উবিনীগ


উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা

ক্ষিপ্ত জলবায়ু: পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মানুষ

শুষ্ক এবং তীব্র গরমের মধ্যে পার করছি বর্ষাকাল। শ্রাবণ মাসের দুই-তৃতীয়াংশ বিদায় নিচ্ছে। ঢাকার আকাশ কখনও গাঢ় কালো রং ধারণ করলেও বৃষ্টির ফোঁটা তা থেকে কমই ঝরে। গত বছরেও এমন গরম আবহাওয়া ছিল। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতেও গরম বাড়বে– এমন আশঙ্কাই বেশি। জলবায়ু পরিবর্তন বা বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা নিয়ে যদি কারও মনে সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে ভাবতে শুরু করুন, আমাদের জীবদ্দশায় আরও ভয়াবহ পরিণতি দেখতে হবে, যদি এখন থেকেই সক্রিয় এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার চেয়েও কি বেশি গরম? অথচ জনজীবনের এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে খুব উচ্চবাচ্য নেই।

জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। শেষের দিকে (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার পর ঢা (আরো পড়ুন )


খরতাপ: বেশি উন্নয়ন ও কম পরিবেশ ধারণার পরিণাম

যে উন্নয়নের জন্যে পরিবেশ বিসর্জন দেয়া হয়েছে সেই উন্নয়ন ধরে রাখাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এখন গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুতের লাইন আছে বটে কিন্তু তাতে সরবরাহ নিয়মিত নাই। এরই আরেক নাম লোডশেডিং। সারাদেশে এই খরতাপের মধ্যে ঘরে লাগানো ফ্যানটিকে ঘুরতে দেখার প্রত্যাশায় কেটে যাচ্ছে দিনরাত। বিদ্যুৎ যাচ্ছে যতবার, আসছে তার চেয়ে অনেক কম।

চৈত্র-বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চলে গ্রীষ্মকাল। কাজেই গরম পড়বে, তাপমাত্রা বেশি থাকবে এই বিষয় নিয়ে অবাক হবার কিছু নেই। এই সময় খরার মৌসুম, তাই প্রকৃতিতে ফসলের মৌসুমও সেভাবে ভাগ করা আছে। আউশ ধান খরাতেই হয়, সে কারণে খরাপ্রবণ এলাকায় আউশ ধানের চাষও খুব ভাল হয়। অন্যদিকে (আরো পড়ুন )


জলবায়ু বিপর্যয় রোধে নারীর শুধু অংশগ্রহণ নয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণেও ভূমিকা প্রয়োজন

জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নারীর ওপর ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি এবং ভিন্ন মাত্রার। এই সত্য আজ এশিয়া, আফ্রিকাসহ পৃথিবীর প্রায় সব ভুক্তভোগী দেশে প্রতিষ্ঠিত।

বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি নারী জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, এবং ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির শিকার হবেন। কিন্তু তারা জানেন না যে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে প্রায় ২৫ হাজারের অধিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি বিশাল সম্মেলন হচ্ছে, ঠিক এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনার উদ্দেশে।

এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা গেছেন। বিশেষ করে ধনী দেশের সরকারগুলোর প্রধানরা উপস্থিত হয়েছেন মুখে মাস্ক পরে; তারা হাত মেল (আরো পড়ুন )


তাপ বাড়ছে, কিন্তু কারো হুঁশ নাই!

ঢাকা শহরে যারা আছেন তাঁরা দেখেছেন এবছর গ্রীষ্মকাল থেকে শুরু করে শরৎকাল এলেও গরম ভাবটা আগাগোড়াই খুব অনুভুত হয়েছে। ঢাকার বাইরেও যতক্ষণ আকাশে মেঘ থাকে বা বৃষ্টি হয়, ততক্ষণ একটু ঠাণ্ডা হলেও আবারও ভ্যাপসা গরম, যা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। মাঝে মাঝে তা অসহ্যের পর্যায়ে পৌঁছে যায়।  বিশ্বের আবহাওয়ার তথ্য এবং দেশের পত্র-পত্রিকার খবরে দেখা যাচ্ছে ১৪২ বছরে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস ছিল জুলাই।

