তামাক চাষ পরিবেশের বোঝা

তামাক একটি দূর্বল গুল্ম। তামাক চাষে প্রচুর পরিমাণ বালাইনাশক, রাসায়নিক সার, জল সেচ ও পরিচর্যার প্রয়োজন। তামাক চাষে কৃষক যেমন শারীরিক ক্ষতির শিকার হন তেমনই সার্বিক পরিবেশ ও দূষিত হয়। তাইতো বিশ্বের ধনী দেশের মানুষরা তামাক সেবনের সাময়িক মজা উপভোগ করেন। কিন্তু তামাক চাষের মারাত্মক বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন উন্নয়নশীল ও গরিব দেশের মানুষ ও পরিবেশের উপর। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে দিনে দিনে উন্নত দেশে তামাকের চাষ কমছে আর উন্নয়নশীল ও গরীব দেশে তামাকের আবাদ বাড়ছে। আরো লক্ষণীয় যে খাদ্য ঘাটতির দেশে তামাকের উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু তামাক কোন খাদ্য নয়। ভাবতে কষ্ট হয় এসব উন্নয়নশীল ও গরীব দেশের কৃষি উৎপাদন পরিকল্পনা করা করেন ? কার জন্য করেন? তামাক চাষ এক দিকে মাটির উর্বরতা হ্রাস করে অন্য দিকে তামাক পাতা শুকাতে বন জঙ্গল উজাড় করে নির্বিচারে গাছ পালা কেটে তামাক পাতা শুকাতে জ্বালানির যোগান দেয়া হয়।

তামাক চাষের ফলে ভূগ (আরো পড়ুন )


চকরিয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক চাষের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক চাষের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের অংশ গ্রহনে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। ‘তামাক নয়, শস্য চাই, সুজলা সুফলা স্বদেশ চাই’ স্লোগানে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বেসরকারী গবেষনা সংস্থা উবিনীগ ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)-এর সহযোগিতায় উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের শাহ ওমরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে জিদ্দাবাজার স্টেশনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের আগে বের করা র‌্যালীতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ছাড়াও শাহওমরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকার নানা শ্রৈণী পেশার মানুষ ও উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ (আরো পড়ুন )


তামাক চাষে মাটি ক্ষয়

মাটি বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। গত ৩-৪ দশক থেকে মাটির উপর প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফসলের আধুনিক জাত ও হাইব্রিড শস্য আবাদের ফলে মাটির উৎপাদিকা শক্তি নিঃশেষ করা হয়েছে। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত এর উপর যুক্ত হয়েছে তামাক চাষ। তবে, বাংলাদেশে তামাক চাষের ফলে মাটি ক্ষয়ের সঠিক হিসাব খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্যত্র প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় তামাকের এক ফসলে একরে ৩০০০ পাউন্ড পাতা এবং ৩০০০ পাউন্ড কান্ড উৎপাদনে মাটি থেকে নাইট্রোজেন ১২৬, ফসফরাস ২৬, পটাশ ২৫৭, ক্যালসিয়াম ৭৫, ম্যাগনেশিয়াম ১৯, তামা ০.০৩, ম্যাঙ্গানিজ ০.৫৫ এবং জিঙ্ক ০.০৭ পাউন্ড তুলে নেয় ১।

তামাক বাংলাদেশে একটি বহিরাগত আগ্রাসি প্রজাতির উদ্ভিদ। গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে রবি মৌসুমে খাদ্য শস্যের জমিতে তামাক চাষ শুরু হয়। বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি প্রথমে তিস্তা অববাহিকায় তামাক চাষ প্রবর্তন করে। পরে পদ্মা অববাহিকায় কুষ্ঠিয়া অঞ্চলে (আরো পড়ুন )


তামাক নয়, বৃক্ষরোপন

তামাক চাষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গাছ লাগানো

কুষ্টিয়া : ৩০ জুলাই ২০১০। দৌলতপুর উপজেলাধীন রেকাইতপুর ইউনিয়নের ভেড়ামারা অন্যতম একটি গ্রাম। অন্যান্য গ্রামের চাইতে ভেড়ামারা গ্রামে গাছপালা কম। তাই গাছ লাগানোর জন্য এই গ্রাম খুবই উপযোগী। ভেড়ামারা হতে তেলেগা দিয়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটির চার পাশে ফাঁকা। জানা যায় স্বাধীনতার আগে রাস্তাটি তৈরি হলেও দুঃখের বিষয় রাস্তার ধারে একটিও গাছ নাই।

এলাকায় তামাক চাষ শুরু হওয়ায় কোম্পানীরা কৃষকদের হাতে স্বল্প মেয়াদী কিছু গাছ (একাশিয়া, ইউক্যালিপটাস) তুলে দেয় যা তামাক পাতা পোড়ার জন্য উপযোগী। বর্তমানে রাস্তাটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। রাস্তার দৃশ্য দেখে মনে হয় নতুন একটি রাস্তা।

২৯ জুলাই, ২০১০ তারিখে উবিনীগ নয়াকৃষি আন্দোলন এর উদ্যোগে ভেড়ামারা গ্রামে গাছ লাগানো কর্মসূচী নেয়া হয়। এত (আরো পড়ুন )