গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে লুটতরাজ, নারী কর্মীদের লাঞ্ছনা এবং মামল সংক্রান্ত বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাষ্টের বক্তব্য

গত ২৬ অক্টোবর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাভারে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, (যা মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্যে গঠিত ফিল্ড হাসপাতাল এর উত্তরসূরি) এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে হামলা হয়েছে এবং ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রায় দুই শ আতঙ্ককারি একযোগে হামলা চালায়। ছাত্রীদের তিনটি হলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা ছাত্রীদের গলা ধাক্কা দিয়ে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ অশালীন আচরণ করে হল থেকে বের করে দেয়। এই সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিমন হোসেনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। এর পরবর্তী পর্যায়ে নানাভাবে হয়রানী করা হয়। এর বিরুদ্ধে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রতিবাদ করেছেন।

এই হামলার প্রতিবাদে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিতভাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইতিহাস এবং অবদান এবং হামলার ঘটনা এবং এর নেপথ্যে (আরো পড়ুন )


জনস্বাস্থ্য খাতে অবহেলা ও পরিকল্পনাহীনতার বাজেট, ২০১৭-১৮

জাতীয় বাজেট ঘোষণার মাত্র কিছুকাল আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুটি পৃথক বিভাগ হয়েছে: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। এই দুই বিভাগ কেন করা হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যা আমরা পাইনি। এই পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ধরে নেয়ারও কোন যুক্তি নেই কারণ বাজেট বরাদ্দ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। বাজেটে এই দুই বিভাগ মিলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য (উন্নয়ন ও রাজস্ব) মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় মোট বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ যথেষ্ট নয়, তা বলাই বাহুল্য। গত কয়েক বছরের বাজেটে বরাদ্দের হার ৬ শতাংশের কাছে যেতে পারে নি। বিগত বাজেট ঘোষণার পর স্বাস্থ্য আন্দোলন এব (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে পিছিয়ে জেলা-উপজেলাঃ ভুগছে সাধারণ মানুষ

মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য আন্দোলনের বক্তব্য, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

দেশের জন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্যে সরকারের নির্দিষ্ট পদক্ষেপ রয়েছে। গ্রাম পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হচ্ছে। এর জন্যে অবকাঠামো তৈরি, জনবল, অর্থ বরাদ্দ, যন্ত্রপাতি, ওষুধ সরবরাহ কোনটা ছাড়া স্বাস্থ্য সেবা সঠিকভাবে দেয়া যায় না। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সম্পুর্ণ ভাবে জনবল, ওষুধ, যন্ত্রপাতি, অর্থ – একটা ছাড়া অন্যটা করা যায়না। তাই আজকাল পত্র-পত্রিকায় এসব বিষয় খবর আকারে স্থান পেয়েছে। যেটা ঠিক আছে তা হচ্ছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবকাঠামো। অর্থাৎ বিল্ডিং। অবকাঠামোর কাজ হয় প্রকৌশল বিভাগ থেকে, চিকিৎসা বা চিকিৎসকের সাথে এর সম্পর্ক নেই। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান মারাত্মকভাবে এই সব (আরো পড়ুন )


কেন্দ্রভুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা জনগণের সেবা দিতে পারে না

“স্বাস্থ্য সেবা মানেই চিকিৎসা সেবা। আমাদের দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেন্দ্রভুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। একটা সুন্দর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা করার বিকল্প দিক সরকারকে দেখতে হবে। জনবলের ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কোন নীতি নাই। স্বাস্থ্য সেবার মূল জায়গা সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, এটাকে সচল রাখতে হবে” বলেন অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই- মাহবুব, সভাপতি, স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটি, ঢাকা।

২৯ অক্টোবর, ২০১৬ বিকেল ৩টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি.আই.পি লাউঞ্জে স্বাস্থ্য আন্দোলন এবং উবিনীগ আয়োজিত “স্বাস্থ্য সূচকে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল: পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়|

এই মতবিনিময় সভায় সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ, যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বাস্থ্য আন্দোলন। প্রধান অতিথি ছিলেন ডা. মো: ফারুক আহম্মেদ ভূঁইয়া, লাইন ডাইর (আরো পড়ুন )


তামাক চাষ এলাকার মানুষ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য অবস্থার পর্যালোচনা

মতবিনিময় সভা

চকরিয়ায় স্বাস্থ্য আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয় আজ ২৬ অক্টোবর ২০১৬ বুধবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে উবিনীগ ও স্বাস্থ্য আন্দোলনের আয়োজনে চকরিয়া হেলথ কমপ্লেক্স কনফারেন্স রুমে তামাক চাষ এলাকার মানুষ ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য অবস্থার পর্যালোচনা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মী, কলেজের অধ্যাপক, এনজিও প্রতিনিধি, স্কুলের শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, কৃষক, নারী নেতৃবৃন্দ, তাবিনাজ নেটওয়ার্ক সদস্য, পৌর কাউন্সিলর, উবিনীগ কর্মীসহ মোট ২৫ জন সভায় অংশগ্রহন করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিক্লপনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুস ছালাম। সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন উবিনীগের আঞ্চলিক সমন্বক রফিকুল হক টিটো। পরে মুক্ত আলোচনা শুরু হয়। মুক্ত আলোচনা পর্বে মোট ১৬ জন অংশ (আরো পড়ুন )


“স্বাস্থ্য সূচকে বরিশাল জেলার অবস্থার পর্যালোচনা” ২০১৬

প্রতিবেদন

স্বাস্থ্য আন্দোলন গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বরিশাল মহিলা সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্যসূচকে বরিশাল অঞ্চল পিছিয়ে’- এ বিষয়টি নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

বরিশাল মহিলা কল্যাণ সংস্থার (বিএমকেএস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, নারী নেত্রীসহ অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বরিশাল মহিলা কল্যাণ সংস্থার (বিএমকেএস) এর পরিচালক কাওছার পারভীন। মতবিনিময় সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্য আন্দোলনের সদস্য এবং উবিনীগের গবেষক পলাশ বড়াল।

তিনি উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পলাশ বড়াল বলেন, স্বাস্থ্য আন্দোলন নেটওয়ার্ক এবং বরিশাল মহিলা কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ মতবিনিময় (আরো পড়ুন )


মাতৃ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার সমন্বয় জরুরি

নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য গর্ভবতী নারীদের সরকারী হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু সরকারী হাসপাতালে রোগী রেফার করলেও সঠিক সময়ে তারা সেবা পাচ্ছে না। হাসপাতালে ডাক্তার স্বল্পতা, এনেসথেশিয়ান নাই। এই সব বিভিন্ন কারনে গ্রামের মানুষ দাইমাদের উপরেই নির্ভর করে। নরমাল ডেলিভারী তারা ভালভাবেই করে। বাংলাদেশে গ্রামের মানুষের জন্য সরকারী স্বাস্থ্য সেবা দেবার মাধ্যম উপজেলা পর্যায়ে ‘উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রকেই ধরা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও সেখানে স্বাস্থ্য সেবা পূর্ণাঙ্গ নয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবা মূলত পরিবার পরিকল্পনার জন্য। তাই এখানে সব ধরণের স্বাস্থ্য সেবা দেবার ব্যবস্থা নাই।

