চাউল (Oryza sativa) পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষের শর্করার প্রাথমিক উৎস। ভাত, রুটি এবং আরো অনেক সুস্বাদু খাদ্য হিসাবে সেবন করা হয়। এশিয়া মহাদেশেই সর্বাধিক চাউল ব্যবহৃত হয়। বছরে মাথা পিছু ১০০ কেজি চাউল ব্যবহৃত হয়। চাউলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স-জিআই (glycemic index-GI) শর্করা জাতীয় অন্যান্য খাদ্যের চেয়ে বেশি। যার ব্যপ্তি ৪৮-১৬০। চাউল সেবনের সাথে ডায়াবেটিসের একটা প্রত্যক্ষ সম্পর্ক আছে। রক্তে উচ্চ মাত্রায় গ্লুকোজ এবং ইনস্যুলিন রেসিট্যান্ট তথা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সাথে উচ্চ মাত্রার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সম্বলিত চাউল সেবনের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
খাদ্য গ্রহণের পরে রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধির হার বিবেচনায় ঐ খাদ্যের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) (আরো পড়ুন )
একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকের শিরোনাম “Private chopper service booming in Bangladesh” Dhaka Tribune, জুলাই ১৪, ২০২৩, অর্থাৎ বেসরকারি হেলিকপ্টার সেবার রমরমা ব্যবসা হচ্ছে বাংলাদেশে। মোট ১৩টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ৪২টি হেলিকপ্টার বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে ধনীদের বিলাসী সেবা দেওয়া। মাত্র ৫ থেকে ৭ জন যাত্রী নিয়ে এই হেলিকপ্টারে যারা চড়েন তারা প্রতি ঘণ্টায় ৬৬,০০০ থেকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা খরচ করছেন। কেউ শুধু আনন্দ-ফুর্তির জন্য ১০ মিনিটে ৫,৫০০ টাকা খরচ করছেন, কেউ পদ্মা সেতু দেখতে চাইলে ১৬,৫০০ টাকায় রাউন্ডট্রিপ দিতে পারেন। এই প্রতিবেদনের সবচেয়ে উল্ (আরো পড়ুন )
মাহবুবা রহমান আঁখি মারা গেছেন; মারা গেছে তাঁর নবজাত শিশুটিও, যার নাম রাখারও সুযোগ হয়নি মা-বাবার। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। স্রেফ হাসপাতাল ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই নির্মমভাবে একটি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি বিভাগে এবং এখন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত।
আঁখি কুমিল্লা থেকে এসে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে প্রসূতিকালীন চিকিৎসা বা পরামর্শ নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়। গত ৯ জুন প্রসব ব্যথা উঠলে তাঁকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে সি-সেকশন সার্জারি করা হয়। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং আঁখির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে (আরো পড়ুন )
যখন বাংলাদেশে বাজেট ঘোষণা হয়েছে (১১ জুন), তখন এখানে নভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন সংক্রমণের শীর্ষ দশে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে। দুই সপ্তাহ আগেও একটু রয়ে-সয়ে বাড়ছিল। এখন টেস্টের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি শনাক্তের সংখ্যাও নমুনার ২০-২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার একদিকে জীবিকার কথা বলে সারা দেশে লকডাউন শিথিল করছে আবার অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকা সবুজ, হলুদ আর লাল জোনিং করে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। মোট কথা, সরকার একটু বেসামালভাবেই কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা করছে। যা হচ্ছে তার দায়িত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে।
কভিড-১৯-এর চেয়েও মরণঘাতী আরো অনেক রোগ (আরো পড়ুন )
১২ মে, আন্তর্জাতিক সেবিকা (নার্স) দিবস। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে নার্সদের ভুমিকা অনস্বীকার্য। সারা দুনিয়ায় নার্সরা চিকিৎসকদের পাশাপাশি রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এবং মানুষকে সুস্থ করে তুলছেন। কোভিড-১৯ এর ভয়ানক অবস্থায় এই নার্সরাই হাসপাতাল গুলোতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন সরকারের প্রতি কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। যা বাংলাদেশের নার্সদের জন্যেও প্রযোজ্য। বাংলাদেশে মোট ৫৬,৭৩৩ জন রেজিস্টার্ড নার্স এবং মিডোয়াইফ আছেন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে নিজস্ব প্রশিক্ষণে গড়ে তোলা নার্স আছেন। কিন্তু প্রয়োজন আরও অনেক বেশি। প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্যে মাত্র ৩.০৬ জন নার্স রয়েছেন যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায়ও অনেক কম। একমাত্র যুদ্ধ ব (আরো পড়ুন )
