নিষ্ঠুর রাজনীতি ও বার্ন ইউনিট
ফরিদা আখতার || Tuesday 10 February 2015 ||ফটোসাংবাদিক নাম দিয়ে অনেকেই বার্ন ইউনিটে ঢুকে যথেচ্ছ রোগীর ছবি তুলছে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এখন রাজনীতির নিষ্ঠুরতার এক জ্বলন্ত প্রতীক। ৩৫ দিনের ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ ও হরতালের মধ্যে নানা ঘটনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পেট্রলবোমায় পুড়ে মারা যাওয়া। প্রায় ৭০ জন মারা গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, এখনও ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৬৩ জন, যাদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা বাঁচলেও পঙ্গুত্বের শিকার হতে হবে। তাদের মধ্যে আছেন বাস, ট্রাকের ড্রাইভার, হেলপার এবং যাত্রীরা। অর্থাৎ যারা এ অবরোধে সড়ক পরিবহন ব্যবহার করেছেন তারাই আক্রান্ত হয়েছেন। অবরোধের সমর্থক হলেও এভাবে পুড়ে মারা কেউ সমর্থন করতে পারে না। অন্যদিকে সরকার সবকিছু ঠিক আছে প্রমাণ করার জন্য রাতে র্যামব, বিজিবির পাহারা দিয়ে যানবাহন নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি। সে পাহারা অবস্থায় বড় বড় দুটি পেট্রলবোমার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা ও গাইবান্ধায় এবং একসঙ্গে অনেক মানুষ পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। যারা বেঁচে গেছে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও অনেকেই চিকিৎসারত আছেন। আমরা জানি না, তাদের কী হবে? তবে তাদের আক্রমণ করে এবং তাদের দেখিয়ে যে রাজনীতি হচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তবে আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) একটি খবর দেখে ভালো লাগল, তা হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সড়ক-মহাসড়কে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাত ৯টার পর যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে, তবে পণ্যবাহী বাস চলাচল অব্যাহত থাকবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে বাসযাত্রী ও ড্রাইভার-হেলপারের জীবনের ঝুঁকি কমলেও পণ্যবাহী পরিবহনের পণ্য ও ড্রাইভার-হেলপারের জীবনের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়ে বলতে চাই, কুমিল্লা ও গাইবান্ধার দুটি ঘটনার দায়িত্ব সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের জেরে হয়েছে। তারা বিজিবি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর দায়িত্ব তাদের নিতেই হবে। পণ্যবাহী পরিবহনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি এখনও রয়ে গেছে। পণ্যবাহী পরিবহন চালাতেও ড্রাইভার ও হেলপার লাগে। তাদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয় কি নেই?
তবুও রাতে যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যসেবার ভাষায় 'প্রতিরোধমূলক' (preventive)। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে ভালো হতো। সুস্থ মানুষ পুড়ে গিয়ে রোগী হয়ে বার্ন ইউনিটে আসবে এবং তার সেবার জন্য হাজার ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের প্রথম চেষ্টা হওয়া উচিত আগুনের হাত থেকে বাঁচানোর সেই দায়িত্ব বার্ন ইউনিটের নয়, সরকার এবং রাজনৈতিক দলের। বিশেষ করে এই পুড়ে যাওয়ার ঘটনা যদি রাজনৈতিক কারণে ঘটে তাহলে সংশ্লিষ্ট যারা তাদের পোড়ানোর খেলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। সরকারের দিক থেকে বার্ন ইউনিটে রোগী বেড়ে যাওয়া তাদের ব্যর্থতারই পরিচয় বহন করে। বলা বাহুল্য, সহিংসতা রোধের কোনো ধরনের চেষ্টা এতদিন আমরা দেখিনি, বরং উসকানিমূলক রাজনৈতিক কথাবার্তাই বেশি হয়েছে। তাই পুড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
