উবিনীগ


উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা

কাঁচা মরিচ সংকট: আমদানি কোন সমাধান নয়

কাঁচা মরিচের এই সংকট কি উৎপাদন ঘাটতির সংকট নাকি সংঘবদ্ধ মহলের কারসাজি, সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কোন বক্তব্য প্রচার মাধ্যমে আমাদের চোখে পড়ে নি।

এবার ঈদুল আজহার আগে থেকে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি নিয়ে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তার দ্রুত সমাধান দেয়া হয়েছে আমদানির অনুমতি দিয়ে। গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল, কিন্তু এ বছর জুলাই মাসে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ১০ মাস পর ৪৮ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানি বন্ধের কারণ ছিল দেশের কাঁচা মরিচ উৎপাদনকারী কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায়। আমদানির কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেলে মরিচের দাম কমে, আর তাতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত (আরো পড়ুন )


বেগুন নিয়ে তুলকালাম: গবেষণা ও বিভ্রান্তিকর সাংবাদিকতা

প্রশ্ন করে কাউকে উত্তর দেয়ার সুযোগ না দিয়ে নিজেই একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা কোন ভাল সাংবাদিকতা নয়। গবেষকের কথায় বোঝা গেছে, তারা বেগুন খেলেই ক্যান্সার হবে এমন কোন ফলাফলের কথা বলেননি; বরং তারা স্বীকার করেন যে, বেগুনের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই টকশোটি বেশ হাস্যকর হয়েছে; কারণ সাংবাদিকরা ঠিকমতো প্রশ্নও করতে পারছিলেন না। কিন্তু, নিজেরাই অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলেন।

বেগুন নিয়ে গণমাধ্যমে একটু হৈ চৈ শুরু হয়েছে। দেশের অনেক ধরণের ঘটনার মধ্যে এই খবর সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রধানত অজ্ঞ সাংবাদিকতার জন্যে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য প্রকাশ নিয়েও পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে। কারণ গবেষণার ফলাফল কিভাবে ব্যবহার হবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। প (আরো পড়ুন )


শিরা মিষ্টিকুমড়া

জাতের নাম শিরা মিষ্টিকুমড়া। এই জাতের মিষ্টি কুমড়ার শরীরের উপর দিয়ে শির শির ভাগ আছে। প্রতিটি কুমড়ার শরীরে ৮ টি করে শির বা ভাগ আছে। এজন্যই এই মিষ্টি কুমড়ার নাম শিরা মিষ্টি কুমড়া। এই অঞ্চলের অনেক কৃষক এই মিষ্টি কুমড়া চাষ করে। এই জাতের মিষ্টি কুমড়া বেশি দিন ঘরে রাখা যায়।

লাগানোর সময় কাল
শিরা মিষ্টি কুমড়া বছরে দুইবার লাগানো যায়। প্রথমে ফাল্গুন মাসে লাগানো হয়। ফল ধরা শুরু হয় বৈশাখ মাসে। জৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে বীজ সংগ্রহ করা হয়। আবার সেই বীজ ভাদ্র মাসে লাগানো হয়। কার্তিক, অগ্রাহায়ন মাসে ফল ধরা শুরু হয়। পৌষ, মাঘ মাসে বীজ সংগ্রহ করা হয়। তবে দুটি মৌসুমেই এই মিষ্টি কুমড়া জাতটি খুব ভাল ফল (আরো পড়ুন )


চৈত্র সংক্রান্তি ১৪২৬

আজ চৈত্র মাসের ৩০ তারিখ ১৪২৬ সাল (ইংরেজী ১৩ এপ্রিল, ২০২০)। বছর ব্যাপী একটা বৃত্তে ঘুরে এসে বাংলা সন আবার সেই একই বৃত্তেরই যখন আবার পূর্বানুবৃত্তি করে, তাকে আমরা বলি, সংক্রান্তি। সংক্রান্তি মানে যা শেষ তা একই সঙ্গে শুরু। বৃত্তের যে কোন বিন্দুই একই সঙ্গে শুরু এবং শেষ। সময় আমাদের বারবার ফিরে আসে, তাই আমরা এর নাম দিয়েছি ঋতু।

বর্ষের হিশাবে আমরা ঢুকছি ১৪২৭ সালে। এই দিনের বিশেষ আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তি পালন। বিষয়টি এমন নয় যে একটি বছর শেষ ঘোষণার জন্য, কিম্বা পরদিন নতুন বছর শুরু হচ্ছে বলে ‘নববর্ষের’ প্রস্তুতির দরকারে। চৈত্র সংক্রান্তি ঘরে ঘরে পালন করার বিষয়। মানুষের শরীর ও প্রকৃতির মধ্যে সম্বন্ধ রচনার যে চর্চা এই নদিমাতৃক সবুজ বদ্ (আরো পড়ুন )


বীজ, পিঠা ও নানা রকম খাদ্যের নয়াকৃষি প্রাণবৈচিত্র্য মেলা

টাংগাইলের রিদয়পুর বিদ্যাঘরে ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী “বীজ, বৈচিত্র্যময় খাদ্য রান্না, প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা”। নয়াকৃষি আন্দোলন, উবিনীগ ও বীজবিস্তার ফাউনডেশানের যৌথ আয়োজনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রাণবৈচিত্র্য মেলার উদ্দেশ্য ছিল- কৃষকদের হাতে যে সব ধান, চাল, ডাল বা সবজির বৈচিত্র্য আছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরা। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে দৈনন্দিন বা বছরের বিশেষ বিশেষ দিনের উৎসবে খাদ্য গ্রহণের জন্য বিশেষ বিশেষ রান্নায় ধান, চাল, সবজি, ডালের ব্যবহার হয়। সেইসব বিশেষ অনুষ্ঠানগুলির জন্য বিভিন্ন ধরণের এবং জাতের ধান, চাল, সবজির, প্রয়োজন হয়। আর এ সবই কৃষক তার নিজ হাতে, নিজ জমিতে উৎপাদন করেন। ( (আরো পড়ুন )


চৈত্রসংক্রান্তি ও প্রকৃতির সাথে বোঝাপড়া

চৈত্র সংক্রান্তি পালনের বিষয়টি বছর শেষ ঘোষণার জন্য নয়, কিম্বা পরদিন নতুন বছর শুরু হচ্ছে বলে ‘নববর্ষের’ প্রস্তুতিও নয়। দিনটি পালিত হয় মানুষের শরীর ও প্রকৃতির মধ্যে সম্বন্ধ রচনার যে চর্চা এই নদীমাতৃক সবুজ বদ্বীপে বহু দীর্ঘকাল ব্যাপি জারি আছে তাকে চিনবার ও জানবার জন্য।

চৈত্র মাস শেষ হচ্ছে, আসছে বৈশাখ। এর মধ্য দিয়ে আসছে বাংলা সনের আর একটি বছর, ১৪২৬। নতুনভাবে আসা বাংলা বছরকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। একবছর শেষ হয়ে আর একবছর আসছে তবে ১৪২৫ থেকে ১৪২৬, ইংরেজি ধারণা থেকে গুণতে যাওয়া ঠিক নয়। বাংলার ভাবে বছর আর ঋতুর প্রবল পার্থক্য রয়েছে যা আমরা এখন আর ধরতে পারি না। বাংলার ঋতু ফিরে ফিরে আসে, চক্রাকারে প্রত্যাবর্তন করে, একই ঋতুর বারবার আবির (আরো পড়ুন )


যে ‘কাল’ সদাই ‘বর্তমান’, যা ‘শেষ’ তাই ‘আরম্ভ’, চৈত্র সংক্রান্তি ১৪২৫

৩০ চৈত্র ১৪২৫ (১৩ এপ্রিল ২০১৯) আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ। আসুন সবাই মিলে এবার চৈত্র সংক্রান্তি পালন করি। আমাদের আয়োজন ঢাকায় এবং টাঙ্গাইলে। ঢাকায় নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, আড্ডা এবং শস্য প্রবর্তনার আয়োজনে থাকছে সকাল থেকে ছাতু, চিড়া, দই, মুড়ি, খই, তিল ও নারিকেলের নাড়ু ইত্যাদি এবং নানান ধরণের শরবত। দুপুরের খাবারে চৌদ্দ রকমের শাক, ডাল, সবজি ও লাল ও সাদা চালের ভাত। এই দিন কোন মাছ-মাংস রান্না হবে না।

টাঙ্গাইলে নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকরা তাদের গ্রাম থেকে শাক কুড়িয়ে আনবেন এবং রিদয়পুর বিদ্যাঘরে সব্জি, ডাল ইত্যাদি নানা রকম রান্না করবেন। তার পাশাপাশি তারা গ্রামে প্রাণ বৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আলোচনা করবেন। নবপ্রাণ আন্দোলনের শিল্পীরা দেশে (আরো পড়ুন )


জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮: কৃষিকে ইনপুট-অউটপুট নির্ভর শিল্পে রুপান্তর

একটি উচ্চাভিলাষী বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কৃষি উন্নয়নের দৃষ্টি কোণ থেকে জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ প্রণীত হয়েছে। এ নীতি পরিবেশ বান্ধব নয়, স্থিতিশীল নয়, এবং সৃজনশীলতা বর্জিত।

গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে তথাকথিত সবুজ বিপ্লবের মূলনীতি নির্ভর অধিক ফলনের সোনার হরিণের পিছনে লাগামহীন গতিতে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা বর্তমান জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮ তে আরো বহুগুণ বেগবান করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মনে রাখা ভালো, কৃষি মানব জাতির একটি বেহেস্তি উপহার। প্রকৃতির দান, প্রাণ প্রকৃতির সহমর্মিতায় স্থিতিশীল ফলন। পরিবেশের ভারসাম্য রহ্মার স্বার্থে উৎপাদন উপকরণ, ফলন এবং নেট রিটার্ন হিসাব রাখা প্রয়োজন। কারণ কোন সম্পদই অফুরন্ত নয়। কৃষি উৎপাদনের প্রধান হ্মেত্র মাটি। সচেত (আরো পড়ুন )


চাই বেগুন বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা, প্রযুক্তি সমাধান নয়

