চলতি বছর (২০২২) বর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টি প্রসঙ্গে জানার জন্য বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে ফোনে যেগাযোগ করা হলে—বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নান বলেন, এবারের বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ (জুন-আগষ্ট) ভরা বর্ষাকালে সারা দেশে গড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৮% বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।
বাংলাদেশে ৪১ বছরের মধ্যে বর্ষা মৌসুমে সবচেয়ে বেশী খরা ও তাপদাহ
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নান বলেন, গত ৪১ বছরের মধ্যে এই বছর (২০২২) জুলাই মাসে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশে এ বছরে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে অর্ধেোকরও কম। ১৯৮০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গত ৪১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম (আরো পড়ুন )
দেশে করোনার ভয়াবহতার পাশাপাশি খরা ও দাবদাহ চলছে; চৈত্র-বৈশাখ মাস জুড়ে কোন বৃষ্টি নেই। এই সময় বৃষ্টি হবার কথা নয়, তবে সামান্য হলেও বৃষ্টি হয়। অস্বাভাবিক বিষয় হচ্ছে কাল বৈশাখীও হয়েছে বৃষ্টি বিহীন। সারা বৈশাখ মাস শুকনো খড়-খড়ে গিয়েছে, তাপ মাত্রাও অত্যন্ত বেশী। বাতাসে জলীয়বাষ্প নেই বললেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে নয়াকৃষির কৃষকদের অবস্থা কেমন তা জানার চেষ্টা আমাদের সব সময়ি থাকে। তাছাড়া মৌসুমের পরিবর্তন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করা হয়। নয়াকৃষির প্রধান দুটি এলাকা থেকে তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন এখানে পেশ করা হচ্ছে। লক ডাউন থাকায় গ্রামে যাওয়া সম্ভব হয় নি, কিন্তু মোবাইল ফোনে কথা বলে কৃষকদের অবস্থা জানা গেছে। তথ্য নেয়া হয়ে (আরো পড়ুন )
দৈনিক পত্রিকার খবরের পর্যালোচনা
সারা দেশে বৃষ্টিহীন অবস্থা ও তীব্র দাবদাহ চলছে। গড়ে ৩৫ থেকে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিভিন্ন জেলায় অনুভুত হচ্ছে। চৈত্র বৈশাখ মাসে (ইংরেজি মার্চ-এপ্রিল মাসে) যে বৃষ্টি হবার কথা তা হয় নি। এমনকি যে সামান্য কালবৈশাখী হয়েছে তাও বৃষ্টিবিহীন। এটা বর্ষা মৌসুম নয়, খরারই মৌসুম। তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক অবস্থায় এই সময় কিছুদিন বৃষ্টি হয়। এবং এই সময়ে যেসব ফসল কৃষকের মাঠে আছে, তাতে খুব উপকারে লাগে। গত বছর এই সময়ে খুব বেশি বৃষ্টি হয়েছিল বলে কৃষকের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু এবার তার উলটো। মোটেও বৃষ্টি নেই। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি, তাতে (আরো পড়ুন )
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার কৃষক ২০১৯ সালে কৃষকরা আমন ধান চাষ করতে সমস্যায় পড়েছেন। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং পানির অভাবে আমন ধানের বীজ লাগিয়েও চাষ করতে পারেন নি অনেক কৃষক। প্রায় ৬০-৭০% আমন ধানের জমি পতিত পড়ে আছে। তাদের সমস্যা বর্ণনা করেছেন কয়েকজন কৃষক। এই কৃষকরা মূলত স্থানীয় জাতের আমন ধান যেমন কার্তিক ঝুল, নাজিরশাইল, হরিঙ্গা দিঘা,সাদা দিঘা, পাটজাগ, গণকরায় ধানের চাষ করেন। এগুলো বন্যা সহনশীল জাত, কিন্তু আগাম বন্যা হওয়াতে গাছ বড় হবার আগেই তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আবার যখন পানির প্রয়োজন তখন বৃষ্টি হয় নি, এবং সেচেরও কোন ব্যবস্থা নাই। সাধারণত সেচের স্যালো মেশিন শীতকালীন বোরো ধানের জন্যে ব্যবহার হয়। স্থানীয় জাতের ধানের বীজের স্বল্পতাও তাদের প (আরো পড়ুন )
দেলদুয়ারসহ টাঙ্গাইল জেলার প্রায় সব এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির করনে ধলেশ্বরী ও ধলেশ্বরীর শাখা এলেংজান নদী সহ স্থানীয় কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ধলেশ্বরী নদীর নিকটবর্তী লাউহাটি ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া, স্বল্পনাড়ু, মাঝিবাড়ি, কাতুলী, পাহাড়পুর, বিলশা, দাড়িয়াপুর, হেড়ন্ডপাড়া, চর লাউহাটি, বন্নি, স্বল্পনাড়ু– ৭নং, তাঁতশ্রী দক্ষিণ পাড়া, কাতুলী, ডামখন্ডসহ ফাজিলহাটি, এলাসিন ও দেউলী ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের মধ্যে নদীর কাছাকাছি গ্রাম তারুটিয়া, স্বল্পনাড়ু, পাঁচুরিয়া, ডামখন্ড, হেরন্ডপাড়া গ্রামের অবস্থা বেশি ভয়াবহ। ঘরের ভিটামাটি, ঘরের ডোয়া ভেঙ্গে মাচার ডোলসহ (আরো পড়ুন )
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় একটি গ্রাম পাড়াসিধাই। নয়াকৃষির কৃষক কামাল হোসেনের বাড়ীতে একটি বৈঠক বসে। উবিনীগের গবেষক দলের সাথে আলোচনা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন কি কৃষকরা আদৌ বুঝতে পারছেন? তাদের ফসলের মধ্যে কোন কি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে? নয়াকৃষির কৃষকরা মৌসুমের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে ফসল পরিকল্পনা করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে গেলে বিকল্প ফসলের চিন্তাও তাদের থাকে। এই সভা অনুষ্ঠিত হয় ৩রা শ্রাবণ, ১৪২৪ ( ১৮ জুলাই, ২০১৭) । এতে অংশগ্রহণ করেন ২৯ জন নারী (১৬) ও পুরুষ (১৩) কৃষক। তাঁরা বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত মৌসুমের তারতম্য পর্যবেক্ষণ করেন।
এই এলাকা সাধারণত খরা প্রবণ। কৃষকরা খরা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে প্রস্তুত থাকেন। তবে এবার বৈশাখ থেকে আষ (আরো পড়ুন )
|| Tuesday 22 December 2015 || বিষয়: নদী ভাঙ্গন ও বন্যা প্লাবন, জীবিকার সংগ্রাম
গত জুন ২০১৫ থেকে আগষ্ট ২০১৫ এই ৩ মাসের ব্যাবধানে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ককসবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলা ৩ বার বন্যায় প্লাবিত হয়। এলাকায় সৃষ্ট ব্যাপক বন্যায় মানুষ পানি বন্দি ও গৃহহারা হয়ে পড়ে। ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়, গবাদি পশু- পাখি ভেসে যায়, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। দূর্গত মানুষের পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে প্রায় ৩ মাস সময় লেগেছে। এখনো কোন কোন এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পদ্মাবতী বিদ্যাঘরের কর্মীরা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। সার্বিক ভাবে কেন্দ্রের ঘর, অফিস কক্ষ, (আরো পড়ুন )