প্রাণবৈচিত্র চাই, জিএমও চাই না:` ২০১৫ সালে নারী দিবসের ডাক
নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা || Saturday 07 March 2015 ||নারী দিবস ২০১৫: বাংলাদেশ ও ভারতের নারীদের যৌথ আহ্বান
আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ৮ মার্চ, ২০১৫ উপলক্ষে প্রাণ, পরিবেশ, প্রাণ বৈচিত্র, খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে যে সকল নেতৃস্থানীয় নারী ও সংগঠন বাংলাদেশে ও ভারতে কাজ করছে তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন বন্দনা শিবা, ফরিদা আখতার, মীরা শিবা প্রমুখ। যেখানে বিশ্বব্যাপী প্রাণের ওপর দখলদারি চলছে এবং খাদ্য ব্যবস্থা অল্প কিছু কর্পোরেশানের হাতে চলে গিয়েছে সেই ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন অবশ্যই প্রাণের সুরক্ষা ও বৈচিত্র নিশ্চিত করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েছে। যে ক্ষমতা ঐতিহ্যগত ভাবে নারীর ছিল তা চলে যাচ্ছে অল্পকিছু বহুজাতিক কম্পানির হাতে। একে অবিলম্বে রুখে দিতে হবে। তাঁরা দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ডাক দিয়েছেন। এই অবস্থায় বিমূর্ত ভাবে নারীর ক্ষমতায়নের কথা না বলে নারী বাস্তব জীবনে যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে সেই চ্যালেঞ্জের কথাই বলতে হবে।
তাঁরা বলেছেন, আমরা নারী, ভবিষ্যতের খাদ্য ও পুষ্টির বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী হবে তা নারীদেরই নির্ণয় করে দিতে হবে। নারীরা সেটা করবেন প্রাণবৈচিত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং নারীদের জ্ঞানচর্চায় প্রাণবৈচিত্রের প্রজ্ঞা ধারণের মধ্য দিয়ে, কারণ হাজার বছর ধরে আমরা মেয়েরাই তা কৃষি, খাদয় ও পুষ্টির নিশ্চ্যতা বিধান করেছি। আমাদের হারিয়ে যাওয়া বীজ ও খাদ্যের ওপর দখল ও নিয়ন্ত্রণ সকলের স্বার্থে আমরা অবশ্যই আবার আমাদের হাতে ফিরিয়ে আনবো।
নারী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজ নিজ সংস্কৃতির ইতিহাস, বিভিন্নতা ও বৈচিত্র নিয়েই গড়ে ওঠে। সেই বৈচিত্রের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাঁরা বলেছেন, সেই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের দিক্টি হচ্ছে তাঁদের সংকল্প যে বিদ্যমান চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গীর ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই বিশাল পরিবর্তন ঘটিয়ে ছাড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তারা বলেছেন নারীরা পরিবর্তন ঘটাবে একাট্টা ফসল থেকে বৈচিত্রময় ফসলের উৎপাদনে, রাসায়নিকপদ্ধতি থেকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষে, বিজ্ঞানের নামে প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি থেকে পরিবেশ নির্ভর পদ্ধতিতে এবং কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে নিজেদের খাদ্যে সার্বভৌমত্ব কায়েমে। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়ে কোম্পানি যে সব জিএম ফসল আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে – যেমন, গোল্ডেন রাইস, বিটি বেগুন ও জিএম কলা -- এসবের বিপরীতে নারীরা পরিবেশ নির্ভর ফসল উৎপাদন করবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের নারীদের যৌথ বিবৃতিটি নীচে পেশ করা হোল:
প্রাণবৈচিত্র্য নাকি জিএমও? পুষ্টিকর খাদ্য ভবিষ্যতে নারীর হাতে থাকবে, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে নয়
