দেখতে দেখতে একটা বছর চলে গেল। ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর পলাশের মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হলো। গত বছর এই তারিখে উবিনীগের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য পলাশ চন্দ্র বড়াল ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এক মেয়ে অস্মিতা ক্লারা বড়াল,এক ছেলে,ফেডরিক নিঃস্বর্গ বড়াল এবং স্ত্রী অঞ্জলী জাসিন্তা কস্তাসহ বহু সহকর্মী, বন্ধু এবং শুভানুধায়ি রেখে গেছেন। অস্মিতা এবং নিঃস্বর্গকে নিয়ে পলাশের অনেক আশা ছিল, তাদের নিয়ে একজন গর্বিত পিতা ছিলেন তিনি।
পলাশের দেশের বাড়ি পিরোজপুর শহরে। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে। উব (আরো পড়ুন )
আমাদের কাজের মধ্যে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এমন একটি কাজ হচ্ছে নবপ্রাণ আন্দোলন। সংগঠন সম্বন্ধে আমাদের ধারণা ছিল একদমই অদ্ভূত। একদিকে কর্পোরেট স্ট্রাকচার আমরা পরিহার করেছি শুরু থেকেই, অন্যদিকে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া শৃংখলা ও বিধিবিধানের নাগপাশে আমরা বন্দী থাকতে চাই নি। শুরু থেকেই ঠিক করেছিলাম খুব ভোরে এবং সন্ধ্যায় গান গাওয়ার মধ্যে আমরা এমন একটা সাংগঠনিক বন্ধন তৈরি করব যেন কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা তার জন্য কোন পুলিশি বা নজরদারি লাগে না।
উবিনীগে সকাল ও বিকাল গান গাওয়ার রেওয়াজ দ্রুতই কিংবদন্তিতে পরিণত হয়। সকালে গোষ্ঠ গান, বিকেলে দৈন্য গান। নিদেন পক্ষে বিকেলে তিনটি দৈন্যগান গাইবার পর যার যা ভাল লাগে গাইত। উর্দু, নেপালি, হিন্দি য (আরো পড়ুন )
নয়াকৃষি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক কৃষক আফছার উদ্দিন ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯/১ আশ্বিন, ১৪২৬ তারিখে তাঁর নিজ গ্রাম নান্দুরিয়াতে ৮৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। তার জন্ম হয়েছিল ১২ মার্চ ১৯৩৬।
আফছার ভাই টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় নয়াকৃষি আন্দোলনের শুরু থেকেই জড়িত ছিলেন। তিনি নিজে ১৯৭০ সালের পর থেকে আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে চাষ করতেন এবং একজন ‘সফল’ আধুনিক কৃষক হিশেবে স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৯০ সালে এসে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা এবং তাঁর গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের নেতিবাচক অভিজ্ঞতায় তিনি অতীষ্ট হয়ে ওঠেন এবং এই সময় নয়াকৃষির উদ্যোগের খবর পেয়ে তিনি এগিয়ে আসেন। নয়াকৃষি তাঁর জন্যে যেন নতুন আশার আলো (আরো পড়ুন )
আয়শা আক্তার, জন্ম : ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৯ ইং / মৃত্যু : ২৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১০
আয়শা আক্তার যেদিন ১৯৯২ সালে নবপ্রাণ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন সেদিন থেকেই তিনি মনপ্রাণ দিয়ে একে গড়ে তোলার কাজে নিজেকে নিয়োগ করেছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন তার মুল সংগঠকদের একজন। নবপ্রাণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অসামান্য। তিনি নবপ্রাণ আন্দোলনের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পী ছিলেন তো অবশ্যই, কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে নবপ্রাণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যান্যদের সাথে আয়শা আক্তার নিজেকে যেভাবে উৎসর্গ করেছিলেন তার তুলনা চলেনা।
নবপ্রা (আরো পড়ুন )