তামাক পরিবেশ ও মানুষের দুশমণ
ফরিদা আখতার || Sunday 29 May 2022 ||বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২২
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। শুরু হয়েছিল ৩৫ বছর আগে; বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে ১৯৮৭ সালে স্বাস্থ্যের নানা ঝুঁকি বিশেষ করে তামাকের কারণে মৃত্যু ও অসুস্থতা রোধে বছরে একটি দিন ধূমপান থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করার মাধ্যমে। দিনটি ঠিক হয়েছিল এপ্রিলের ৭ তারিখ এবং এক বছর সেটা পালনও হয়েছে। অঙ্গীকার ছিল ২৪ ঘণ্টা ধূমপান না করার। কিন্তু ১৯৮৮ সালে আর একটি রেজ্যুলিউশান গ্রহণ করে মে মাসের ৩১ তারিখ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিশেবে পালিত হয়ে আসছে। মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনেও ২৪ ঘণ্টা কোন প্রকার তামাকদ্রব্য ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করা হয়। এপ্রিলের ৭ তারিখ নির্ধারিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিশেবে।
তামাকের প্রসঙ্গ আসলেই তার সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান আমরা প্রথমেই পাই। তার সাথে আরও পাই কি করে তামাক কোম্পানিগুলো সমাজে তাদের আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। কি করে সরকারের নীতি নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করে তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন কঠিন করে রাখছে। তামাক পণ্যের ওপর করারোপ করতে গেলে বাধা দিচ্ছে, আবার কোম্পানি নিজেই সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী হিশেবে পুরুস্কার বাগিয়ে নিচ্ছে। জনগণকে ধোকা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে তামাক কোম্পানি বিশাল অংকের টাকা দিয়ে সরকারের কোষাগার ভরে দিচ্ছে। আসলে কোম্পানি সরকারকে যে টাকা দিচ্ছে সেটা হচ্ছে ভ্যাট, যা ভোক্তার সেবনের কারণে পাওয়া যাচ্ছে। আগামি জুন মাসেই জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন বসবে, এখন থেকে তামাক পণ্যের ওপর করারোপ করা নিয়ে দেনদরবার চলছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) তামাকমুক্ত দিবস নিয়ে ৩৫ বছর আগে ভাবলেও সব সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিতে একটি আন্তর্জাতিক সনদ করতে পেরেছে মাত্র ১৮ বছর আগে, ২০০৪ সালে যা ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশান অন টোবাকো কন্ট্রোল (সংক্ষেপে এফসিটিসি) নামে পরিচিত। এই সনদের আলোকে সদস্য রাষ্ট্র নিজ নিজ দেশে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে। বাংলাদেশ সরকার এই ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন “ধূমপান ও তামাকদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫” প্রণীত হয়েছে যা ২০১৩ সালে একবার সংশোধিত হয়েছে এখন আবার সংশোধনের প্রক্রিয়ায় আছে। আইনকে বাস্তবায়নযোগ্য করে তোলার চেষ্টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক যে হুমকি সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে আর কোন বিতর্ক নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮ সালে্র তথ্য অনুযায়ি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর ১৯% তামাক সেবনের কারণে হয়, সংখ্যায় বছরে গড়ে ১৬১,০০০ জন তামাক সেবনের কারণে মারা যায়। হৃদরোগ সংক্রান্ত মৃত্যুর ২৪% তামাক সেবীদের হয়। এতো অসুস্থতা, এতো অকাল মৃত্যু একটি জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। আমরা কোভিডের মহামারীর সাথে যুদ্ধ করে ঠেকিয়েছি, কিন্তু তামাকের মহামারী চলছেই।
