নিরাপদ খাদ্যের আলোকে রমজান মাসের ইফতার
বাংলাদেশ ফুড সেফটি নেটওয়ার্ক (বিএফএসএন) এর আয়োজনে ২৪ মে, বুধবার ২০১৭ তারিখে সকাল ১১:০০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (নীচতলা), সেগুনবাগিচা, ঢাকায় ‘রমজান মাসের রকমারী ইফতার’ নিরাপদ খাদ্যের আলোকে আলোচনা, শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার অয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভা আয়োজন করেন বিএফএসএন এর সদস্য সংগঠন: উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারনী গবেষণা (উবিনীগ), কনজুমার এ্যসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বিসেফ ফাউন্ডেশান, শিশউক ও হাংগার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। পরিবেশ, শিক্ষা, উন্নয়ন, নারী সংগঠন, সরকারী সংসগঠন, দাতা সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ মোট অংশগ্রহণকারী ছিলেন ৮৫ জন।
মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন আতাউর রহমান মিটন সদস্য, বিএফএস এন। সভায় সভাপ্রধান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব গোলাম রহমান, সভাপতি, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এফএও ফুড সেফটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ন্যাশনাল এ্যাডভাইজার প্রফেসর ডাঃ শাহ মুনীর হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মহিদুল হক খান, সহসভাপতি বিসেফ ফাউন্ডেশন। বিশ্বায়নের প্রভাবে খাদ্য অনিরাপদ হচ্ছে শিরোনামে বক্তব্য রাখেন ড. এম. এ. সোবহান, সভাপতি বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশন। আলোচনা সভায় আরো অনেকের মধ্যে অংশগ্রহন করেন সৈয়দা অনন্যা রহমান, ডাব্লিউ বিবি ট্রাস্ট, জাহাঙ্গীর আলম জনি, উবিনীগ, প্রফেসর ড. আমির, ডেফোডিল ইউনির্ভাসিটি এবং রোকেয়া বেগম, স্বাস্থ্য আন্দোলন। বিএফএসএন সহ অন্যান্য সংগঠনের সংগে নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রফেসর ডাঃ শাহ মুনীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য সরকারী পর্যায়ে অনেক সংস্থা আছে। রমজান মাসে আমরা যা খাচ্ছি তা কতটুকু নিরাপদ বা স্বাস্থ্যকর সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। রমজান মাসের খাদ্য নিরাপদ ও মানসম্মত হতে হবে। খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সেটা দেখতে হবে। জ্যাঙ্ক ফুড স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। সেহরি এবং ইফতারের খাবারের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে খাবার যেন খুব মসলাযুক্ত না হয় । ভাজা জিনিষ কম খেতে হবে, নিরাপদ পানি খেতে হবে, মৌসুমী ফল খেতে হবে। যারা ভেজাল খাদ্য তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ নিতে হবে।
মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটি বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করতে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তিনি সাংবাদিকদেরকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ জানান।
আলোচনা সভার সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, রোজা সংযমের মাস। তিনি ইফতারী ও সেহরীতে খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য বাচাই করে খাওয়ার জন্য আহব্বান জানান।