পত্রিকায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো করে রঙিন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে 'পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক করণীয়।' (যুগান্তর, ১০ ফেব্রুয়ারি)। এখানে গায়ে আগুন লাগলে কী কী করতে হবে এবং কোথায় যেতে হবে তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা মানুষ এমনিতেই জানে। আগুন লাগলে কাছের যে কোনো সরকারি হাসপাতালেই তারা যায়, চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কিনা সেটা ভেবে দেখার বা বোঝার সময় বা অবস্থা তাদের থাকে না। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পড়ে যারা পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ছেন তাদের জন্য এ বিজ্ঞাপন কতটুকু কাজে লাগবে তা আমার বোধগম্য নয়।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পেতে হলে ঢাকাতেই আসতে হবে। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার ভালো ব্যবস্থা একমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটেই আছে। আমার যতদূর মনে পড়ে, এ বার্ন ইউনিটের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল নারী নির্যাতনের ঘটনা থেকে। এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশনের হিসাবে ২০০০ সালে ২৩৪ এবং ২০০১ সালে ৩৪৯ জন (যার অধিকাংশই নারী) এসিড সন্ত্রাসের শিকার হন। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট করার কারণে এসিডদগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হলেও এসিড সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি, এর বিরুদ্ধে আইন করে সাজার ব্যবস্থা, এসিড বিক্রির ওপর নিয়ন্ত্রণ করার কারণেই ২০০৭ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৯২ জনে। তবুও একেবারে বন্ধ হয়নি, কারণ এর পেছনে যে সামাজিক কারণ রয়েছে তা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সমস্যার মূলে হাত না দিলে তা শুধু চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেই হয় না। রাজনীতির ব্যাপারেও একই নীতি কাজ করবে। সমাধান বার্ন ইউনিটে নয়, রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে।
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০০৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন নতুন ভবনে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট বার্ন ইউনিট প্রকল্প নেয়া হয়, ২০১২ সালে শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ করা হয়। বর্তমানে এর সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ছয়টি অপারেশন থিয়েটার, চারটি সাধারণ ওটি এবং একটি ইমার্জেন্সি ওটি আছে। আরও আছে ১০ শয্যার আইসিইউ, ২০ শয্যার এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) ও ১০ শয্যার অবজারবেশন ওয়ার্ড। সেদিক থেকে দেখলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিট মোটামুটিভাবে সক্ষম সাধারণ অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ জানুয়ারি মাসে একসঙ্গে এত রোগী আসার কারণে মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট হিমশিম খাচ্ছে। বেডের অভাবে বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বার্ন ইউনিটে এত রোগী আসার তো কথা নয়।
স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষ থেকে পত্রপত্রিকার তথ্য সঙ্কলন করে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে দেশের আর কোথাও আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে কিনা। কারণ আগুনে পোড়ার ঘটনা সারা দেশেই ঘটছে। জানা গেছে, ঢাকাসহ সারা দেশে আরও ১৩টি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট থাকলেও সেগুলোতে দক্ষ জনবল ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্কট রয়েছে। হাসপাতাল থাকাই যথেষ্ট নয়, পোড়া রোগী চিকিৎসার জন্য জনবল লাগে, তাই অনেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিট থাকা সত্ত্বেও পোড়া রোগীদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা দিতে পারছে না। গুরুতর রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কাছের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটেই স্থানান্তর করা হয়। এতে স্থানান্তরকালীন রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ১৩টি বার্ন ইউনিট হলো- রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ে কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রংপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, খুলনা, বগুড়া ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দক্ষ জনবল দিয়ে চালু হলেও পরবর্তী সময়ে জনবল সঙ্কটের কারণে কিছুদিন পর দিনাজপুর, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহের বার্ন ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোড়া রোগীদের জন্য বার্ন ইউনিট চালু হলেও প্রচারের অভাবে সেখানে রোগী কমে যায়। হরতাল-অবরোধে পোড়া রোগীদের জন্য পাঁচটি শয্যা আলাদা রাখা হলেও সেখানে কোনো রোগী যায়নি। ঢাকার বাইরের যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় ময়মনসিংহের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সিদ্দিকুর রহমান, কুমিল্লার ট্রাকচালক পিয়ার আহম্মেদ, রাজশাহীর ট্রাকচালক সিদ্দিক, বগুড়ার সাজু, সিলেটের ট্রাকচালক বকুল দেবনাথ, উলিপুর কাশিমবাজার এলাকার তছিরন বেগম ও সুন্দরগঞ্জ এলাকার মিনারা বেগমকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। রংপুরের মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ মনোয়ারা বেগমকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জানুয়ারি মনোয়ারার মৃত্যু হয়।