ইতিহাসের শুরু থেকেই নারীরাই খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দিয়ে এসেছেন। কিন্তু আজ এই খাদ্য নারীর হাত থেকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে এবং কোম্পানি দ্বারা বিষাক্ত খাদ্যেও যোগান দেয়া হচ্ছে। এককাট্টা ও শিল্প পণ্যের মতো উৎপাদিত খাদ্য থেকে স্বাদ, খাদ্য গুণ ও পুষ্টি হারিয়ে গেছে। ফলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ভারতে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন ক্ষুধার্থ থাকছে এবং ২০১১ সালে এক বছরেই ১০ লক্ষ ভারতীয় নাগরিক শুধু ডায়বেটিসের কারণে মৃত্যু বরণ করেছে। বাংলাদেশে শতকরা ২৫.৬ ভাগ মানুষ খাদ্য ঘাটতিতে ভুগছে এবং ৭৬% মানুষ দিনে তিন বেলা খেতে পারে না। প্রায় ৫৩.৩% পরিবার তাদের দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে বল পায় না। বিশ্বব্যাপী রোগ বাড়ছে, কারণ আমাদের খাদ্য পুষ্টি বিহীন ও বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে।
প্রহসন হোল যারা নিজেরাই খাদ্য গুণ ও পুষ্টিহীনতার সমস্যা তৈরি করেছে এখন সেই কোম্পানিগুলোই আবার অভিনব সমাধান দিচ্ছে, সেটা হচ্ছে বিকৃত বীজে তৈরি জেনেটিকালী মডিফাইড খাদ্য বা জিএমও। এখন তারা আমাদেও গোল্ডেন রাইস, বিটি বেগুন এবং জিএম কলা প্রবর্তন করে দাবী করছে যে তারা দয়া করে আমাদের গরিব দেশগুলোর ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতা দূর করবে। এই সব দাবী মিথ্যা ও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদেও দেশের স্থানীয় খাদ্য ফসল যা উৎপাদনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আমাদের কৃষক এবং বিশেষ করে নারীদের রয়েছে তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল খাদ্য উৎপাদনের চেয়ে অনেক বেশী পুষ্টিকর এবং খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ্। যেমন গোল্ডেন রাইস ভিটামিন-এ দেবার ক্ষেত্রে সাধারণ প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর খাদ্যের তুলনায় ৩৫০% কম কার্যকর। নারীরা নিজেদের ঘরের আঙ্গিনায় এর চেয়ে অনেক বেশী কার্যকর ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ শাক-সব্জি, ফল-মূল উৎপাদন করতে পারেন। জিএমও ‘লোহা সমৃদ্ধ’ কলার মধ্যে যা আয়রন থাকে তা হলুদের চেয়ে ৩০০০ গুন এবং আমচুরের চেয়ে ২০০০ গুণ কম আয়রন সরবরাহ করতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশে মনসান্তো-মাহিকো কোম্পানি এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বারি) সাধারণ মানুষের অতি প্রিয় ৯টি বেগুনের জাতকে জেনেটিকালী মডিফাইড বেগুনে পরিণত করে নাম দিয়েছে বিটি বেগুন। দেশি জাতের বেগুনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত হয় কিন্তু এখন বিটি বেগুন প্রবর্তনের ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় শত শত জাতের বেগুন দূষণে সংক্রমিত হতে পারে। বেগুনের বৈচিত্র হারিয়ে যেতে পারে। এর ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কোম্পানির মুনাফার স্বার্থে কৃষকদের বিটিবেগুন উৎপাদনে বাধ্য করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস নামক জিএম ধান বিআর ২৯ ধানের মধ্যে প্রথমে ডেফোডিল ফুলের জিন ঢুকিয়ে এবং পরে ভুট্টার জিন ঢুকিয়ে গত দশ বছর ধরে গবেষণা করা হচ্ছে এবং এখন তা কৃষকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই প্রবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পর্যন্ত গোল্ডেন রাইসের ফলে আমাদের কি উপকার হবে তার কোন নজির উপস্থাপন প্রবর্তকরা করতে পারেনি।