পহেলা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ স্বাস্থ্য আন্দোলন ও উবিনীগ আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য সেবার আলোকে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা’ বিষয়ক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ছেঁউরিয়া, কুষ (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য ব্যবস্থাঃ নজরের বাইরের বিষয় আমলে আনা

এই বছর (২০১৬) কলম্বো, শ্রীলংকায় পিপলস হেলথ মুভমেন্টের একটি পরামর্শমূলক পর্যায়ের সভায় আমার অংশগ্রহণ করবার সৌভাগ্য ঘটে। নানান দেশে গণমানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেন এমন সব সক্রিয় মানুষদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সভা। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীরা যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তাকে সম্যকভাবে বোঝা এবং নতুন বাস্তবতায় সম্ভাব্য কী ধরণের কর্মকাণ্ড ফলপ্রসূ হতে পারে মূলত তা নির্ধারণের জন্যই আলোচনা।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই পুঁজির আত্মস্ফীতি ও পুঞ্জিভবনের প্রক্রিয়া কিভাবে সমাজ, রাষ্ট্র, মানুষ, কৃৎকৌশল, তথ্য ইত্যাদি সবকিছুর তুমুল বদল ঘটাচ্ছে তা নিয়ে কথা ওঠে। এটা বোঝা কঠিন নয় মোটেও। আমাদের নিজেদের শরীরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বদল ঘটেছে; আমরা যা কিনে খাই, ব্যবহার করি তা আমরা নিজেরা চাই কিনা সন্দেহ, কারণ আমাদের চাওয়া পাওয়া কোম্পানির – বিশেষত বহুজাতিক কোম্পানির বিজ্ঞাপনের ওপ (আরো পড়ুন )


গ্রাম ও দুর্গম পাহাড়ী এলাকার চিকিৎসা সেবা যেন ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’

গ্রাম ও দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত সৃষ্টির সেরা জীবগুলো ডিজিটাল যুগেও সুচিকিৎসা বঞ্চিত। সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথা বলে বেড়ালেও এসব এলাকার বাস্তব চিত্র হচ্ছে ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নাই।’ বিশেষ করে গ্রাম ও পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ আদিবাসী নারী-পুরুষ শিশুরা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। তারা সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে বেঁচে আছে। যে কারণে এসব এলাকায় ‘দু’টি সন্তান যথেষ্ট’- এ তথ্য মানতে নারাজ।

সরকারি ভাবে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করে ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিলেও বেশিরভাগ চিকিৎসক নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত থাকে না মাসের পর মাস। নিয়মিত মাশুহারা নিলেও দরিদ্র লোকজন চিকিৎসা সেবা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত। কালে-ভাদ্রে ডাক্তার-নার্স পাওয়া গেলেও যথাযথ ভাবে ঔষধপত্র পাওয়া যায় না। নিয়ো (আরো পড়ুন )


প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার

মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও অন্যান্যদের সাথে সমতার ভিত্তিতে সেবা পাবে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিবন্ধীতার কারণে তারা এ অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। যারা সবসময় অবহেলিত, যাদের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছান দুরূহ তারাই পরিকল্পনার বাইরে থাকছে। কাজেই এ অবস্থা উত্তরণে সম্মিলিত উদ্যোগ অতি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইনে যা বলা হয়েছে-

জাতিসংঘ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার সনদ, ধারা ২৫:

প্রতিবন্ধিতার কারনে কোনরূপ বৈষম্য না করে শরীক রাষ্ট্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সর্বাধিক অর্জনযোগ্যমানের স্বাস্থ্য লাভের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। শরীক রাষ্ট্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য-বিষয়ক পুনর্বাসনসহ লিঙ্গ-ভিত্তিক সামাজিক অসমতার প্রতি (আরো পড়ুন )


নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার: আমাদের করণীয়

নারীকে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে নারীপক্ষ কাজ করে আসছে। নারীপক্ষ বর্তমানে ছয়টি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে ‘নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

১৯৯৪ সালে মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়ন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত কর্মসূচি এবং পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে গণচীনের রাজধানী বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত ৪র্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনা মাধ্যমে নারীর স্বাস্থ্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হিসেবে গণ্য হয়। পরবর্তীতে নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য আলোচনায় ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ এবং সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা স্বীকৃতি লাভ করে। ২০ বছরে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়সূচীর উ (আরো পড়ুন )


জাতীয় বাজেট - স্বাস্থ্য সেবাখাত: বাজেটের আকার বাড়ে তবে স্বাস্থ্য খাতে কমে

স্বাস্থ্য অন্যতম মানবাধিকার এবং সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মানব উন্নয়ন সূচক। স্বাস্থ্যের উন্নয়ন শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, মানুষের জীবনের গুণগত মান ও সামাজিক প্রগতির ভিত্তিস্বরূপ একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য সেবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সাংবিধানিকভাবে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টিকে মানুষের সার্বিক সক্ষমতার জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান দেয়া হয়েছে। মানব উন্নয়নের সূচক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ এখাতে বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকারের কথা বলে থাকে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিতে দেখা যায় দরিদ্র, প্রান্তিক জনগণ এখনো স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। ধনী গরিব সকলের জন্য মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

আমাদের দেশে স্বাস্থ্য সেবায় রয়েছে জনবল সংকট ও এর বিন্যাসে আঞ্চলিক বৈষম্য, সেই সাথে রয়েছে অবকাঠামো (আরো পড়ুন )


তামাকের আগ্রাসন দেশের জনস্বাস্থ্যকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে

বিগত কয়েক বছরের অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেলেও তামাকজাত দ্রব্যের দাম সে অনুসারে বৃদ্ধি পায়নি বরং কমেছে। সস্তায় তামাকজাত দ্রব্য প্রাপ্তির কারণে মানুষের মধ্যে তামাক ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে প্রতিবছর বাংলাদেশে ৩০ বছরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৭ হাজার জন মৃত্যুবরণ করছে এবং প্রতি বছর ১২ লক্ষ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত প্রধান ৮টি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা, অকালমৃত্য, পঙ্গুত্বের কারণে বছরে দেশের অর্থনীতিতে ১১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