বেগুন ও বাজার

বাজারে বেগুনের মূল্য নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ঢাকার কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ঢাকা মিরপুর-১ নং কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, কাওরান কাঁচাবাজার প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে টাঙ্গাইল বাজারে প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, পাবনার ঈশ্বরদী বাজার প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য ২৫ টাকা, আবার নরসিংদীতে প্রতি কেজি বেগুনের মূল্য মাত্র ২ টাকা থেকে ৩ টাকা। উৎপাদন স্থল এবং ঢাকার বাজারের দামের এই বিরাট পার্থক্য কৃষক বা ভোক্তা কারোই উপকারে আ (আরো পড়ুন )


বিশ্ব জৈব কৃষি সম্মেলন, ২০১৭

দিল্লী ও তার আশ-পাশের এলাকা ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। কুয়াশা নয়, বাতাশ দূষিত হয়ে এই অবস্থা হয়েছে। বলা হচ্ছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা ধান কাটার পর খড় পুড়িয়ে দেয় বলেই এই অবস্থা। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, শুধু খড় পোড়ালে এই অবস্থা হোত না, এর সাথে যুক্ত হয়েছে গাড়ী ও শিল্প কলকারখানার ধোঁয়া। নভেম্বরের এই সময়ে বাতাস স্থির থাকে তাই সব দূষিত ধোঁয়া জড়ো হয়ে বের হতে পারছে না। এবার বাতাসের দূষণের কথা ভেবেই সরকার দিওয়ালিতে পটকা ফোটাতে দেয় নি। কিন্তু তবুও রক্ষা হোল না। একটু বৃষ্টি হলেও হয়তো রক্ষা পাওয়া যেতো। কিন্তু হোল না। স্কুলগুলো রবিবার ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে ৯ – ১১ নভেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ইন্ডিয়া এ (আরো পড়ুন )


আমাদের কুড়িয়ে পাওয়া শাক

‘আমাদের কুড়িয়ে পাওয়া শাক’গবেষণা গ্রন্থটি দ্বিতীয় সংস্করণ বের করতে পেরে আমরা খুশি। প্রথম সংস্করণ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সংস্করণে আমরা কিছুটা পরিবর্তন করেছি। আশা করি পাঠকরা এই গ্রন্থ ব্যবহার করে প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার সাথে আমাদের খাদ্যের যোগানোর সম্পর্কটি উপলব্ধি করতে পারবেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষের জীবনধারণ প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মতো দেশেও খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নটি শুধুমাত্র আবাদী ফসলের ওপরই নির্ভরশীল নয়। আমাদের চারিদিকে অনেক কিছু গড়ে ওঠে যা আবাদ করা হয় না কিন্তু খাওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের খাদ্যাভ্যাস আছে। এ খাদ্যকে আমরা কুড়িয়ে পাওয়া খাদ্য বলে আখ্যায়িত করেছি। কারণ যা (আরো পড়ুন )


কুড়িয়ে পাওয়া খাবার খেয়ে জীবনের পরিবর্তন (১)

রহিমা বেগম বয়স ৬৭ বছর। স্বামী মৃত কাঞ্চু মিয়া।

টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার আটিয়া ইউনিয়নের মৌসাকাঠালিয়া গ্রামে রহিমা বেগমের বাড়ি। পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। আগে তার কোন জমা-জমি ছিল না। শুধু বসতবাড়ি ১৪ শতাংশ তার মধ্যে দোচালা একটি ঘর ছিল। রহিমা বেগমের পরিবার আগের চেয়ে অনেক স্বচ্ছল হয়েছে। তার স্বাস্থ্য আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। সে এখন অনেক হাসি খুশি থাকে। নিজে অনেক কষ্ট করে বাড়ির পেছনে সামান্য জমি কিনেছেন। তাতে নানা ধরনের মৌসুমি শাক সবজি লাগিয়েছেন। তার ঘরে এখন বিদ্যুৎ আছে ফ্যান আছে, ইষ্টিলের আলমারী, সুন্দর কাঠের খাট, সুকেচ আছে। তাকে এখন আর আগের মত না খেয়ে কষ্ট করতে হয়না। তিন বে (আরো পড়ুন )


বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৭

৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবছর (২০১৭) জাতি সংঘের প্রতিপাদ্য ছিল “Connecting People to Nature,” যার মাধ্যমে এই বার্তাই দেয়া হয়েছে যে প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে মানুষের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্কের গোড়ার কথা হচ্ছে প্রকৃতিকে লালন করতে হবে। বাংলাদেশে পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে “প্রাণের স্পন্দনে, প্রকৃতির বন্ধনে”। সরকার দিবসটি পালন করেছেন জাতীয় বৃক্ষ রোপন অভিযান, পরিবেশ ও বৃক্ষমেলার আয়োজনের মাধ্যমে। দিবসটি খুব নীরবেই কেটে গেল। প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে আমরা খুব সোচ্চার হলাম না।

নয়াকৃষি আন্দোলনের মূল কথা হচ্ছে প্রকৃতি ও মানুষকে আলাদা ভাবে না দেখা। মানুষ প্রকৃতিরই অংশ। তবে মানুষ প্রক (আরো পড়ুন )


কুড়িয়ে পাওয়া খাবার খেয়ে জীবনের পরিবর্তন (২)

আছিয়া বেওয়া: টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার আটিয়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের আছিয়া বেওয়ার বাড়ি। বয়স ৫৬ বছর। স্বামী মৃত লাল মিয়া। পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৫ জন। ২০ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার আগে বেশ কিছু দিন অসুস্থ্য ছিল কোন কাজ করতে পারে নি। দীর্ঘদিন তার চিকিৎসা করতে হয়েছে। তখন ছেলে কাজ করতে পারতো না। ঐ সময় অনেক টাকা ঋণ হয়েছিল, ছেলে তাঁতের কাজ করে সে কিস্তি দিয়েছে। ঋণের টাকা শোধ হয়েছে । আর আছিয়া বেওয়া নিজে কাজ করে নানা ভাবে সংসার চালাতেন। এখন ছেলেদের সাথে থাকেন। স্বামী মারা যাওয়ার সময় তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলেকে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়িয়ে (আরো পড়ুন )


২২ মে, বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবস, ২০১৭

‘প্রাণবৈচিত্র্য ও টেকসই পর্যটন’

প্রাণবৈচিত্র্য ইংরেজীতে বায়োডাইভারসিটি (biodiversity) এখন একটি পরিচিত ও সংগ্রামী শব্দ। বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলন (১৯৯২) এর সময় পরিবেশ বিপর্যয়ের নানা দিক তুলে ধরতে গিয়ে এই শব্দটির প্রচলন হয়, এটা আদি কোন ইংরেজি শব্দ নয়। বায়ো (প্রাণ) এবং ডাইভারসিটি (বৈচিত্র্য) এক করে এই শব্দটি তৈরি হয়েছে পরিবেশ কর্মীদের দ্বারা। এরপর প্রাণ ও প্রকৃতির বৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যে International Day for Biological Diversity জাতিসংঘ ঘোষণা দিয়েছিল। প্রথমে শীতকালে দিবসটি থাকলেও ২০০০ সালে সিদ্ধান্ত হয় গ্রাষ্মকালে, ২২ মে তারিখে হবে। প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়। এবার প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে ‘প্রা (আরো পড়ুন )


মনসান্তো ট্রাইবুনাল: গণআদালতে প্রাণ ও প্রকৃতি হত্যাকারীর বিচার

বহুজাতিক কম্পানির প্রাণ বিনাশী ভূমিকা

একালে মানুষসহ সকল প্রাণের চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে গুটিকয়েক বহুজাতিক কর্পোরেশান। তাদের বিষ, রাসায়নিক দ্রব্য ও নানান ক্ষতিকর পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহার প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস করছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ তারা বিষাক্ত করে তুলছে। প্রাণ আজ সর্বত্রই বিপন্ন। আগে তাদের প্রধান ব্যবসা ছিল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ এবং বিশেষ ভাবে কীটনাশক বা বিষ বেচা। এখন তারা বীজের ব্যবসা ও কৃষিতে ঢুকেছে। সারা দুনিয়ার খাদ্য ব্যবস্থা তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠেছে। মানুষ না খেয়ে বাঁচতে পারবে না। খাদ্য ব্যবস্থা – অর্থাৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণণ ও ভোগের প্রতিটি চক্রের ওপর তারা তাদের একচেটিয়া (আরো পড়ুন )


কুড়িয়ে পাওয়া খাবার খেয়ে জীবনের পরিবর্তন (৩)

নাম: রং বাহার বয়স ৫৬ বছর গ্রাম: গোয়ারিয়া স্বামী; মৃত আনোয়ার হোসেন

তিন ডিসিমল জায়গার উপরে বাপের বাড়ি সেখানে ভাইয়েরা একটি ঘর উঠানোর জায়গা দিয়েছে। চার চালা একটি পুরানো ঘর আছে।

পরিবারের সদস্য সংখ্যা আগে ছিল ৪ জন। এখন নিজে একা থাকেন। মা মারা গেছে। মেয়ে বিয়ে হয়ে শশুর বাড়ি চলে গেছে। নাতী আমার কাছে থেকে লেখা পড়া করতো সে এখন থাকেনা।

রং বাহার বলেন, আমি বাপের বাড়িতে থাকি। ভাইরা আলাদা থাকে আমি আলাদা থাকি। আগে মানুষ বেশি ছিল চাল বেশি লাগতো। এখন একদিনের জন্য আমার আধা কেজি চালের ভাত লাগে। আগে সকালে উঠে চাল পানি খেয়ে চকে (জমিতে) শাক তুলতে যেতাম। এই মৌসুমে শাক কম একটু বৃষ্টি হলে অনেক শাক হবে। ঘরে মিষ্টি আলু আছে ঐ আল (আরো পড়ুন )