শুধু তাই নয়,জিএমও ফসলের প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিকে শিল্পভিত্তিক খাদ্য উৎপাদনে পরিবর্তন করে আমাদের মাটিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, পানির উৎস নষ্ট করা হচ্ছে, গ্রীন হাউস গ্যাস বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ইত্যাদি। কৃষিতে রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষকরা ঋণগ্রস্ত হচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করছে। কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত একাট্টা খাদ্য ফসলের উৎপাদন আমাদের বৈচিত্রময় ফসল কমিয়ে দিচ্ছে যা আমাদের হাজার বছর ধরে খাদ্যের যোগান দিয়ে আসছিল। জিএম ফসলের কারণে উপকারী প্রাণী যেমন মৌমাছি, প্রজাপতি প্রতিবছর ৩০% মরে যাচ্ছে। জিএম ফসল ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার কমায় না, বরং গাছ নিজেই বিষাক্ত হয়ে গিয়ে অন্য সকল উপকারী প্রাণ ধ্বংস করে দেয়।
জিএম ফসল কোম্পানির পেটেন্ট করা ফসল। এই ফসল মুলতঃ মুনাফার জন্যে উৎপাদন করা হয়, মানুষের ক্ষুধা মেটাবার জন্যে নয়। বাংলাদেশে বিটি বেগুন কৃষক পর্যায়ে চাষের আগেই নয়টি স্থানীয় জাতের ওপর মনসান্তো-মাহিকো মালিকানা নিয়ে নিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ, ভারত সহ বিভিন্ন দেশে বেগুনের বাজারের ওপর দখল নিতে চায়, এবং ব্যাপক মুনাফা অর্জন করতে চায়।
আমাদের দাবী, এসব ক্ষতিকর কাজ বন্ধ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা নারীরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই আমরাই খাদ্য উৎপাদনকারি ও যোগানদাতা। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, আমাদের কৃষি এবং আমাদের খাদ্য রক্ষার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমরা কোম্পানির মিথ্যে দাবী ও প্রচারণায় বিভ্রান্ত হবো না এবং তাই বিটি বেগুন, জিএমও কলা ও গোল্ডেন রাইস য়ামরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের নিজেদের যথেষ্ট খাদ্য আছে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের পুষ্টি ঘাটতি মেটাতে পারি। এই উপমহাদেশের নারীদের সে জ্ঞান যথেষ্টই আছে, আমরা কারো মুখাপেক্ষি হতে রাজী নই।
নারীর হাতে এবং তার জ্ঞানেই রয়েছে এর সমাধান
১৯৯৮ সালের ৪ থেকে ১৫ মে তারিখে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিসলাভায় অনুষ্ঠিত Conference of the Parties to the Convention on Biological Diversity (COP 4) সভায় বন্দনা শিবা, ফরিদা আখতার, মারিয়া মীজ সহ বিশ্বের বহু দেশের নারী আন্দোলনের নেত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সভাতেই Diverse Women for Diversity ( ডাইভার্স উইমেন ফর ডাইভার্সিটি) গঠিত হয়। এই সভায় জমিদারপ্রথা ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী তেভাগা আন্দোলনের বিখ্যত গানটি গাওয়া হয়: 'হেই সামালো ধান হো… ', ইত্যাদি। নারীর আন্দোলন যে জমিদারতন্ত্র, উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে -- বিশেষত একালে বহুজাতিক কর্পোরেশানের দখলদারি ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয় সেটা জোর দিয়ে বলা হয়। একই সঙ্গে বলা হয় ইতিহাস ভেদে ও দেশভেদে নারীর লড়াই ও অভিজ্ঞতা আলাদা। নারীকে ইতিহাস বিচ্ছিন্ন ভাবে বিমূর্ত ধারণা হিসাবে দেখা ঠিক নয়। নিজ নিজ ইতিহাসের বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও ভিন্নতা নিয়েও নারী ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ২০১৫ তারিখে আমরা বাংলাদেশ, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঙ্গীকার করছি বীজে, খাদ্যে এবং কৃষিতে নারীর জ্ঞানের ওপর আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো। আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মত, সুস্বাদু এবং বৈচিত্রপুর্ণ খাদ্য সরবরাহ করবো। এই খাদ্যের মাধ্যমে আমরা যেন মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীকে সুস্থ রাখতে পারি।
আমরা আমাদের খাদ্য ব্যবস্থা আর নষ্ট করতে দেবো না, খাদ্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান রক্ষা করবো। আমাদের বৈচিত্রপুর্ণ খাদ্যের বিপরীতে কোম্পানির একাট্টা ফসলের আধিপত্য বিস্তার রুখে দাঁড়াবো। বিজ্ঞানের নামে পুষ্টি সম্পর্কে মিথ্যা ও প্রতারণামুলক তথ্যের বিপরীতে আমাদের অভিজ্ঞতালদ্ধ্ব জ্ঞান তুলে ধরবো। কোম্পানির মুনাফার জন্য আমাদের নিজস্ব বীজ ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দেবো না।
আমরা অঙ্গীকার করছিঃ
১। আমাদের নিজ নিজ দেশের ও অঞ্চলের স্থানীয় জাতের বীজ, ফসল এবং খাদ্য উৎপাদন বাড়াবো এবং পুষ্টিহীনতা ও খাদ্য ঘাটতির সমাধান করবো।
২। আমাদের ঘরের আঙ্গিনায়, বাড়ীর ছাদে, বারান্দায়, স্কুলে, সব জায়গায় খাদ্য উৎপাদন করে পুষ্টির যোগান দেবো, এই বাগান হবে আশা জাগাবার বাগান।
৩। আমরা সকলের মধ্যে বৈচিত্রময় খাদ্য, জিএম ফসলের ব্যাপারে সতর্কতামুলক শিক্ষা ছড়িয়ে দেবো।
৪। অনাবাদী ফসলের প্রসারের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবো।
৫। আগামি ২২শে এপ্রিল বিশ্ব মাতা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে আমাদের পৃথিবী, আমাদের কৃষি, আমাদের রান্নাঘর, আমাদের শরীরকে সকল প্রকার দুষণ থেকে মুক্ত করবো। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ২০১৫ সাল্ জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মাটি দিবস পালন করবো ।
নারী হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ও আমাদের নিজ নিজ সংস্কৃতির বিভিন্নতা ও বৈচিত্রে আমরা যারা গড়ে উঠেছি তারা চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গীর ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশাল পরিবর্তন ঘটিয়ে ছাড়ব: পরিবর্তন ঘটাবো একাট্টা ফসল থেকে বৈচিত্রময় ফসলের উৎপাদনে, রাসানিক পদ্ধতি থেকে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চাষে, বিজ্ঞানের নামে প্রযুক্তি নির্ভর পদ্ধতি থেকে পরিবেশ নির্ভর পদ্ধতিতে এবং কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে নিজেদের খাদ্যে সার্বভৌমত্ব কায়েমে। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়ে কোম্পানি যে সব জিএম ফসল আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে – যেমন, গোল্ডেন রাইস, বিটি বেগুন ও জিএম কলা -- এসবের বিপরীতে আমরা পরিবেশ নির্ভর ফসল উৎপাদন করব।
আমরা নারী, ভবিষ্যতের খাদ্য ও পুষ্টির বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী হবে তা আমাদের হাতে প্রাণবৈচিত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং আমাদের জ্ঞানে প্রাণবৈচিত্রের প্রজ্ঞা ধারণের মধ্য দিয়ে আমরাই নির্ণয় করে দেব। কারণ হাজার বছর ধরে আমরা মেয়েরাই তা করেছি। আমাদের হারিয়ে যাওয়া বীজ ও খাদ্যের ওপর দখল ও নিয়ন্ত্রণ সকলের স্বার্থে আমরা অবশ্যই আবার আমাদের হাতে ফিরিয়ে আনবো।
ভারত ও বাংলাদেশের কয়েকটি সংগঠনের পক্ষেঃ
- Diverse Women for Diversity, India
- Mahila Anna Swaraj, India
- Initiative for Health , Equity and Society, India
- Navdanya, India
- Moms Across the World
- Nayakrishi Andolon, Bangladesh
- Narigrantha Prabartana, Bangladesh
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ:
Dr Mira Shiva |
Dr Vandana Shiva |
Farida Akhter faridaakhter.ubinig@gmail.com 88 01715021898 |