বিকৃত বেগুন (বিটি বেগুন) চাষ বন্ধ কর
নয়াকৃষি আন্দোলন ও উবিনীগ || Wednesday 10 July 2013 ||মানুষের -- বিশেষত কৃষকের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যে হুমকি হওয়ার কারণে যে বিকৃত বেগুন অন্যন্য দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে সেই বেগুন কৃষকের মাঠে চাষের অনুমোদন দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নয়াকৃষি আন্দোলন ও উবিনীগ। বিটি বেগুন নিরাপদ কিনা তা মোটেই প্রমানিত নয়। দেশে এতো বেগুন থাকার পরেও বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থাকে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জানাতে নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষক ও উবিনীগের গবেষকরা আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি জুনের (২০১৩) মাঝামাঝি সময়ে বিটি বেগুন এর বীজ কৃষক পর্যায়ে চাষ করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি)।বেগুনের মতো অতি পরিচিত এবং প্রচুর ব্যবহৃত একটি সব্জির জৈবিক গঠন – বিশেষত প্রাণ সংকেত কেন জেনেটিক মডিফিকেশনের মাধ্যমে বিকৃতি ঘটানো বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার জন্য জরুরী হয়ে পড়ল সেটা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু কোন সদুত্তর দেয়া হয় নি। গবেষণার ফলাফল নিশ্চিত না হয়ে এবং তা প্রকাশ না করেই মূলত এই অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। গোপনে। অনুমোদন চাওয়ার আগেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করার কথা। তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে যেমন বিতর্ক হওয়া দরকার, তেমনি জিএমও বা বিকৃত বীজ চাষের ফলে পরিবেশ, প্রাণব্যবস্থা ও প্রাণের বৈচিত্র্যের ওপর মারাত্মক হুমকির সম্ভাবনাও সামগ্রিক ভাবে বিবেচনার দরকার আছে। জানার দরকার আছে যে বীজের ‘মালিক’ কে বা কারা, কারন এর সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির প্রশ্ন জড়িত। কৃষকের বেগুনের জাত ধংস করে দিয়ে মনসান্টো বা ভারতের মাহিকো কোম্পানির কাছে দেশীয় জাতের বীজ বিকৃত করে নতুন নামে “বিটি ব্রিঞ্জাল” নামে প্রচলনের যৌক্তিকতা কি?
বিটি বেগুন গবেষণার সময় যেন কোন জৈবদূষণ না ঘটে তার জন্য গ্রিনহাউস ব্যবস্থার অধীনে গবেষণা পরিচালনা করবার কথা। কিন্তু এভাবেই বাঁশ ও লোহারজালির বেড়া দিয়ে ঘিরে বিটিবেগুনের চাষ করা হচ্ছে। পুরো মাঠ জুড়েই প্রচুর ঘাস ও বিভিন্ন উদ্ভিদ। খুব কাছেই অন্যান্য শস্যের ক্ষেত। পরিবেশের কোনপ্রকার সুরক্ষা ছাড়াই এভাবেই বিটিবেগুনের গবেষণা চলছে
বেগুন বিশেষ ভাবে বাংলাদেশের সবজি। এর জাতের বৈচিত্রের উৎপত্তিস্থলও (Origin of Diversity) এই তিন বৃহৎ নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা অববাহিকা। বাংলাদেশের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে এই সম্পদ রক্ষা করা। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যেখানে বেগুন বারো মাস জন্মে এবং সারা দেশে নানা জাতের বেগুন পাওয়া যায় সেখানে বিদেশী সাহায্য সংস্থা ও বহুজাতিক কোম্পানির তাড়ায় আমাদের দেশের বেগুনের মধ্যে জেনেটিক কারিগরির কি এমন প্রয়োজন দেখা দিল যে সরকার তা অনুমোদন করার উদ্যোগ নিচ্ছে?
