তামাকদ্রব্যের করারোপ ও দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই
ফরিদা আখতার || Tuesday 22 February 2022 ||বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তয়স্ক মানুষ সিগারেট-বিড়ি এবং জর্দা-গুল-সাদাপাতা ব্যবহার করেন। প্রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমরা কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছি, কিন্তু তামাকের মহামারি চলছে দীর্ঘ দিন ধরে।
জুন মাসে অর্থবছরের শেষে পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা হবে, তার জন্যে যথাযথ প্রস্তুতি সংশ্লিষ্ট মহলে শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাদের কাজ অনেক আগেই শুরু হয়। কর আহরণ করা এনবিআরের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ কাজ, এর ওপর বাজেট অনেকটাই নির্ভরশীল। তামাকের ওপর করারোপের বিষয়টি শুধু রাজস্ব আহরণের বিচারেই করার কথা নয়, এর সাথে জড়িত রয়েছে জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রশ্ন। তামাক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর একটি পণ্য। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আরও অনেক ক্ষতিকর দ্রব্য বাজারে আছে। সেগুলো সব নিষিদ্ধ্ নয়। তবে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এর ব্যবহার কমানোর জন্যে নানা আইন রয়েছে। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার কমানোর একটি অন্যতম স্বীকৃত উপায় হচ্ছে দাম বাড়িয়ে দেয়া। সেটা করারোপের মাধ্যমে হতে পারে। দাম বাড়লে চাহিদা কমবে, অর্থনীতির এই সহজ সূত্র কাজে লাগে বটে। এই প্রসঙ্গে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যে (জর্দা, গুল ও সাদাপাতা) করারোপ নিয়ে দু-একটি কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি।
জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় তামাকদ্রব্য ব্যবহার ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে ২০০৫ সাল থেকে আইন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কাজ চলছে। সেই সাথে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন জোটবদ্ধভাবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তামাক ব্যবহার তো শুধু আইন করে নিষিদ্ধ করলেই কমবে না। এর সাথে আর্থ-সামাজিক বিষয় যেমন আছে তেমনি রয়েছে তামাক কোম্পানির সক্রিয় চেষ্টা। আইনে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হয়েছে বলে টেলিভিশন এবং প্রচারমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখা যায় না, কিন্তু তামাক দ্রব্যের উপস্থিতি রাস্তা-ঘাটে বের হলেই ছোট ছোট চায়ের দোকান বা ছোট মুদির দোকানের সাজ-সজ্জাতেই কোম্পানির রং ভেসে ওঠে। এতেও আইনের ব্যত্যয় ঘটে, কিন্তু তারপরও তা অব্যাহত আছে। যাদের দেখার দায়িত্ব তারা দেখেও দেখে না। সিগারেটের প্যাকেট দৃশ্যমানভাবে সাজিয়ে দেয় কোম্পানি নিজেই, জর্দার রং-বেরংয়ের নানা সাইজ ও ওজন কৌটাও চোখ কাড়ে। তামাক দ্রব্যের ব্যবহারে শ্রেণীগত পার্থক্য রয়েছে। জানা কথা যে প্রিমিয়াম সিগারেট কোনো গরিব মানুষের হাতে দেখা যাবে না, আর ধনীর হাতে বিড়ি দেখা যাবে না। নারী-পুরুষ ভেদেও তামাক দ্রব্যের ব্যবহার ভিন্ন। গরিব নারীরা পানের সাথে জর্দা এবং সাদাপাতা খাচ্ছেন, ধনী নারীরা উচ্চ দামের জর্দা খেলেও তা নিয়মিত হয়তো খাচ্ছেন না, তাদের ফ্যাশনের সাথে যায় না। গরিব নারীরা আরো নিম্ন স্তরের তামাক দ্রব্য, যেমন সাদাপাতা খাচ্ছেন। তাদের মধ্যে গুলের ব্যবহারও বেশি। ক্ষুধা মেটাতে দুপুর বেলা ইট ভাঙা শ্রমিক, বা কাজের বুয়া, বা অন্যান্য কাজে জড়িত শ্রমিক যার দুপুরে খাবার সময়মতো জোটে না, তাকে দেখা যায় পান-জর্দা দিয়ে মুখ লাল করতে। কী বলব তাকে? সে সময় কোনো খাবার কেনার চেয়ে পান-জর্দাই সস্তা, সহজলভ্য এবং ক্ষুধা চেপে রাখা সহজ। এর বিনিময়ে তার শরীরে কত মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখার বা বোঝার সময় তার নেই।
