জনস্বাস্থ্য খাতে অবহেলা ও পরিকল্পনাহীনতার বাজেট, ২০১৭-১৮


জাতীয় বাজেট ঘোষণার মাত্র কিছুকাল আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুটি পৃথক বিভাগ হয়েছে: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এই দুই বিভাগ কেন করা হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। এই পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ধরে নেয়ারও কোন যুক্তি নেই কারণ বাজেট বরাদ্দ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। বাজেটে এই দুই বিভাগ মিলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য (উন্নয়ন ও রাজস্ব) মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় মোট বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ যথেষ্ট নয়, তা বলাই বাহুল্য। গত কয়েক বছরের বাজেটে বরাদ্দের হার ৬ শতাংশের কাছে যেতে পারে নি। বিগত বাজেট ঘোষণার পর স্বাস্থ্য আন্দোলন এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন এবং সুনির্দিষ্ট সুপারিশও করেছেন। কিন্তু এর কোন প্রতিফলন এই বাজেটে নেই।

সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির বিবেচনায় স্বাস্থ্য বাজেট শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্যে বরাদ্দ দিয়ে বোঝা যাবে না। এমন কি বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ মেপেও বলা যায় না। আমরা সব সময় বলে এসেছি স্বাস্থ্য আন্দোলন এই বিষয়টি অর্থ বরাদ্দের পরিমাণের উর্ধ্বে চিন্তা করে। জনগণের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে সরকারের যে অঙ্গীকার ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা পূরণ করা হচ্ছে কিনা সেটাই মূল বিষয়। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের ধরণ দেখে মনে হয় সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া রাজনৈতিক অঙ্গীকার পূরণ করার দিকেই বেশি আগ্রহী। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজন এই রাজনৈতিক অঙ্গীকারের চেয়ে অনেক বেশি এবং ভিন্ন। এবারের বাজেটেও কমিউনিটি ক্লিনিক ও টেলিমেডিসিন সেবা কেন্দ্র নিয়ে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কতখানি কার্যকর তার কোন মূল্যায়ন নেই। সামাজিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি এবং ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে তার কোন প্রতিফলন পাওয়া যায় না। প্রতিবন্ধীতার শিকার মানুষের জন্য এসব ক্লিনিকে বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলা হয়েছে। কিন্তু এখানেও পরিকল্পনাহীনতা দেখা যাচ্ছে।

একটি প্রবণতা হচ্ছে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার দায়িত্ব থেকে সরকার মুক্তি পেতে চাইছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার আনন্দে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের দায়দায়িত্ব আরও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। তারা অবাধ দরজা খুলে দিয়েছে বেসরকারি খাত থেকে সেবা নেয়ার ওপর। ফলে বাজেটে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের দায়িত্ব কি হবে, তা নিয়ে সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই।

জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কি পরিমাণ এবং কোন খাতে দেয়া হচ্ছে সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে চিন্তা ভাবনা হয়, কিন্তু এর সাথে স্বাস্থ্য অর্থায়নের সম্পর্ক কি এবং কোন অর্থ রাজস্ব থেকে আসবে, কোনটা বৈদেশিক সাহায্য থেকে আসবে এবং জনগণ নিজে কতখানি বহন করবে তার কোন দিক নির্দেশনা নেই। সরকারের বাজেট বরাদ্দের দিক থেকে স্বাস্থ্য খাত ধীরে ধীরে অবহেলিত একটি খাত হিসেবে বাজেটে স্থান পেতে শুরু করেছে। সার্বিক বাজেটের পরিধি বিশাল হচ্ছে, প্রতি বছরই বাড়ছে। উল্টো দিকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আনুপাতিক হারে প্রতি বছর কমছে। তার চেয়েও বড় কথা স্বাস্থ্য বাজেটে কোন নতুনত্ব নেই, সেই গৎবাঁধা বাজেট কয়েক বছর ধরে চলছে। শুধু বরাদ্দের পরিমাণ একটু হেরফের করা হচ্ছে।


স্বাস্থ্য বাজেট ২০১৭


স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা দাবি করে আসছি শুধু বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি নয়, আমরা দেখতে চাই এর ব্যবহার কোথায় হচ্ছে এবং সেখানে তার আদৌ প্রয়োজন ছিল কিনা, কিংবা যেখানে প্রয়োজন ছিল সেখানে আদৌ কোন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিনা। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ স্বাস্থ্য অর্থায়নের একটি অংশ মাত্র। স্বাস্থ্য অর্থায়নের নানা পথ আছে। অথচ এখনো সরকারি সেবা নিলে জনগণকে দুই-তৃতীয়াংশ বহন করতে হয়। বেসরকারি সেবা নিলে তা বেড়ে যায় কয়েকশত গুণ। এবারের বাজেটেও প্রাইভেট স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে কোন দিক নির্দেশনা নেই।

সরকার সার্বিক স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা করেছেন বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতাগোষ্টির পরিকল্পনার আলোকে যা সেক্টর ওয়াইড এপ্রোচ নামে পরিচিত। পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের নাম হচ্ছে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচি। বরাদ্দের পরিমাণ পূর্বের ধারাবাহিকতায় ৪৩ হাজার ৪ শত ৮৬ কোটি টাকা। বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে এর মাধ্যমে মা ও শিশুর জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নত প্রজনন স্বাস্থ্য, বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নতুন আবির্ভূত রোগ নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টিমানসম্পন্ন নিরাপদ খাদ্য এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানোর প্রস্তাাবে অ-সংক্রামক রোগে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগে ভুগছেন এমন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির বরাদ্দ ২০ কোটি বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্ব বাজারের অংশ হয়ে গেছে। ওষুধ শিল্প খাতকে বিকশিত করার জন্যে এই শিল্পে ব্যবহৃত বেশ কিছু কাঁচামালে শুল্ক রেয়াত সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কাঁচামালের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের কাঁচামালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে ওষুধের উৎপাদনের মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে, সেদিকে সরকারের কোন পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না।