বেগুনের বিভিন্ন জাত আমাদের কৃষক – বিশেষত কৃষক নারীর হাজার বছরের আবিষ্কার। বাংলাদেশের জনগণের বুদ্ধিবৃত্তিক্ সম্পত্তি। বিকৃত বেগুন প্রবর্তনের ফলে অন্য সমস্ত জাত ভয়াবহ জৈবিক দূষণের (biological pollution) কবলে পড়বে। দেখা যাচ্ছে এই ধরণের বিকৃত জাতের বেগুন কৃষক পর্যায়ে গোপনে অনুমোদন চাওয়া শুধু বিতর্কিত বিষয়ই নয়, রীতিমতো একটি বিপজ্জনক প্রস্তাব।
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবার আগেই জিএম ফসলের অনুমোদন দিয়ে যাবেন বলে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ২০১১ সালেই বলে রেখেছিলেন। দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে সেটা জানা যায়। ( দেখুন, Govt. plans to approve GM crops এপ্রিল ৩, ২০১১)। কৃষি মন্ত্রণালয় এই বিতর্কিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। যদিও মতিয়া চৌধুরি নিজেই মনে করেন জিএম ফসল দেশে ব্যাপক আকারে ব্যবহারের আগে যথেষ্ট গবেষণা হওয়া উচিৎ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০০৫-৬ সাল থেকে গবেষণা করলেও সন্তোষজনক কোন ফলাফল আজও পাওয়া যায় নি। তারপরেও বিকৃত বীজের ফসলের অনুমোদন তিনি কেন দেবেন তার কোন যুক্তি নাই।
আমরা জানি বিটি বেগুনের গবেষণার উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষক কিম্বা বেগুন পছন্দ ক্লরেন এমন ভোক্তাদের কাছ থেকে আসেনি। এসেছে বিটি বেগুন প্রকল্পের অংশীদার বেশীর ভাগ বিদেশী সংস্থার ও ব্যবসায়ী কোম্পানির কাছ থেকে কাছ থেকে যেমন ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ফর দি একুইজিশান অব এগ্রোবায়োটেক এপ্লিকেশান (ISAAA), ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপাইন্স, লসবেনোস (UPLB), সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিওনাল সেন্টার ফর গ্রাজুয়েট স্টাডি এন্ড রিসার্চ ইন এগ্রকালচার (SEARCA) এবং বীজ কোম্পানী যেমন ভারতের MAHYCO, যার সাথে বহুজাতিক কোম্পানী মনসান্তোর অংশীদারিত্ব রয়েছে – এদের কাছ থেকে। কাজেই এই গবেষণা কেবল বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের নয়। [ এই ওয়েবসাইটি দেখুন www.absp2.net]।
গবেষণার বিটিবেগুন। এই হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে গবেষণার ফল। এর ওপর ভিত্তি করেই বিটিবেগুন চাষের অনুমোদন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে গাজীপুরে অবস্থিত কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BARI) এই গবেষণা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএইডের বিশেষ কর্মসুচী ABSP II এর অধীনে। ভারতে এই বেগুন নিয়ে প্রচুর বিরোধিতা ও হৈ চৈ হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে ভারতের পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ছাড়পত্র দিতে অস্বীকার করেছে্ন।শুধু তাই নয় ভারতে বিটি বেগুন গবেষণার ওপর মোরাটরিয়াম জারি রয়েছে। কিন্তু ভারতের উদ্যোক্তা কোম্পানি মাহায়কো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বসে থাকতে রাজী না।তাদের উদ্বেগের কারণ হচ্ছে এই শিল্পে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যবসা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকতে চায় না। বায়োএগ্রি কোম্পানির অন্যতম প্রতিনিধি BioSpectrum, ড। ভারোয়ালে যেহ্র (Dr Barwale Zehr) বলেছেন ভারতে নিষেধাজ্ঞার কারণে এই পণ্যটি ভারতে ছড়তে অসুবিধা হ লেও আমরা অন্যদেশে ফিল্ড ত্রায়ালের মাধ্যমে করে নইতে পারবো। আমাদের সাথে সরকারী এবং ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে স ম্প্ররক রয়েছে, তারা করে ফেলার জন্যে প্রস্তুত আছে।
“Even though the moratorium has affected the product release in India, we hope to be able to release it in other countries after conducting the mandatory field trials. We are in partnership with both private and public enterprises who are going to commercialize our technology for Bt brinjal and are very close to doing so,”.
বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয় নীরব আর কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিটি বেগুন ও বিটি আলুর ব্যাপারে অত্যন্ত উৎসাহী। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ২০১১ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত একটি সভায় তিনি জিএম ফসলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে জিএম ফসল কীট দমনে ভাল ভুমিকা রাখবে। উৎসাহ প্রকাশের এক পর্যায়ে তিনি জিএম ফসল নিয়ে যারা বিরোধিতা করছেন তাঁদের ওপর বিরক্ত হয়ে তথ্য প্রমাণ হাজির করতে বলেছেন।এমনকি তিনি বিরোধিতা কারীদের কথাকে ‘ফতোয়া’ বলে প্রমাণ ছাড়া গ্রহনযোগ্য নয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন (ডেইলী স্টার, মার্চ ৩০, ২০১১)। নিজেকে পরিবেশবান্ধব প্রমাণ করবার জন্য মতিয়া চৌধুরী দাবি করেন তিনি কীটনাশক পছন্দ করেন না। অথচ জিএমও যে পরিবেশের জন্য সমান মারাত্মক হতে পারে সারা দুনিয়ার প্রথম সারির বিজ্ঞানীদের কথা শুনতে তিনি রাজী নন। তিনি বহাজাতিক কোম্পানি ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতে উদ্গ্রীব। তিনি মনে করছেন জিন প্রযুক্তি কীটনাশক ব্যবহার কমাবে এবং ৩০ – ৪০% ফসল কীটের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। যদি তাই হোত এবং জীন প্রযুক্তি নিজেই যদি ক্ষতিকর ভুমিকা না রাখতো তাহলে এর বিরোধিতা করার প্রশ্নই উঠতো না।
অথচ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া ছাড়াও প্রাণবৈচিত্রে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য বিকৃত বেগুন মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি। বেগুনের মধ্যে অণুজীবের যে জীন থাকবার কথা নয় তা ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে বিকৃত বেগুন থেকে সেই জিন বেরিয়ে গিয়ে আশপাশের বেগুনের জাতের কাছাকাছি অন্যান্য জাত ও প্রজাতির বুনো গাছপালা শাকসব্জি ঝোপঝাড় লতাপাতায় প্রবিষ্ট হয়ে তাদের দূষিত করে ফেলতে পারে। এই ধরণের পরিবেশ দূষণকে বলা হয় ব’বায়োলজিকাল পলিউশান’ বা জীবজীবন দূষিত করা। এই ভীতিকর সম্ভাবনার থাকার পরেও বিটিবেগুন চাষ করবার জন্য মতিয়া চৌধুরি ব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। (এই বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রিনপীসের একটি প্রতিবেদন দেখুনঃ Genetically engineered Bt brinjal and the implications for plant biodiversity – revisited. April 2012). এই প্রযুক্তি কৃষকের ক্ষেতে উন্মুক্ত চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দেশের মানুষকে এ বিষয় সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হচ্ছে কেন? আজ সেটাই একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ রহস্যে ঘেরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বাংলাদেশের জটিল প্রাণব্যবস্থাপনা ও সমৃদ্ধ প্রাণবৈচিত্রকে পরিবেশ বিরোধী নীতি ও প্রযুক্তি প্রবর্তন করে এতকাল ধ্বংস করার পরেও অনেকের আশ মেটে নি। এখন তারা কৃষি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ ও কৃষকদের ভাগ্য বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দিতে তৎপর হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশে ৯টি স্থানীয় জাতের বেগুনের জাত বিটি বেগুন উদ্ভাবন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে-উত্তরা বেগুন, কাজলা বেগুন, খটখটি বেগুন এবং চট্টগ্রামের দোহাজারির একটি জাতকে বিটিবেগুন হিসাবে বিকৃত করা হয়েছে। এখন সেই বিকৃত বেগুনের বীজ ছাড় করানোর লক্ষ্যে অনুমোদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন কৃষকদের শত শত বছরের উদ্ভাবিত বেগুনের জাতের ওপর জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং করার জন্যে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়ার অধিকার বারির মতো প্রতিষ্ঠানকে কে দিয়েছে?
