পানি শাইল, ৯. স্বরসরি, ১০. দুধকুলি, ১১. কালাময়না, ১২. রায়ভায়া, ১৩. পোড়াপাইজাম, ১৪. মলিকা, ১৫. শালি ও ১৬. বাতি।
মুড়ির জন্য ধান:
১. সাদা মোটা, ২. মোটা শাইল, ৩. কার্তিক শাইল, ৪. কোচা মোট, ৫. হিয়াল, ৬. মোটা, ৭. যোশবালাম, ৮. চাতক লাল, ৯. কলামোটা, ১০. সুরমাবাতি, ১১. পাটজাগ, ১২. পাটনল ও ১৩. গুজাবালাম।
খৈয়ের জন্য ধান:
১. লালসরু, ২. মতি চিকন, ৩. সুবোধমুখি, ৪. পক্সিক্ষরাজ, ৫. এলাজি, ৬. মধু শাইল, ৭. ময়না শাইল, ৮. লুঙ্গিগাইচা, ৯. সাজিনা শাইল, ১০. মতি শাইল, ১১. সাটিরুলা, ১২. বাজাই ও ১৩. কাজলগিরি
চিড়ার জন্য ধান:
১. চাম্পামনি, ২. আউলা শাইল, ৩. দুধবিল্লা, ৪. কটচুড়া, ৫. মোহনভোগ, ৬. মুক্তাহারা, ৭. পোড়াবিন্নিী, ৮. হাতিয়ামোটা, ৯. লালসরু, ১০. রজনী শাইল, ১১. হিফলী চিকন, ১২. দোলা মোটা, ১৩. সোনামুখি, ১৪. বেতি, ১৫. চান্দুমনি, ১৬. মধুমালতি, ১৭. তিলকাজল, ১৮. কুসুমকামিনী ও ১৯. মুলাকান্দি
রিপোর্ট: সীমা দাস সীমু, পরিচালক, উবিনীগ