ধরুন, সকালে কিংবা বিকালে খুব আয়েশ করে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন। কিন্তু একবারও কি মনে হবে আপনি সম্ভবত বিষ খাচ্ছেন? চা খাওয়ার সময় নিশ্চয়ই কেউ ভাববেন না যে এর উৎপাদনের সময় চা বাগানে আগাছানাশক হিসেবে এমন কিছু ব্যবহার হয়েছে, যা ক্যান্সারের কারণ। শুধু তাই নয়, যেসব এলাকায় চা বাগান রয়েছে, সেই বিষাক্ত আগাছানাশক প্রাণ ও প্রকৃতির সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। বিষ-বিধৌত পানি বিল, হাওড়-বাঁওড়ে গিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণ নষ্ট করছে। কিন্তু আমাদের কোনো হুঁশ নেই।
শুধু পানীয় হিসেবেই নয়, অনেকে চা শরীরের উপকারের জন্যও পান করেন। সর্দি বা জ্বর হলে লেবু বা আদা দিয়ে রঙ চা খেলে ভালোই লাগে। দুধ চা আরো মজার। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় চা ছাড়া জমে না, রাজনীতির আলোচনা গরম হয় না। পাড়ায় (আরো পড়ুন )
বাংলাদেশে প্রথম বিতর্কিত বিকৃত বীজের (Genetically Modified Transgenic Organism) খাদ্য ফসল বিটি বেগুন কৃষক পর্যায়ে চাষের জন্য সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পায় অক্টোবর, ২০১৩ সালে এবং কৃষকের হাতে চারা তুলে দেয়া হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক অনিশ্চয়তার কারণে ভারত ও ফিলিপাইনে এই বেগুন কোন অনুমোদন পায়নি, বাংলাদেশেও বিজ্ঞানী, পরিবেশ কর্মী ও কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরে প্রতিবাদ করা হয়েছিল, এমন কি কোর্টেও মামলা হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে বহুজাতিক মার্কিন কোম্পানি মনসান্তো এবং ভারতের কোম্পানি মাহিকো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BARI)-এর মাধ্যমে এই কাজ (আরো পড়ুন )
সরোজমিন প্রতিবেদন
আনিসুর রহমান শেখ নামের একজন কৃষক বিটি বেগুন চাষ করে সফল হয়েছেন, বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারী)। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর দাবিকৃত বিটি বেগুন চাষে সফল কৃষকের সেই সফলতা স্বচক্ষে দেখা এবং সফলতার হেকমত সম্পর্কে জানার জন্য বিটি বেগুন চাষী আনিসুর রহমান শেখের খোঁজে প্রথমে বগুড়া জেলা সদরে যাই। বগুড়া যাবার প্রধান কারণ হচ্ছে, বিটি বেগুন চাষী আনিসুর রহমান শেখের বাড়ির ঠিকানা একটি বিদেশি পত্রিকায় দেয়া হয়েছে বগুড়া জেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে।
সেই তথ্য অনুসারে চাষী আনিসুর রহমান শেখের বিটি বেগুন চাষের খবর নিতে বগুড়া জেলা সদরে আসি। সেখান থ (আরো পড়ুন )
একের পর এক জিএম ফসলের প্রবর্তন করে এদেশের গরিবের পেটে লাথি মারার মতো কাজ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের খাবারের তালিকায় কী থাকে? তারা মাছ মাংস খেতে পারে না দামের কারণে, মাসে একদিন কি দুদিন বড় জোর খাওয়া হয়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে সহজলভ্য সব্জি। বেগুন ভাজি বা আলু বেগুনের সব্জি, আলু ভর্তা, ডাল ও ভাত খেয়েই সাধারণ মানুষের জীবন চলে। দ্রুত রান্নার সুবিধার জন্য শহরের বসবাসকারী শ্রমিকেরা এই খাদ্য খেয়েই তাঁরা কারখানায় যান কাজ করতে। বেগুন ও আলুর মধ্যে পুষ্টিগুন ও বিদ্যমান। নারীদের জন্যে বিশেষ করে এই সব্জি খুব উপকারী। সবমিলিয়ে বেগুন ও আলু মানুষের অতি প্রিয় সব্জি – ধনী গরিব সবাই নানাভাবে এই সব্জি খান। অন্যদিকে কৃষকদের মধ্যে ক্ষুদ্র কৃষকরাই ব (আরো পড়ুন )
জেনেটিকালী মডিফাইড অর্গানিজম কি? কেন বিরোধিতা?
প্রাণের গঠন কাঠামোর গোড়ায় রয়েছে এক ধরণের গঠন-সংকেত (gene), যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘জিন’। তার ওপর কারিগরি চালিয়ে সেই গঠনে বিকৃতি ঘটানোর কারিগরি আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানিরা। এর নাম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering)। অর্থাৎ প্রাণ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারি করা। এই ইঞ্জিনিয়ারিতে প্রাণের মূল বৈশিষ্ট্যে বিকৃতি ঘটিয়ে যা তৈয়ার হয় তাকে বলা হয় জেনেটিকালি মডিফাইড অর্গানিজম বা জিএমও; প্রাণের গঠন সংকেতে কারিগরি খাটিয়ে তাকে বিকৃত এক আজব জিনিসে রূপান্তর করা। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়। অস্বাভাবিক ঘটনা। এই কারিগরি যে কোন প্রাণের ওপর (আরো পড়ুন )
বাংলাদেশের মতো উর্বর ও প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি দেশে নির্দয়ভাবে জিএমও ফসল উৎপাদনের জন্যে বিদেশী কোম্পানিগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে কারণ একে একে বিভিন্ন দেশ তাদের মাটি এই জিএমও ফসলের জন্যে ব্যবহার করতে দেবে না। বিশ্ব এখন সে দিকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন দ্রুত কৃষিতে একের পর এক জিএমও ফসলের প্রবর্তনের জন্য তাড়াহুড়ো করছে সে সময় ভারত বলছে তারা এ ব্যাপারে ভেবে চিনতে করবে, কোন তাড়া নেই। তারা বলছে জনগণের মধ্যে জিএমও ফসল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাজেই বাণিজ্যিকভাবে চাষের অনুমোদন দেয়ার আগে ৮ থেকে ১০ বছর মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সফলতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে [The Economic Times, 10 June, 2015]। স্কটল্যান্ড সরকার ইওরোপিয়ান ইউনিয়নের জিএম ভুট্টা ও ছয়ট (আরো পড়ুন )
জেনিটিক্যালি মোডিফায়েড গোল্ডেন রাইস-এর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ ওদিকে দেশি জাতের ধান রক্ষায় যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের দাবি, এই রাইসের মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশের ধান দখল করতে চান৷
দেশীয় ধানে বিটা ক্যারেটিন বা ভিটামিন এ নেই৷ অন্যদিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে আবিষ্কৃত গোল্ডেন রাইস-এ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে৷ বাংলাদেশ রাইস রিচার্স ইনস্টিটিউটের (বিরি) বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ধান শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন এ-এর অভাব পূরণ করবে৷ শিশুদের রক্ষা করবে রাতকানা রোগ থেকে৷
কুষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংবাদমাধ্যকে জানান, বিরি-র অনুরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ক্রপ বায়োটেকনোলজি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে পরীক্ (আরো পড়ুন )
বাংলাদেশ যখন দ্রুত কৃষিতে একের পর এক জিএম ফসলের প্রবর্তনের জন্য তাড়াহুড়ো করছে, সে সময় ভারত বলছে, তারা এ ব্যাপারে ভেবে-চিন্তে এগোবে; কোনো তাড়া নেই। তারা বলছে, জনগণের মধ্যে জিএম ফসল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাজেই বাণিজ্যিকভাবে চাষের অনুমোদন দেয়ার আগে আট-দশ বছর মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সফলতা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে [দ্য ইকোনোমিক টাইমস, ১০ জুন ২০১৫]। স্কটল্যান্ড সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএম ভুট্টা ও ছয়টি জিএম ফসলের অনুমোদনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং পরিষ্কারভাবে বলছে, স্কটল্যান্ডের মানুষের কাছে জিএম খাদ্যের চাহিদা আছে এমন কোনো প্রমাণ নেই, বরং স্কটল্যান্ডের সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে জিএম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে, যা তাদের ১৪ বিল (আরো পড়ুন )