বিশ্বব্যাপি ডেঙ্গু আজ একটি আতঙ্কের নাম।কয়েক দশক আগেও মাত্র নয়টি দেশে বিচ্ছিন্ন ভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার ছিল। কিন্তু আজ বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ডেঙ্গু আক্রমণের আশঙ্কায় আছে। প্রধানত ট্রপিক্যাল এবং সাব-ট্রপিক্যাল অঞ্চলের মানুষ ডেঙ্গ আক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন। দ্রুত নগরায়নের ফলে ডেঙ্গর প্রকোপ বাড়ছে।
ডেঙ্গুর লক্ষণ:
প্রচন্ড পেট ব্যথা। ঘন ঘন প্রশ্বাস। উচ্চ মাত্রার জ্বর বার বার বমি। অস্থিরতা। শরীরে অবসতা। লিভার বেড়ে যাওয়া।
দিনে দিনে বিশ্বব্যাপি ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভয়ের বিষয় হলো এই যে, আজ পর্যন্ত (আরো পড়ুন )
বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকেই বিষয়টি লক্ষ্যই করেন নি। অর্থনীতিবিদ রাজনীতিবিদসহ যারা বাজেট নিয়ে কথা বলছেন তাঁরাও কেউ স্বাস্থ্যকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বাজেট বক্তৃতায় এবং পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সরকারও গুরুত্ব দেয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ের কেউ অর্থমন্ত্রীর পাশে বসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দেন নি। স্বাস্থ্যখাত এতোই অবহেলিত। এবার ২০১৮-১৯ সালে মোট বাজেটের ৫.০৩% বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। এটা গতানুগতিক একটা বরাদ্দ, যা ক্রমাগতভাবে গত ১০টি বাজেটে কমে আসছে। গত অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৫.১৬%। টাকার অংকে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ২৩,৩৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভ (আরো পড়ুন )
দুটি বিষয়ে আশা করি কেউ দ্বিমত করবেন না। এক. স্বাস্থ্যসেবার যে ব্যবস্থা দেশে বিরাজমান, তা জনগণেরই পয়সায় চলে এবং এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। দুই. তামাক সেবন ও উত্পাদন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। আরো বিষয় স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সেবা আলোচনায় আসতে পারে। তবে এখন যেসব দাবি উঠছে, তার মধ্যে তামাকের উদাহরণ ইচ্ছে করেই টানছি। তামাক সেবনের কারণে সৃষ্ট রোগে বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ ‘অকাল’ মৃত্যুবরণ করে। আরো ৩ লাখ মানুষ নানা রোগের কারণে ধুঁকে ধুঁকে মরে বা পঙ্গুত্ব বরণ করে। অকালমৃত্যুর অর্থ হচ্ছে— একটি পরিবারের উপার্জনক্ষম কিংবা যিনি দেশের জন্যও অবদান রাখতে পারতেন, তাকে হারানো। বাংলাদেশে যে পরিসংখ্যান আমরা দেখছি, (আরো পড়ুন )
স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন ও জনগণের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার আছে কি নেই তা জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ মেপে বলা যায় না। স্বাস্থ্য আন্দোলন এই বিষয়টি অর্থ বরাদ্দের পরিমাণের উর্ধ্বে চিন্তা করে। জনগণের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার তা নিশ্চিত করার জন্যে সরকারের যে অঙ্গীকার ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা পুরণ করা হচ্ছে কিনা সেটাই মুল বিষয়। আমরা এখন বিশ্ব অর্থনীতির যে পর্যায়ে আছি তাতে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার দায়িত্ব থেকে সরকার মুক্তি পেতে চাইছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে সরকারের দায়দায়িত্ব আরও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। তারা অবাধ দরজা খুলে দিয়েছে বে-সরকারি খাত থেকে সেবা নেয়ার ওপর। যার সোজা অর্থ হচ্ছে “টাকা থাকলে সেবা পাবে, না থাকলে (আরো পড়ুন )
ডায়াবেটিস একটি ব্যাধি যা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন না থাকা বা অগ্নাশয়ে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উৎপাদন না হওয়ার জন্য সৃষ্ট শারীরিক সমস্যা। ইনসুলিন একটি হরমোন যা রক্তের মধ্যে বিদ্যমান গ্লোকোজ শুষে নেয় এবং শরীরে শক্তি জোগায়। মানুষ যখন খাবার খায় তখন অগ্নাশয় প্রাপ্ত গ্লোকোজ শুষে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উৎপাদন করে। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন থাকে না অথবা উৎপাদিত হয় না। অথবা শরীরে যে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় তা শরীর গ্রহণ করে না। ফলে রক্তের মধ্যে গ্লোকোজ জমা হয় এবং প্রস্রাবের সাথে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাব দেখা দেয়।
বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের প্রার্দুভ (আরো পড়ুন )
ঘটনা খুবই দুঃখজনক, কিন্তু হঠাত্ ঘটেছে কিংবা একটি মাত্র ঘটনা, তা কিন্তু নয়। সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে বা ক্লিনিকে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে আমরা জানতে পারছি, আর না হলে স্বজনরা কেঁদে মরছেন। কেউ জানতে পারছে না। তাত্ক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে কোথাও কোথাও ভাংচুর হয়েছে, চিকিৎসকের ওপর আক্রমণও হয়েছে। এগুলো কাম্য নয়। কিন্তু যার স্বজন মারা যায় এবং তার যদি মনে হয় চিকিত্সায় গাফিলতি হয়েছে, এ মৃত্যু ঠেকানো যেত, তাহলে এটুকু অবশ্যই বলা যায়— এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তার ব্যবস্থার দায়িত্ব কাউকে না কাউকে নিতেই হবে।
এ বছরের শুরুতে সরকারেরই উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি পরিবার এমন এক ঘটনার করুণ শিকার হয়েছে। (আরো পড়ুন )
বিশাল অঙ্কের বাজেট (২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা) ঘোষণা হয়েছে ৪ জুন। পরদিন ছিল ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। তার পরের দিন আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। আগে-পরে বড় বড় ঘটনা থাকায় বিশ্ব পরিবেশ দিবসটি সরকারিভাবে ঠিকমতো পালন করা হলো না। তবুও ৫ জুন বিভিন্ন সংগঠন মোদির সফরের সময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে যেসব পরিবেশ ধ্বংসকারী চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে তার বিরুদ্ধে সভাসমাবেশ করেছে। তারা দাবি করেছে সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করার জন্য। পরিবেশবাদীরা দাবি করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করবেন। এটাই ছিল এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল ঘটনা। কিন্তু সবার আশার গুড়ে বালি দিয়ে ২২টি (আরো পড়ুন )
অনেক দিন আগে আমরা একটি গবেষণা করেছিলাম, যেখানে দেখতে চেয়েছিলাম বাড়ির বসতভিটায় যে গাছপালা লাগানো হয় তার কী কী কারণ আছে। বিশেষ করে নারী যখন সে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয় তখন কী কারণ থাকে। অনেক কারণের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে এসেছিল 'নিদান-সিদানের' গাছ। টাঙ্গাইলের কৈজুরী গ্রাম থেকে এ তথ্য পেয়েছিলাম আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে। এর অর্থ ব্যাখ্যা করে গ্রামের মহিলারা বুঝিয়েছিলেন গরিব মা যদি দেখে তার ছেলেরা তাকে মরে যাওয়ার পর দাফন-কাফন করতে পারবে না, তাহলে এ গাছটি কেটে পাড়া-প্রতিবেশীরা অন্তত তার দাফনের ব্যবস্থা করবে। এ নিদান-সিদানের গাছের কথা শুনে চমকে গিয়েছিলাম। মরে যাওয়ার পর কবর দেয়া সন্তানের কর্তব্য, এমনকি সেটা সমাজেরও কর্তব্য। যে মারা য (আরো পড়ুন )
হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের হাতে ‘ভুল’ চিকিৎসায় বা অবহেলায় রোগীর মৃত্যু নতুন কোন ঘটনা নয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, এই ঘটনা অনেক দেশেই ঘটছে, খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এবং এশিয়ার বড় বড় হাসপাতালে পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে সরকারী হাসপাতাল হোক বা প্রাইভেট ক্লিনিক কোথাও রোগীরা এমন ঘটনার শিকার হননি বলা যাচ্ছে না। তবে ইদানীং প্রাইভেট ক্লিনিকে এই ঘটনা বেশী শোনা যাচ্ছে। আবার সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটলে রোগীর আত্মীয় স্বজনের প্রতিবাদ হচ্ছে আর চিকিৎসকরাও পালটা প্রতিবাদ করছেন। ফলে এখানে বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। মানুষ বুঝতে পারছে না তারা কার পক্ষ নেবেন। অসুখ হলে তো ডাক্তারের কাছেই যেতে হবে, আবার ডাক্তারকে অভিযুক্ত (আরো পড়ুন )
ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক দুজনেই মারা গিয়েছেন
চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর খবর ইদানিং খুব বেশি ঘটছে। পত্রিকা খুললেই এই দুঃসংবাদটি চোখে পড়ে । যেখানে সরকার মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যু রোধ করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সেই সময়ে এই মৃত্যুর সংবাদ খুবই বেদনা দায়ক। চিকিৎসকের অবহেলা,ভুল চিকিৎসায় জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে প্রসূতি মৃত্যু হয়েছে ১৯ জন। চিকিৎসকের অবহেলায় ও ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ টি নবজাতকের। দেখা গেছে বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে বেসরকারী বা প্রাইভেট ক্লিনিকে। সরকারী হাসপাতালে যে সব মৃত্যু হয়েছে (আরো পড়ুন )
স্বাস্থ্য আন্দোলন বিগত তিন বছর ধরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াবার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। প্রায় কোন সরকারের আমলেই স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ৭% পর্যন্ত যায় নি। ২০০৭-০৮ থেকে ধরলে গড়ে ৬.৪% যা মোট জিডিপির মাত্র ১%। চলতি অর্থবছরের (২০১১-১২) জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ তার চেয়েও কমে গিয়েছে, বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মোট বাজেটের ৫.৪% এবং মোট জিডিপির মাত্র ০.৯৮%। আন্তর্জাতিক বিধি অনুসারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য জ (আরো পড়ুন )
বেহাল সড়ক, অকার্যকর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও সাধারণ মানুষের মরণদশা
বেশ কিছুদিন ধরে মৃত্যুর খবরে এই দেশের মানুষ জর্জরিত। প্রতিদিনই কম পক্ষে একটি করে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, নিহত আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, বাড়ছে ঘরে ঘরে কান্নার রোল, কিংবা নির্বাক হয়ে চেয়ে থাকা। আজ মনে পড়ছে গত মে মাসে আমাদের একজন সহকর্মী মিজান (মুসা) টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা আসার পথে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যায়, আমরা তখন কেউ মেনে নিতে পারি নি। ট্রাকটি মেরে দিয়ে চলে গিয়েছিল, থামে নি। সকলে কেঁদেছি, কিন্তু কিছু করতে পারি নি। আমাদের মধ্যে তার শুন্যতাই বিরাজ করছে, অন্যদিকে তার দুটি অবোধ শিশু সন্তান আজও মনে করে বাবা ফল নিয়ে বাড়ি আ (আরো পড়ুন )
দৈনিক পত্রিকা পড়ে জানি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের অধীনে চিথুলিয়া গ্রামে একটি গরু এনথ্রাক্সে অসুস্থ্ হয়েছে। গরুর মালিক মো: আ: ছালাম, পিতার নাম মৃ: দারেক মোল্লা। খবরে পড়ি, অসুস্থ্ গরু জবাই করে খাওয়ার পর বেশ কয়েক জন অসুস্থ্ হন।
অগাস্ট মাসের ২৭ তারিখে চিথুলিয়া গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। বানতিয়ার গ্রাম থেকে নৌকা, ভ্যান ও রিক্সা যোগে শাহজাদপুর বিসিক বাসষ্ট্যান্ড যাই। বাসষ্ট্যান্ড থেকে সিএনজি যোগে সরিষাকোল, সরিষাকোল থেকে জগন্নাথপুর বাজার ভ্যান, জগন্নাথপুর বাজার থেকে নৌকায় বনগ (আরো পড়ুন )
বাংলাদেশে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার মাধ্যম গ্রামের মানুষের জন্য উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রকেই ধরা হয়। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও সেখানে স্বাস্থ্য সেবা পুর্ণাংগ নয়, কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা মুলত পরিবার পরিকল্পার জন্যে, তাই এখানে সব ধরণের রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা নেই।
আমরা জানি, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে ৯ জন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে ২০ জন চিকিৎসক পদ রয়েছে, এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ পদ (গাইনী, সার্জারী, ইএনটি এবং মেডিসিন) ৪টি রয়েছে। সাধা (আরো পড়ুন )