“ধূমপান স্বাস্ব্যের জন্য ক্ষতিকর তা প্রত্যক্ষ হোক কিংবা পরোক্ষ ধূমপান। ধূমপানের কারণে এ পৃথিবীতে অনেক মানুষ সবার অজান্তে অকালেই ঝরে যাচ্ছে। ধূমপানের ফলে সৃষ্ট তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলো জীবনকে বিপন্ন করে তোলে। তামাকে যে নিকোটিন থাকে তা ভয়ানক আসক্তির সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গে (আরো পড়ুন )


শহর বাড়ছে, সেবার পরিধি হচ্ছে শঙ্কুচি (বিক্ষিপ্ত ভাবনা)

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ৯ মে, ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর সাথে ৮টি করে মোট ১৬টি গ্রামীণ ইউনিয়ন যুক্ত হবে, যার ফলে এই দুটি মহানগরের আয়তন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা মহানগরীর নিকটবর্তী ১৬টি ইউনিয়ন দুটি সিটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হতে প্রায় ২৮ বছর সময় লেগেছে কারণ একটি মামলার কারণে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব ছিল না।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হবে বেরাইদ, বাড্ডা, ভাটারা, সাঁতারকুল, হরিরামপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং ডুমনি (খিলক্ষেত) ইউনিয়ন সমূহ। একইসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাথে যে সকল ইউনিয়ন যুক্ত হবে তারা হচ্ছে, শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুআইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও এবং নাসিরাবাদ ইউনিয়ন। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ৮২.৬৩৮ ব (আরো পড়ুন )


বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি নয়, চাই জনগণের স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা মেটানো ও রোগ প্রতিরোধ করা

বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে সফল হয়েছে, যা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ (হৃদরোগ, ষ্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিস) বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৬০% হয় অসংক্রামক রোগে। আমাদের আজকের আলোচনায় বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের রোগ আর মৃত্যু অবস্থা, সরকারী-বেসরকারী চিকিৎসা সেবার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আগামী বছরের বাজেট এবং স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমকে মূল্যায়ণ করার চেষ্টা করবো।

বাড়ছে অসংক্রামক রোগ, উদ্যোগ নেই প্রতিরোধের

২০১০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা যায়, ৯৮.৭% এর মধ্যে অন্তত একটি অসংক্রামক রোগের (হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিস) ঝুঁকি (risk factor) ৭৭.৪% এর মধ্যে অন্তত দুটি ঝুঁকি এবং ২৮.৩% এর মধ্যে অন্তত তিনটি ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশে ১২ লক্ষ ক (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য সেবায় গরিব ও অবহেলিতরা বঞ্চিত 

বলা হয় স্বাস্থ্য সেবা সবার জন্যে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যারা শ্রমিক, আদিবাসি, নিম্ন বর্ণের মানুষ এমনকি প্রতিবন্ধিতার শিকার - তারা স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না। তারা নানা রকম রোগের শিকার হচ্ছেন কিন্তু স্বাস্থ্য সেবা নিতে গিয়ে বৈষম্যমুলক আচরণের কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সারা দেশে এমন ঘটনা অনেক রয়েছে। স্বাস্থ্য আন্দোলনের জন সম্মেলনে তাদের মধ্যে কয়েকজন এই চিত্র তুলে ধরেছেন।

রওশন আরা বেগম (৪৩) নির্মান শ্রমিক স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি থাকেন মিরপুর পল্লবী, লালমাটিয়া পুরাবস্তি। স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যাবার পর থেকে রাজমিস্ত্রী জোগালী হিসেবে কাজ করেন। মাথায় বেশি বোঝা নিলে মাথা ব্যথা করে। কাজের চাপ বেশি পড়লে বুক ব্যথা করে।

তিনি বলেন “ভাত যোগাতে পারি না ডাক্তার দেখাবো কেমন করে”। তিনি চার বছর আগে বুকে ব্যথার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতালের ডাক্তারা বিভি (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধীতার কোন চিকিৎসা নেই

কনা, কনার বয়স ১বছর ৫ মাস। পিতা নাম-কামাল মন্ডল, বয়স ৩০ বছর, পেশায় দিন মজুর ও কৃষক। মায়ের নাম-সাবিনা ইয়াসমিন, বয়স ২৫ বছর, গৃহিনী। ঠিকানা- হাজারীপাড়া, মুলাডুলি, ঈশ্বরদী, পাবনা।

পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। বাবা, মা, কনার ভাই, বয়স ৬ বছর ১০ মাস এবং কনা নিজে।

আর্থিক অবস্থা- কনা বাবার ৫ কাঠা জমির একটি বসত বাড়ি আছে। তাতে একটি ঘর। ঘরটির ছাউনি টিনের কিন্তু চার পাশে মাটির দেওয়াল। ছোট একটি রান্না ঘর আছে। গবাদি পশু পাখি বলতে একটি মুরগী ও বাচ্চা ৬টি। একটি আম গাছ, একটি লিচু গাছ, একটি লিচু গাছ এবং একটি জাম্বুরা। ছোট একটি বাঁশ ঝার আছে।

কৃষি জমি বলতে ২০ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করেন। পাশাপাশি দিন মজুরের কাজ করে দিন চলে।

কনার প্রতিবন্ধী হওয়ার কারন- প্রতিবন্ধী সাব্বিরের ছোট বোন কনা। কনার জন্মের পর কোন সমস্যা ছিল না। কনার ম (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য খাতে চরের মানুষদের কথা চিন্তায় রাখা দরকার: চিলমারীতে স্বাস্থ্য আন্দোলন-এর মতবিনিময় সভা

গরীব ও নিঃস্ব মানুষ নানাভাবে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চরে কোন ডাক্তার নাই। চর থেকে সদরে যেতে হলে পাড়ি দিতে হয় ব্রহ্মপুত্র নদ। বিশেষভাবে চর এলাকার মানুষেরা স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজন অনুসারে পাচ্ছেন না। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত গরিব ও অবহেলিত মানুষের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কি ধরনে বাজেট হওয়া উচিত তা নিয়েই এই মতবিনিময় সভায় আলোচনা হয় ২১ এপ্রিল, ২০১৬ চিলমারীর মনতলা চরে।

নাজমুল হুদা পারভেজ: সাংবাদিক

সমস্ত চিলমারীটাই চর। এখানে এত নদী ভাঙ্গন যার কারণে চরের মানুষের বসবাসটাই এখন কাইম এলাকায়। চিলমারী হাসপাতালে ডাক্তার তেমন নাই। চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবাটা কোন পর্যায়ে আছে তা যদি একটু দেখি।

প্রথমত এই এলাকায় যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক (আরো পড়ুন )


জাতীয় বাজেট ২০১৬-২০১৭: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দে শ্রমিক নারীদের কথা

