বেতন বোনাস পরিশোধ কর
শ্রমবিকাশ কেন্দ্র || Wednesday 01 November 2017 ||তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের মে থেকে জুলাই এই তিন মাসের বেতন, ওভারটাইম ও বোনাস পরিশোধ করার জন্য বিজিএমইএর এক সপ্তাহ সময় লাগার কোন যৌক্তিকতা নেই। এটি আন্দোলনকে নস্যাত করার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। ঈদের আগের দিন ইফতারের পর থেকেই বাড্ডা এলাকার হোসেন মার্কেটের সপ্তম তলায় আমরণ অনশন শুরু করেন তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানার শ্রমিকেরা। তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম,ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ৫ দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন তোবা গ্রুপের ১৬০০ শ্রমিক।
২ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে শ্রমবিকাশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার জন্য গিয়ে ছিলেন নারী নেত্রী ফরিদা আখতার, সীমা দাস সীমু, রোকেয়া বেগম। শ্রমিকদের কষ্ট দেখে সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। তারা তাদের নায্য পাওনা আদায়ের জন্য আমরণ অনশন করছেন। মালিকরা ঈদের আগে বাজার করতে যায় দেশের বাইরে। আর শ্রমিকরা তাদের নায্য পাওয়ানা আদায়ের জন্য নামে রাস্তায়। শ্রমিকের টাকায় মালিক কিনে নতুন গাড়ি, বাড়ি। আর শ্রমিক দিনে রাতে খেটে তার পেটে ভাত নেই। তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা হোসেন মার্কেটে যান এবং রাস্তায় শ্রমিকদের সমাবেশ অংশগ্রহণ করেন। তারা সরকারে প্রতি আহবান জানান অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হোক। তানা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান।
৫ দিনে টানা অনশনরত শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কিছু শ্রমিক গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে আইভি সেলাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা ছাড়াও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু টানা অনশনে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকরা অনশন করলেও সরকার বা তৈরি পোশাকমাকিদের সংগঠন বিজিএমইএ থেকে সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
এমনকি তাদের কোন প্রতিনিধিও সেখানে যায়নি। সেখানে জলকামান নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। করা পাহাড়া এবং সতর্ক অবস্থায় রয়েছে মহিলা ও পুরুষ পুলিশ। এই শ্রমিকদের কোন ক্ষতি হলে এর দায়িত্ব কে নেবে ?
শ্রমিকদের দাবি:
১.আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি হচ্ছে অবিলম্বে তোবা গ্রুপের ১৬০০ শ্রমিকের বকেয়া বেতন ওভারটাইম বোনাস সম্পূর্ণ রূপে পরিশোধ করতে হবে।
২. তোবা গ্রুপের সকল কারখানা চালু করে শ্রমিকদের নিয়মিত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
৩. খুনী মালিক দেলওয়ারের জামিন বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৪. তাজরিন গার্মেন্টস এর নিহত ও আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৫. আন্দোলনরত শ্রমিকদের শারীরিক-মানসিক-আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।