আমাদের কুড়িয়ে পাওয়া শাক

‘আমাদের কুড়িয়ে পাওয়া শাক’গবেষণা গ্রন্থটি দ্বিতীয় সংস্করণ বের করতে পেরে আমরা খুশি। প্রথম সংস্করণ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। তবে দ্বিতীয় সংস্করণে আমরা কিছুটা পরিবর্তন করেছি। আশা করি পাঠকরা এই গ্রন্থ ব্যবহার করে প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার সাথে আমাদের খাদ্যের যোগানোর সম্পর্কটি উপলব্ধি করতে পারবেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষের জীবনধারণ প্রাণবৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মতো দেশেও খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নটি শুধুমাত্র আবাদী ফসলের ওপরই নির্ভরশীল নয়। আমাদের চারিদিকে অনেক কিছু গড়ে ওঠে যা আবাদ করা হয় না কিন্তু খাওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের খাদ্যাভ্যাস আছে। এ খাদ্যকে আমরা কুড়িয়ে পাওয়া খাদ্য বলে আখ্যায়িত করেছি। কারণ যা (আরো পড়ুন )


সর্বনাশী কর্পোরেট কৃষি নয়, চাই পরিবেশসম্মত কৃষি

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি্র কারনে জনগণের দৈনন্দিন জীবন জীবিকার সংগ্রাম কঠিন হয়ে পড়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের ন্যায়সঙ্গত  দাবী-দাওয়া উপেক্ষার ফলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি ম্রহনত মানুষের জীবনকেও অতীষ্ঠ করে তোলে। যে কোন রাজনোইতিক কিম্বা সামাজিক অস্থিতিশীলতা দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য এবং বিশেষ করে কৃষকের ফসল বাজারে আসার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। আর সময়মতো ফসল বাজারজাত করতে না পারলে কৃষকের ক্ষতি হয় এ কথা সর্বজনবিদিত। ফসল বাজারজাত করতে না পারা শুধু রাজনৈতিক খারাপ পরিস্থিতিতেই হয় না, অন্যান্য স্বাভাবিক সময়েও একই ঘটনা ঘটে। ঢাকায় যে সবজি ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তা গ্রামে বিক্রি হয় মাত্র ২ টাকায় বা ৫ টাকায়। আলু (আরো পড়ুন )


দেশের ঈদ, বাজার বিদেশী

ঈদের বাজার এখন রমরমা। রমজান মাসের রোজার শেষে ঈদ আসবে— তারই প্রস্তুতি চলে সারা মাস ধরে। মাসজুড়ে কাপড় এবং সঙ্গে অন্য সামগ্রীর কেনাকাটাতেই আনন্দ। এ কেনাকাটায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়, আর এখন তো যানজট বাড়তি ভোগান্তির সৃষ্টি করে। তবুও কারো কেনাকাটা থেমে থেকেছে বলে শুনিনি। সেটা গুলিস্তান বা ফার্মগেটের ফুটপাতের বাজার হোক বা বড় বড় শপিং মলের বাজার হোক। এবার রমজান মাস মোটামুটিভাবে গরমে কেটেছে। তাই শপিং মলে ভিড় একটু বেশি, কারণ সেখানে এসি চলে। দাম বেশি হলেও আরামে কাপড় কেনা যায়। এখন আষাঢ় মাস চলছে, কিন্তু বৃষ্টির চেহারা তেমন দেখা যাচ্ছে না। ওদিকে নীল শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে বর্ষার গানও গাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ফুল ফুটুক বা না ফুটুক বসন্ত ঠিকই আসবে, এখন দেখছি ব (আরো পড়ুন )


কৃষকের বৈচিত্র্যপুর্ণ ফসল পরিকল্পনা

নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকরা অধিকাংশই ক্ষুদ্র কৃষক। তাদের জমির পরিমান ১ একরের বেশী নয়, সারা বাংলাদেশেই এই ক্ষুদ্র কৃষকরাই কৃষিতে মূল ভুমিকা রাখছেন। তাদের ফসল পরিকল্পনায় নিজের পরিবারের খাদ্যের যোগান দেয়াই প্রধান উপলক্ষ, বাজারের জন্যও তাদের উৎপাদন করতে হয়। কিন্তু বাজার তাদের উৎপাদনের ধরণ পালটে দেয়। বাজারের চাহিদা অনুযায়ি উৎপাদন করতে গিয়ে কৃষকের ফসলের বৈচিত্র্য কমে যায়, আর নিজেরা খাওয়ার জন্যে আবাদি জমির কম অংশ ব্যবহার করেও বাড়ীর ফসলের বৈচিত্র্য দেখে অবাক হতে হয়। ঈশ্বরদীতে নয়াকৃষি বিদ্যাঘর আরশিনগরে জৈষ্ঠ্য মাসের ৩০ তারিখ থেকে আষাঢ়ের ১ তারিখ (১৩ থেকে ১৫ জুন, ২০১৬) পাঁচটি এলাকার কৃষকের সাথে ফসল পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সভায় অনেক গুরুত্বপুর্ (আরো পড়ুন )


মোরগ- মুরগীও পরিবারের সদস্য

স্মরণনাতীত কাল থেকে গ্রাম বাংলায় ঘরের পিছনে মোরগ- মুরগী লালন পালন চলে আসছে। এখনও প্রায় ৭০% পরিবার মোরগ- মুরগী লালন পালনের সাথে যুক্ত। বর্তমানে এ দেশে মোরগ- মুরগী লালন পালন দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন, ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ীর আঙ্গনায় খোলা যায়গায় চড়ে বেড়ানো মোরগ-মুরগী এবং ব্যবসায়িক ভিত্তিতে পোলট্রি খামারে লালন পালন করা মোরগ-মুরগী। সনাতন পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র পরিবারে সীমিত সংখ্যক মোরগ -মুরগী লালন পালন করা প্রায় প্রতিটি পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সব মোরগ -মুরগীর জন্য তেমন কোন তৈরি খাবারেরও প্রয়োজন হয় না। তবে এ সব মোরগ- মুরগী লালন করে পরিবারের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করে বাজারে বিক্রি করে কিছু বাড়তি আয়েরও সুযোগ হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরিবারের মহিলার (আরো পড়ুন )


মাটিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগের পরিনাম

ফসল উৎপাদনের জন্য কম পক্ষে ২১ টি মৌলিক উপাদান প্রয়োজন। এর মধ্যে তিনটি ম্যাক্রনিউট্রিয়ন্ট যেমন কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন বাতাস ও পানি থেকে পাওয়া যায়। তিনটি প্রাইমারী ম্যাক্রনিউট্রিয়ন্ট যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম মাটি থেকে পাওয়া যায়। তিনটি সেকেন্ডারি ম্যাক্রনিউট্রিয়ন্ট যেমন সালফার, ক্যালশিায়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম মাটি থেকে পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরো আছে ১২ টি মাইক্রোনিউট্রিয়ন্ট যেমন আয়রন, মলিবডেনাম, বোরোন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, জিঙ্ক, নিকেল, ক্লোরিন, কোবাল্ট, এ্যালমুনিয়াম এবং সিলিকন যা মাটিতে থাকা প্রয়োজন।

আধুনিক কৃষি প্রবর্তনের পর থেকে মাটিতে মৌলিক উপাদানের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। যেমন ১৯৫১ সালে এ দেশের মাটিতে নাইট্রোজেনের (আরো পড়ুন )


‘উন্নয়নবাহিত’ রোগ ডায়াবেটিস ও আমাদের কৃষি

ডায়াবেটিস কোনো অপরিচিত রোগ নয়। চা পরিবেশন করতে গেলেই টের পাওয়া যায় কার ডায়াবেটিস আছে আর কার নেই। আজকাল জিজ্ঞেস করার নিয়ম হয়েছে, ‘চিনি দেব?’ রাজধানী শহর ঢাকায় সকালে রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, মধ্য ও উচ্চবিত্তদের আবাসিক এলাকা যেমন— গুলশান, ধানমন্ডির ফুটপাতে হন হন করে হাঁটতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষকে। একেবারে যারা তরুণ, তাদের দেখা না গেলেও চল্লিশোর্ধ্ব অনেককেই এভাবে হাঁটতে হয় চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশনে। এটা শহরের চিত্র, কারণ এ রোগ নিয়ে আলোচনা বা চিকিত্সা প্রথম শহর থেকেই শুরু হয়েছে। এ ধরনের রোগকে আমরা শহুরে ও বিত্তবানদের রোগ বলেই এতকাল জেনেছি। গ্রামে কি তাহলে ডায়াবেটিস নেই? অবশ্যই আছে। কিন্তু তা জানা যাচ্ছে না সম (আরো পড়ুন )


অর্থনৈতিক-সামাজিক অসমতা: নারী অধিকারের অন্তরায়

বরাবরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক নারী দিবস ৮ মার্চ উদযাপিত হয়েছে। আজকাল দেখা যায়, ৮ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয় না, মার্চের শুরু থেকেই নারী দিবসের কর্মসূচি লেগে থাকে, কারণ দিবসটিতে যানজটের মতোই ‘কর্মসূচি-জট’ লেগে যায়। কোনটা ছেড়ে কোনটায় যাই, শেষ পর্যন্ত কোনোটাতেই যাওয়া হয় না। কাজেই এখন আর দিবস নয়, সপ্তাহ পালন করা হয় বলা যেতে পারে। সংবাদ মাধ্যমে নারীদের সম্পর্কে এবং তাদের অবস্থান জানা ও বোঝার চেষ্টা দেখা যায়। লেখালেখি হয়, বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আমি এ প্রবণতা ইতিবাচক বলে মনে করি। দিনটি আছে বলেই বছরে একবার হলেও যার যার মতো করে বিশ্লেষণ করা হয়— নারী এগোতে পারল কি পারল না।

তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, কারা দিবসটি পালন করছ (আরো পড়ুন )