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি) নিজস্ব কেন্দ্রে বিকৃত বেগুন গবেষণা পরিচালনা করছে বলে জানা গেলেও এর ফলাফল নিয়ে সরকার এখনো কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য তুলে ধরতে পারে নি। অথচ সম্প্রতি দু’একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে বিটি বেগুনের বীজ শীঘ্রই কৃষক পর্যায়ে ছাড়া হচ্ছে। শাখা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার প্রতিরোধী বিটি বেগুনের বীজ ছাড়ার অনুমোদন চেয়ে বারি কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন চেয়েছে জুনের মাঝামাঝি সময়ে।অনুমোদন পাওয়া গেলে শীঘ্রই কৃষক পর্যায়ে চাষের জন্যে ছাড়া হবে। (সকালের খবর, ২৩ জুন, ২০১৩)।একই সপ্তাহে ইংরেজী দৈনিক The Financial Express (26 June, 2013) বারি কর্তৃক কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এর পরিবেশগত ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ রবি এবং খরিফ মৌসুমে ২০০৯-১০ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিশাব অনুযায়ী মোট ১১৫৪২৪ একর জমিতে ৩৪১২৬২ মেট্রিক টন বেগুন উৎপাদন করা হয়।এই সব্জি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দেশে এবং বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। শুধু তাই নয় এই সব্জির মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, শর্করা, খনিজ লবন, ভিটামিনসহ অনেক পুষ্টিগুণ ।
বাংলাদেশে বেগুনের ওপর জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং কৃষকের চাহিদার কারণে হয় নি, বরং এটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি এর আর্থিক সহায়তায় বহুজাতিক বীজ কোম্পানি মনসান্টো এবং ভারতীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাহিকো সিড কোম্পানির সহায়তায়। ২০০৫ সালে ভারত, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে এইসব প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ উদ্যোগে বিটি বেগুন উদ্ভাবনের কাজ করা হয়। বিটি বেগুন নিয়ে গবেষকদের লেখা থেকে জানা গেছে ইতোমধ্যে বারি’র কেন্দ্রীয় গবেষণা খামার গাজীপুর ছাড়াও আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র যেমন-রংপুর, যশোর,ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর এবং জামালপুর এই বিপজ্জনক গবেষণায় জড়িত। (Meherunnahar and D.N.R. Paul, 2009 Introducing Genetically Modified Brinjal (Eggplant/aubergine) in Bangladesh, Bangladesh Development Research Working Paper Series, BDRWPS, No. 9, BDRC, p.13))।
বিটি বেগুন একটি অস্বাভাবিক সবজি, যার বীজ বিকৃত। । একে জিএমও বলা হয়। অর্থাৎ প্রাণের গঠন সংকেতে (Gene) বিকৃতি ঘটাতে সক্ষম সেই ধরণের প্রযুক্তি (Genetic Engineering) ব্যবহার করে আমাদের পরিচিত সব্জি বেগুনে বিকৃতি ঘটানো একটি বিপজ্জনক উদ্ভিদ।। ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস (বিটি) ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্রিসটাল জিন বেগুনে সংযোজন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হিশেবে বলা হয়েছে বেগুনের ফল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ভারতের মহারাষ্ট্র হাইব্রিড বীজ কোম্পানি বহুজাতিক বীজ কোম্পানি মনসান্টোর সহায়তায় বেগুনের জিন বিকৃতির এ কাজটি সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে। একই সময় বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে বিটি বেগুন নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এ কাজের সাথে যুক্ত হয়। প্রবর্তনের পর থেকে বারি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে শোনা যায়। তবে বারির পক্ষ থেকে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য আজ অবধি প্রকাশ করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।
