"ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব চাই। আমরা সবাই এগিয়ে যাব। কেউ পিছিয়ে থাকবো না"


দেলদুয়ার উপজেলায় পালিত হলো জাতিসংঘের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ‌

শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে উবিনীগ রিদয়পুর বিদ্যাঘরে পালিত হলো জাতিসংঘের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: “ক্ষধামুক্ত বিশ্ব চাই। আমরা সবাই এগিয়ে যাব। কেউ পিছিয়ে থাকবো না”। এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেলদুয়ার উপজেলার ১৪টি সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২৫ জন শিক্ষার্থী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ১১০ জন। উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ১১৫ জন।

টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে উবিনীগ রিদয়পুর বিদ্যাঘরে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ (জাতি সংঘের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২৪ অক্টোবর) একদিন আগে পালিত হলো জাতিসংঘের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। এই শিশুদের যেমন ক্ষধামুক্ত বিশ্বের জন্য এগিয়ে আসতে হবে তেমনি খাদ্য নিরাপদও হতে হবে। টাংগাইলের দেলদুয়ার উপজেলা ২০১৫ সালে “নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসাবে ঘোষিত হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের এই বিষয়টি অনুধাবন করার জন্যই জাতিসংঘের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উবিনীগ বিদ্যাঘরে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ পালিত হলো।

অংশগ্রহণকারী চাত্র ছাত্রী

শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন, এস. এম. ফেরদৌস আহমেদ, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দেলদুয়ার, টাংগাইল। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মো: সহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, টাংগাইল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রবাট ডবলাস সিম্সন্, প্রতিনিধি, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নূর খন্দকার, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দেলদুয়ার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ। ড. রোকেয়া খানম, ন্যাশনাল এডভাইজার, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, ড. হালিমা নিয়ামত, প্রোগ্রাস এসিসটেন্ট, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন,

শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার জন্য বিষয় এবং সময় নির্ধারণ করা হয়। বিষয় ছিল- “খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক ছবি অঙ্কন”। সময় এক ঘন্টা। প্রতিযোগিদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়-

ক দল: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ
খ দল: ষষ্ট শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং
গ দল: নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলীদ্বয়ের মতামতের ভিত্তিতে তিনটি (ক, খ ও গ) দল থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্বাচিত হয়। ৯ জন শিক্ষার্থী এই পুরস্কার পায়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের উপহার স্বরূপ প্রাইজবন্ড দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দল থেকে সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয় ১০ জন করে শিক্ষার্থীকে। সান্তানা পুরস্কার ছিল বিভিন্ন লেখকের বই।

শিশুবাচ্চারা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ

অংশগ্রহণকারী চাত্র ছাত্রী

ষষ্ট শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীবৃন্দ

অংশগ্রহণকারী চাত্র ছাত্রী

নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীবৃন্দ


অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্য:

নূর মোহাম্মদ খন্দকার, সহকারী প্রতিনিধি, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।

এখনও পৃথিবীতে সারে ৮১ কোটি মানুষ অভুক্ত অবস্থায় রাতে ঘুমাতে যায়। তাদের সকলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জাতি সংঘের দায়িত্ব। সেই সাথে সকলের খাদ্য নিরাপদ করাও আমাদের দায়িত্ব।

নূর খন্দকার


বিশেষ অতিথি: রবাট ডগলাস সিম্পসন, প্রতিনিধি, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা

টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার চেয়ারম্যান মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই। তিনি দেলদুয়ারকে নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণাকে বাস্তব রূপ দিতে যারা কাজ করছেন তাদের সকলের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আজকের এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদেরও ধন্যবাদ জানাই অংশগ্রহণ করার জন্য।

রবাট


প্রধান অতিথি: মো: সহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, টাংগাইল।

উবিনীগ, উপজেলা পরিষদ ও জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা জাতি সংঘের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব চাই। আমরা সবাই এগিয়ে যাব। কেউ পিছিয়ে থাকবো না” এই কথাটি খুবই যুক্তিযুক্ত। আজকের এই অঙ্কন প্রতিযোগিতা সে কথারই প্রতিফলন। খাদ্য নিরাপদ করতে উবিনীগ এবং নয়াকৃষির কাজ প্রশংসনীয়।

dc


সভা প্রধান: এস. এম. ফেরদৌস আহমেদ, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দেলদুয়ার, টাংগাইল।

জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের জন্য টাংগাইলের দেলদুয়ার উপজেলাকে বেছে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আজকের এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দূর- দুরান্ত থেকে শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করছে তাদেরও জানাই অনেক আদর ও শুভেচ্ছা। মাননীয় জেলা প্রশাসক ব্যস্তার মধ্যেও আজকের এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে সভাকে অনুপ্রাণিত করেছেন এই জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা। দেলদুয়ার উপজেলা নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দেলদুয়ার উপজেলা বর্তমানে খাদ্যে স্বংসম্পূর্ণ। কোন কোন ক্ষেত্রে খাদ্যে উদ্বিৃত্ত আছে। আমরা পৃথিবীর ১৭টা দেশে লেবু রপ্তানী করি। এই কৃতিত্বের জন্য কৃষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকেরা।

ফেরদোস আহম্মেদ


ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ

সব শেষে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান এবং এই ধরণের অংকন প্রতিযোগিতা আরও অনুষ্ঠিত করার আশ্বাস দেন। একই সাথে এফএও যেন শিশুদের নিয়ে এই ধরণের অনুষ্ঠান দেলদুয়ার নিরাপদ খাদ্য উপজেলায় আরও করেন তার জন্যে অনুরোধ জানান।

অংশগ্রহণকারী চাত্র-ছাত্রীদের পাশে ফরিদা আখতার


শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন ও পুরুস্কারের কিছু ছবি:

 


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।