তামাকের কারণে জনস্বাস্থ্যের হুমকি নিয়ে কোন বিতর্ক নেই, তবুও তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২২ এ এই কথা বলতে চাই যে শত আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও সরকার তামাক কোম্পানির কব্জা থেকে বের হতে পারছে না। এর একটি অন্যতম কারণ ব্রিটিস আমেরিকান টবাকো কোম্পানির মতো বড় কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার আছে।
এবছর বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে স্বাস্থ্য নয় পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে "Protect the environment “ অর্থাৎ পরিবেশ রক্ষা করো। তামাক সামাজিক পরিবেশ তো নষ্ট করেই, প্রাকৃতিক পরিবেশও মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে ফেলেছে, এই বিষয়টি এখন নজরে আনা জরুরি মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জলবায়ূ সম্মেলনে (২০২১) কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমানোর কথা উঠেছিল কারণ তামাক একদিকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৮০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়, আবার ৮০ মিলিয়ন (৮ কোটি) টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন করে। তামাক সবচেয়ে বেশি আবর্জনা সৃষ্টিকারী পণ্য। যেখানেই সিগারেট, বিড়ি খাওয়া হয়, সেখানেই তার ছাই এবং শেষাংশটা বা সিগারেটের মোথা আবর্জনা হয়ে থাকে। যেখানে পানের সাথে জর্দা, সাদাপাতা খাওয়া হয়, সেখানে লাল থুথু পরিবেশ নষ্ট করে। গুল ব্যবহার কারীদের ছোট ছোট প্লাস্টিকের কৌটা যেখানে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়, এবং দুর্গন্ধ বের হয়। যেসব কার্যালয় ভবন ধূমপান বা তামাকমুক্ত নয়, সেখানে সিঁড়ির ধাপে বালি দিয়ে একটা পাত্র রাখা হয়, যেন সিগারেটের মোথা (Butt) সেখানেই ফেলা হয়, যদিও ধূমপানকারীদের সেই হুঁশ সব সময় থাকে না। রাস্তাঘাটে, রেলস্টেশনে, বাসস্টান্ডে, সমুদ্রের তীরে , এমনকি হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই সিগারেট বাট পাওয়া যায় আবর্জনা হিশেবে। বাড়ী ঘরে ড্রয়িং রুমে এশট্রে বা ছাইদানি রাখা হোত ধূমপায়ি মেহমানদের সিগারেট আবর্জনা ফেলার জন্যে। অবশ্য এখন তা কমে গেছে। বাস বা গাড়ীতে বসে যারা ধূমপান করেন তারা সিগারেট খাওয়ার পর জানালা দিয়ে শেষাংটুকু বাইরে ফেলে দেন; নৌযানে যারা যান তারা নদীতে ফেলে দেন, রেলের যাত্রীরা চলন্ত অবস্থায় বাইরে ফেলে দিয়ে বসে থাকেন।
সিগারেট বাট বা মোথা দেখতে কাগজের তৈরি মনে হলেও আসলে এটা একধরণের প্লাস্টিক, যা cellulose acetate (সেলুলুজ এসিটেট) জাতীয় প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং এর মধ্যে রয়েছে শতাধিক বিষাক্ত কেমিকাল দ্রব্য। এগুলো মাটিতে মিশে যেতে কমপক্ষে ১০ বছর লাগবে, আর এর মধ্যে যে কেমিকেল রয়েছে তা পরিবেশে আরো অনেক বছর থেকে যাবে। প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন সিগারেট বাটের প্লাস্টিক আবর্জনার শিকার হচ্ছে এই বিশ্ব। বাংলাদেশে প্রতিদিন নিয়মিতভবে ১২ কোটি ৩০ লক্ষ সিগারেট খাওয়া হয়, অর্থাৎ সমপরিমাণ বাট এর আবর্জনা ফেলে দেয়া হয়। প্রতিদিন ৭ কোটি ২০ লক্ষ বিড়ি সেবন করা হয়, যার সমপরিমান মোথা আবর্জনা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, অনেক অগ্নিকান্ডের উৎস হিশেবে পাওয়া যায় সিগারেটের ফেলে দেয়া জ্বলন্ত বাট।