চতুষ্পদ প্রাণীর অর্থনীতি

আমরা জানি না, অর্থনীতির আসলে কয়টি পা রয়েছে। তবে সবকিছুর পেছনে দুই পায়ের মানুষ নামক জীবের জন্যই অর্থনীতির সবকিছু আয়-ব্যয় করা হয় এবং তাদের ‘উন্নয়ন’ করাই দেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়। এজন্য এক বিরাট সংখ্যক দুই পা-বিশিষ্ট মানুষ নামক প্রাণী হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খাটে, অন্যদিকে মানুষ নামক ক্ষুদ্র বিশিষ্ট অংশ দেশের অর্থনীতির মূল মাখনটি খেতে পারে। এ পরিস্থিতির ব্যাখ্যা অর্থনীতির ভাষায় ধনী-গরিব ব্যবধানের চিত্র হিসেবে দেখানো হয়। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এই অন্যায় -- মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার বিভাজন--  বাংলাদেশেও রয়েছে। উন্নয়নের অনেক অগ্রগতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থায় নিচের দিকে যারা আছেন, অর্থাৎ গরিবদের আয় ১ দশমিক ২ থেকে কমে শূন্য দ (আরো পড়ুন )


নারী শ্রম দিচ্ছে কিন্তু শ্রমিক হবার অধিকার পাচ্ছে না

শ্রমিক হিসেবে নারী স্বীকৃত কিনা, তার মজুরী বৈষম্য কেন ঘটছে, বা মুল অর্থনীতিতে নারীর ভুমিকা কি সেটা বারে বারে প্রশ্ন ওঠে, কিন্তু কোন সুরাহা হয় না। কিছুটা পাওনা আদায় করা গেলেও পুরুষ শ্রমিকের সমান বা আন্তর্জাতিক মানের কোন কাঠামোতে নারীকে ধরা হয় না। অথচ নারী সবসময়ই শ্রমজীবী, সেটা বাড়ীর ভেতরে হোক বা বাইরে। নারী জন্মের পর থেকে বুঝতে শেখার অংশ হিসেবে তাকে কম পক্ষে গৃহস্থালি কাজ শিখে রাখতে হয়। নইলে তার যে মূল ঠিকানা, অর্থাৎ শ্বশুর বাড়ী সেখানে ঠাঁই হবে না। সেটাই তার কর্মস্থল। নারী তাই কখনো বেকার নয়। যদিও সে বলে আমি কিছু করি না, সংসার দেখি যেন এটা কাজ নয়। এগুলো পুরণো প্রসংগ, তবুও নারী শ্রমিককে যখন পথে ঘাটে দেখি এবং তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবার যে য (আরো পড়ুন )


টেকসই উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা না থাকার প্রশ্ন

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বলতে তাদের সংখ্যায় পরিণত করার প্রবণতা দেখা যায় উন্নয়ন নিয়ে কথাবার্তায়। কত মানুষ গরিব, কত মানুষ কাজ করছে, কত মানুষ বেকার ইত্যাদি। এ আলোচনার একটি দিক দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তা হচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে অন্তর্জাতিক মহলে উৎকণ্ঠা। বাংলাদেশ মানে হলো ছোট দেশ; কিন্তু মানুষের সংখ্যা বেশি।

এখানে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন কাজ। আসলে দেশের জনসংখ্যা কত, তাও হয়তো অনেকেই ঠিকমতো নিরূপণ করে বলেন না। ১৬ কোটি মানুষের দেশ বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠে যায়; কিন্তু জনশুমারিতে দেখা যায়, ১৫ কোটির একটু বেশি। মন্ত্রীরা তাদের বক্তৃতায় একেক সময় একেক সংখ্যা বলেন। গ্যাস দিতে না পারলে বলেন, ১৬ কোটি মানুষের জন্য গ্যাসের জোগান দেয়া সম্ভব (আরো পড়ুন )


মাত্র কয়েকজনই মহাধনী, বাকিরা গরিব!  বাংলাদেশেও তাই

 অর্থনীতির অবস্থা বুঝতে গিয়ে উন্নয়নশীল দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে বা কমেছে কিনা তা নিয়ে অনেক মাথা ঘামানো হয়। অর্থনীতিবিদরা নানা তত্ত্ব দেন। রাজনৈতিক সরকার পরিসংখ্যানে দারিদ্র্যের হার একটু কম দেখাতে পারলে উল্লসিত হয়ে ওঠে। আর জিডিপি বৃদ্ধি পেলে তো কথা-ই নাই। বাহ্! অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন গণতন্ত্রের দরকার নেই। এটা আমাদেরই কৃতিত্ব। আমাদের আগে যারা ছিল, তারা কিছু করেনি ইত্যাদি ইত্যাদি।

অথচ উন্নয়ন বা দারিদ্র্যবিমোচনের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া থাকে এবং জনগণও কারও মুখের দিকে চেয়ে বসে থাকে না। কাজেই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু অর্থনীতির অংক অর্থনৈতিক অবস্থা বোঝার ভাল কোন মানদণ্ড নয়। যদি এমন একটি ব্যবস্থা টিকিয়ে (আরো পড়ুন )


বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, নুরজাহান বেগম এবং আরও পথিকৃৎ – সালাম জানাই

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) বাংলাদেশের শুধু নন, পুরো দক্ষীণ এশিয়ায় উল্লেখ করার মতো একজন নারী মুক্তি দার্শনিক ও পথ প্রদর্শক। প্রায় শত বছর আগে তিনি যা লিখেছেন এবং করেছেন আজকের দিনেও অনেকে সেভাবে ভবিষ্যত কল্পনা করে ভাবতে পারেন না, কাজ করতে পারেন না। এটা আমি হলপ করে বলতে পারি। বেগম রোকেয়াকে নারী শিক্ষায় অবদান রাখার জন্যে বেশী উল্লেখ করা হয়, কিন্তু রোকেয়া রচনাবলী পড়লে তার চিন্তার ব্যাপকতা বোঝা যায়। কি কি বিষয় নিয়ে না ভেবেছেন তিনি! আরও যেটা বোঝা দরকার সেটা হচ্ছে তাঁর চিন্তা ও কাজ একত্রে ছিল। তিনি শুধু লিখে বসে না থেকে যতোটুকু পেরেছেন স্কুল চালিয়েছেন, নারীদের কর্মসংস্থানের চিন্তা করেছেন। নিরাশ্রীতাদের আশ্রয় দিয়েছেন। আবার সম্ভাবনার দ্বা (আরো পড়ুন )


অর্গানিক কৃষি বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারবে

আধুনিক কৃষির বিষাক্ত ছোবলে উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌছেছে। রাসায়নিক কৃষি প্রসারের ধারায় সিনথেটিক সার ও বালাই নাশকের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর যেমন-বিষাক্ত হচ্ছে তেমনই এককাট্টা ফসলের আবাদের ফলেও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংসাত্মক এ ব্যবস্থা অবিরাম ধারায় চলতে থাকলে কৃষি ব্যবস্থায় ধস নামবে। মাটির গুণাগুণ হারিয়ে যাবে। নিস্প্রাণ শিলায় পরিণত হবে। যেমনটি সৃষ্টির আদিতে গাছপালা ও প্রাণীর আবির্ভাবের পূর্বে ছিল।

আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় উৎপাদন খরচ ক্রমশঃ বেড়েই চলছে। অথচ রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবে কৃষি তথা ভোগ্য পণ্যের বাজার দর কমানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। একদিকে উপকরণে (আরো পড়ুন )


বিটি বেগুনের পর ‘গোল্ডেন রাইস’: সবজির পর ধানে কারসাজি এ কিসের আলামত?

খাদ্যফসলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবহার সম্পর্কে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত বিজ্ঞানীদের তর্কের বাইরে সামাজিক পর্যায়েও চলে এসেছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সংক্ষেপ নাম জিএমও বললে এখন অনেকেই বুঝতে পারেন। এবং বুঝতে পেরে সবাই যে আস্থা পান তা নয়। জিএমও ছাড়াই তো এ দেশে কৃষিফসল উত্পাদন কম হয়নি। আধুনিক কৃষি মাধ্যমে উচ্চফলনশীল জাত আনা হয়েছে, এর পর এসেছে হাইব্রিড। এগুলো উত্পাদনের পরিসংখ্যানে অনেক টন যোগ করেছে। কিন্তু রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারও নির্বিচারে বেড়েছে সেই টন ধরেই। তাই তো এখন আর খাদ্যনিরাপত্তা অর্জিত হয়েছে বলে থেমে থাকা যাচ্ছে না, প্রশ্ন উঠছে খাদ্য নিরাপদ কিনা। খাদ্য বেশি আছে ঠিকই, কিন্তু নিরাপদ নেই।

এ পরিস্থিতিতে জিএম ফসল কতখানি নিরাপ (আরো পড়ুন )


আমি যখন বড় হব, গাছও তখন বড় হবে

নয় বছরের স্মৃতি। ‘আমি যখন বড় হব, গাছও তখন বড় হবে’ আম গাছ লাগিয়ে এমনই তার ভাবনা।

গ্রামে কিশোরীদের বিয়ে হয় তাড়াতাড়ি। অল্প বয়সে। মেয়েদের বয়স ১২-১৩ হলেই মা-বাবা’রা বিয়ে দেবার জন্য চিন্তিত হয়। ফলে তারা লেখা-পড়া বেশী দূর করতে পারে না। এই বিয়ে দেবার যথেষ্ট কারণও আছে। গ্রামে কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে যৌতুক কম লাগে। মেয়ে বড় হয়ে গেলে যৌতুক বেশী লাগে। বাবা-মাদের পক্ষে সম্ভব হয় না বেশী যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবার। তাই নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা বাল্যবিবাহ বা ১৮ বছরের পূর্বেই যাতে মেয়েদের বিয়ে না হয় তার জন্য কিশোরীদের মধ্যে গাছ লাগানোর কর্মসূচী হাতে নেয়। এখন গাছ লাগান হলে মেয়ে বড় (আরো পড়ুন )


বৃষ্টি, বন্যা ও উন্নয়নের বিকৃত রূপ

পাহাড়ি ঢলে ডুবে যাওয়া কঙ্বাজারের একটি গ্রাম

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জুন থেকে দফায় দফায় পাহাড়ি ঢলে বন্যা হয়েছে, বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ নেই। একটু থামলেও রোদের দেখা সহজে মেলে না। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত মানুষ ঘরের ভেতরে দুই থেকে তিন ফুট পানিতে বসে বসে কাটিয়েছে। সংযোগ থাকার পরও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় কাটাতে হয়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবান এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। চকরিয়া উপজেলায় আমাদের সহকর্মীরা রয়েছেন বলে প্রতিদিন খবর পাচ্ছি। তাদের বর্ণনায় বোঝা যায়, এ বন্যা ভয়াবহ এবং অন্যবারের মতো নয়। একবার পানি নেমে গেলেও আবার কিছুদিন পর হচ্ছে। ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গাছপালা, ঘরের আসবাবপত্র, মুরগি, এমনকি ১৩ দিনের এক নবজাতকও ভেসে গেছে। ঢাকার আকাশও খুব পরিষ্কার (আরো পড়ুন )


আবার বন্যা, হাহাকার

মাস না পেরোতেই আবার বন্যার শিকার হয়েছে কক্সবাজারের প্রায় ৫ লাখ মানুষ। গণমাধ্যমে এর মাত্রা এবং বন্যায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগের খবর যথযোগ্য মনোযোগ পায় নি।  সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্যও সাড়াও অপ্রতুল। এই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার কিছু এলাকা সরেজমিন ঘরে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় একটি  লঘু চাপ তৈরি হয়েছিল। সেটা দ্রুত ঘনীভূত হয়ে মৌসুমী নিম্ন চাপে পরিণত হয়। মৌসুমী নিম্ন চাপের প্রভাবে গত ২৪ জুলাই ২০১৫ শুক্রবার থেকে টানা ৪ দিন প্রবল বৃষ্টি ও মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে জেলায় এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সুষ্টি হ (আরো পড়ুন )


নরেন্দ্র মোদীর পাতে বিটি বেগুন ছিল না কেন?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে দুই-দিনের বা ৩৬ ঘন্টার সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে গেছেন। জুন মাসের ৬ ও ৭ তারিখ তাঁর সফর নিয়ে সরকারের ব্যস্ততা ছিল লক্ষ্য করার মতো। ভাল করে পরিবেশ দিবস ও পালিত হয় নি। মাঝখানে আবার একটু খানি মমতা ব্যানার্জীও এসে ঘুরে গেছেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব কায়দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর একদিন থেকে যাবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর কাজ সেরে চলে গেছেন। অনুরোধ রক্ষা করেন নি। মোদীর সফরের সাথে তাঁর আসাটা বাংলাদেশের সফর সুচিতে কতটুকু খাপ খেয়েছে তা অনেকেই ভেবে পাচ্ছেন না, আমিও না।

দিত্বীয় দিনে সারাদিনের কাজ শেষে যাবার আগে, মোদী দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেল (আরো পড়ুন )


বিশ্ব অর্থনীতির কর্পোরেট শিশু ও তার মনস্তত্ত্ব

শিশুকাল বা বাল্যকাল বলে একটি কথা আছে যা আমাদের সবার জীবনের স্মৃতির একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে। যতোই বয়স বাড়ুক না কেন সকলেরই বাল্যকালের স্মৃতি থেকে তার পুরো মনস্তত্ত্ব বোঝা যায়। শিশু কোন ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠেছে তার পরিচয় পাওয়া যায় তার শিশুকালের বেড়ে ওঠা কেমন ছিল তা জেনে। তার মনস্তত্ত্ব নির্ণয় করা কঠিন হয় না।

আগের যুগে শিশুকালের বেড়ে ওঠা এবং তার মনস্তত্ত্ব গড়ে ওঠার সাথে সরাসরি মা-বাবা, ভাই বোন ছাড়াও চাচা-চাচী, খালা-মামা, নানী-দাদী, নানা-দাদার প্রভাব ছিল কোন না কোন ভাবে। ভাগ্য ভাল হলে শিশু দাদা-নানার আদর ও শাসনে বড় হতে পারে, ভাগ্য ভাল হলে ছোট মেয়েটি তার দাদী বা নানীর লুকায়িত জ্ঞানের সাথে পরিচিত হয়ে এই জ্ঞানের ধারাবাহি (আরো পড়ুন )


দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের সংকট চলছে

বাংলাদেশ নদ-নদী হাওর, বাওড়, খাল-বিল নালা, ডোবার দেশ। এক কথায় প্রচুর মিঠা পানির দেশ। আর প্রচুর মিঠা পানির কারণে এদেশ মিঠা পানির প্রাচুর্যেরও দেশ। বাংলাদেশে এখনো যত প্রজাতির মিঠা পানির মাছ রয়েছে সারা ইউরোপ মহাদেশে তা নেই। মিঠা পানির এই অতিমূল্যবান সম্পদ দিনে দিনে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেন কি কারণে মিঠা পানির মাছ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি, কিন্তু আমলে আনি না।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলাতে চির পরিচিত নানান জাত ও প্রজাতির ছোট মাছের আকাল চলছে। যেমন খাল বিল হাওর, নদ নদীসহ মুক্ত জলাশয় গুলো মাছ শূন্য হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু তথা আবহাওয়া পরিবর্তন এবং তথাকথিত অপরিনামদর্শী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে (আরো পড়ুন )


চৈত্র সংক্রান্তি পালন ও প্রকৃতির হিশাব নিকাশ

চৈত্র মাস কেটে গেল গরম ছাড়াই। শীতের পর ফাল্গুন পার হয়ে চৈত্র মাস; চৈত্র মাসে আবহাওয়া গরম হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে এবং বেশ গরম লাগার কথা। কিন্তু এবারের চৈত্র ছিল একটু ব্যতিক্রম। বেশ কয়েক বার বৃষ্টি হয়েছে এবং বৈশাখ আসার আগেই বৈশাখী ঝড় আমরা দেখেছি। হয়তো একে জলবায়ু পরিবর্তন বলা যেতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে আমাদের প্রকৃতিতে মৌসুম অনুযায়ী তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ে যেসব ফসল ও গাছ-পালা জন্মাবার কথা তারও পরিবর্তন হচ্ছে।

চৈত্র মাস শেষ হচ্ছে, ৩০ দিনে। চৈত্রের শেষ দিনের  মধ্য দিয়ে ১৪২১ বাংলা বছরের সমাপ্তি ঘটবে। কিন্তু চৈত্র সংক্রান্তি পালনের বিষয়টি বছর শেষ ঘোষণার জন্যে নয়, দিনটি পালন হবে মানুষের শরীর ও প্রকৃতির মধ্যে একটি যোগ সুত্র ঘটাবার জন্য। প্ (আরো পড়ুন )


মেয়র হোক বা নগর পিতাঃ আবর্জনা সাফ করতেই হবে

তিনটি সিটি কর্পোরেশানের নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা করেছেন নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে দুটি ঢাকায় – উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আর একটি হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কাজেই খবরে আলাপ-আলোচনায় নির্বাচন, প্রার্থী মনোনয়ন ইত্যাদি চলে এসেছে। জানুয়ারি মাস থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা এখনো শেষ হয় নি। এই আন্দোলনের দাবী হচ্ছে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্যে। সেটার জন্যে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা নয়, এরই মধ্যে করতে হবে কারণ এখন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। সরকার নির্বাচন এক্ষুণি না দিলেও অন্তঃত একটি সংলাপ করার জন্যে শুধু বিশ দলীয় জোট নয়, দেশের মধ্যে নানা ভাবে সুশিল সম (আরো পড়ুন )


প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ গ্রাম গঠন

বীজ ও প্রাণসম্পদের সমৃদ্বির মাধ্যমে জীবন জীবিকার উন্নতির লক্ষ্যে পরিগঠিত একটি অর্থ ব্যবস্থাপনা প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনা তহবিল” (CBM Fund)। এই তহবিল ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ বিশেষত গরীব ও প্রান্তিক জণগোষ্ঠির অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্র সৃষ্টি ও অর্থ ব্যবস্থাপনার ক্ষমতায়ন বিকাশের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রাণসম্পদের সমৃদ্বি। পাবনা, না্টোর, সিরাজগন্জ, টাংগাইল ও কক্সবাজার এলাকায় নয়াকৃষি কৃষকরা এরই মধ্যে প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনা তহবিল গঠন ও তা ব্যবহারেরর মাধ্যমে প্রাণসম্পদের সমৃদ্বি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের সৃজন ও সৃষ্টিশীল তৎপরতার উল্লেখযোগ্য নজির হাজির করেছেন।

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষ (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্যসেবার অবহেলায় রোগীর মৃত্যু: রোগীর সুরক্ষা আইনের পর্যালোচনা

খুব বেশী দিন আগের কথা নয়। দেশে যখন সহিংসতার শিকার নানা ধরণের ‘রোগী’ নিয়ে হাসপাতালগুলো ব্যস্ত ঠিক সে সময় সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতক ও ১০ শিশু সহ ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনা সকলকে চমকে দিয়েছে। নয় ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে চব্বিশ ঘন্টায় এতোগুলো মৃত্যু একসাথে ঘটেছে এটা কোনমতেই স্বাভাবিক নয় বলেই বিবেচিত হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ করেছেন ভুল চিকিৎসা বা অবহেলায় এই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে কোন প্রকার খোঁজ খবর ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন,ঠান্ডা জনিত রোগে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। সে সময় শীত কাল ছিল, ঠান্ডা তো লাগতেই পারে। কিন্তু এই মৃত্যু তো বাড়িতে বসে ঘটেনি। ঠান্ডা লাগলেও যেখানে এসে চিকিৎসা পাওয়া যাবে তেমন জায়গাতেই এই রোগীরা ছ (আরো পড়ুন )


প্রাণবৈচিত্র চাই, জিএমও চাই না:` ২০১৫ সালে নারী দিবসের ডাক

নারী দিবস ২০১৫: বাংলাদেশ ও ভারতের নারীদের যৌথ আহ্বান

আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ৮ মার্চ, ২০১৫ উপলক্ষে প্রাণ, পরিবেশ, প্রাণ বৈচিত্র, খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে যে সকল নেতৃস্থানীয় নারী ও সংগঠন বাংলাদেশে ও ভারতে কাজ করছে তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বন্দনা শিবা, ফরিদা আখতার, মীরা শিবা প্রমুখ। যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রাণের ওপর দখলদারি চলছে এবং খাদ্য ব্যবস্থা অল্প কিছু কর্পোরেশানের হাতে চলে গিয়েছে সেই ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন অবশ্যই প্রাণের সুরক্ষা ও বৈচিত্র নিশ্চিত করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েছে। যে ক্ষমতা ঐতিহ্যগত ভাবে নারীর ছিল তা চলে যাচ্ছে অল্পকিছু বহুজাতিক কম্পানির হাতে। একে অ (আরো পড়ুন )