তাপ বেড়েছে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে। জলবায়ু পরিবর্তনের যেসব লক্ষণ খুব দুঃশ্চিন্তার কারণ ঘটায় তার প্রায় সব লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনুভবও করছি। অসহ্য গরমে কাতর হচ্ছি। এই অসহ্য অনুভুতি ভুল কিছু নয়। সর্বশেষ আগস্ট মাসে প্রকাশিত Intergovernmental Panel on Climate Chang (আরো পড়ুন )


জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য উৎপাদন

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তদেশীয় কমিটি বা IPCC (Intergovernmental Panel On Climate Change) এ বছর আগস্ট মাসে কৃষি সংক্রান্ত, বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদন নিয়ে, সতর্কতামূলক একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদনের সাথে জড়িত কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের (GHG) ক্ষেত্রে ৩৭% দায়ি। এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন বিশ্বের ১০০ জন বিজ্ঞানী; তাঁরা কৃষিতে জমির ব্যবহার এবং এর কারণে জলবায়ুতে কি ধরণের প্রভাব পড়ছে তা খতিয়ে দেখেছেন। তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে হলে খাদ্য উৎপাদনের ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে তাঁদের প্রস্তাব হচ্ছে জমির সঠিক ব্যবহার, খাদ্য তালিকায় মাংস কমিয়ে আনা এবং খাদ্য অপচয় (আরো পড়ুন )


কয়লা ব্যবহারই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মূল কারণ

বাংলাদেশে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার শর্ত কিছুটা পূরণ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বচ্ছ, সব দলের সমান সুযোগ সৃষ্টি করার পরিবেশ, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ভূমিকা, ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট দিতে পারার পরিবেশ হবে কিনা, এ বিষয়ে এখনো মানুষ শঙ্কিত। কারণ এখন সব আক্রমণ চলছে প্রার্থীর ওপর, সময়মতো ভোটারও আক্রান্ত হবে।

তবু নির্বাচন এলে আমাদের কিছু বিষয় অবতারণার সুযোগ হয়। ক্ষমতাসীন দল আবার ক্ষমতায় আসতে চায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতার দোহাই দিয়ে। জিডিপির হার বাড়ছে এবং আরো বাড়বে বলে তারা অঙ্গীকার করছেন। উন্নয়নের একটি সূচক হচ্ছে, দেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলবে, গাড়ি চলবে, বড় রাস্তা হবে ইত্যাদি। যদিও এ আলো সব বাড়িতে একইভাবে জ্ব (আরো পড়ুন )


জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে পাওয়ার আশা ক্ষীণ

জাতিসংঘের আয়োজনে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের সভায় কী ফল আসবে তা নিয়ে আগেই অনেকে হতাশ হয়ে আছেন-এ কারণে যে, ধনী দেশ, যারা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি, কার্বন নির্গমনসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলোর জন্য প্রধানত দায়ী, তারাই উল্টো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছে কার্বন নির্গমন কমাবার অঙ্গীকারের জন্য।

অন্যদিকে তারা নিজেরা এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ কিংবা প্রযুক্তিগত সাহায্য দেবে কিনা-তার কোনো ইশারাও নেই। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (GCF) করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা তাদের জন্য ধার্য অর্থ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে অঙ্গীকার করতে দেরি করেই যাচ্ছে। এ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড মেক্সিকোর কানকুন শহরে ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত জলবায়ু (আরো পড়ুন )


ডারবান জলবায়ু সম্মেলন

পরিবেশ সম্মত কৃষি এনে দেবে কোটি মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা

জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-১৭ ডারবানে শুরু হয়েছে ২৮ নভেম্বর, শেষ হবে ডিসেম্বর ৯ তারিখে। বাংলাদেশে এই উপলক্ষে আর কিছু না হোক পরিবেশ মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদের পদোন্নতি ঘটেছে। আগে তিনি গেছেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে, এবার যাচ্ছেন পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে। যদিও এর ফলে ডারবানে বাংলাদেশের কদর কতখানি বাড়বে বা হিশাব নিকাশে কি বদল ঘটবে তা বলা মুশকিল। আমাদের চিন্তা এই মুহুর্তে সার্বিকভাবে জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিতে রয়েছে এমন দেশ গুলোর ভবিষ্যত কি হবে? ধনী দেশগুলো আসলেই তাদের দায়িত্ব পালন করবে কি?

কিওটো প্রটোকল ১৯৯৭ সালে শুরু হয়েছে (আরো পড়ুন )