সিগারেটে প্রায় ৭০০০ কেমিকেল আছে যা একদিকে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে অন্যদিকে সিগারেটের বাট মাটি এবং পানিকে দুষিত করে। ক্ষুদ্র কণার প্লাস্টিক ভেঙ্গে গিয়ে কেমিকেলগুলো পরিবেশ দুষিত করে। তামাকের কারণে বিশ্বব্যাপী পানি দুষণের পরিমান হচ্ছে বছর প্রতি ২০ বিলিয়ন টন।
তামাক, ধোঁয়াযুক্ত বা ধোঁয়াবিহীন, যাই হোক না কেন, এর উৎপাদন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রক্রিয়ার মধ্যে ঘটে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে তামাক পাতার চাষ হয়। এই পাতা থেকে তামাকের মূল উপাদান নিকোটিন পাওয়া যায়। দুটি জাত যেমন nicotiana tabacum সিগারেটের জন্য এবং nicotiana rustica জর্দা, গুলসহ বিভিন্ন ধরণের ধোঁয়াবিহীন তামাকের জন্য ব্যবহার হয়। ব্রিটিশ আমেরিকান টবাকো, ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল, জাপান টবাকোসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তামাক কোম্পানি তাদের ব্রান্ডের সিগারেট উৎপাদনের জন্য Flue cured Virginia (nicotiana tabacum) কৃষকদের দিয়ে চাষ করায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে। বাংলাদেশে লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, কুষ্টিয়া সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় ব্যাপকভাবে তামাক চাষ হচ্ছে। এই চাষে যথেচ্ছ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হয়। উবিনীগের গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫৭৫ কেজি ইউরিয়া সার এবং ৪৬৬ কেজি টিএসপি ব্যবহার হয়। চারা থেকে পাতা তোলা পর্যন্ত ১৬ বার কীটনাশক দিতে হয়। এই সময় প্রায় ৪৭ ধরণের কীটনাশক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এই কীটনাশক তামাকের মাঠ বেয়ে আশে পাশের নদী নালা, খালের পানিতে চলে যায় এবং পানি দুষিত হয়। ফলে মাছ মারা যায়, অনেক মাছ পাওয়াই যায় না। এলাকায় গাছ পালা না থাকার কারণে গবাদী পশুর খাদ্যের অভাব ঘটে। গরু-ছাগল তামাক পাতা খায় না।
তামাক চাষ ও বৃক্ষ নিধন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ওপর অতি নির্ভরশীলতা
তামাকের মূল ফসল হচ্ছে এর নিকোটিন ভরা পাতা। এবং সেই পাতা ভালভাবে রোদে কিংবা চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে পোড়াতে হয় বা cure করতে হয়। বিশ্বে তামাক পড়ানো deforestation বা বন উজারের অন্যতম প্রধান কারণ হিশেবে ধরা হয়েছে। তামাক শিল্প বছরে ৬০ কোটি গাছ কেটে ফেলে। ১৯৭০ সাল থেকে ১.