সাভার আশুলিয়া থানার পশ্চিম গাজিরচট এলাকায় ২২ এপ্রিল, ২০১৬ স্বাস্থ্য আন্দোলনের আয়োজনে জাতীয় বাজেট ২০১৬- ২০১৭: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দে শ্রমিক নারীদের কথা শোনার জন্য এক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারী ছিলেন ২৩ জন। এরা হলেন গার্মেন্ট শ্রমিক, বাসাবাড়িতে কাজ করা মহিলা, সাধারণ নারী, গর্ভবতী মা ও কিশোরী। মতবিনিময় সভায় আসন্ন বাজেটে শ্রমিকের জন্য কি ধরনের বাজেট হওয়া উচিত সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

গার্মেন্ট শ্রমিক রোকেয়া খাতুন

প্রতিবছর সরকারের বাজেট হয় জানি কিন্তু সেই বাজেটে শ্রমিকের জন্য কি থাকে তা জানি না। আমরা অসুস্থ হলে ফার্মেসী থেকে ওষুধ খাই। বড় ধরনের কোন রোগ হলে প্রাইভেট হাসপাতালে যাই। কারণ এখানে আশে পাশে কোন সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র নাই। আর প্রাইভেটে গেলে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। আমাদের দেশ আলফা ডাং (আরো পড়ুন )


ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্ভব

স্বাস্থ্য আন্দোলন এর আয়োজনে ৬ এপ্রিল, ২০১৬ বিকেল ৩ টায় নারীগ্রন্থ প্রবর্তনায় “ডায়াবেটিস সংক্রান্ত সচেতনতা ও প্রতিরোধের উপায়” নিয়ে এক মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অংশগ্রহন করেছেন উন্নয়ন কর্মী, গার্মেন্ট শ্রমিক, কলেজের অধ্যাপক, ছাত্র, তামাক বিরোধী নারীজোট, শ্রমবিকাশ কেন্দ্র, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, বীজবিস্তার ফাউনডেশনসহ আরো অনেকে। অংশগ্রহনকারী মোট ৩৩ জন।

সভাটি সঞ্চালনা করেন পলাশ বড়াল, সদস্য, স্বাস্থ্য আন্দোলন।
সভাপ্রধান ড.এম. এ. সোবহান, চেয়ারম্যান বীজবিস্তার ফাউন্ডেশন।

ড. এম এ. সোবহান, চেয়ারম্যান,বীজ বিস্তার ফাউনডেশন বলেন মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশ গুলিতে এই রোগের প্রবনতা বেড়েছে। ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক ব্যাধি। ২০১৫ সালে এ দেশে ৭১ লক্ষ ডায়াবেটিস রোগী ছিল। দিনে দিনে যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে তাতে আশঙ্কা হচ্ছে ২০২০ সালে এ সংখ্যা এক কোটি ষাট (আরো পড়ুন )


ডায়াবেটিস রোগীদের অভিজ্ঞতা

ডায়াবেটিস রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পায় কিনা সেই বিষয়টি জানার জন্য ৩ এপ্রিল, ২০১৬ বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি রিংরোড, শ্যামলী সেন্টারে গিয়ে কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে যে তথ্য পেয়েছি তা তুলে ধরছি।

আছিয়া খাতুন (বয়স ৬৫) আমি এসেছি মাহানপুর, শ্যামলী এলাকা থেকে। ত্রিশ বছর থেকে আমি ডায়াবেটিসে ভুগছি। আমরা স্বামী স্ত্রী দু,জনেই ডায়াবেটিস রোগী। প্রথমে আমার পিঠে একটি ফোঁড়া হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে সেই ফোঁড়ার যন্ত্রণায় কষ্ট পাই। যখন না ভাল হয় তখন ডাক্তারের কাছে যাই। ডাক্তার ফোঁড়া অপারেশন করে ওখান থেকে পুঁজ নিয়ে পরীক্ষা করতে বলেন। পরীক্ষা করার পর ধরা পরে আমার ডায়াবেটিস হয়েছে। আগে মাঝে মাঝে মাথা চক্কর দিয়ে পড়ে যেতাম। নিউরো সার্জন এর কাছে চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খাওয়ার পর এটা ভাল হয়েছে। প্রথমে শাহাবাগে ডায়াবেটিকস হাসপাতালে চিকিৎসা করতাম। চার বছর ধরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিসক সমিতি শ্যামলী সেন্টার থেকে চ (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচী ২০১১–২০১৬

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১১ সালের এপ্রিল মাসের ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী “স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা, পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচী” (Health, Population, Nutrition Sector Development Program - HPNSDP) প্রণয়ন করেন। এ কর্মসূচী ১ জুলাই, ২০১১ সালে শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩০ জুন শেষ হবে।

এইচ পি এন এস ডি পি (HPNSDP) এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২, ১৭৬.৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৮, ৬০৩.৫০ কোটি টাকা এবং বিশ্ব ব্যাংকের নেতৃত্বে দাতা সংস্থাগুলো ১৩, ৫৭৩.১৬ কোটি টাকা প্রদান করছে। স্বাস্থ্য খাতে স্বাধীনতার পরে আজ পর্যন্ত এটাই হচ্ছে সবচে বড় (মহা) পরিকল্পনা।

ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের অর্থপ্রদানকারী দাতাগোষ্ঠী কার্যক্রমের মধ্যমেয়াদী (Mid-term) পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা উইং (Pl (আরো পড়ুন )


আমরা কাওরা সম্প্রদায়, নিচু জাত বলে ডাক্তাররা আমাদের দেখতে চায় না

আমরা নিচু জাত বলে ডাক্তাররা আমাদের দেখতে চায় না। বাজারে ওষুধের দোকানদারকে দেখাই

অবহেলা ও অনাদরে দিনের পর দিন না খেয়ে যাদের দিন কাটে তাদের আবার স্বাস্থ্য কিসের?” কাওরা সম্প্রদায়ের শিপ্রা মন্ডল। বয়স ৩৫ বছর। অসুস্থ হলে কোথায় চিকিৎসা সেবা নেন, জানতে চাইলে এভাবেই উত্তর দেন।

স্বাস্থ্য আন্দোলন কাওরা সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় আড়ংঘাটা, খুলনায়। এই আলোচনা সভার প্রধান বিষয় ছিল কাওরা সম্প্রদায়ের অসুস্থতার ধরণ এবং অসুস্থ হলে সেবা গ্রহণের জন্য তারা কোথায় যায়। এখানে উপস্থিত ছিলেন ২১ জন নারী ও ৬ জন কিশোরী। এই আলাচনা পর্বটি প্রাণবন্ত করে তুলেন নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার সমন্বক সাইদা আখতার এবং গবেষণা সহযোগী মাহমুদা নার্গিস। নাইস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অংশগ্রহ (আরো পড়ুন )


আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে দাবীঃ শ্রমিকের স্বাস্থ্য সেবার দায়িত্ব অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে

সুলতানা বেগম গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী, মুক্তিসংগ্রাম গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন

আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে শুধু নারীরা আন্দোলন করবে তা কেন হবে। ছেলে মেয়ে উভয়ে একত্রে কাজ করতে হবে তাই অনেক ভাই এখানে এসেছেন। সংবিধানে নারীর অধিকারের কথা আছে তা হলে আমরা অধিকার পাই না কেন? পোশাক শ্রমিকরা সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেন। এরপর রাত ১০টা পর্যন্ত ওভারটাইম করেন। তাদের স্বাস্থ্যের কথা কেউ চিন্তা করেন না। নীতিনির্ধারকরা সংসদে বসে গার্মেন্ট শ্রমিকের কথা ভাবে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে করতে চোখে অন্ধকার দেখে । তাদের অসুস্থতার কোন ছুটি নেই। কিছু কিছু গার্মেন্টে তুলা, স্যাভলোন, পারাসিটামল (নাপা) ও সেলাইন আছে এ ছাড়া কিছু নেই। কোন কোন গার্মেন্টে এসবও নেই। মাথা ব্যথা করলে পারাসিটামল খাওয়ায়ে শোয়ায়ে রাখে। আসলে কেন তার মাথা ব্যথা সেটাত (আরো পড়ুন )


রোগী এবং স্বাস্থ্য সেবা দানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন, ২০১৬

স্বাস্থ্য আন্দোলন – এর সুচনা বক্তব্য

প্রেক্ষাপটঃ

বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের বিভিন্ন অনাকাংখিত ঘটেছে, যা খুব উদ্বেগজনক। এরই ফলাফল হিসেবে ‘রোগী এবং স্বাস্থ্য সেবা দানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন, ২০১৬’ এর খসড়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মতামত বিনিময়ের জন্যে প্রাথমিক বক্তব্য হিসেবে স্বাস্থ্য আন্দোলন মনে করে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য সেবা দান কারী প্রতিষ্ঠান এবং রোগী উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হয় এবং মানুষ সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা পায় এটাই সবার কাম্য, তাই আইনে উভয়কে রক্ষার বিধান থাকতে হবে। এই আইন প্রথমে ২০১৪ সালে একটি খসড়া হয়েছিল “জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা দানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন, ২০১৪ এবং রোগী সুরক্ষা আইন, ২০১৪” নামে। সে সম (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য আন্দোলন ‘রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন,২০১৬ প্রত্যাখ্যান করেছে

উবিনীগ এবং স্বাস্থ্য আন্দোলন আয়োজিত ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ জাতীয় প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা ‘রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুরক্ষা আইন, ২০১৬’ প্রত্যাখ্যান করে। তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবিত রোগী সুরক্ষা আইন, (২০১৬), চিকিৎসক এবং চিকিৎসা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তা আমলে নেয়ার সুনির্দিষ্ট কোন দিক নির্দেশনা নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির পক্ষে দাঁড়াতে পারবে না। বরং আইনের খসড়ায় মনে হচ্ছে সরকার রোগীর শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ক্ষতি হলেও তা প্রমাণে দীর্ঘসূত্রতাই প্রস্তাব করছে। আমরা চাই রোগী সুরক্ষা এবং একই সাথে সেবা প্রদানকারীর যথাযথ মর্যাদা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, সভাপতি, স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটি, ডা. ফয়জুল হাকিম, আহ্বায়ক, জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম (আরো পড়ুন )


মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নৈরাজ্য

বিগত কয়েকদিন ধরে শহীদ মিনারে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। তাদের দাবী হচ্ছে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন আগের দিন রাতে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তাই যে ফলাফল বেরিয়েছে তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তারা এই পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবী করছে। আমি এ দাবীর প্রতি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিশেবে আমার সংহতি প্রকাশ করছি, এবং আশা করছি দ্রুত এই সংকটের সমাধান হবে। একই সাথে আশা করছি এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কেন্দ্র করে যে কয়েকটি মূল প্রশ্নগুলো সামনে আসছে তার একটা সুরাহার পথ খোলা হবে।

প্রথমেই মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিকার্থীদের কথায় আসি। শিক্ষার্থীদের হাতে একটি ফেস্টুনে লেখা আছে ‘প্রশ্ন যদি হয় ফাঁস, পড়ব কেন বার মাস?’ সহজভাষায় মূল কথাটি বলে দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেক (আরো পড়ুন )


জীবন রক্ষাকারী প্যারাসিটামলে জীবন হরণ

সম্প্রতি বিষাক্ত প্যারাসিটামল নিয়ে যে খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে তা দীর্ঘ দিন ধরে (২৩ বছর) প্যারাসিটামলের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছিল তার রায় কবে হবে, কি হবে এই নিয়ে জনগণের মনে উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগ বিরাজ করছিল। গত ১৭ আগস্ট, ২০১৫ মামলাটির রায় ঘোষণা হয়েছে। এতে মানুষ আশ্বস্ত হলেও বিপদ কিন্তু এখনো কাটেনি। এ বিষয় নিয়েই আমার এ লেখা।

ভেজাল প্যারাসিটামল ওষুধ সেবনের কারণে দেশে প্রায় ২ হাজার ৭ শত শিশুর মৃত্যু ঘটেছে ১৯৮৩ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ উৎপাদন ও বাজারজাত করণের অভিযোগে ১৯৯২ সালে পাঁচ টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিরা অব্যহতি পান। বাকি চারটি মামলার মধ্যে ১৭ আগস্ট, ২০১৫ দুটিসহ এ পর্যন্ত তিনটি মামলার রায় হয়েছে। একটি মামলার বিচার কাজ চলছে।

২৩ বছর আগে জীবন রক্ষাকরী প্যারাসিটামলে জীবন হরণ করে ৭৬ টি শিশুর। ভেজাল প্যার (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য আন্দোলনের কার্যক্রম

স্বাস্থ্য আন্দোলন জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চত করবার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সেবার ধরণ ও মানের বিচার এবং নীতি নির্ধারণী বিষয়াদির পর্যালোচনার লক্ষ্যে এই নেটওয়ার্কটি গড়ে উঠেছে ২০০০ সারে তৎকালীন সরকারের স্বাস্থ্যনীতি ঘোষণার পর। এর সদস্যরা হচ্ছেন নানান ক্ষেত্রে জড়িত চিকিৎসক, গবেষক, আইনজীবি, বিজ্ঞানী, সাংবাদিক, এবং স্বাস্থ্য কর্মী। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের দুর্বলতা এবং বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে গণমানুষের পক্ষে সঠিক নীতির প্রণয়নের জন্য কাজ করছে স্বাস্থ্য আন্দোলন।

স্বাস্থ্য আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ও জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিবছর জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে। এবারে গার্মেন্ট শিল্পের বিভিন্ন দুঘটনায় আহত শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নানান দিক তুলে ধরা হয়।

(আরো পড়ুন )


'সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা' বছর ৩, মে, ২০১৪

স্বাস্থ্য অধিকার তৃতীয় বার্ষিক সংখ্যাটি সময়ের একটু ব্যবধানে বের হচ্ছে। অনিচ্ছাকৃত এই বিলম্বের জন্যে আমরা দুঃখিত। তবে আমাদের কাজ থেমে থাকে নি। ২০১২-২০১৩ সালের রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও আমাদের কাজ চালিয়ে গেছি। এর জন্যে স্বাস্থ্য আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

দুঃখজনক হচ্ছে এর মধ্যে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলামকে হারিয়েছি ২৪ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে। তিনি স্বাস্থ্য আন্দোলনের সভাগুলোকে খুব গুরুত্ব দিয়ে আসতেন এবং তাঁর দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করতেন। তিনি সবসময় আমাদের মাঝে সেই অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছেন এবং থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিকারের তৃতীয় সংখ্যাটি তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে উৎসর্গ করা হয়েছে।

আমরা জানি স্বাস্থ্য অধিকার যে সব তথ্য ও ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে তার একটি চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাই (আরো পড়ুন )


জাতীয় সেমিনার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ও জনগণের প্রত্যাশা

স্বাস্থ্য আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ও জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিবছর জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করে। এবারে গার্মেন্ট শিল্পের বিভিন্ন দুঘটনায় আহত শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার নানান দিক তুলে ধরা হয়।

উবিনীগ ও স্বাস্থ্য আন্দোলনের আয়োজনে ২৪ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ও জনগণের প্রত্যাশা” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ২৪ নভেম্বর ছিল তাজরীন গার্মেন্টের দুর্ঘটনার এক বছর। সেমিনারটি উৎসর্গ করা হয় তাজরিন গার্মেন্টের নিহত শ্রমিকদের প্রতি।

 

(আরো পড়ুন )

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রত্যাশা

স্বাস্থ্য আন্দোলন বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রত্যাশা স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় আন্দোলনের কার্যকর সংগঠনগুলোর বিগত বিভিন্ন সভা, কর্মশালা, সেমিনার,গোলটেবিল বৈঠক হতে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহের সংকলন।

  • ক. সংবিধান বিষয়সমূহ
  • খ. জনস্বাস্থ্য নীতি ও মন্ত্রণালয়

১ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উনড়বয়ন বিষয়সমূহকে

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে

মৌলিক অধিকার হিসেবে সম্পৃক্ত করতে হবে;

২ আলমা আতার ঘোষণা অনুযায়ী ‘রাষ্ট্রের কাছ থেকে

নাগরিক মানসম্পন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাসমূহ পাইবার

অধিকার হবে;

৩ ‘প্রতিটি (আরো পড়ুন )


জনগণের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থাঃ প্রসংগ বাজেট ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা

জনগণের স্বাস্থ্য সেবা কি পর্যায়ে আছে? জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের তাই সরকার স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করে, এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে। এটা রাষ্ট্রের সেবা খাত কিন্তু সমাজ কল্যাণমুলক কাজ নয়। রাষ্ট্র তার নিজের প্রয়োজনেই স্বাস্থ্য সেবা দিতে হয় কারণ সূস্বাস্থ্য জনগণের উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্যে একান্তভাবে জরুরী। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে সরকার কর আরোপের মাধ্যমে আভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ করে। অর্থাৎ জনগণ নিজেই কর প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার জন্যে যে অর্থ খরচ হয় সে অর্থ সরবরাহ করে। এছাড়া বৈদেশিক সাহায্যের মাধ্যমে কিছু প্রকল্প নেয়া হয়। আমাদের স্বাস্থ্য জনবল, বিশেষ করে চিকিৎসকরা, শিক্ষা লাভ করে জনগণের অর্থে, এবং তাদের বেতনও আসে জনগণেরই অর্থে। এগুলো সাধারণভাবে জানা তথ্য। তাই রাষ্ট্রের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার দাবী নেহায়েত আবদার নয়, এটা (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য আন্দোলনের মানববন্ধ 'স্বাস্থ্য সেবায় কেউ বিঘ্ন ঘটাবেন না'

গত ১২ মে, ২০১৪ সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্য আন্দোলন নেটওয়ার্ক ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্হিবিভাগের গেটের সামনে‌ ‌(‍‍দয়া করে রোগীদের সেবা দেয়া বন্ধ করবেন না, স্বাস্থ্য সেবায় কেউ বিঘ্ন ঘটাবেন না) শীর্ষক মানব বন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, রোগী, রোগীর আত্মীয় ও সাধারন জনগণ।

সভাটি স্বাস্থ্য আন্দোলনের রোকেয়া বেগম এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আমিনুর রাসুল, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, ড.এম এ সোবহান কৃষিবিদ,উবিনীগ, সীমা দাস সীমু, শ্রমবিকাশ কেন্দ্র, পলাশ বড়াল, পরিচালক, উবিনীগ।

সভায় বক্তারা বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিশেষ করে সরকারী হাসপাতাল গুলিতে। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে দেখা যাচ্ছে ঢাকা সহ সারা দেশে হাসপাতাল গুলিতে একধরনের অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানে জরুরী চিকিৎসা (আরো পড়ুন )


আলোচনা সভাঃ রানা প্লাজার আহত শ্রমিকরা কেমন আছেন?

গত বছর ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ সাভার রানা প্লাজা ভবন ধসে পড়ে ১১৩৮ জন শ্রমিক নিহত-হন-যার অধিকাংশই ছিলেন ভবনটিতে থাকা গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক। প্রায় ২৪০০ শ্রমিককে ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করা হয়-যাদের অনেকেই অঙ্গহানির শিকার হন। গত ২৪ এপ্রিল, ২০১৪ রানা প্লাজা ভবন ধসের এক বছর। এই উপলক্ষে ২২ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আহত শ্রমিকরা কেমন আছেন? কেউ কি তাদের দায়িত্ব নিয়েছেন ? শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে শ্রমবিকাশ কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য আন্দোলন।

আলোচনা সভায় সাংবাদিকসহ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন এমন সংগঠনের ৬৭ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চচালনা করেন সীমা দাস সীমু,শ্রমবিকাশ কেন্দ্র।

সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ ও শ্রমবিকাশ কেন্দ্র, যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বাস্থ্য আন্দোলন। শুরুতে তিনি বলে, বিভিন্ (আরো পড়ুন )


রানা প্লাজার ভবন ধসঃ আহত শ্রমিকরা কি আসলেই বেঁচে আছেন?

