বাজেটে কৃষি ও কৃষিমন্ত্রীর 'বিজ্ঞান' খাওয়া
ফরিদা আখতার || Monday 30 June 2014 ||অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫ জুন দশম জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এ বাজেটে অন্যসব খাতের মতো কৃষি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৭.৬ শতাংশ। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এতে সন্তুষ্ট। বাজেটের পর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রীর পাশের আসনে বেশ সন্তুষ্ট মনেই বসেছিলেন এবং বলেছেন তিনি যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন, যা স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রীরা পাননি।
আমরা যারা কৃষকের সঙ্গে কাজ করি তারা বাজেট বক্তৃতা বিস্তারিত পড়ে হতাশ হয়েছি, কারণ এ বাজেট আসলে কৃষকের জন্য নয়, বিজ্ঞানীদের জন্য। তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়, কারণ কৃষিতে বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণ কৃষকের অনুকূলে হতে পারে। কিন্তু বাজেটে যে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে উভয়ই বিতর্কিত। বাজেটের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে জৈবপ্রযুক্তি ও জেনেটিক প্রকৌশলের উদ্ভাবন ও ব্যবহার, কৃষি গবেষণা ও কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার কথা। এগুলোর সঙ্গে কৃষকের স্বার্থের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, সেটা সন্দেহ। এতে উপকৃত হবে বহুজাতিক কোম্পানি ও ব্যবসায়ী শ্রেণী। বাজেটের অনুমান হচ্ছে, বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজি কোম্পানি আর ব্যবসায়ীরাই খাদ্য উৎপাদন করবে। কৃষকের আর দরকার নেই। বাংলাদেশের সরকার আদৌ কৃষক থাকুক চায় কিনা- সেটাই সন্দেহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। উন্নত বিশ্বে এখন যে কৃষি আছে তা বড় বড় কোম্পানি-নির্ভর, কৃষকের সংখ্যা মাত্র ২ থেকে ১০ শতাংশ। অনেক দেশে কৃষক নামক কোনো ক্যাটাগরিও আর নেই। আমাদের দেশে সেটা কমপক্ষে ৭০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার মাত্র দুই শতাংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত, কিন্তু তারাও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুড প্রোডাকশন করছেন। তাদের বাংলাদেশে আমরা 'কৃষক' বলতে যা বুঝি, সেই ধরনের কৃষক বলা যায় না। কাজেই যে দেশে কমপক্ষে ৭০ ভাগ মানুষ কৃষক সেই দেশে কৃষক-নাই দেশের মডেল প্রয়োগ করা আত্মঘাতী পথ। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার এসব নিয়ে ভেবেছেন কিনা সন্দেহ। তাই কৃষি বাজেট আসলে বাংলাদেশের কৃষককে লুপ্ত প্রায় প্রাণীতে পরিণত করার দিকে ঠেলে দেয়ার পরিকল্পনা বলা যায়।
বাজেট বাস্তবায়নে কৃষিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংসহ তথাকথিত আধুনিক ও উন্নত বীজের আনাগোনা বাড়বে। মনে হচ্ছে, সরকার সে বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী। ২২ জুন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী রেডিসন বস্নু হোটেলের বলরুম অনুষ্ঠিত 'ভিশন ২০৩০ : ফ্রেমওয়ার্ক ফর ইকোনমিক পলিসি মেকিং অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ফরমুলেশন ইন এ প্লুরালিস্টিক ডেমোক্রেসি' শীর্ষক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন 'কৃষির উন্নতি' শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, 'আমরা ফসল নয়, বিজ্ঞান খাচ্ছি। বিজ্ঞান ব্যবহার করে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা যদি ফসলের উন্নত জাত আবিষ্কার না করতেন তাহলে এ দেশের দুর্ভিক্ষ কেউ ঠেকাতে পারত না।' (আলোকিত বাংলাদেশ, ২২ জুন ২০১৪)।
বাংলাদেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধানের উৎপাদন বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে কিনা- সেটা বিতর্কিত বিষয়। সেই বৃদ্ধি সর্বক্ষেত্রে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য হয়নি। যেসব জমি কৃষির আওতায় ছিল না সেইসব জমি কৃষির অধীনে আনা এবং প্রাণ ও পরিবেশের ক্ষতি করে সার, কীটনাশক ও মাটির তলার পানি ব্যবহার করে সাময়িক সময়ের জন্য ফলন বাড়ানো হয়েছে। এগুলো এখন সবারই জানা যে, আধুনিক কৃষিতে শুরুর দিকে ফসল ভালো হলেও দ্রুতই তা মন্থর ও পড়তির দিকে হেলে। অর্থমন্ত্রী আর কৃষিমন্ত্রীর এ হিসাবও নেয়া উচিত যে, কীটনাশক আর মাটির তলা থেকে পানি তোলার বিষে কত লাখ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। ধানের যে ফলন বেড়েছে তার পরিণতি খাদ্যে আর্সেনিকের পরিমাণ বৃদ্ধি। বাংলাদেশ আর্সেনিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত একটি দেশ। শুধু স্বাস্থ্যের দিক থেকে নয়, আমরা যা উৎপাদন করি সেই ধানের মধ্যেও এখন আর্সেনিক পাওয়া যাচ্ছে।
পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিজ্ঞানের ওপর কৃষিমন্ত্রীর আস্থা খুব বেশি, কিন্তু একজন কৃষিমন্ত্রী হিসেবে তার আস্থা থাকার কথা কৃষকের জ্ঞান, তাদের অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রমের প্রতি। নিদেনপক্ষে সেই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের প্রতি যারা বিজ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করেন, কোম্পানির দাসত্ব করার জন্য নয়। কৃষকরাই হাজার বছর ধরে আমাদের খাদ্যের জোগান দিয়েছেন এবং এখনও দিচ্ছেন। কৃষকের উৎপাদন কম হওয়ার কারণে কোনো দিন কোনো দেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি। হয়েছে ব্যবসায়ীদের কারণে, রাজনীতির কারণে। তারা অতি লাভের জন্য খাদ্য মজুদ করে রেখে দিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেছে, দুর্ভিক্ষ হয়েছে। কোনো কোনো সময় খরা বা প্লাবন খাদ্য উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটিয়েছে। কিন্তু কৃষকই তা সামলে উঠতে সহায়তা করেছে। ব্যবসায়ীরা নয়। এর নানা উদাহরণ আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখেছি এবং অন্যান্য দেশেও দেখেছি। কৃষি উৎপাদন কৃষকের অধীনে থাকলে মানুষ তবুও খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে। কারণ কৃষি শুধু কৃষকের কাছেই খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্র, আর সেই একই কৃষি কোম্পানির কাছে খাদ্য উৎপাদন নয় বরং মুনাফা কামাবার জায়গা। বিষ চাষ করেও যদি মুনাফা কামানো যায় কোম্পানি তাই করবে। অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী কৃষিকে মুনাফার ক্ষেত্র বানিয়ে আশা করছেন-এতে খাদ্যের জোগান হবে। এ আকাশ-কুসুম চিন্তার কারণে যদি খাদ্য উৎপাদন কৃষকের হাতের বাইরে চলে যায়, তাহলে বাংলাদেশের পরিণতি হবে ভয়াবহ।