৫ বিলিয়ন হেক্টর জমির বন ধ্বংস করা হয়েছে, যা গ্রীণ হাউজ গ্যাস নির্গমনের ২০%। বাংলাদেশে তামাক পাতা পোড়ানোর জন্যে ব্যাপকভাবে গাছ কাটা হয়। কুষ্টিয়া জেলার দুটি উপজেলা দৌলতপুর এবং মিরপুরে এবং মেহেরপুর জেলায় এখন বড় গাছ বলতে কিছু নেই। আগে যেসব বড়, এবং পুরণো গাছ ছিল তা সবই কেটে ফেলা হয়েছে তামাক পোড়ানোর জন্যে। চাষিরা বলেন আগে আমাদের এলাকায় এক গাছে উঠলে ডালপালায় হেঁটে এক দুই কিলোমিটার যেতে পারতাম, এখন গাছ গুলো নতুন এবং ছোট। এর ওপর তো হাঁটা যায় না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে তামাক চাষের জন্যে উপযোগী মনে করা হয়েছে মাতামুহুরী নদীর পারের উর্বর মাটি এবং পাহাড়ের গাছের জন্যে। এখানে তামাক চাষের আগে গাছের অনেক বৈচিত্র্য ছিল তার মধ্যে ফল, কাঠ জাতীয়, ওষুধি গাছসহ সকল ধরণের বৈচিত্র্যপুর্ণ গাছ ছিল। এখন পাহাড় কেটে সাফ করে দেয়া হয়েছে। কোম্পানি কিছু দ্রুত বর্ধন গাছ লাগিয়েছে নিজেদের স্বার্থে, কিন্তু তা পরিবেশ রক্ষায় কোন ভুমিকা রাখবে না। লামা, আলীকদম এলাকায় সরকারি বন থেকে গাছ কাটা হচ্ছে অবাধে। তামাকের পাতা পোড়ানো্র জন্য প্রতি তন্দুরে জন্যে মৌসুমে ২৪০ মন জ্বালানী কাঠের প্রয়োজন হয়, এই কাঠ পেতে গিয়ে ১০০০ – ১২০০ গাছ কাটতে হয়। এর মধ্যে গর্জন, সেগুন, গামারী, কড়ই, জামে আম, জাম কাঠালের মতো সব ধরণের গুরুত্বপুর্ণ গাছ চুল্লির খোরাক হয়ে যায়। এক কেজি তামাক পোড়াতে ১২ কেজি কাঠের প্রয়োজন হয়। বলা হয় যে তামাক পাতা পোড়াতে গিয়ে কাঠের ঘাটতি পড়লে তারা ঘরের খাটের পায়াও খুলে নিয়ে আসে। মহিলারা নিজের কাঁথাও পুড়িয়ে ফেলে। কুষ্টিয়া গাছের সংকটের কারনে আশে পাশের জেলার গাছ কেটে আনা হয়। তাছাড়া পাট কাঠি, ধানের খড় ব্যবহার করা হয়। শুকনা পাতা দিলে প্রতি লোডে ৫ মন পাতা লাগে। যা দিয়ে একটা গরুকে ৭০ দিন খাওয়ানো যেত। এখন কাঠের জ্বালানীর বিকল্প হিশেবে গার্মেন্টের ঝুট কাপড় দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে। এতে চুল্লির মুখ থেকে ঘন ধোঁয়া বের হয় এবং বাতাস দুষিত হয়ে পড়ে।
দুঃখজনক হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা, মাটি ও পানি দুষণ, বন ধ্বংস, কার্বণ নির্গমনে ভুমিকা থাকা সত্ত্বেও কৃষি মন্ত্রণালয় তামাককে অর্থকরী ফসলের মর্যাদা দিয়েছে। চা, পাট, আঁখ, তুলার মতোই তামাককে গণ্য করা হচ্ছে। অথচ তামাকের কোন ভাল ভুমিকাই নাই। তামাক কোম্পানি নিজেই জানে তারা পরিবেশের কত ক্ষতি করছে, তাই তারা গ্রীণওয়াশ করতে চায়। গাছ লাগানো, ওষুধি গাছের নার্সারী, কম্পোস্ট বানানো ইত্যাদী কাজ করে মানুষের চোখে ধুলো দিতে চায়। তামাক চাষ বন্ধ না করে ওপরে প্রলেপ দেয়া হচ্ছে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকেরও পরিবেশ ক্ষতি কম নয়। প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ জর্দা, সাদাপাতা সেবন করেন, তাদের ৯১% প্রতিদিন খায়। দৈনিক গড়ে ৮ বার পান-জর্দা খেলে প্রায় ১৬ কোটি ২ লক্ষ বার প্রতিদিন সেবন হয়। এর মাধ্যমে খালি কৌটা ফেলে দেয়া, থুথু ফেলা সহ বিভিন্ন আবর্জনা সৃষ্টি হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭ ড্রাফট হয়ে বসে আছে কিন্তু এই নীতি পাশ করানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অথচ এই নীতিমালা হলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সামাজিক সব ধরণের সমস্যা নিয়ে কাজ করা যেতো। তামাক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব কিছুর দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আরও বেশি সরাসরি দায়িত্ব নেয়ার সময় হয়ে গেছে, নইলে মানুষ, প্রাণ প্রকৃতি কিছুই বাঁচবে না। তামাক নিয়ন্ত্রণ একটী মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, এটা বহুমাত্রিক। অনেক মন্ত্রণলয়কেই এগয়ে আসতে হবে।