বিটি বেগুন গবেষণা একই সাথে ভারত ও ফিলিপাইনে করা হলেও,এসব দেশে এখনো কোন ছাড়পত্র পায় নি, বরং ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বহুজাতিক কোম্পানি মনসান্টোর স্থানীয় সহায়ক মাহিকো উদ্ভাবিত বিটি বেগুন ছাড়ের উপর মরেটোরিয়াম জারি করেছে (দি হিন্দু, ৯ ফেব্রুয়ারি,২০১০)।এমনকি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্যানেল ১০ বৎসরের জন্য জিএম ফসলের সব রকম মাঠ পরীক্ষা বন্ধের সুপারিশ করেছে (দি হিন্দুস্থান টাইমস, ১৮ অক্টোবর,২০১২)। অন্যদিকে ফিলিপাইনের কোর্টে গ্রীনপিস দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিটি বেগুনের মাঠ পর্যায়ের গবেষণা বন্ধের জন্যে আদেশ দেয়া হয়েছে (Philippines Court of Appeals issues writ against trials for Bt Brinjal, May 25, 2013 FnB news.com ) জানা গেছে যে ভারতে ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হয়ে তারা ফিলিপাইনে চেষ্টা চালিয়েছে। এখন তাদের শেষ চেষ্টা হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই গবেষণা কাজ সম্পুর্ণ হবার আগে এবং বিকৃত বেগুনের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়েই তারা কৃষক পর্যায়ে উন্মুক্ত চাষের অনুমতি চাচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে আমামদের তারা গবেষণার গিনিপিগ হিশেবে ব্যবহার করতে চায়।
ফিলিপাইনে স্থানীয় প্রশাসন ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে গবেষণার মাঠ থেকে ৩০০০ বিটি বেগুন গাছ তুলে ফেলেন। এরপর দুটি গবেষণা মাঠে কাজ স্থগিত করা হয় কারণ গবেষকরা গবেষণার নিয়ম অনুযায়ী জনগণের সাথে কোন প্রকার আলোচনা করে নি। দাবাও সিটি কৃষি বিজ্ঞানী লিওনার্দো আভিলা বলেন, এখানে স্বচ্ছতার নিয়ম মানা হয় নি। আমরা জানতে চেয়েছি এখানে কি হচ্ছে। (SCI DEV NET 13.11.2011, GM eggplant trials suspended in Philippines]
বাংলাদেশেও বিটি বেগুনের গবেষণা শুরু থেকে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। উবিনীগ ও নয়াকৃষি আন্দোলন এ নিয়ে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেছে এবং আমাদের স্থানীয় জাতের বেগুন সংগ্রহ ও চাষ করে প্রমাণ করেছে বিকৃত বেগুনের আমাদের কোন প্রয়োজন নেই।
বিটি বেগুন বা যেকোন জিএমও উদ্ভিদ পরীক্ষা মূলক চাষ করতে হলে জৈব নিরাপত্তা এলাকা হিসেবে গ্রীনহাউজ করার কথা থাকলেও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি) যে ছয়টি এলাকায় পরীক্ষা করছে তার কোথাও গ্রীনহাউজ ব্যাবস্থা মেনে চলা হয় নি। মাঠ পর্যায়ের গবেষণা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তাদের নিজস্ব মাঠেই এই গবেষণা করা হয়েছে। এতে বোঝা যায় না গবেষণার সময় গ্রীনহাউজ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। বিকৃত বীজের ঝুঁকি এড়াবার জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে গবেষণার ক্ষেত্রে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ রয়েছে তার সঙ্গে এই ধরণের গবেষণা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। । বিটি বেগুন বারির উন্মুক্ত মাঠে পরীক্ষামূলক চাষ করার কারণে বিটি বেগুনের পরাগরেণু অন্য কোন বেগুন বা উদ্ভিদে সংক্রামিত হয়েছে হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথাও গবেষণা কর্মকর্তারা বলতে পারেন নি।ফলে যে কোন জিএমও শস্যের চাষের সংক্রমণের যে আশংকা থাকে গবেষণা পর্যায়ে বিকৃত বেগুনের ক্ষেত্রেও তা ঘটে যাবার সম্ভাবনা পুরামাত্রায় থেকে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় তা কোন যুক্তিতেই কৃষক পর্যায়ে ছাড়পত্রের আবেদন ‘বারি’ করতে পারে না।
গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত উবিনীগ ও নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকরা ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বিটি বেগুনের প্লট সরেজমিন দেখে এবং গবেষণা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে। সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও বিজ্ঞানীদের আন্তরিক সহযোগিতায় যা জানা যায় তা হচ্ছে বিটি বেগুনের গবেষণা এই কেন্দ্রে ২০১২ সালেও করা হয়েছিল কিন্তু ভাল ফলাফল আসেনি।বেগুনের চারা জয়দেবপুর কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করে আনা হয়েছিল। বেগুন গাছে ফল ধরার পর গাছ থেকে বেগুন তুলে মাটিতে পুতে দেয়া হয়েছিল কিন্তু কোন বেগুন খেয়ে দেখা হয়নি সেগুলো আদৌ স্বাস্থ্যের জন্যে উপযোগী কিনা। ২০১৩ সালে গবেষণা ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা করা হয়েছে।ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এবারের গবেষণা খুব ভালো হয়নি। বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলেছেন, মৌসুম থেকে অনেক পরে জমিতে রোপন করার কারনে এটা ঘটেছে। ঈশ্বরদীর বারী বেগুন-৬ এবং উত্তরা এই ২টি জাত পরিক্ষাধীন আছে।
বিটি বেগুনের প্লট বলতে আসলে আলাদা গ্রীনহাউজ পরিবেশ বলে কিছু নেই। এই গবেষণা মুলত খোলামেলা স্থানে করা হয়েছে তবে শুধু মাত্র বিটি বেগুনের প্লটটি কাটা তারের বেড়া দিয়ে তালা বদ্ধ রাখা। প্লটের উওরে ধইঞ্চা দেওয়া হয়েছে। দুর থেকে দেখার কোন উপায় নেই। এই প্লটের দক্ষিনে বারি-৪ কলা জাতের প্লট, পূর্বে মুগ কালাই এবং পশ্চিমে রাস্তা এবং রাস্তার পাশে আম বাগান।বিএআরআই এর আঞ্চলিক অফিসেও উন্মুক্ত মাঠে বিটি বেগুন পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। এর ফলে সংক্রমনের স ম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিটি বেগুনের ব্যাকটেরিয়া পাশের ফসলে অনায়াসে প্রবেশ করে স্থানীয় বীজ বা উদ্ভিদের জাতের নিজের বৈশিষ্ট পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। মোটকথা বিটি বেগুনের গবেষণার কুফল অন্য জাতগুলোতে পড়বার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণা কর্মকর্তারা জানান যে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে ৪ টি জাতের রিলিজ নেয়ার প্রস্তুতি প্রক্রিয়া চলছে। গাজীপুরে ২ জুলাই ২০১৩ বিটি বেগুনের গবেষণার ফলাফল ও রিলিজ দেয়া এবং বিটি বেগুনের বর্তমান- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মিটিংএ বিভিন্ন আঞ্চলিক কেন্দ্রের গবেষক এবং বৈজ্ঞানিকরা অংশগ্রহণ করছেন।
উল্লেখ্য মাঠ পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানেন যে বহুজাতিক বীজ কোম্পানী মনসান্টোর সহযোগিতায় ভারতের মাহিকো বীজ কোম্পানী ২০০৫ সালে বিটি জীন বেগুন উদ্ভাবন করেও চাষাবাদ বন্ধ করেছে এবং পরিবেশবাদীরা বলছেন এই বেগুন চাষাবাদের ফলে পরিবেশ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে, কিন্তু তাঁরা এও জানান বর্তমানে বিশেষভাবে পরিক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বিকৃত বেগুন কতটুকু ভালো আর কতটুকু খারাপ। এর বেশী তাঁরা কিছু জানেন না। অন্য দেশে বিশাল ঝুঁকি প্রমাণিত হবার পরে বাংলাদেশে আবার নতুন করে কেন পরীক্ষা করতে হবে তারও কোন যুক্তি তারা দিতে পারেন নি। তারা জানিয়েছেন, এটা একান্তই সরকারের সিদ্ধান্ত।
ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বোঝা যায় তারা বিটি বেগুন সর্ম্পকে কিছু খুলে বলতে বিব্রত। হয়তো উপর থেকে কোন নিষেধ রয়েছে। এবং তাদের কাছে বিটি বেগুনের গবেষণার খুব ভাল কোন তথ্য আছে বলেও মনে হয়না। এছাড়াও বিটি বেগুনের প্লট দেখে পরিষ্কারই বোঝা যায় এই গবেষণা খোলামেলা স্থানেই করা হয়েছে