বাজেটে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বিশেষ বরাদ্দ এবং একইসঙ্গে 'আমরা ফসল নয়, বিজ্ঞান খাচ্ছি' কৃষিমন্ত্রীর এ মন্তব্যের একটা যোগসূত্র আছে। তাহলে কি কৃষি এখন জৈবপ্রযুক্তি বা জেনেটিক কারিগরির ওপর নির্ভরশীল হতে যাচ্ছে? যদি তাই হয়, তাহলে এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে এজিএম ও উদ্ভাবনকারী কোম্পানির হাতে। যেমন মনসান্তো, সিনজেন্তা, ডু-পন্ট ইত্যাদি। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের হাতে নয়। তারা এখন বাংলাদেশের কৃষকদের হাজার বছরের উদ্ভাবিত বীজ ব্যাংক যেমন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে রাখা বীজ নিয়ে নিজেরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে এর মালিকানা নিয়ে নিচ্ছে কখনও প্রকাশ্যে কখনও অতি গোপনে। বীজের ওপর একচ্ছত্র মালিকানা কায়েম করে পুরো দেশকে জিম্মি করার পথ এটা। সরকার কিংবা নির্দিষ্টভাবে কৃষি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সরাসরি কোনো খোঁজখবরও রাখছে কি? বরং কৃষিমন্ত্রীর কথা শুনে মনে হচ্ছে, এটাই বুঝি তারা চান। তাদের হয়তো ধারণা, কয়েকজন বিজ্ঞানীকে এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রেখে এ কারিগরি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন বলে তারা আসল সত্য গোপন রাখতে চান। কোম্পানি যেন কোনো উদ্ভাবন বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি হতে না পারে তার জন্য আগেভাগেই চুক্তি করে নিয়ে সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়। এ ঘটনা জেনেটিক্যালি মডিফাইড বিটি বেগুনের গবেষণার ক্ষেত্রে ঘটে গেছে। এ বেগুনের গবেষণা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ২০০৫ সালে সাতগুরু চুক্তি নামে এক চুক্তি করে ৯টি স্থানীয় জাতের বেগুনের মালিকানা নিয়েছে মনসান্তো-মাহিকো। এখানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) ভূমিকা শুধু সাব-লাইসেন্সি হিসেবে। সে কোম্পানির হয়ে গবেষণা কাজ করে দেবে মাত্র। ভাগ্যের এমনই পরিহাস যে, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে এবং কৃষকদের অধিকারহরণকারী এমন চুক্তি করেছে বিএনপি সরকার আর বাস্তবায়ন করছে বিএনপির চরম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, 'সরকার পরিবর্তনে বিজ্ঞানীরা অসহায় বোধ করেন' কথাটি আদৌ সত্যি নয়, এখানে তো দেখছি বিএনপি-আওয়ামী লীগের সখ্য ভালোই প্রমাণিত হচ্ছে। সব সরকারের সময় কৃষিমন্ত্রীদের বিজ্ঞানপ্রেম বেশ চমৎকার। কৌতুককর ব্যাপার মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে উদারতা দেখানো হচ্ছে, তা কোনোভাবেই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তার আলামত বিটি বেগুনের অভিজ্ঞতাতে আমরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছি। জেনেটিক্যালি মডিফাইড একটি খাদ্য ফসল বিটি বেগুন চাষের অনুমোদন নিয়ে অন্য খাদ্য ফসলেও কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ দ্রুত কায়েম হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানি তার কাজের অংশীদার হিসেবে একদিকে সরকারকে নিচ্ছে, অন্যদিকে তারা প্রাইভেট বীজ ব্যবসায়ীদেরও সম্পৃক্ত করে রাখছে। সরকারের সঙ্গে কাজ করে তাদের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে 'বৈধতা' অর্জন করে তারা বেসরকারি বীজ ব্যবসায়ীদের দিয়ে কাজ করবে। এটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। অর্থমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী এটা বোঝেন না তা নয়, ভালোই বোঝেন। কিন্তু এটাই তারা করছেন।