নিষ্ঠুর রাজনীতি ও বার্ন ইউনিট

ফটোসাংবাদিক নাম দিয়ে অনেকেই বার্ন ইউনিটে ঢুকে যথেচ্ছ রোগীর ছবি তুলছে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এখন রাজনীতির নিষ্ঠুরতার এক জ্বলন্ত প্রতীক। ৩৫ দিনের ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ ও হরতালের মধ্যে নানা ঘটনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেট্রলবোমায় পুড়ে মারা যাওয়া। প্রায় ৭০ জন মারা গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, এখনও ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬৩ জন, যাদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা বাঁচলেও পঙ্গুত্বের শিকার হতে হবে। তাদের মধ্যে আছেন বাস, ট্রাকের ড্রাইভার, হেলপার এবং যাত্রীরা। অর্থাৎ যারা এ অবরোধে সড়ক পরিবহন ব্যবহার করেছেন তারাই আক্রান্ত হয়েছেন। অবরোধের সমর্থ (আরো পড়ুন )


করপোরেট নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি বিজ্ঞান নয়, মুনাফার জন্য প্রবর্তন

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই নাজুক। ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচিত হয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পার করা গেছে বটে, তবে বিরোধী পক্ষ একটু নড়েচড়ে বসায় দেশে হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি হচ্ছে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের দাবিদাওয়া উপেক্ষা করে যখন এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং আনন্দের সঙ্গে বছর পূর্তি পালন করতে গেছে তখনই বিপত্তি লাগল। যদিও বিরোধী পক্ষের আন্দোলন ১০০ শতাংশ সফল হচ্ছে দাবি করা যাবে না, তবু অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেয়া, বিশেষ করে কৃষকের ফসল বাজারে আসার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট। আর সময়মতো ফসল বাজারজাত করতে না পারলে কৃষকের ক্ষতি হয়— এ কথা সর্বজনবিদিত। অবশ্য ফসল বাজারজাত করতে না পারা শুধু রাজনৈতিক খারা (আরো পড়ুন )


নয়াকৃষি কৃষকের মাঠে বৈচিত্র্যময় ফসল

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদী ও এর শাখা-প্রশাখা বেষ্ঠিত বি এম চর ইউনিয়নের কৃষ্ণাপুর গ্রাম। গত ১৫ বছর ধরে এই গ্রামে নয়াকৃষির কাজ শুরু হয়েছে। নয়াকৃষির ধারাবাহিকতায় গত ২০০৯ সাল থেকে কৃষকেরা প্রাণ বৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনায় (সিবিএম) বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ সহ শস্যাবর্তন ও মিশ্র ফসল চাষ পদ্ধতিতে দানাদার শস্য, ডাল, তৈল, শাক-সবজি, ফলমূল, মসলা সহ বৈচিত্র্য পূর্ন ফসল উৎপাদন করছে।

চলতি রবি মৌসুমে (২০১৪-২০১৫) কৃষ্ণাপুর গ্রামের মোট ২৭৫ টি পরিবারের মধ্যে ১৫০ টি কৃষক পরিবার প্রাণবৈচিত্র্যের সামাজিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রায় ৪০ একর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করছেন।

মাঠে ফসলের আবাদ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় শাক-সবজি (আরো পড়ুন )


দেশে এখন টকশো গণতন্ত্র চলছে!

গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচন এবং সরকার গঠন সবার জন্য অস্বস্তিকর, খোদ সরকারের মধ্যেও এ বোধ আছে বলে আমার বিশ্বাস। এর আইনি বৈধতা নিয়ে কিছু বলার না থাকলেও গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন বরাবরই ছিল, এবার আবার মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। সারা দেশে অবরোধ চলছে, সঙ্গে চলছে কিছু কিছু জেলায় হরতাল। এবার ৫ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখ ছিল সেই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের এক বছর পূর্তি। স্বাভাবিকভাবেই যারা নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বা জোট তাদের জন্য এ দিনটি ছিল ক্ষোভ প্রকাশের। তারা এক বছর চুপ করে থেকে দেখেছে সরকার কী করে। সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ও নেতারা পুরো পাঁচ বছর পূরণ না করে 'কোনো কথাও বলবে না' এমন কড়া কড়া কথা ক্রমাগতভাবে বলে যাচ্ছে দেখে বোঝা গেল, তারা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিত (আরো পড়ুন )


ডেইজীঃ একজন অকৃত্রিম বন্ধু হারিয়েছি

হঠাৎ করে কেউ নাই হয়ে যেতে পারে, এই কথা বিশ্বাস করা আমার জন্যে খুব কঠিন। মনে হয় চোখের সামনে থেকে হঠাৎ হারিয়ে গেল। আর কোন্দিন দেখবো না, এটা কি হতে পারে? ডেইজীর মৃত্যু তেমনই এক অনুভুতির সৃষ্টি করেছে আমাদের অনেকের মধ্যে। গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দিবাগত রাতে নিজের বাসায় ডেইজি ইন্তেকাল করেছে (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না লিল্লাএ রাজেউন ...)। বছর শেষ হতে আর মাত্র তিন দিন বাকী ছিল। নতুন বছরে (২০১৫) এসে আমরা তার বাসায় গিয়ে তার আত্মার মাগফেরাতের জন্যে দোয়া করলাম।

হাসিনা আফরোজ সিদ্দিক (ডেইজী), যাকে ডেইজী বললেই বোধ হয় বেশী চেনা যাবে। সত্যি যেন একটি ফুলের মতো মানুষ, যার হাসি দেখে, কথা শুনে এবং তার স্পর্শ বুঝিয়ে দেয় - তার মধ্যে কোন খাদ নেই। ডেইজী নারীগ্রন (আরো পড়ুন )


বিদায় লতিফা আপা, আমরা শোকাহত

প্রফেসর লতিফা আকন্দ আমাদের মাঝে আর নেই। তিনি গত ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোরে ঢাকা বার্ডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না....রাজিউন)। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।

৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০০ টায় ঢাকা বাডেম হাসপাতাল থেকে প্রফেসর লতিফা আকন্দ এর মরদেহ তাঁর নিজ বাসভবনে (৩২ পুরানা পল্টন লাইন, ঢাকা) নেয়া হয়। এবং জুমা নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে জানাজার জন্য নেয়ার পরে বনানী গোরস্তানে সমাহিত করা হয়।

প্রফেসর লতিফা আকন্দ এর নিজ বাস ভবনে সকাল থেকেই তাঁর আত্মীয়, শুভানুধায়ী, সহকর্মী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, নারী নেত্রী সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবে (আরো পড়ুন )


খাদ্য চাষের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের র‌্যালি ও মনববন্ধন

তামাক কোনো খাদ্য শস্য নয়, মানুষের কোনো উপকারে আসেনা, এমনকি পশু খাদ্যও নয় অথচ প্রতিবছর তামাক বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য অনুসারে দেশে ২০১২-১৩ মৌসুমে ৭০,০০০ হেক্টর জমিতে এবং ২০১৩-১৪ মৌসুমে ১০৮,০০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। সাময়িক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের তামাক চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। ফলে খাদ্য ও অর্থকারী ফসলের জমি চলে যাচ্ছে তামাকের দখলে। সরকারের দেওয়া কোটি কোটি টাকার ভর্তূকি সার ও সেচ সুবিধা ব্যবহার করে বছরের পর বছর মুনাফা লুটে নিচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। কিন্তু এই একলক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্য শস্য উৎপাদন করা হলে দেশের খাদ্য নিশ্চয়তায় সহায়ক হতো। তামাক কোম্পানিগুলো থেকে তামাকচাষীরা যে লাভ পায় তার সিংহ ভাগই চলে যায় কোম্পা (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নাকি অব্যবস্থাপনা

সম্প্রতি টিআইবির স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন নিয়ে সরকার অখুশি হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হওয়ারই কথা। এত দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত হাজির করলে এবং তা টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ভাবমূর্তি বলে তো একটা কথা আছে, সেটা ফুটো হয়ে যায়। তাই তথ্য সঠিক কী বেঠিক যাচাই না করেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বসেন, এ রিপোর্ট একপেশে। তার চেয়ে ভালো হতো যদি মন্ত্রী মহোদয় সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেন।

আমরা যারা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে কাজ করি আমাদের কাছে মনে হয়নি টিআইবির প্রতিবেদনে এমন কোনো নতুন তথ্য আছে, যা আমাদের কিংবা সাধারণ জনগণের জন্য আশ্চর্য হওয়ার মতো। টিআইবি তথ্যগ (আরো পড়ুন )


রানা প্লাজার ক্ষতিপূরণঃ  প্রথম কিস্তি

সেপ্টেম্বর, ২০১৪ শেষ সপ্তাহে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিক পরিবার ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের প্রথম কিস্তি দিয়েছে রানা প্লাজা সমন্বয় কমিটি। ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের এক হাজার ৫৫২ সদস্য ও আহত ৩৫ শ্রমিক।

ক্ষতিপূরণের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক তহবিল রানা প্লাজা ডোনারস্ ট্রাষ্ট ফান্ড থেকে আহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত পরিবারের এক হাজার ৫৫২ সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪১৮ টাকা এবং ৩৫ জন আহত শ্রমিককের ব্যাংক হিসাবে ১৩ লক্ষ ৬ হাজার ৮৩২ টাকা জমা হয়েছে। সমন্বয় কমিটির সদস্য সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন এক হাজার ৫৮৭ জনের ব্যাংক হি (আরো পড়ুন )


বিদ্যুৎ গেছে ত্বরিৎ গতিতে, তদন্ত হচ্ছে ‘কেরোসিন’ গতিতে

সবাই বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা কেউ বঝে যা, তেমনি সুইচ টিপলেই যেহেতু লাইট জ্বলে ওঠে, ফ্যান ঘুরতে শুরু করে, কম্প্যুটারে কাজ করা যায়, লিফটে দশ-বারো তলায় ঝটপট ওঠা যায়, টেলিভিশন চলে এমনকি রাইস কুকারে ভাতও রান্না হয়ে যায়, তখন মোটেও বোঝা যায় না এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে আসছে। ভেড়ামারায় সমস্যা হোল নাকি আশুগঞ্জে তাও কেউ জানে না। জানার দরকারও মনে করে না। বিদ্যুতের মর্যাদা কেউ বোঝে না। মাসে মাসে বিদ্যুতের বিল দেয় তাতেই বিদ্যুৎ আসে এই তো কথা। ঢাকা শহরে সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বলতে শুধু লাইট, ফ্যান ও টেলিভিশনই বোঝে, এইটুকু তারা সবসময় পায় না, কারণ লোড শেডিং হলে গরিব, নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্তদের এলাকাতেই হয়। ধনীরা মোটেও তের পান না, কারণ বিদ্যুৎ তাদের এলাকায় ক (আরো পড়ুন )


বেইজিং এর কুড়ি বছর: নারীর সংগ্রামের আলোকে একটি পর্যালোচনা

বাংলাদেশে নারীর সংগ্রাম, সংগ্রামের ধরণ এবং বর্তমান নারী আন্দোলনের বিষয় এবং সামগ্রিক ভাবে দেশের মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কোন না কোন ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে বাংলাদেশের নারী।১৯৯৫ সালে জাতি সংঘ আয়োজিত বিশ্ব নারী সম্মেলন হয়ে গেল। আগামি ২০১৫ সালে এসে তার কুড়ি বছর পুর্ণ হবে। অনেক কাজের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। এখন দেখতে হবে কত দুর এগিয়েছি।

বেইজিং এর কুড়ি বছর উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন নারী সংগঠন নানাভাবে কাজ করছেন। নারীগ্রন্থ এই পর্যালোচনার কাজটি ঢাকার বাইরে যারা আছেন তাদের নিয়ে করেছে। তারই একটি অংশ হিশেব রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার নারীপ্রধান সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বেইজিং এর কুড়ি বছর উপলক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য গত ২৯ অক্টোবঢ়, ২০ (আরো পড়ুন )


তামাক ব্যবহার ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ জরুরী

তামাক খুব বাজে জিনিষ যা উৎপাদন থেকে ব্যবহার সকল পর্যায়ে মানুষের ক্ষতি করে। যারা নিয়মিত ধুমপান করে তাদের শরীরে যে সব রোগ বাঁধে এমন কি অকাল মৃত্যু হয়, সে ব্যাপারে আমরা অনেকেই মর্মাহত হই, পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কেউ বাঁচতে পারে না। যে ধুমপান করে সে তো নিজেও মরে অন্যকেও মেরে যায়। তার আশে পাশে যারা থাকে তারাও ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়ে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না, কারণ সে তো ধুমপায়ী নয়। এই ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে রয়েছে বেশীর ভাগ নারী ও শিশু। স্বামী, ভাই, বাবার ধোঁয়ায় তাদের মৃত্যু ঘটতে পারে, কিংবা হতে পারেন রোগগ্রস্থ। এসব জানা কথা। দেশে ধুমপানের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে, শাস্তি ও জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু তাও থামছে না, কারণ যারা এই মরণ প (আরো পড়ুন )


কনের বয়সে ‘মাইনাস টু’: বাল্য বিয়ে নিরোধ নয়, জায়েজ হবে

বাল্য বিবাহ নিয়ে সরকার একটি সমাধান দিতে গিয়ে প্রচলিত আইনে ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ষোল বছর করার সিদ্ধান্ত প্রায় হয়ে গেছে। সম্প্রতি জাতি সংঘের ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে বাংলাদেশে ৬৬% মেয়ের বিয়ে ১৮ বছরে আগে হয়ে যায়, আর ২০ থেকে ২৪ বছরের মেয়েদের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ ১৫ বছরের আগে বিয়ে হয়ে যায়।http://www.unicef.org/bangladesh/children_4866.htm এ বছর ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি নিয়ে লন্ডনে Girl Summit, 2014 – এ অংশগ্রহণ করে এসেছেন, যেখানে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। সেখান থেকে ফিরে বাল্য বিবাহ রোধের কথা বলে বিয়ের বয়সে মাইনাস টু? তাহলে নিরোধ করা হোল নাকি জায়েজ হোল?

সরকারের (আরো পড়ুন )


বাংলাদেশের অবহেলিত ফল খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ লবনের অমূল্য ভান্ডার

বাংলাদেশ প্রকৃতির লীলাভূমি। বার মাসে ছয় ঋতু। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে গাছ পালা তরু লতা ফুলে ফলে নতুন সাজে সজ্জিত হয়। শাক সবজি, ফলমূল, আবাদি ও অনাবাদি পরিবেশে বেড়ে উঠে। পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে কৃষকরাও নানান জাতের ফসলের আবাদ করেন। পরিবেশে প্রকৃতির এ সজিবতায় শুধু ফসল চক্রই নয় পশু পাখি, জীব অনুজীব এমন কি জড় প্রকৃতিও যেন নতুন সাজ ফিরে পায়। একে অন্যকে আলিঙ্গন করে। আপন করে নেয়।

আদিম মানুষ বন্য পরিবেশ থেকে যখন স্থায়ী বসতি গড়ে তোলে তখন তাদের প্রথম পছন্দ ছিল ফল। ফল মানব জাতির জন্য প্রকৃতির অমূল্য উপহার। গ্রাম বাংলায় প্রচলিত আছে“জৈষ্ঠ মাস মধু মাস”। অর্থাৎ গ্রীষ্ম কাল ফলের মৌসুম। সত্য কথা, বাংলাদেশে যে সব আবাদি ফল পাওয়া যায় তার প্র (আরো পড়ুন )


কাপুরুষ ইসরায়েলী বর্বরতার টার্গেট ফিলিস্তিনী নারী ও শিশু!

বাংলাদেশে ঈদ হয়ে গেল ২৯ জুলাই। টেলিভিশনে ঘোষণার পর পর ‘ও মন রমজানের শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানটিও বেজে ওঠে। ঘোষণা হয়েছে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ঈদ আসলেই আনন্দ হবে, এটা স্বাভাবিক। এই শাওয়াল মাসের চাঁদ সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য একইভাবে আনন্দ নিয়ে আসার কথা। ঈদের চাঁদ। সেই চাঁদ গাজাতেও উঠেছিল। আকাশে মেঘ ছিল না, কিন্তু ইসরায়েলের শেল নিক্ষেপের কারণে আগুন লেগে আকাশ কালো কুন্ডুলি পাকানো ধোয়াঁয় ঢেকে গিয়েছিল। জানি না, ফিলিস্তিনিরা ঈদের চাঁদ দেখেছেন কিনা, তবে ঈদ সেখানেও হয়েছে।

কিন্তু এবার আসলে আমরা বাংলাদেশেও কি আনন্দ করতে পেরেছি? কিংবা যারা করেছেন তাঁরা কি দেখেন নাই ঈদের দিন গাজাতে কি হয়েছে? সেদিন টেলিভিশন যতোই আনন্দ অনুষ্ঠান দ (আরো পড়ুন )


ঈদে পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা নিজের পোশাক কিনতে পারবে তো?

ঈদ আসছে। সবাই কেনাকাটা করছে। নানা রংয়ের ও ঢংয়ের পোশাক। ঈদুল ফিতরেই সাবাই মূলত পোশাক কেনে, আপনজনের কাছ থেকে উপহার পায়, নিজেও কেনে। রাজধানী ঢাকায় কোন অজুহাত ছাড়াই যানজট হয়, পনের মিনিটের পথ দুই ঘন্টায় পাড়ি দিতে হয়। এখন তো শপিং মল আছে কিংবা কাপড়ের দোকান আছে এমন জায়গায় গাড়ী ও রিক্সার ভীড় লেগেই আছে। কাপড়ের পাশাপাশি ঈদের আনুসাঙ্গিক জিনিসের কেনাকাটাও হচ্ছে। ব্যাবসায়ীদের জন্য বছরের এই সময়টাতেই তাদের সারা বছরের বিনিয়োগের মূল অংশ উদ্ধার হতে পারে। এর সাথে জড়িত থাকে কর্মসংস্থানের প্রশ্ন। অর্থাৎ ঈদ একদিকে পবিত্র মাহে রমজানের রোজার শেষে ধর্মীয়ভাবে পালনের একটি দিন অন্যদিকে এর সাথে জড়িত রয়েছে দেশের অর্থনীতির একটি বিশাল অংশ। পরিবহন ব্যবসার কথা আর নাই বা বলল (আরো পড়ুন )


চৈত্রসংক্রান্তি ও চৌদ্দ রকমের শাকের আনন্দ

বাংলা সনের বছর শেষ হয় চৈত্র মাসে, তারপরেই আসে বৈশাখ। নতুন বছরের শুরু। শহরের মানুষ ইংরেজি নববর্ষের অনুকরণে বাঙালি কায়দায় নতুন বছর বরণ করে নেয়। সেটা হয় উৎসবমুখর। আজকাল গ্রামেও সাদা শাড়িতে লাল পাড় ও পুরুষদের সাদা-লাল কাপড় পরে বর্ষ বরণ করার রীতি শুরু হয়েছে। আগে পোষাকের বিষয়টা এতো চোখে পড়েনি। গান, নাচ ও মেলায় যাওয়া, বাড়িতে বিশেষ রান্না - সব মিলে অর্থনীতি-সংস্কৃতির মধ্যে একটা মিলমিশ হয়ে গেছে। ব্যাবসায়িরা হালখাতা নিয়ে ব্যস্ত, সঙ্গে চলে মিষ্টি খাওয়ার ধুম।

তবে বাংলায় নববর্ষ বা নতুন বছর আসল ব্যাপার নয়, এটা শুধু ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের বিষয়ও নয়। আসল বিষয় সংক্রান্তি। বাংলার গ্রামের সাধারণ মানুষ সময়কে মাস দিয়ে চেনে। বাংলা মাস হিশেবে চৈত্র, বা ব (আরো পড়ুন )


পানি নিয়ে অন্যায় ও অবিচার

বাইশে মার্চ পালিত হোল বিশ্ব পানি দিবস। জাতি সংঘের সংস্থা ইউনিসেফ-এর বরাতে বলা হোল ‘সারা বিশ্বে নিরাপদ পানি সংক্রান্ত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের প্রায় চার বছর পর এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘পানি পাওয়ার সুযোগ একটি মানবাধিকার’ বলে ঘোষণার পরও ৭৫ কোটিরও বেশী মানুষ পানির চাহিদা মেটানো থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে। বাংলাদেশে এই বঞ্চিতদের সংখ্যা ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব পানি দিবস ঘোষণার পর থেকে এই দিবসের একটি প্রতিপাদ্য থাকে; এবারেরটা ছিল পানি ও জ্বালানী সংকট, যা একে অপরের সাথে জড়িত, কিন্তু বাংলাদেশে সুপেয় পানি, নদী-দুষণ ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে বেশী।

আমি পানি দিবস নিয়ে লিখছি না, তবে পানি নিয়ে বলার অ (আরো পড়ুন )


নির্যাতন চলছে, তবে নারী জাগরণের প্রেরণা থেমে নেই

সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন সব কিছুই যেন নারীকে যুগ যুগ ধরে বেঁধে রেখেছে, নারী সেসব শৃংখল ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এখনও, এই ২০১৪ সালেও। এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বক্তব্য Inspiring Changes- পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা। তাহলে পরিবর্তন কিছু নিশ্চয়ই আসছে এবং এর পেছনে রয়েছে অনেকের অবদান। নারীদেরই অবদান। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে স্বাগত জানিয়ে আজকের লেখাটি লিখছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রতি অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য। তবে আজকের লেখায় আমি কিছু আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বেশি ব্যবহার করব আমাদের নিজেদের অবস্থা বোঝার জন্য।

পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের আন্দোলন ছিল নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা অর্জন। এটা একদিকে প্রয়োজন ছিল এ (আরো পড়ুন )


বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবস

২২ মে, ২০১১ ঢাকা: বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবসে নায়াকৃষি আন্দোলন, উবিনীগ ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার উদ্যোগে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার সবার পক্ষ থেকে সেই বিশেষ দিনের তাৎপর্য ব্যখ্যা করে বক্তব্য পেশ করেন। ড, এম এ সোবহান ও গোলাম রাব্বি বাদল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সীমা দাস সীমু, সাইদা আখতার ও জাহাংগির আলম জনি।

প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস নিয়ে এতদিন অনেক সাবধান বাণী আমরা শুনেছি কিন্তু আমাদের দেশের সরকার এবং আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য যারা সহযোগিতা করেন তাঁরা কেউ বিষয়টি আমলে আনেন নি, তাই বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবস ২০১০ পালন করতে গিয়ে এতদিন কত ক্ (আরো পড়ুন )


সংসদে পেছনের সারিতে বসে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে?

বহুবার লিখেছি, নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা আন্দোলন করেছি একটি দাবি নিয়ে। সেটা হচ্ছে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য যে আসন সংরক্ষিত আছে, তা সরাসরি নির্বাচিত হোক। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রশ্ন যখনই ওঠে ততবার এই কথার মীমাংসা জরুরি হয়ে পড়ে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের কী হবে? পৃথিবীর অনেক দেশেই নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে; কিন্তু এভাবে এত দীর্ঘকাল ধরে শুধু মনোনয়নের ব্যবস্থা কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।

বাংলাদেশে এই দাবি উঠেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নারী সংগঠনের সরাসরি অংশগ্রহণের সময় থেকে, ১৯৮৭ সালে। সেটাই ছিল নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লড়াইয়ের একটি উল্লেখযোগ্য সময়কাল। রাজপথের আন্দোলনে থেকে নারীরা বুঝেছিলেন শুধু স্বৈরাচার হঠ (আরো পড়ুন )


রাজনৈতিক আগুনের নিষ্ঠুরতা : আমাদের তো চুপ করে থাকার কথা নয়

গত ক’দিন বিরোধী দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলছে, একইসঙ্গে চলছে নানা ধরনের রাজনৈতিক ‘সহিংসতা’। সহিংসতার সঙ্গে উদ্ধৃতি চিহ্ন দিলাম এই কারণে যে, সমাজে একটা ধারা আছে, যারা অবরোধ কর্মসূচি নাকি হরতাল সে ব্যাপারে বিভ্রান্ত হয়ে ঠিক করতে পারছেন না, ঠিক কীভাবে নিজেদের কাজকারবার করবেন। যারা সরাসরি অবরোধের বিরোধিতা করছেন এবং তাদের দাবি সঠিক নয়, এটা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই সময়ে ঘটে যাওয়া সহিংসতার মাত্রা কতখানি তা দিয়ে আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিচার করছেন। ট্রেনের লাইন বা ফিশপ্লেট তুলে ফেলা, রাস্তায় গাছ কেটে ফেলে রেখে রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়া, সিএনজি, লেগুনা ও বাসে আগুন লাগানো,ককটেল ফোটানো-কোনোটাকেই ভালো কাজ বলার অবস্থা নেই।

(আরো পড়ুন )

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, ২০১২

প্রজনন স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা ও বিজিএমইএ সমাচার!

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ছিল ১১ জুলাই।সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠন পালন করেছেন নিয়মানুযায়ী।কিন্তু একটু অবাক হলাম দেখে যে জাতি সংঘের দেয়া প্রতিপাদ্য Universal Access to Reproductive Health Services বা সার্বজনীন প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার প্রাপ্যতা নিয়ে যেন কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এগারো তারিখের পত্রিকা খুললে মনে হবে সেদিন বাংলাদেশে জন সংখ্যা কত, কোন জেলায় জন্মহার বেশী বা কম,আদম শুমারীর ফলাফল কি ইত্যাদী তথ্য দিয়ে ভরা। আরও লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে এই দিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প ক্ষ থেকে কোন ক্রোড়পত্রও ছিল না।

এতোদিন (আরো পড়ুন )


তাবিনাজের কর্মশালা

তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বাড়াও - তামাক বিরোধী নারী জোট

ধূমপান এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও এর ক্ষতির শিকার শ্রমজীবী মানুষেরাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। সার্বিকভাবে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীরা। এই অপূরণীয় ক্ষতি রোধ করতে হলে অবিলম্বে আমাদের সচেতন কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ধোঁয়াবিহীন যেমন-জর্দা, গুল, সাদাপাতা সহ সকল তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্টিকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব এই আহ্বানে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ‘তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ (আরো পড়ুন )


সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা:  বিশ্ব প্রাণ বৈচিত্র দিবস, ২০১২

সামুদ্রিক সম্পদ সম্পর্কে আমাদের অসচেতনতা রয়েছে। একে রক্ষা জরুরী। দুই হাজার বারো সালের পরিবেশ দিবসে এটাই ছিল প্রধান বিষয়।

২২ মে, ২০১২ বিশ্ব প্রাণবেচিত্র্য দিবস। বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে বীজবিস্তার ফাউনডেশান ও নয়াকৃষি আন্দোলন যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানব বন্ধনের অয়োজন করে। বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত এই মানব বন্ধ চলে। মানব বন্ধনে উপস্থিত সদস্য ছিলেন প্রায় ১০০ জন। এই দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল।“সমুদ্রের সম্পদ রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।” মানব বন্ধনটি পরিচালনা করেন বীজবিস্তার ফাউনডেশানের সদস্য সীমা দাস সীমু। সীমা দাস সীমু বলেন, এই পৃথিবীতে সকলের বাঁচার অধিকার (আরো পড়ুন )


দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম ধানের জাত ও নয়াকৃষি

দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম ধানের জাত চাষ করে নয়াকৃষি

‘‘দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারে এমন ধান উদ্ভাবন করুন’ - প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার বিতরনের সময় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা, খরা, লবণসহিঞ্চু জাতের ধান উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন (যায়যায় দিন ২৭  জুলাই ২০১০)। বিশেষত পানি, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক কম লাগে এমন জাতের ধানের জন্য প্রধান মন্ত্রীর উদ্বেগ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চেয়ে মানুষের তৈরি দুর্যোগের ভয়াবহতা আরো গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী। কারণ উফশীজাত যা হাইব্রিড ধানের আর্শীবাদে বাংলাদ (আরো পড়ুন )


নারীর সংগ্রাম ও আন্দোলনের ১০০ বছর

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণার শত বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে

নারীর সংগ্রাম ও আন্দোলনের ১০০ বছর উদ্‌যাপন 

আয়োজনে : নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, উবিনীগ ও অধিকার

৬ থেকে ৮ মার্চ, ২০১০

উদ্যোগ: জাতীয় কমিটি

 

আগামি ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণার শতবর্ষ পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে নারীর সংগ্রাম ও আন্দোলনের ১০০ বছর আমরা জেলা পর্যায়ে কাজ করছেন এমন (আরো পড়ুন )


প্রাণের সুরক্ষা ও পরমার্থ প্রতিষ্ঠার লড়াই

‘কি মহিমা করলেন গো সাঁই, বোঝা গেল না !’

ফকির লালন শাহ: প্রাণের সুরক্ষা ও পরমার্থ প্রতিষ্ঠার লড়াই

ছেঁউড়িয়া সাঁইজীর ধাম - এখানে ফকির লালন শাহের সমাধিক্ষেত্র। তিনি চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন, তাঁর সমাধির পাশেই তাঁকে লালন পালন করেছেন যে মা সেই ফকির মতিজানের কবর। তাঁর ইচ্ছানুসারেই দুই জনে পাশাপাশি শুয়ে আছেন। বাংলা ১২৯৭ পয়লা কার্তিক (ইংরেজী ১৭ অক্টো (আরো পড়ুন )