উবিনীগ


উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা

নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের ছটকা নির্মাণ

স্থান: বানতিয়ার, সোনাতনী, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ

প্রকল্প: জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াকৃষি কৃষকের ফসল পরিকল্পনা ও দূর্যোগ (নদী ভাঙ্গন, বন্যা, খরা, জলাবদ্ধতা) মোকাবেলার উদ্যোগ।

এ বছর (২০২১) যমুনা নদীর মাঝখানে বানতিয়ার, বালিয়াডাঙ্গা ও ঘোরজান গ্রামের কৃষক, শিক্ষক, ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক দফা আলোচনার পরে ২৭ মে ২০২১ প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁশের ছটকা নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতি বছরই এই চরের মানুষেরা প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং নদী ভাঙ্গনের মুখোমুখি হয়।

অনেক বছর ধরে উবিনীগ প্রাইমেট’স ওয়ার্ল্ড রিলিফ এন্ড ডেভেলাপমেন্ট (আরো পড়ুন )


শ্রীপুর ও ধীতপুর গ্রামে ছটকার কারণে নদী ভাঙ্গন ৯৫ ভাগ রক্ষা পেয়েছে

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়নের বানতিয়ার, শ্রীপুর ও ধীতপুর গ্রামে উবিনীগ নয়াকৃষি আন্দোলন থেকে যে বাঁশের ছটকা গুলো দেওয়া হয়েছে তা বানতিয়ার বাজার বানতিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়, বানতিয়ার গ্রাম ৯৫ ভাগ রক্ষা পেয়েছে। বিগত বছরগুলোকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় নদী ভাঙ্গন এর কারণে গ্রামের মানুষ তাদের সহায় সম্পত্তি ঘর বাড়ী হারিয়েছে। শত শত একর আবাদি জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। ক্ষেতের ফসল এবং পাট তিলসহ ধানের বিপুল পরিমাণ জমি নদীতে চলে গেছে। কিন্তু আমাদের একটি সুভাগ্য গত কয়েক মাস আগে যে বাঁশের ছটকা স্থাপন করা হয়েছে সেটি বর্ষার পানিতে ছটকার আশে পাশে পলি মাটি জমাট বাঁধছে এবং বাঁশের সাথে বিভিন্ন আগাছা জমেছে। যার ফলে নদী ভাঙ্গন ৯৫% ভাগ রক্ষা পেয়েছে। (আরো পড়ুন )


বাঁশের ছটকাঃ নদী ভাঙ্গন মোকাবেলায় কৃষকের জ্ঞান (১)

নদীর পাড়ের গ্রামগুলির বর্তমান অবস্থা:

শ্রীপুর গ্রামের দুই পাশেই নদী। কিছু ঘর বাড়ী ভাঙ্গা শুরু হয়েছে কিন্তু শত শত বিঘা ফসলেরর মাঠ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। ধীতপুরের একটি বড় অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ছোট চামতারা ও বড় চামতারা গ্রামের লোকজন বাড়ীঘর ও ফসলি জমি হারিয়ে অন্য চরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যারা এখনও আছে তারা খুবই শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এই মৌসুমে অবশিষ্ট ঘর বাড়ী থাকবে কিনা। বানতিয়ার গ্রামের একাংশ নদীতে ভেঙ্গে গেছে। পাশের গ্রাম বালিয়াকান্দিতে তারা আশ্রয় ও বাড়ি ঘর তৈরী করেছে। অত্র অঞ্চলের একমাত্র অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্র বানতিয়ার বাজার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সপ্তাহে একদ (আরো পড়ুন )