‘রানা প্লাজা’ একটি ভয়ংকর বিল্ডিংয়ের নাম হয়ে গেছে। এই বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি গার্মেন্ট কারখানা ছিল, তাতে কাজ করতো কয়েক হাজার শ্রমিক। বিদেশী নামকরা ব্রান্ডের কাপড় তৈরী করতো এখানকার শ্রমিকরা। আসতো কোটি কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা। ডাঁটে চলতো গার্মেন্টের মালিকরা, আর জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা থাকায় শান্তিতে ছিল কয়েক হাজার শ্রমিক। সাভার দিয়ে সব সময় যারা দুরপাল্লার যাত্রা করেছেন অনেকে, কিন্তু কখনো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি, এই ভবনটি একদিন ধসে পড়বে এবং নেমে আসবে অসহনীয় দুর্যোগ হাজার হাজার গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবনে।

কয়েকটি পরিসংখ্যান মনে হয় প্রায় সবার জানা। তবুও এক বছর শেষ হওয়ার পর আবার ঝালাই করে নিতে পারি। ভবন ধসের পঢ় মোট জীবিত উদ্ধ্বর হয়েছে ২৪৩৮ জন, লাশ উদ্ধার ১১১৫ জন , হাসপাতালে মৃত্যু ৫৯ জন, মোট মৃতের সংখ্যা ১১২৭ জন। এর পরেও যারা হাসপাতা্লে গুরুতর আহত অবস্থায় ছিলেন তাদের মৃত্যু ঘটলে সংখ (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য সেবা অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করতে হবে

প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয় ৭ এপ্রিল, ২০১৪। ১৯৪৮ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিষ্ঠা দিবসের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি বছর এই দিনে পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে এ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ঠিক করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবারের বিষয় ছিল ‘একটি ক্ষুদ্র সংশন অনেক বড় হুমকি, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য আন্দোলন নেটওয়ার্ক ৭ এপ্রিল, বিকেল ৪ টায় প্রেসক্লাবের সামনে “স্বাস্থ্য সেবা অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করতে হবে” শীর্ষক দাবী নিয়ে এক মানব বন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে এমন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাবন বন্ধনে ফেস্পটুনে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান ব্যবহার করা হয় যেমন: স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া আমার অধিকার, গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত কর, স্বাস্থ্য সেবার বাণিজ্ (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য সেবা পেতে জনগণের ব্যয় কমানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব

স্বাস্থ্য আন্দোলন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ১০ জুলাই, ২০১৩। এই সভা দুপুর ২:০০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা শহরের অতিরিক্ত যানজটের কারণে বিকেল ৩:০০টায় শুরু হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার, স্বাস্থ্য কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সাংবাদিকসহ মোট ৭৮ জন ।

সভায় সভাপত্বি করেন অধ্যাপক ডা. মেসবাহ্ উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় প্রধান, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক পরিষদ। সভা সঞ্চালনা করেন ফরিদা আখতার, নির্বাহী পরিচালক, উবিনীগ ও যুগ্ম আহ্বায়ক, স্বাস্থ্য আন্দোলন।

বক্তা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ট্রাস্টি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ট্রাস্ট,অধ্যাপক মেজর (অবঃ) ডা. লায়লা আর্জুমান্দ বানু, চিফ কনসালটেন্ট, অবস্ এন্ড গাইনী, ল্যাব এইড হাসপাতাল, ঢাকা। সামিয়া (আরো পড়ুন )


মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১

মানসিক স্বাস্থ্য, সার্বীক স্বাস্থ্যের এবং মানব বিকাশের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বিশ্বজুড়েই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং বিশৃংঙ্খলা বৈকল্যের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এর মধ্যে অনেক বিশৃংঙ্খলা বৈকল্যই অপ্রতুল সেবা এবং সুযোগ সুবিধার কারণে চিকিৎসার বাইরেই থেকে যায়। এই সমস্যা উন্নয়নশীল দেশে সর্বাধিক প্রকট এবং তা বৈশ্বিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার বোঝা বাড়ায়। এখানে উল্লেখ্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সেবা এজেন্ডাতেই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি তেমন ভাবে স্বীকৃত বা অগ্রগণ্য নয়। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হলো কিছু সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টির ক্রমানুক্রম অগ্রসরতাকে প্রভাবিত করেছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পলিসির উত্তরণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বিভিন্ন সামাজিক মূল্যবোধ ও আদর্শের উপর ভিত্তি করে মানসিক স্বাস্থ্যের স্বরূপ ও  ধারণা কাঠামো তৈরি হয়। (আরো পড়ুন )


গ্রাম পর্যায়ে মাতৃ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

সরকার যখন অব্যাহতভাবে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে চলেছে তখন চিকিৎসক সংকটের কারণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালসমূহে জনগণের চিকিৎসা কার্যক্রম। সরকারী হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নাই। চিকিৎসকেরা উপজেলা পর্যায়ে থাকতে চায় না। এই সংকটের প্রভাব জনস্বাস্থ্যের সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। এর বিরূপ দিক পরিলক্ষিত হয় গ্রামগঞ্জের মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে।

গ্রামের দাইয়েরা একমাত্র ব্যক্তি যারা গর্ভ থেকে শুরু করে প্রসব হওয়া পর্যন্ত মায়েদের দেখাশোনা করেন। গ্রামে গরীব, অসহায় গর্ভবতী নারীদের পাশে দাঁড়ায় এই দাইমারা। কোন কিছুর বিনিময়ে তারা এই কাজ করেন না।

গর্ভবতী না হলেও মায়েদের ঘরে ঘরে যান দাইমায়েরা। তারা ট্রাডিশনাল বার্থ এটেন্ডেন্ট (ঞইঅ) নয়। তারা হাসপাতালের সাথেও জড়িত নয় কিন্তু তারা গর্ভবতী নারীদের খোঁজ-খবর করেন। অনেক এলাকায় স (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য সেবায় সামাজিক সমীক্ষা প্রতিবেদন: সাতক্ষীরা অঞ্চল

২০১০ সালে স্বাস্থ্য সেবার উপর পরিচালিত একটি সামাজিক নিরিক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান সমস্যাগুলোর মধ্যে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি এবং উপকরণের অভাব, অবকাঠামোর অভাব, আঞ্চলিক বৈষম্য, বাজেটে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ এবং সর্বোপরি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে। উক্ত নিরিক্ষা প্রতিবেদনের পর সাতক্ষীরা অঞ্চলের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে পুনরায় স্বাস্থ্য সেবায় সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়। নিরিক্ষায় যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয় তা হল-

সরকারী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান সমুহের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করা, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের কর্মদক্ষতা ও কর্মমান নিরুপন করা সহ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করার কার্যকর সুপারিশ তৈরী এবং সুপারি (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা কি গণমূখী ?