আধুনিক কৃষিতে আমরা দেখি, সেটা সার-কীটনাশক-সেচ এবং উচ্চ ও হাইব্রিড বীজের ব্যবসানির্ভর। অর্থাৎ কৃষক নয়, সার-কীটনাশক-সেচ এবং উচ্চ ও হাইব্রিড বীজের ব্যবসায়ীরাই সরকারের ভর্তুকির সুবিধা ভোগ করেন। এর মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ার যে হিসাব তার পেছনে ক্ষতির দিকগুলো হিসাব করা হয়নি, যা হারিয়েছি তার হিসাব নেই। মানুষের খাদ্য মানে কয়েকটি মাত্র খাদ্য, গরিবের খাদ্য দিনে দিনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। ধনী ও মধ্যবিত্তরা একদিকে বিষমাখা খাদ্য খাচ্ছে, অন্যদিকে অসুস্থ হচ্ছে। কৃষকের দরকার ছিল তার ফসলের বাজারজাতকরণ এবং সংরক্ষণের সুবিধার জন্য সাহায্য। সেটা কোনো বাজেটে আমরা বরাদ্দ দেখি না। কৃষকের দরকার ছিল দেশের বিভিন্ন ভৌগোলিক এলাকাভেদে যেসব ফসলের বৈচিত্র্য আছে, তা রক্ষার জন্য সরকারের সহযোগিতা। এখনও বাজারে সেসব ফসলের কদর বেশি অথচ পরিবহনের সুবিধা নেই বলে সেসব ফসল বাড়তি উৎপাদন হলেও এলাকায়ই পচে যায়, কৃষকের ক্ষতি হয়। অথচ সামান্য পরিবহন সুবিধা পেলেই সারা দেশের মানুষ এক এলাকার ফসল অন্য এলাকায় পেত।
সারা বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞান ব্যবহার করেই। উন্নত বিশ্ব আমাদের আর খাদ্য দিয়ে সাহায্য করবে না। তারা তাদের অতিরিক্ত খাদ্য দিয়ে জ্বালানি তৈরি করছে। কৃষিমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, 'উন্নত বিশ্ব আমাদের আর খাদ্য দিয়ে সাহায্য করবে না। তারা তাদের অতিরিক্ত খাদ্য দিয়ে জ্বালানি তৈরি করছে' এবং সেটাও করা হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে সয়াবিন, ভুট্টা ইত্যাদি থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি করে। মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে গাড়ির জন্য জ্বালানি উৎপাদন করা বেশি লাভজনক, তাই তারা খাদ্য ফসল দিয়েই গাড়ির জ্বালানি তৈরিতে কোনো নৈতিক বাধ্যবাধকতা বোধ করেন না। তাদের চাই মুনাফা, সেটা যেখান থেকে আসবে, সেটাই তারা করবে।
বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানিনির্ভর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য পথ খুলে দিলে এখানে খাদ্যের জমি জ্বালানি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার হবে না- এমন কোনো গ্যারান্টি নেই। খাদ্য উৎপদন না করে আমরা তো বিষাক্ত তামাক উৎপাদন করি তামাক কোম্পানির মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য। ফলে বাংলাদেশের কৃষি জমি খাদ্য নয়, গাড়ির জ্বালানি উৎপাদনে ব্যবহার হবে না আমরা বলতে পারি না। অর্থকরী ফসল হিসেবে তামাক চাষ খাদ্যের জমিতে করার অনুমতি দিয়ে এখন তামাক চাষ খাদ্যের জমি গ্রাস করে ফেলছে, তারা এক এলাকায় মাটি নষ্ট করে অন্য এলাকায় ছুটছে, আর আমাদের খাদ্য সঙ্কট তৈরি করছে। জিএম ফসল এ দেশের সোনার মাটিতে ঢুকে আমাদের স্থানীয় ফসলকে গ্রাস করবে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। সর্বোপরি বায়োলজিক্যাল পলিউশন বা প্রাণের গঠনকেই দূষিত করে ফেলতে পারে। এ আশঙ্কা ভারত, ফিলিপাইন, মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকেই আসছে।
বোকায় ঠেকে শেখে, আর বুদ্ধিমানরা শেখে দেখে। আমাদের দেখে শেখার সুযোগ থাকতে বোকার পথ বেছে নেব কেন?