লালন স্মৃতিধামে দোল ২০১৫ পালিত

ছেঁউড়িয়া, কুমারখালি কুষ্টিয়া। নবপ্রাণ আন্দোলনের আখড়াবাড়িতে ফকির লালন সাঁইজির তিনদিন ব্যাপি ১৪২১ সালের দোল উৎসব শেষ হোল । সাইজির ধামে যে উৎসব চলে তার পাশাপাশি নবপ্রাণ প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানটি পালন করে।
২০ শে ফাল্গুন, ১৪২১। সন্ধ্যায় দৈন্য গানের মধ্য দিয়ে ফকির লালন সাঁইজির স্মরণ উৎসব শুরু হয়। প্রতিদিন চারটি করে অধিবেশন চলে। এই ভাবে একটানা তিনদিন অনুষ্ঠান হয়।
আখড়াবাড়িতে এ সময় যারা আসেন তারা একই সঙ্গে পরিবেশ, প্রাণ ও প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষার গুরুত্ব এবং কোন প্রকার সার, রাসায়নিক ও বিষ ব্যবহার ছাড়া চাষাবাদ করতে হয় সে ব্যাপারেও জানবার সুযোগ গ্রহণ করেন। নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকরা এ সময় আখড়াবাড়িতে তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করেন এবং আগ্রহীদের উত্তর দেন।
আখড়াবাড়িতে গানের অধিবেশনে নবপ্রাণের শিল্পীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লালন সাঁইজির অনুসারী ও ভক্তরাও গান পরিবেশন করেন। ২২ শে ফাল্গুন, ১৪২১ সন্ধ্যায় দৈন্য গানের মধ্য দিয়ে নবপ্রাণ আখড়াবাড়ির অনুষ্ঠান পরিসমাপ্তি ঘটে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লালন অনুসারী, ভক্ত, ফকির ও সাধকরা আসেন, আরো আসেন বিভিন্ন সাধকদের অনুসারী, নানান ধর্মের নানান বয়সের নানান বর্ণের ধনী-গরিব, নানান পেশার মানুষ, ছেলে-মেয়ে, শিশু, তরুণ, বৃদ্ধসহ লাখ মানুষ। তাঁরা সাইজির স্মৃতিধামে এসে কথা, গান ও সাধু সঙ্গে সময় যাপন করেন।
বাংলাদেশে ভাবের চর্চাকে সাঁইজির অনুরাগীরা বলে থাকেন 'ভাবের বাজার'। এখানে মানুষ আসে কথা শোনার জন্য।
মনে হয় খুবই দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেল। দেখা হবে আবার আগামি বছর।