একটি দেশের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সাংবিধানিকভাবে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিকে মানুষের সার্বিক সক্ষমতার জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান দেয়া হয়েছে। মানব উন্নয়নের সূচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকারের কথা বলে থাকে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি দেখা যায় দরিদ্র, প্রান্তিক জনগণ এখনো স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  স্বাস্থ্যসেবার ওপর পরিচালিত একটি সামাজিক নিরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান সমস্যাগুলোর মধ্যে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি এবং উপকরণের অভাব, অবকাঠামোর অভাব, আঞ্চলিক বৈষম্য, বাজেটে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ এবং সর্বোপরি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে।

(আরো পড়ুন )


গ্রামের নারী ও শিশুদের জন্য দাই মা

বাংলাদেশে মা ও শিশু মৃত্যু একটি বড় সমস্যা। জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ২০১৫  নাগাদ বাংলাদেশে প্রতিলাখে মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৪ থেকে ১৪৩ জনে কমিয়ে আনা এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য-৪ অনুয়ায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৪৮ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ উবিনীগের যে কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুরু হয়েছে তার প্রধান কাজ বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে আনা। উবিনীগ এ কার্যক্রম দেশে ১৫ টি জেলার ২০ উপজেলা ১৩০ টি গ্রামে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। 

এখনো বাংলাদেশে গ্রামের শতকরা ৮০ ভাগ নারী দাইমাদের সহযোগিতায় সন্তান জন্মদান করেন। তাই দাইমাদের সংগঠিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মায়েরা যাতে দাইমার সহযোগিতায় কাছাকাছি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে সেবা নিতে পারে তার জন্য চার থেকে পাঁচটি গ্রাম নিয়ে একটি দাইঘর প্রতিষ্ঠা (আরো পড়ুন )


বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় জনবল পরিস্থিতি

বাংদেশের সরকারী স্বাস্থ্য সেবার নানান ত্রুটি বিচ্যুতি থাকার পরেও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের মান সম্পর্কে তেমন গুরুতর অভিযোগ কমই রয়েছে। তবু স্বাস্থ্য সেবার মান র্নিধারণে জনবল একটি অন্যতম মানবও হিশাবে স্বীকৃত। সেদিক থেকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সংকটাপন্ন ৫৮টি দেশের যে তালিকা রয়েছে বাংলাদেশ সেখানে অন্যতম হিশাবে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। (ফরিদা আখতার, ২০১৩)

আমাদের দেশে এ নিয়ে কমবেশী লেখালেখিও হয়েছে। গবেষণা হয়েছে। আই সি ডি ডি আর , বি এবং ব্র্যাক এর গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের দেশে প্রতি ১০,০০০ মানুষের জন্য ৫.৪ জন চিকিৎসক এবং ২.১জন নার্স  রয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা চিকিৎসকদের এই অতি অপ্রতুলতার চিত্র মাথায় রেখে চিকিৎসা জনবলের হিসাব করতে নিয়ে দাই এবং নার্সদেরও সংযুক্ত করেছে। যেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিশেবে প্রতি হাজার মানুষের জন্য ০.৫৮ জন চিকিৎস (আরো পড়ুন )


ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ: সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুযোগ গরিব মানুষের হতে হবে

স্বাস্থ্য সেবা যাদের প্রয়োজন তাঁরা সবাই সমানভাবে পান না। ধনী-গরিবের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশাল অসমতা ভীষণ অন্যায়ভাবে বিরাজ করছে। গরিব হলে এবং স্বাস্থ্য সেবা “কেনার” সামর্থ না থাকলে তাকে মরতে হয় আর না হলে আজীবন ভুগতে হয়।স্বাস্থ্য সেবা যেন অন্য সব পণ্যের মতোই কেনা-বেচার ব্যাপার।অর্থ না থাকলে পাওয়া যাবে না।অথচ এর সাথে মানুষের বাঁচা-মরা, রোগ পরবর্তী জীবন যাপনের সম্পর্ক রয়েছে। কেউ সঠিক চিকিৎসা না পেলে আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে, হয়ে যেতে পারে অন্যের বোঝা।

আমাদের দেশে সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রাথমিক অর্থাৎ একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত সকল স্তরের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ আছে।কোথাও বলা নেই যে এই সেবা গরিবদের জন্যে নয়।সরকারী স্বাস্থ্য সেবা বিনা মূল্যে পাওয়ার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণা Bang (আরো পড়ুন )


স্বাস্থ্য সেবায় চিকিৎসক ও জনবল সংকট

বাংলাদেশে চিকিৎসকদের সেবার মান অন্য যে কোন দেশের চেয়ে খারাপ নয়, এ কথা স্বীকার করতেই হয়। সরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে যারা পাশ করেছেন এবং যারা চিকিৎসার দিকে মনোনিবেশ করেছেন তাদের চিকিৎসার মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবেন না। প্রমান আছে অনেক কঠিন রোগের চিকিৎসা এখানে ভালোভাবে করা যায়। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এতো দৈন্য দশার মধ্যেও আমাদের দেশের মানুষ যেটুকু  চিকিৎসা পাচ্ছে তাই নিয়ে বেঁচে আছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনার ত্রুটি এবং সার্বিকভাবে জনস্বাস্থ্য রক্ষার নীতি থেকে সরে গিয়ে চিকিৎসা সেবাকে লাভজনক পেশা হিশেবে দেখা যখন থেকে শুরু হয়েছে তখন থেকে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসার মান, বিশেষ করে চিকিৎসকের সংখ্যাগত সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। এবং বলতে গেলে এখন আমরা লজ্জাজনক অবস্থায় আছি। স্বাস্থ্য জনবল সঠিক বা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় আছে কিনা আন্তর্জাতিক মানদন্ড হচ্ছে প্রতি ১০ (আরো পড়ুন )


সরকারী হাসপাতালে ইউজার ফি

ঢাকা ২০ জুলাই, ২০১০: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার পরিচালিত রাষ্ট্রায়াত্ব জনগণের হাসপাতালগুলোতে ইউজার ফি বৃদ্ধি এবং এ সকল অর্থ চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা ও দারিদ্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং জনগণের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো সরকারের অব্যাহত উদ্যোগের প্রেক্ষিতে জনগণের অর্থে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় হাসপাতালগুলোতে ইউজার ফি বৃদ্ধি অযৌতিক এবং অসাংবিধানিক। দেশের স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় কর্যরত প্রতিটি ব্যক্তি, সংগঠন আামরা অনতিবিলম্বে এ কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে আহবান জানাই। জনগণের হাসপাতালে ইউজার ফি গ্রহণের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিকার লংঙ্ঘনসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হবে।  

(আরো পড়ুন )