সরকারি হাসপাতাল ছাড়া পোড়া রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য নতুন করে একটি বার্ন ইউনিট চালু করেছে।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স ও ওয়ার্ডবয় দরকার। দেখা গেছে, পোড়া রোগীদের ব্যান্ডেজ করা ও ব্যান্ডেজ খোলার সময় আধুনিক ব্যবস্থা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় নার্স ও ওয়ার্ডবয়রা ব্যান্ডেজ খুলতে গিয়ে চামড়ার সঙ্গে কখনও কখনও মাংস উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া কর্মীস্বল্পতার কারণে একসঙ্গে অনেক রোগী দেখতে হয় এবং তাদের তাড়াহুড়া করে কাজ করতে হয়। তবে অতিরিক্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় বার্ন ইউনিটে নতুন করে আরও ডাক্তার ও নার্স আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এখন প্রশিক্ষিত নার্স দ্বারা ব্যান্ডেজ করা হচ্ছে এবং খোলা হচ্ছে।
বার্ন ইউনিট সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ অর্থ বার্ন ইউনিটের উন্নয়নে ৩টি বার্ন ট্যাঙ্ক স্থাপন, ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুটের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ইউনিট স্থাপন এবং জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী কিনতে ব্যয় করা হবে। এ পদক্ষেপ জরুরি, তবে স্বাস্থ্যসেবার ভাষায় এগুলো হচ্ছে প্রতিষেধক বা Curative। পুড়ে যাওয়া রোগ নয়, এটা সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট অসুস্থতা। এর জন্য দরকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
এখন এ রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগের চেয়ে বার্ন ইউনিটের কথাই বেশি শোনা যায়। যারা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে কিংবা পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হচ্ছে, তাদের চিকিৎসার কোনো হিসাব আমরা পাচ্ছি না। একটি দিকে বেশি নজর দিতে গিয়ে আরেকটি দিক অবহেলার শিকার হচ্ছে বলে মনে হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী জোটের অবরোধ-হরতাল সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় এবং টেলিভিশনের খবর দেখে যে কোনো মানুষ অাঁতকে ওঠে। তাই ফটোসাংবাদিক নাম দিয়ে অনেকেই বার্ন ইউনিটের এইচডিইউতে ঢুকে রোগীকে দিয়ে ছবি তোলাচ্ছে। বেচারা রোগী জানছেও না কেন এ কাজ করা হচ্ছে। একটি ভিডিও টিম ঢুকে নায়িকার চোখে গি্লসারিন দিয়ে শুটিং করে বসল! উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই অবরোধের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে এ আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দেয়া। কেউ ভালো চোখে দেখেনি এমন নিষ্ঠুর আচরণ।
সরকার দেখাতে চায় এসব কিছুই করছে অবরোধকারীরা। কাজেই তাদের এটা কোনো আন্দোলন নয়, সন্ত্রাস! তারা দানব, তাদের সঙ্গে আলোচনার দরকার নেই। তাদের শুধুই দমন করা দরকার। এ মনোভাব পাকাভাবে তুলে ধরতে গিয়ে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বেফাঁস কথা বলে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব নাশকতা বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ এ পেট্রলবোমার আক্রমণ থাকবে না। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে এই বলে যে, তাহলে আওয়ামী লীগ নিজেই জানে এ নাশকতা কে করছে। আবার বিএনপির দিক থেকেও ঠিকভাবে দায় নেয়া বা না নেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয় না। যেমন-তারা বলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকলে এমন নাশকতা হবে। তাহলে কি রাজনৈতিক দলগুলো মানুষ পোড়াবে একে অপরকে দোষারোপ করার জন্য? আর পুড়বে সাধারণ মানুষ?
রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিকভাবে সমাধান করুন।