এই বাজেটে ওষুধের দাম কমানোর বিষয়টি উল্লেখ নাই যা দরিদ্র জনগেষ্ঠীর জন্য অতি প্রয়োজনীয়। চিকিৎসার যন্ত্রপাতির উপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয় নাই, এটা ভাল উদ্যোগ। এছাড়া অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যায় কমানো জরুরী।

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট পর্যালোচনার একটি সাধারণ দিক হচ্ছে পণ্যে দাম বাড়ানো ও কমানোর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষার বিবেচনা আছে কিনা সেটা দেখা। সেদিক থেকে এবারের বাজেটের একটি ইতিবাচক প্রস্তাব হচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে জাংক ফুড নিরুৎসাহিত করতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে জাংক ফুডে সম্পূরক শুল্ক আরোপ। জাঙ্ক ফুড জাতীয় পণ্যে, বিশেষ করে পিৎজা এবং বার্গারসহ অন্যান্য জাঙ্ক ফুডের স্থানীয় সরবরাহ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এর অতিরিক্ত হিসেবে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে ভ্যাটের সঙ্গে আরও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করায় পিৎজা, বার্গারসহ সব ধরণের ফাস্টফুডের দাম বাড়তে যাচ্ছে। অর্থাৎ যে বার্গারের দাম ১০০ টাকা, তার সঙ্গে ১৫ টাকা ভ্যাট ও ১০ টাকা সম্পূরক শুল্ক যোগ হয়ে সেটির দাম দাঁড়াবে ১২৫ টাকা। যদিও এই সামান্য মূল্যবৃদ্ধি ব্যবহার কমাবার জন্যে যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে ৯৩ ধরণের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার ওপর ভ্যাট থাকছে না। ফলে এর দাম কমবে বলে আশা করা যায়।

শ্রমবাজারে যুক্ত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূণ ভূমিকা পালণ করে থাকে। প্রতিবছর ৪ লক্ষ্ শ্রমিক বিদেশে কমসংস্থানের জন্য যুক্ত হচ্ছে। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের এক তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিনই গড়ে আট থেকে দশজন প্রবাসী লাশ হয়ে দেশে ফিরছেন। এসব মৃত্যুর অধিকাংশই অস্বাভাবিক। প্রাসীদের ৯০ শতাংশেরও বেশি মারা যাচ্ছেন হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ এবং দুর্ঘটনায়। এ সকল শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন ধরনের নির্দেশনা নেই।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বর্তমানের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। জনস্বাস্থ্য রক্ষা, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। এ সাথে প্রায় প্রতিটি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ লক্ষ লোক খাদ্যে বিষস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের কোন ধরনের সুপষ্ট নির্দেশনা নেই।

ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ ও শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা। ব্যক্তিগত গাড়ীর ব্যবহার বৃদ্ধি যানজট ও পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এবার বাজেটেও ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পথচারীদের হাঁটার পরিবেশ উন্নত করা হলেও, নগরে যোগাযোগ উন্নত, পরিবেশ দূষণ শব্দদূষণ হ্রাস এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়বেটিসের মতো রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে হ্রাস সম্ভব। বাজেটে ফ্লাইওভার তৈরি বিষয়টি স্থাপনে পেলেও, হাঁটার মতো গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে মাধ্যমটি গুরুত্ব পায়নি।

স্বাস্থ্য আন্দোলন সুনির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব করছে গৎবাঁধা স্বাস্থ্য বাজেট সংশোধন করে প্রয়োজনের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক।

১. বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বের প্রেক্ষিতে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০% করতে হবে।

২. বাজেট বরাদ্দে উপজেলা পর্যায়ে ৬০%, জেলা পর্যায়ে ৩০% এবং জাতীয় পর্যায়ে ১০% আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দিতে হবে।

৩. জীবন যাত্রার ধরণের সাথে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে। তাই বাজেট বরাদ্দ সেই দিক বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

৪. যে সকল হাসপাতাল ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায়, ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় এবং ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে সে সকল হাসপাতালে সার্বিক বরাদ্দ বর্ধিত শয্যা অনুযায়ী হওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তকরণ ।

৫. বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্যে বিশেষ স্বাস্থ্য সুবিধার বাজেট থাকতে হবে।

৬. পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ বরাদ্দ থাকতে হবে।

৭. জনস্বাস্থ্য সেবা বাড়ানো এবং রোগ প্রতিরোধের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি আমরা দেখতে চাই।

৮. নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে পরিকল্পনা তৈরি, লোকবল নিয়োগে অগ্রাধিকার প্রদান ও বরাদ্ধ প্রদান।

৯. বেভারেজ ও সুগারজাতীয় পণ্য, জাঙ্কফুড, চিপস বা অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের উপর বিশেষ স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর আরোপ করা।

১০. শারিরীক ও মানসিক সুস্থ্য রাখতে পার্ক, হাঁটার সুব্যবস্থা, পথচারীদের চলাচলের নিশ্চিত লক্ষ্যে বরাদ্ধ প্রদান।

১১. ইউনিয়ন হতে মহানগর পর্যন্ত পর্যাপ্ত খেলার মাঠ চিহ্নিতকরণ ও বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার বৃদ্ধিতেপর্যাপ্ত বরাদ্ধ প্রদান। স্টেডিয়াম ও থিম পার্ক অপেক্ষা খোলা খেলার মাঠ ও পার্কে বরাদ্ধ প্রদান।

ধন্যবাদ।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।