বাংলাদেশ বেগুনের আদি উৎপত্তিস্থলের অন্যতম প্রধান অঞ্চল। ডি ক্যানডোল (১৮৮৬) অরিজিন অব কালটিভেটেড প্লান্টস (আবাদী ফসলের আদি উৎপত্তিস্থল) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে প্রচীন কাল থেকে বেগুন (সোলানাম মেলঙ্গেনা) প্রজাতি অবিভক্ত ভারতে পরিচিত। সে অর্থে বেগুন জন্মগত ভাবে এশিয়া মহাদেশের একটি প্রজাতি। রুশ বিজ্ঞানী ভ্যাভিলভ (১৯২৮) এর মতে বেগুনের আদি উৎপত্তিস্থল ইন্দোবার্মা অঞ্চল। আজও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বিভিন্ন আকার আকৃতি ও বর্ণের বেগুন পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশে বেগুনের সর্বাধিক বৈচিত্র্য দেখা যায় বাংলাদেশ ও মায়নমারে।নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকদের সংগ্রহে প্রায় ৩০ জাতের বেগুন আছে, যা চাষ করতে কোন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।
বিটি বেগুন ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার কথা বলে প্রবর্তন করতে চাচ্ছে, কিন্তু প্রকৃতিতে যে অন্যান্য রোগ-বালাই রয়েছে তার থেকে রেহাই পাবার কোন উপায় এই প্রযুক্তিতে নাই।অথচ বেগুনে আরও অন্তত ৭টি পোকা ও রোগ বালাই রয়েছে। অর্থাৎ বিটি প্রযুক্তি সব ধরণের রোগ থেকে রক্ষা করবে না, বরং নানা ধরণের সংক্রমণ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকির সম্ভাবনা তৈরি করবে।
আমাদের বিজ্ঞানীরা কোন প্রকার গবেষণা ছাড়াই ঘোষণা দিচ্ছেন যে মানব দেহে কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না।অথচ উন্নত বিশ্বে (নিউজিল্যান্ডে) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে বিটিবেগুন মানুষের যকৃতের ক্ষতি সাধন করতে পারে।
বিটি বেগুনের চাষ পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলেই ভারত ও ফিলিপাইনে গবেষণা কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এর ফলে একাট্টা বেগুনের চাষ হলে প্রাণবৈচিত্র ধ্বংস হবে।বাংলাদেশ এবং এর আশপাশের দেশে দশটিরও অধিক আবাদী এবং বন-কুটুম বেগুন প্রজাতি রয়েছে যাদের মধ্যে মুক্ত পরিবেশে পর-পরাগায়ন ঘটে। বিকৃত বিটি বেগুনের পরাগ রেণু দ্বারা এ সকল ঘনিষ্ঠ বেগুন প্রজাতির সাথে পর-পরাগায়নের ফলে ভয়ানক আগাছার জন্ম হতে পারে। ফলে কৃষি ক্ষেতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হবে।
বিটি বেগুন জিএমও শস্য হিসেবে বিশ্বব্যাপী বিতর্কিত। মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংগঠন গ্রীন পিসের মতে বিটি বেগুনের মধ্যে বাইরের একটি ব্যাক্টেরিয়ার জিনের প্রবেশ ঘটানো হয় এবং এই অণুজীবই গাছটিকেই কীড়া থেকে মুক্ত রাখার জন্য বিষাক্ত করে দেয়। তাছাড়া জিএমও সবজিতে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধক মার্কার থাকে। তার মানে মানুষ এই সবজি খেলে তার শরীরে এন্টিবায়োটিক কাজ করবে না,অথচ যে কোন ইনফেকশান হলে এন্টিবায়োটিক নেয়ার প্রয়োজন মানুষের থাকতে পারে। প্রাণীদেহে অজানা অনাকাঙ্খিত চরিত্র সৃষ্টি হতে পারে। এলার্জি হতে পারে।
ভারতে বিটি তুলা চাষ করে হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। জিএম শস্য স্থানীয় জাতের কৌলিক দূষণ ঘটায়। জিএম ফসলের পরাগরেণু পর-পরাগায়নের দ্বারা অন্য ফসলের কৌলিক সত্তা বিনষ্ট করতে পারে। জিএম প্রাণবৈচিত্রের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি। তাই বিটি বেগুন নিয়ে সব রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড় করার অপচেষ্টা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৬ জুলাই, ২০১৩, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা