উবিনীগ


উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা

ন্যূনতম মজুরি আন্দোলন: মালিকপক্ষের হার্ড লাইন আত্মঘাতী হবে

এই রপ্তানি খাতের ওপর আমাদের বৈদেশিক আয় নির্ভরশীল। অতএব এটা শুধুমাত্র শ্রমিক আর মালিকদের দরকষাকষির বিষয় হিসেবে দেখা যাবে না। এটা জাতীয় ইস্যু। এর ন্যায্য মীমাংসা জরুরি। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ঘামে ও পরিশ্রমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জিত হয়। অথচ সবসময়ই তাদের মজুরি বাড়ানোর জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়, শ্রমিকের রক্ত ঝরে। বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবি সব সময়ই উপেক্ষা করা হয়েছে। কেন?

গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনে মজুরির প্রশ্ন সবসময়ই গুরুত্বপুর্ণ ও কেন্দ্রীয় প্রশ্ন। অন্যান্য দাবি-দাওয়াগুলো, যেমন কাজের পরিবেশ, ওভারটাইম ইত্যাদি খণ্ড খণ্ডভাবে নানা সময়ে অবস্থাভেদে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কিন্তু মজুরি নির্ধারণ শ্রমিকদের জন্য যতট (আরো পড়ুন )


চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির ন্যায্য দাবি মেনে নিতে গড়িমসি কেন?

২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে চায়ের বাজারের মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা। জিডিপিতে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১ শতাংশ। বাংলাদেশ চা বোর্ডের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের হিসাবে দেশের ১৫৯টি চা বাগানে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৩ জন শ্রমিক রয়েছেন। এদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১২০ টাকা।

চা শ্রমিকরা মাত্র ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ধর্মঘট করছেন; তারা বর্তমানে পাচ্ছেন মাত্র ১২০ টাকা। ৯ আগস্ট থেকে এই নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন; প্রায় ১১ দিন হয়ে গেল। এত কম মজুরি দিয়ে বেঁচে থাকা যায় না, এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কেউ বিতর্ক করবেন না। কিন্তু আশ্চর্য যে চা-শ্রমিকদের দাবির প্রতি মালিক পক্ষ কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।

ইতোমধ্যে, চা–শ্রমিক নেতাদের নিয়ে শ্রম অধিদপ্তরের (আরো পড়ুন )


হাসেম ফুড প্রডাক্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: কিছু প্রশ্ন

আমাদের নীতি নির্ধারক আগুনে পুড়ে মরা এবং আগুনে আহত হওয়ার পর পোড়া মানুষের জন্যে নতুন নতুন হাসপাতাল তৈরিতে যত মনোযোগ দেন, আগুন যেন না লাগে, লাগলেও সে ভবনগুলো থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা উন্নত করার জন্যে তত মনোযোগী নন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই, ২০২১ তারিখে। এতে ৫২ জনের কয়লার মতো লাশ পাওয়া গেছে, যা আজও শনাক্তের অপেক্ষায় আছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকেই। এদের সন্ধান কখনো আর পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। এদের অধিকাংশই শ্রমিক। কারখানায় প্রাপ্তবয়স্ক নারী শ্রমিকের পাশাপাশি ছিল অনেক শিশু শ্রমিক। অর্থাৎ এই কারখানায় অনেক শিশু শ্রমিক কর্মরত ছিল যা দেশে বিরাজমান (আরো পড়ুন )


হারভেস্টার বেচা হলো, কৃষি শ্রমিকের জন্য কী?

বাংলাদেশে বোরো ধান কাটার সময় কৃষি শ্রমিক সংকট ও উচ্চ মজুরি নিয়ে কথা হয়। এটা নতুন নয়। কিন্তু এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেনি। অর্থনীতিবিদদের তরফে কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা দেখিনি। দুঃখজনকভাবে শিল্প ও কৃষি খাতের ভারসাম্য ও সম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়নি। সেটা মারাত্মক হয়েছে ‘উন্নয়ন’ সম্পর্কে আমাদের কিছু বদ্ধমূল ধারণার নামে। যেমন কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে চকচকে নগরে পরিণত করাই উন্নয়ন। নগরায়ণই সভ্য হওয়ার পথ। ফলে দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান (জিডিপির) ১৯৯০ সালে ৩৮ শতাংশ থেকে ক্রমাগতভাবে কমে ২০১৮ সালে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। প্রয়োজনীয় মনোযোগ এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কৃষি খাত নিয়ে (আরো পড়ুন )


কৃষকের ফসল বিক্রি ও শ্রমিকের ব্যবস্থা করুন

মার্চের শুরুতে যখন প্রথম নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের খবর সরকারিভাবে ঘোষিত হয়, তখন ছিল ভরা বোরো মৌসুম। শীতকালীন অনেক ফসল উঠে গেছে, আবার কিছু ফসল তখনো মাঠে আছে। শহরে নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে চিন্তাভাবনা হলেও অনেক কৃষক ‘করলা’ বলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ ভাইরাস কেমন, কী করে আক্রমণ করে—এসব কিছুই তাদের জানা ছিল না। হয়তো এখনো নেই। মার্চের শেষের দিকে এসে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিল, সেটাও কৃষকের কাছে কোনো অসুবিধা মনে হয়নি। তাদের ছেলেমেয়েরা শহরে পড়াশোনা করছে বা চাকরি করছে, তাদের কয়েক দিন বাড়িতে বেড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সরকার করে দিয়েছে, এটা তো ভালো। ভালো-মন্দ একটু খাওয়ানো যাবে।

ছুটি বাড়তেই থাকল। সরকার বলছে ছুটি, কিন্তু প্রশাসন (আরো পড়ুন )


পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা; শ্রমিক-কর্মচারীরা পাবেন তো?

দেরিতে হলেও গার্মেন্ট শিল্পসহ করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় রফতানিমুখী খাতকে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এ ঘোষণা আসে। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা শুধু শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে। বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া কভিড-১৯ বৈশ্বিক মারীর প্রভাবে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানাসহ দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ শিল্প-কারখানা কঠিন সংকটে নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যারা শতভাগ রফতানির ওপর নির্ভর করেন তাদের অবস্থা কঠিন। সামনে আরো দুর্দিন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে কারণে তারা সরকারের কাছে বড় ধরনের ভর্তুকি তহবিল চেয়েছেন।

গার্মেন্ট শিল্পে প্রায় সবসময়ই শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন কর (আরো পড়ুন )


সৌদি আরবে নারী শ্রমিক নির্যাতন ও কিছু প্রশ্ন

নাজমা আরো অনেক প্রবাসী নারী শ্রমিকের মতো সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি দারিদ্র্য নিরসনের জন্য দালালের মাধ্যমে ‘কাজ’ নিয়ে সৌদি আরব যান একটি হাসপাতালে ক্লিনারের কাজ করবেন বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা গিয়ে ঠেকে গৃহশ্রমিকের (ডমেস্টিক ওয়ার্কার) কাজে। অতঃপর নির্যাতনের শিকার নাজমা লাশ হয়ে গত ২৪ অক্টোবর মধ্যরাতে নিজ দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। নাজমার পাসপোর্টে তখনো মেয়াদ রয়েছে ২৯ মে ২০২৩ পর্যন্ত। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হতে আরো চার বছর বাকি, অথচ তিনি নিজেই পরলোকগত হয়ে গেলেন। নাজমা নির্যাতন সইতে না পেরে অনেকভাবে দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা হয়নি। নাজমা তার মৃত্যুর আগে কয়েকবার ভিড (আরো পড়ুন )


জিএসপি না পেলে কী অসুবিধা?

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করেনি; ১২২টি দেশে এ সুবিধা পুনর্বহাল করা হয়েছে, বাংলাদেশ সেখানে বাদ পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশও পেয়েছে। জিএসপি (Generalised System of Preference) বা অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা মূলত স্বল্পোন্নত দেশের পণ্য ধনী দেশে আমদানির ক্ষেত্রে তাদের শুল্ক ছাড় দেয়া হয়, যা রফতানি আয়ের দিক থেকে অনেক সুবিধাজনক। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন এ সুবিধা পেয়েছে; কিন্তু ২০১৩ সালে তা স্থগিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০১৫ সালে পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ সুবিধা নবায়ন করেনি। কেন করেনি তার কারণ হিসেবে জানিয়েছে, ২০১৩ সালে সুবিধা প্রত্যাহার করতে গিয়ে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল, তা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এ বিষয়টি নি (আরো পড়ুন )


পোশাক শিল্পে শ্রমিকের অবস্থা

দেশের রপ্তানী আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পোশাক শিল্প। এই সেক্টরে ৪০ লাখেরও বেশী শ্রমিক কাজ করে যাদের বেশীর ভাগ নারী শ্রমিক। সেই শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এখনও নিরাপদ হয় নি। গার্মেন্ট কারখানার যাত্রা (আশির দশক) থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার শ্রমিক মারা গেছে আগুনে পুড়ে, পায়ের তলে পিস্ট হয়ে এবং কারখানা ধসে। তাই যে কোন শিল্পায়নের জন্য শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মক্ষেত্র জরুরী। আশি দশকের শুরুতে ঢাকায় গার্মেন্ট শিল্প গড়ে উঠলেও এই শিল্পের সুনির্দিষ্ট কোন স্থান নাই। এখনও যেখানে সেখানে এমন কি আবাসিক এলাকাতেও গার্মেন্ট কারখানা গড়ে উঠছে। যেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঢুকতে পারে না। তাজরিন গার্মেন্টে আগুন লাগার পরে বিল্ডং কোর্ড অনুযায়ী কারখানা ভবন নির্মানের জন্য মুন্সীগঞ্ (আরো পড়ুন )


মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানো কি নিরাপদ?

মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ শ্রমিক নিয়োগ করবে পর্যায়ক্রমে ৩ বছরের মধ্যে। গত বছর (২০১৪ সালের জুন মাসে) এ ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে বেশ খুশি খুশি ভাব ছিল, কারণ বিদেশে শ্রমিক রফতানি কমে যাওয়ায় এমন ঘোষণা সরকারের সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তখন বলা হচ্ছিল, একমাত্র সরকারই জনশক্তি রফতানি করবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করলে দালালদের খপ্পরে পড়ে শ্রমিকরা প্রতারিত হন। এ কথা অনেকখানি সত্য সন্দেহ নেই; কিন্তু সরকারের মাধ্যমে গেলে নিরাপদ এমন গ্যারান্টি কি সরকার দিচ্ছে? সরকারের ঘোষণার পর এবং কম খরচে যাওয়া যাবে বলে অনেকে আগ্রহী হয়েছিলেন, সেজন্য নিবন্ধীকরণের কাজও করা হয়েছিল। এ বছর জুন মাসে ঘোষণা আসে, ৫ লাখ (আরো পড়ুন )


পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি

রানা প্লাজা ধসে পড়া এবং তাজরীনের অগ্নিকান্ডের পর থেকে শ্রমিকরা মূলত অসন্তোষ প্রকাশ করে। এরপর শ্রমিকরা ৮০০০ হাজার টাকা মজুরি বাড়ার জন্য মালিকপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেয়। শ্রমিকদের দিক থেকে মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব মালিকরা আয়ত্বে না নেয়ায় আন্দোলনে রূপ নেয়। অবশেষে ৬ জুন পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামোর জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোর লক্ষ্যে মালিকপক্ষ বোর্ডে ৩.৬০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে প্রস্তাব দেন। মালিকপক্ষের দেয়া প্রস্তাব নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। এরপর মালিকরা অনেক দেনদরবার শেষে মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবে সম্মতি জানান। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো ৬২৭ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩০ টাকা। ২০০৬ সা (আরো পড়ুন )


ফুটপাতে শ্রমিকের ঈদ, সরকার নির্লিপ্ত!

ফরিদা আখতার || Wednesday 01 November 2017 || বিষয়: শ্রমবিকাশ কেন্দ্র

বেতনের দাবিতে সোয়ান গার্মেন্টের শ্রমিকদের ঈদ করতে হলো রাজপথে

খুশির ঈদ বলে বাংলাদেশে আর কিছু নেই। ঈদের খুশি তাদেরই হয় যারা ঈদের সময় প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, ঈদের দিন নতুন জামাকাপড় পরতে পারেন এবং সেমাই, ফিরনি, পোলাও ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব একেবারে সাধারণভাবে ঈদের নূ্যনতম প্রয়োজন। এগুলো ছাড়া ঈদ শুধু কোলাকুলিতে শেষ হতে পারে না। নতুন কাপড় ছাড়া কোলাকুলিও মধুর হয় না। যারা সচ্ছল তাদের জন্য ঈদ আরও অনেক বেশি কিছু, তাদের বিদেশ যাওয়া, দিনে চারবার কাপড় পাল্টানো, পার্কে যাওয়াসহ আনন্দ করার সব মাধ্যম তাদের হাত (আরো পড়ুন )


অভিশপ্ত ভবন ও উন্নয়নের মিথ

দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি যাদের রক্তে-ঘামে জড়িয়ে আছে, সেই গার্মেন্ট শ্রমিকরা যখন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে পড়ে থাকেন, তখন তাদের খবর কেউ রাখে না। রানা প্লাজার দুঃসহ স্মৃতির দুই বছর পূর্তিতে এ সত্য আবার আমাদের চোখের সামনে এসে পড়েছে। কোনো আনন্দের ঘটনার বর্ষপূর্তি কাম্য হতে পারে, কিন্তু রানা প্লাজা ধস ও সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যু এবং যে হাজার হাজার শ্রমিক ও কর্মী আহত হয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকের হিসাব তালিকা থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন, তাদের প্রতি সহানুভূতি জানানোর ভাষা আমাদের নেই। আমাদের লজ্জায় মাথা নত হয়, বিবেকে আঘাত লাগে। কিন্তু আজ পর্যন্ত যে খবর পাচ্ছি, তাতে দেখা যাচ্ছে, নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ও আহত শ্রমিকদের সহায়তা পুরো (আরো পড়ুন )


বেতন বোনাস পরিশোধ কর

তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের মে থেকে জুলাই এই তিন মাসের বেতন, ওভারটাইম ও বোনাস পরিশোধ করার জন্য বিজিএমইএর এক সপ্তাহ সময় লাগার কোন যৌক্তিকতা নেই। এটি আন্দোলনকে নস্যাত করার চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। ঈদের আগের দিন ইফতারের পর থেকেই বাড্ডা এলাকার হোসেন মার্কেটের সপ্তম তলায় আমরণ অনশন শুরু করেন তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানার শ্রমিকেরা। তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম,ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ৫ দিন ধরে আমরণ অনশন করছেন তোবা গ্রুপের ১৬০০ শ্রমিক।

২ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে শ্রমবিকাশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার জন্য গিয়ে ছিলেন নারী নেত্রী ফরিদা আখতার, সীমা দাস সীমু, রোকেয়া বেগম। শ্রমিকদের কষ্ট দেখে সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। তারা তাদের নায্য পাওনা (আরো পড়ুন )


'আমার মাটি, আমার মা, কেড়ে নিতে দেব না'

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা বাগানের শ্রমিকদের ধানি জমি রক্ষার যে আন্দোলন চলছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এই লেখা শুরু করছি। তবে খবরটি কেন জানি মিডিয়ায় একেবারে নীরব হয়ে আছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্রেকিং নিউজের আশায় পথ চেয়ে থাকে, ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যায় দৃশ্য ধারণ করিয়ে দর্শকদের দেখাতে। কিন্তু এর কিছুই দেখলাম না চা শ্রমিকদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে। একটি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার (২০ ডিসেম্বর, ২০১৫) বড় করে ছবি দিয়ে খবর করার কারণে চোখে পড়েছে। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সদ্য ধান কাটা জমিতে নারী ও পুরুষ কৃষকরা বসে আছেন। একটি পোস্টার মাটিতে পুঁতে দেয়া হয়েছে, লেখা আছে 'চান্দপুর চা বাগানের ধান্য জমিতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন হতে দেব না'। আরও দুইটি ছবিতে (আরো পড়ুন )


ক্ষোভ, আশা ও তার জবাব: শ্রমিক আন্দোলনে নারীর শক্তি বিকাশ

থাইল্যান্ডের একটি পুরাতন শহর চিয়াং মাই। প্রাকৃতিক সুন্দর্যের এই শহরের Loykroh সড়কে The Centara Duangtawan Hotel এ ১৮-২১ ডিসেম্বর, ২০১৪ অনুষ্ঠিত হলো Asia pacific Regional workshop on “Women Leading, Women organising” for women trade union organisers. ট্রেড ইউনিয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিই শুধু নয় নেতৃত্বের পর্যায়ে নারীদের অবস্থান দৃঢ় করাও এই কর্মশালার একটি দিক ছিল।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন-বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, ফিজি, শ্রীলংকা, মালেয়াশিয়া ও পাকিস্তান এর প্রতিনিধিবৃন্দ। ২৪ জন অংশগ্রহণকারী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। বিস্কুট ফ্যাক্টরি, প্রিন্ট ফ্যাক্টরি, গৃহ শ্রমিক, গার্মেন্ট শ্রম (আরো পড়ুন )


ইপিজেডে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি না ট্রেড ইউনিয়ন!

ইপিজেডে কর্মরত পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার পেলেন না। সম্প্রতি (১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬), ইপিজেড শ্রমিক সংগঠন আইন, ২০১৬ নামে যে অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা সে আইন অনুযায়ী সংগঠনের নাম হবে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি। এই সমিতির মাধ্যমে মনে করা হচ্ছে মালিক পক্ষের সাথে যৌথ দরকষাকষি এবং ধর্মঘটের অধিকার পাবে শ্রমিকেরা। কিন্তু আসলে কি তাই মিলবে? 

দেশী বিদেশী মিলিয়ে ১০টি রপ্তাতি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা ইপিজেড রয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে কাজ করেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। বাংলাদেশের শ্রম আইনের পরিবর্তে ইপিজেডগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এবং শিল্প সম্পর্ক আইন নামের দুটি পৃথক নির্দেশিকা অনুযায়ী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্ (আরো পড়ুন )