হ্যাঁ, তামাক দ্রব্য ব্যবহারের অনেক কারণের মধ্যে নেশাও একটি প্রধান কারণ, কেননা এর মধ্যে নিকোটিন আছে এবং সাথে আরও অনেক উপাদান যোগ করা হয় যা দিয়ে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করা হয়। যেমন মেনথলের ব্যবহার, সুগন্ধির ব্যবহার ইত্যাদি। সব কিছু মিলিয়ে তামাক দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্যে বড় ধরনের হুমকি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিসংখ্যানেও তার প্রমাণ মেলে। বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তয়স্ক মানুষ সিগারেট-বিড়ি এবং জর্দা-গুল-সাদাপাতা ব্যবহার করেন। প্রতি বছর ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমরা কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার নিয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছি, কিন্তু তামাকের মহামারি চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। এর বিরুদ্ধ্বে কোনো ভ্যাকসিন নাই, প্রতিরোধের জন্যে তাই 'উচ্চ মূল্য'ই ভ্যাকসিন হিসেবে কাজ করবে। কোভিড সংক্রামক, তামাক কি অ-সংক্রামক? কোম্পানি যেভাবে এই পণ্য বাজারজাত করে এবং দাম কম রেখে এর ব্যবহার বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করে, তাতে তামাকের ব্যবহার সংক্রমণের মতোই বাড়ে। তরুণ বয়সের ছেলেরা একে-অপরের কাছ থেকে উৎসাহিত হয়। এমনকি পানের সাথে জর্দার ব্যবহার নারীরা শাশুড়ি এবং নানী-দাদীর পান বানাতে গিয়ে খেতে শুরু করে। অর্থাৎ সংক্রমিত হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (এটিএমএ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে দেখা করে তামাক দ্রব্যের ওপর করারোপ করার জন্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। এই সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম যা বলেছেন, তা পত্র-পত্রিকায় এসেছে। তিনি বলেছেন, 'কেবল কর হার আর দাম বাড়িয়ে তামাকজাত পণ্যের নিয়ন্ত্রণ কিংবা জনস্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ "ইমপ্যাক্ট" হয় না। এজন্য উচ্চবিত্ত তো নয়ই, নিম্নবিত্তের মানুষও নেশা ছাড়বে না, বরং সন্তানের পড়ালেখার খরচ কেটে ওই টাকা নেশায় যাবে, কিংবা তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে যাবে'(ইত্তেফাক, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)।
তামাক দ্রব্যের ওপর করারোপ নতুন নয় এবং শুধু বাংলাদেশেই হচ্ছে তা-ও নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তামাক ব্যবহার কমানোর অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে করারোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় এবং তার ফলে ব্যবহার যে যথেষ্ট কমে, এর প্রমাণ আছে। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান যা বলেছেন, তা একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। আসলে শুধুমাত্র করের হার বাড়িয়ে তামাক দ্রব্যের দাম ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এখনও আনা যাচ্ছে না। বিড়ি সিগারেটের দাম এতোই কম যে তার ওপর যতো বেশি হারে করারোপ করা হোক না কেন, সেটা যথেষ্ট বাড়ে না। ক্রেতা এই ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকা দামে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই দাম বাড়াতে হলে একেবারে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।
তামাক দ্রব্যের কথা এলেই সকলেই ধরে নেন তা সিগারেট-বিড়ির কথা বলা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে মিটিংয়ের যে খবর বেরিয়েছে তার ভাল দিক হচ্ছে যে অধিকাংশই 'তামাকদ্রব্যের কর' শিরোনাম করেছে, অর্থাৎ শুধু বিড়ি-সিগারেট বোঝানো হয়নি, এর মধ্যে ধোঁয়াবিহীন তামাকের কথাও উঠে এসেছে। কর প্রস্তাবের মধ্যেও বিড়ি-সিগারেটের পাশাপাশি জর্দা ও গুলের ওপর করের প্রস্তাবও ছিল। ধন্যবাদ।
