মাত্র পঁচিশ বছরের মধ্যেই কৃষকের ঘরের মোরগমুর্গির জাতের বৈচিত্র ক্ষয় পেল।
এই দেশের মানুষকে ডিম আর মোরগ-মুরগির সরবরাহ দিয়ে এসেছে কৃষক পরিবার। বদ্ধঘরে কারখানার মডেলে মুর্গিপালনের আবির্ভাব ঘটেছে সম্প্রতি। বাংলাদেশে আধুনিক পোল্ট্রি খামারের আবির্ভাব গত শতাব্দির নব্বই দশকের শুরুর দিকে। খুবই দ্রুত দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উন্নয়নের অর্থ খরচ করে নতুন একটি বেসরকারি বিনিয়োগ ও মুনাফার ক্ষেত্র হিসাবে একে গড়ে তুলতে গিয়ে দেশী জাতের মুর্গির বিলুপ্তি যেমন ত্বরানিত করা হয়েছে, তেমনি পশুপাখি পালনের জন্য যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের জ্ঞান দরকার, তারও ক্ষয় ঘটেছে দ্রুত। জমি ব্যবহারের ধরণেও গুণগত পরিবর্তন এসেছে। চরে খাওয়া মোরগমুর্গির জাতও হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশের মোরগমুর্গির জাতের বৈচিত্র (genetic and biological) খুবই সমৃদ্ধ। বলা হয় এই ভূখণ্ড, বিশেষত পার্বত্য এলাকা থেকেই মোরগমুর্গিকে গৃহপালিত করে তোলা এবং তাদের বৈচিত্র বৃদ্ধির সূত্রপাত ঘটেছে বাংলাদেশে। কারণ বুনো বা জংলি মোরগ -- ইংরেজিতে যাকে Red Jungle Fowl (Gallus gall আরো পড়ুন
একটি প্রাথমিক তথ্য চিত্র
ভূমিকা
ধান নিয়ে এই প্রাথমিক তথ্যচিত্র আমাদের দীর্ঘ দিনের কাজের ফসল। প্রাথমিক বলছি এই কারণে যে আমাদের দীর্ঘ দিনের গবেষণায় বিস্তারিত তথ্য রয়েছে, কিন্তু এই তথ্যচিত্রে শুধুমাত্র প্রাথমিক তথ্য দেয়া হয়েছে, কারণ আমাদের দেশের অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশে কত হাজার জাতের ধান রয়েছে এবং ধানের বৈচিত্র্য তা রক্ষা করা এদেশের নাগরিক হিশেবে আমাদের সকলের কর্তব্য।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই দেশ ধান উৎপাদনকারী দেশ হিশেবেই বিশ্বে পরিচিত। ধান আমাদের পরিচয়, ধান আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু এতোটুকু বলা যথেষ্ট নয়। ছোট্ট দেশ হলেও এই দেশে ধানের এতো বৈচিত্র আছে যে অবাক হতে হয়। অথচ নতুন প্রজন্ম এই সবের তথ্য জানে না। কৃষির প্রতি শিক্ষিত সমাজের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ধান উৎপাদন এবং ধানের জাত নিয়ে আলোচনা হয় না। শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হয় না। ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, মুড়ি, চিড়া সবাই খায় কিন্তু যে ধান থেকে এসব আসে সে ধান স আরো পড়ুন