সরোজমিন পর্যবেক্ষণ
ভারতের মাহিকো বীজ কোম্পানি থেকে গত ২০০৫ সালে বাংলাদেশে বিটি বেগুন প্রবর্তন করা হয়। কয়েক বৎসর ধরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) জেনেটিক্যালি মোডিফাইড অরগানিজম (জিএমও) বিটি বেগুনের উপর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বারি’র কেন্দ্রীয গবেষণা খামার গাজীপুর ছাড়াও আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র যেমন- গাজিপুর, রংপুর, ঈশ্বরদী (পাবনা),বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং জামালপুর এর মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উল্লেখিত গাজিপুর, রংপুর, ঈশ্বরদী (পাবনা), বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং জামালপুর এলাকার কৃষকদের মধ্যে বারি বিটি বেগুনের চারা বিতরণের মাধ্যমে চারা বিতরণের মাধ্য (আরো পড়ুন )
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ প্রাণ নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশে এখন এক হুমকির সৃষ্টি করছে। আমরা জানি, প্রাণের গঠন কাঠামোর গোড়ায় রয়েছে এক ধরনের গঠন সংকেত, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘জিন’। তার সেই গঠনে বিকৃতি ঘটানোর কারিগরি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণের মূল বৈশিষ্ট্যে বিকৃতি ঘটিয়ে যা তৈরি হয়, তাকে বলা হচ্ছে জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম বা জিএমও। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। অস্বাভাবিক ঘটনা। আর বিকৃতিটা প্রকৃতির মধ্যে ঘটছে না, ঘটছে প্রাণের গঠন সংকেতের মধ্যে। ফলে তার পরিণতিও অস্বাভাবিক হওয়ারই কথা। বিকৃতি ঘটানো বিজ্ঞান কি বিজ্ঞান নয়— এ তর্কে না গিয়েও বলা যায় এই প্রযুক্তি খাটিয়ে বীজে ও ফসলে বিকৃতি ঘটানোর ফল পরিবেশ, মাট (আরো পড়ুন )
ভুমিকা
বিটিবেগুন একটি জিএমও বা জেনেটিকালী মডিফাইড অর্গানিজম। ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস (bacillus thuringenesis সংক্ষেপে বিটি) ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্রিসটাল জিন বেগুনে সংযোজন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হিশেবে বলা হয়েছে বেগুনের ফল ও কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। বাংলাদশে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BARI) এই গবেষণা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএইডের বিশেষ কর্মসুচী ABSP II এর অধীনে। বিটিবেগুনের বীজ বারি ভারতের মাহিকো কোম্পানি থেকে এনেছেন। তাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষকদের দিয়ে এর পরীক্ষা করা।
বিটি বেগুনের ছাড়পত্রের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি) ২০১৩ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে (১৪ জুলাই) কৃষক পর্যায়ে (আরো পড়ুন )
বিটি বেগুন চাষের অনুমোদন প্রত্যাহার এবং কৃষক পর্যায়ে চাষ বন্ধের দাবীতে, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, সকাল ১১টায় গাজীপুর জেলা প্রসাশক ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চা এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চা- পরিবেশ সংগঠন, উন্নয়ন সংগঠন, কৃষক সংগঠন, স্বাস্থ্য আন্দোলন নেটওয়ার্ক, শ্রমবিকাশ কেন্দ্র সহ বিভিন্ন সংগঠনের একটি মোর্চা। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিদুল হক খান, ফরিদা আখতার, জাহাঙ্গীর আলম জনি, টাংগাই থেকে আগত কৃষক আক্কাস আলী, কৃষক মাঈনুদ্দীন, কৃষক সুলতানা বেগম ও বাসিরন বেগম, কৃষক জিন্নাত আলী বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তব্য রাখেন, পলাশ বড়াল, সাঈদ আহমেদ কবির, রোকেয়া বেগম, সীমা দাস সীমু, আতাউর রহমান মিটন। (আরো পড়ুন )
বেগুন একটি অতি পরিচিত এবং দেশ-বিদেশের সব মানুষের প্রিয় একটি সবজি। এটি নানাভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। বাংলাদেশের কৃষির অন্যান্য ফসলের মতো এর স্থানীয় জাতের বৈচিত্র্য আছে অনেক। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাবে আছে অন্তত ২৪৭টি, এলাকাভেদে কৃষকরা কমপক্ষে ৪০ জাতের বেগুন চাষ করেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কীটনাশকনির্ভর হাইব্রিড ও উফশী জাত প্রায় ১৯টি। বাণিজ্যিকভাবে বেগুন চাষ করতে গিয়ে উফশী ও হাইব্রিড বেগুনে ব্যাপক পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এ ব্যাপারে পরিবেশবাদী এবং নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের পক্ষ থেকে অনেক উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
কিন্তু এসব সমস্যার সমাধান না করেই এখন নতুনভাবে আসছে বিটি বেগুন। বলা হচ্ছে, বেগুনের একটি প্রধ (আরো পড়ুন )
গত ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখ শাহবাগের মোড়ে বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চার আয়জনে মানববন্ধন ও উন্মুক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি বিবেচনা না করে কৃষকদের মাঝে বিটি বেগুনের চারা হস্তান্তর করায় বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানায়। বিটি বেগুন বিরোধী মোর্চা ২০১৩ সালে বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগের বিরদ্ধে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, নারী ও মানবাধিকার সংগঠন সমুহের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি মোর্চা। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিটি বেগুনের গবেষণায় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত যেন বাণিজ্যিক চাষ করা না হয় তার জন্য আন্দোলন করা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা। গতকাল ২২ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে (আরো পড়ুন )
সকল ধরণের উদ্বেগ উৎকন্ঠার তোয়াক্কা না করেই শেষ পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বিটি বেগুনের “শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন” প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। বোঝাই যাচ্ছে যারা এই অনুমোদন দিয়েছেন তাঁরা নিজেরাই নিশিচত নন যে এই বেগুন আসলেই নিরাপদ কিনা। অথচ এই কথা পরিবেশবাদী ও কৃষকদের নিয়ে কাজ করেন এমন সংগঠন গুলো এতোদিন ধরে বলে আসছেন। তাঁরা দাবী জানিয়েছিলেন মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও স্থানীয় জাতের বেগুনের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে কিনা নিশ্চিত না হয়ে যেন অনুমোদন না দেয়া হয়। এই একই কারণে ভারত ও ফিলিপাইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সে কথার কোন গুরুত্ব সরকার দেন নি। এমনকি বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীরা মাননীয় প্রধান মন্ (আরো পড়ুন )
বাংলাদেশে বেগুনের মতো সব্জি একেবারে সাধারণ মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির উৎস। বেগুন কৃষকের বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশ বেগুনের শত শত জাতের আদি উৎপত্তিস্থল। সেইদেশে হঠাৎ বিনা কারণে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জেনেটিকালী মডিফাইড বেগুন বা বিকৃত বেগুন কৃষক পর্যায়ে চাষের অনুমতি চাওয়ার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার কোন যুক্তি নাই। বাংলাদেশে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। জিএমও বিরোধী গণমোর্চা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং পরিষ্কার বলেছে বাংলাদেশে এই ধরণের বিকৃত বেগুনের কোন প্রয়োজনীয়তাই নাই।
বাংলাদেশে ২০০৯-১০ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিশাব অনুযায়ী রবি এবং খরিফ মৌসুমে মোট ১১৫৪২৪ একর জমিতে ৩৪১২৬২ মেট্রিক টন ব (আরো পড়ুন )
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের ঝুঁকি নিয়ে বিটি বেগুনের অনুমোদন দেয়া যাবে না এবং স্থানীয় জাতের বেগুন রক্ষা করতে হবে বিষয়ে ১৮ জুলাই, ২০১৩ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বারি) এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।তাই এই মানবব বন্ধনের আয়োজন সেখানেই করা হয়।উবিনীগ, নয়াকৃষি আন্দোলন ও স্বাস্থ্য আন্দোলনের সদস্যরা এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানবন্ধনে অংশ নেয়ার জন্য পাবনার ঈশ্বরদী থেকে নয়াকৃষির কৃষক নিহার বানু, হাফিজুর রহমান, মরিয়ম বেগম ও এলাহি বক্স,এবং টাংগাইল থেকে আক্কাছ আলী, (আরো পড়ুন )
মানুষের -- বিশেষত কৃষকের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যে হুমকি হওয়ার কারণে যে বিকৃত বেগুন অন্যন্য দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে সেই বেগুন কৃষকের মাঠে চাষের অনুমোদন দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে নয়াকৃষি আন্দোলন ও উবিনীগ। বিটি বেগুন নিরাপদ কিনা তা মোটেই প্রমানিত নয়। দেশে এতো বেগুন থাকার পরেও বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থাকে বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ জানাতে নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষক ও উবিনীগের গবেষকরা আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি জুনের (২০১৩) মাঝামাঝি সময়ে বিটি বেগুন এর বীজ কৃষক পর্যায়ে চাষ করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি)।বেগুনের মতো অতি পরিচিত এ (আরো পড়ুন )
তরিতরকারীর মধ্যে বাংলাদেশে্ বেগুন সবারই অত্যন্ত পছন্দের। খুব আনন্দ করেই আমরা এই সব্জি খাই।কিন্তু আতংকের বিষয় এই বেগুনে অন্য প্রজাতির ‘জীন’ ঢাকানো হচ্ছে। বেগুনের স্বাভাবিকত্বের হানি ঘটিয়ে এই বিকৃতির দরকার কি? বলা হচ্ছে, যে বেগুন আমরা এতকাল খেয়ে এসেছি সেই বেগুনে নাকি দোষ আছে। দাবি করা হচ্ছে, ‘ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা ছোট ছোট বেগুন গাছের কচি ডগা ছিদ্র করে ভেতরে প্রবেশ করে এবং খায়। কীড়া কচি ও বাড়ন্ত বেগুন ছিদ্র করে ভিতরের নরম শাঁস খায়’ ইত্যাদি। এই তথ্য কারা প্রচার করছে? করছে ভারত থেকে প্রকাশিত ABSP II এর বিটি বেগুনের ওপর স (আরো পড়ুন )
সবজির মধ্যে বেগুন পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। যাঁরা রান্না করেন তাঁদের কাছেও বেগুন খুবই প্রিয়। এটা রান্না করতে সহজ, সময় কম লাগে, আবার খেতেও মজা। ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না, শুঁটকি কিংবা শুধু আলু দিয়ে ভাজি করা যায়। খিচুড়ি করলে আর কিছু না থাক, চাকা করে কেটে সরিষার তেলে ভেজে বেগুন অত্যন্ত মজা করে খাওয়া যায়। তাছাড়া বিশেষ রকম বেগুন রান্নার জন্য রান্নার বইগুলোতেও অনেক প্রণালী পাওয়া যায়। তার মানে যত সহজই হোক, বেগুনের রকমারি রান্নার নিয়ম রয়েছে। আরও মজার কথা হচ্ছে, চৈত্র মাসে তিতা গিমাশাক একটু বেগুনসহ রান্না করলে (আরো পড়ুন )