দেখা যাক, প্রস্তাবগুলো কী। ১। প্রতি ১০ শলাকার নিম্নস্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২.৫০ টাকা, মধ্যম স্তরে ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৮.৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; ২। ১০ শলাকার উচ্চস্তরের খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ টাকা, প্রিমিয়াম স্তরের খুচরা মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭.৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা; ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১.২৫ টাকা, ফিল্টারযুক্ত ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০%) প্রচলন করা। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূ্ল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫.০০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এই কর খুব বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। ফলে ভোক্তার চাহিদা এতে কতটুকু কমবে, তা দেখার বিষয় রয়েছে। তাছাড়া ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের আর একটি পণ্য হচ্ছে সাদাপাতা। সেই সাদাপাতা এখনো করের আওতায় আনা হয়নি। অর্থাৎ এক বিশাল সংখ্যক সাদাপাতা ব্যবহারকারী জনস্বাস্থ্য রক্ষার ব্যবস্থার বাইরে থেকে গেলেন।
জর্দা ও গুলের বিক্রির ওপর করারোপের পাশাপাশি উৎপাদনও নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে উৎপাদকের ভ্যাট প্রদানের বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে। জানা গেছে, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২১৮টি জর্দা ও গুল উৎপাদকদের কাছ থেকে মাত্র ১৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ভ্যাট পাওয়া গেছে, যা মোট টোবাকো ট্যাক্স-এর ০.১১% থেকে ০.১৭% (এনবিআর, তথ্য, ২০২০) । ফলে উৎপাদকের ওপর ভ্যাট আরোপ করে উৎপাদন খরচ বাড়ানো গেলেও দাম আপনাতেই বাড়বে।
লক্ষ করার বিষয় হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠনের পক্ষ থেকে যে কর প্রস্তাব করা হচ্ছে তাতে খুচরা বিক্রি নিরুৎসাহিত করার বিষয়টি সরাসরি যুক্ত। খুচরা বিক্রি বন্ধ করা হলে দাম বাড়ার বিষয়টি ভোক্তার জন্যে চাপ হবে, কারণ একসাথে ৪৫ টাকা (জর্দা), ২৫ টাকার গুল কেনার মতো নগদ টাকা থাকবে না। খুচরা বিক্রি হয় বলেই এই বাড়তি বৃদ্ধিটা তাদের চোখে পড়ে না। সিগারেট-বিড়ির ক্ষেত্রেও খুচরা বিক্রি যেন না হয় তার ব্যবস্থা প্রস্তাব করা হচ্ছে।
এনবিআর চেয়ারম্যানের কথা অনুযায়ী তামাক ব্যবহারকারী যেন খাদ্য কেনা বাদ দিয়ে তামাক না কেনে তার জন্যে খাদ্যকে সহজলভ্য এবং তামাক দুর্লভ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব এনবিআরের নয়, কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে যেন এনবিআরের পদক্ষেপ সহযোগিতামূলক হয় সেই চেষ্টা তো করতেই হবে। বাজেটে প্রতি বছর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিতে হয়। তামাকের কারণে স্বাস্থ্য খাতে খরচ বাড়ছে; ২০১৭-১৮ সালে তামাক ব্যবহারের কারণে উৎপাদনশীলতার ক্ষতি এবং চিকিৎসা ব্যয় বাবদ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার যে খরচ হয়েছে, তা বেশ উদ্বেগের কারণ ঘটায়। এরপর এই খরচ বেড়েছে বই কমেছে মনে হয় না। আমরা জানি এর মধ্যে হাজার হাজার গরিব নারী ও পুরুষ আছেন যারা কোনো চিকিৎসা নিতে যাননি, কিন্তু রোগে ভুগেছেন এবং শেষ পর্যন্ত ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছেন। তামাকবিরোধী নারী জোটের সদস্যরা সারা দেশে এমন অনেক গরিব ও নিম্নবিত্ত নারী তামাকসেবী পাচ্ছেন যারা দীর্ঘদিন জর্দা-সাদাপাতা ও গুলের ব্যবহার করে দাঁত, মাড়ি ও পেটের নানা রোগে ভুগেছেন, কিন্তু টাকার অভাবে কোনো চিকিৎসা নিতে পারেন না। তাদের ক্যান্সার হচ্ছে কি না জানা যাচ্ছে না, কারণ তারা কখনো সেই পর্যায়ে চিকিৎসা ও টেস্ট করেননি। এদের খবর কোনো পরিসংখ্যানে আসে না। কোনো নীতিনির্ধারকের কাছে তাদের খবর পৌঁছায় না। অথচ তামাক দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির একটি পদক্ষেপ হয়তো তাকে তামাক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে পারে। এটাই ভ্যাকসিন, তামাক ব্যবহার প্রতিরোধের জন্যে ।
মানুষ সুস্থ থাকুক।
এই লেখাটি ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে 'তামাকদ্রব্যের করারোপ ও দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই' এই শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে।