তামাক বিরোধী নারী জোট ও ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ

বাংলাদেশে তামাক বা ধূমপান নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে আশির দশকের শেষের দিকে আমাদের দেশের অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কিছু চিকিৎসকের উদ্যোগে। তাঁরা স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় এনে ধূমপানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাই দীর্ঘদিন তামাক নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র ধূমপান বিরোধি আন্দোলন হিসেবেই সকলেই জেনেছে। এমন কি ২০০৫ সালে “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বিশেষভাবে ধূমপানের নানা দিক নিয়ন্ত্রণের দিক তুলে ধরেছে।

আমরা জানি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তামাক দ্রব্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেশি। সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ের সার্ভেতে গ্যাটস ২০১৭ অনুযায়ি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৩৫.৩% ধোঁয়াযুক্ত ও বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য (জর্দা, সাদাপাতা, গুল) ব্যবহার করেন। এই জরিপ অনুযায়ি মোট ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ তামাক সেবনকারীর মধ্যে ১ কোটি ৯২ লক্ষ (১৮%) ধূমপানের ম (আরো পড়ুন )


তামাক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নারী যোদ্ধাদের ভূমিকা

তামাকদ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নারী যোদ্ধাদের ভুমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন, তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ), ৭ নভেম্বর, ২০১৮ কেআইবি কমপ্লেক্স ঢাকা। সহযোগিতায়: ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স (সিটিএফকে)

এ সভায় উপস্থিত ছিলেন: এড.সুমাইয়া ইসলাম,বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র, ফরিদা আখতার, আহ্বায়ক, তামাক বিরোধী নারী জোট, আতাউর রহমান মাসুদ, প্রোগ্রাম অফিসার, ক্যাম্পেন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস্ (CTFK), খালেদা খাতুন, পুষ্টি বিদ বারডেম হাসপাতাল, সাবিনা ইয়াসমিন খান, ডাব্লিউ বিবি ট্রাস্ট, রেহানা সিদ্দিকী, সমাজ কর্মী, প্রফেসার ডা. শারমিন ইয়াসমিন, পাবলিক হেলথ্ ফাউন্ডেশন, অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, ডা. পারভীন: বারডেম হাসপাতাল, অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (অবসর প্রাপ্ত), সরফুদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, সুলতানা আখতার (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণের কৌশল পত্রঃ প্রেক্ষাপট

১। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তামাক দ্রব্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বেশি। প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৪৩% ধোঁয়াযুক্ত ও বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য (জর্দা, সাদাপাতা, গুল)ব্যবহার করেন। গ্যাটস ২০০৭ সালের জরিপ অনুযায়ি মোট ৪ কোটি ১৩ লক্ষ তামাক সেবনকারীর মধ্যে ২ কোটি ১৯ লক্ষ (২৩%) ধূমপানের মাধ্যমে এবং ২ কোটি ৫৯ লক্ষ (২৭.২% ) ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য সেবন করেন। অর্থাৎ ধোঁয়াযুক্ত তামাক দ্রব্যের চেয়ে সেবনের দিক থেকে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের হার বেশি। নারীদের মধ্যে ধুমপান কম হলেও ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার নারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় বেশি; নারী ২৮%, পুরুষ ২৬%। তবে পুরুষদের অনেকের মধ্যে ধূমপান এবং জর্দা-গুল সেবন একই সাথে চলে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫, (২০১৩ সালে সংশোধনী)কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে ধোঁয়াবিহীন তামাক (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন (জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি) তামাক নিয়ন্ত্রণে কৌশলপত্র প্রণয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের ব্যাপক ব্যবহার ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় রেখে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল করার জন্যে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য (নিয়ন্ত্রণ) কৌশল পত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর যৌথ উদ্যোগে ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে রাজধানীর ফার্স হোটেল এন্ড রিসোর্ট-এ ধোঁয়াবিহীন (জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি) তামাক নিয়ন্ত্রণে কৌশলপত্র প্রণয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোকসানা কাদের, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ধোঁয়াবিহীন তামাক (নিয়ন্ত্রণ) কৌশল পত্র উপস্থাপন করেন মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব, কেবিনেট ডিভিশন। কৌশল পত্রের পাশাপাশি তিনি তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫, (২০১৩ সালে সংশোধনী)-এর পরবর্তী সংশোধনীতে ধোঁয়াবিহীন তামাক (আরো পড়ুন )


তামাক খাদ্য নয়, অথচ মানুষ খাচ্ছেঃ নিয়ন্ত্রণের আলোকে কিছু প্রশ্ন

সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, সাদাপাতা বা গুল তামাকজাত দ্রব্য বলেই স্বীকৃত এবং বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে কোনটি ধোঁয়ার মাধ্যমে এবং কোনটি সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া হচ্ছে, যাকে আমরা ধোঁয়াবিহীন বলে চিহ্নিত করি। যেটাই হোক না কেন, এই দ্রব্য মুখের মাধ্যমে অন্যান্য খাদ্য দ্রব্যের মতোই খাওয়া হয়। সিগারেট, বিড়ি ইতিমধ্যে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে এবং ক্ষতিকর বলে এর ব্যবহারে আইনী বাধ্যবাধকতা এসেছে।

কিন্তু পানের সাথে জর্দা খাওয়া সামাজিক ভাবে খারাপ চোখে দেখে না। পরিবারের বড় ছোট একসাথে বসে পানের সাথে সুপারি, জর্দা, সাদাপাতাও সেবন করে। দাওয়াত অথবা যে কোন উৎসবে বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে পান, সুপারি জর্দার বিশেষ আয়োজন থাকে। দরিদ্ররা সময় মতো খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না বলে, ক্ষুধা চেপে রাখার জন্য পান, জর্দা খেয়ে থাকে। জর্দা দিয়ে পান খেয়ে নিলে অনেকক্ষণ ভাত না খেয়ে থাকা যায়। অর্থাৎ এর সাথে খাওয়ার সম্পর্ক (আরো পড়ুন )


২০১৭-১৮ বাজেটে ধোয়াঁবিহীন তামাকের কার্যকর কর বৃদ্ধি না করার প্রতিবাদ

তামাক দ্রব্যের ব্যবহার বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ১৩ লক্ষ (GATS, ২০০৯) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩% (২ কোটি ১৯ লক্ষ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২% (২ কোটি ৫৯ লক্ষ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি তামাক ব্যবহারকারী ধোঁয়াবিহীন তামাক (জর্দা, গুল) সেবন করেন। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে এগুলোর উপর কর বাড়ানো হয়নি। আমাদের দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষতঃ নারীদের মাঝে এই পণ্য ব্যবহারের প্রবনতা সবচেয়ে বেশি। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে জর্দা-গুল ব্যবহারের স্বাস্থ্যঝুঁঁকি থেকে রক্ষা করার কোনো উদ্যাগ বাজেটে নেই, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। প্রস্তাবিত বাজেটে (২০১৭-১৮) ধোঁয়াবিহীন (গুল, জর্দা) তামাকপণ্যে কর না বাড়ানোর প্রস্তাব চরম জনস্বাস্থ্য বিরোধী, এবং নারী বিরোধী।

ধোঁয়াবিহীন তামাক স্বাস্ (আরো পড়ুন )


বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, ২০১৭

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষে তামাক বিরোধি নারী জোট (তাবিনাজ) ঢাকায় অন্যান্য তামাক বিরোধি সংগঠনের পাশাপাশি সরকারি কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করে । জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এর সমন্বয়ে তামাক বিরোধি সংগঠন সমূহকে রাজধানির বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে তামাক – উন্নয়নের অন্তরায় এই প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণের বক্তব্য সম্বলিত পোষ্টার, ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়। তাবিনাজের দায়িত্ব ছিল হাইকোর্টের কাছে কদম ফোয়ারার চারপাশে সাজানোর। তাবিনাজ ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য ও তামাক চাষের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কয়েকটি ফেস্টুন তৈরি করে রাত ১০টা থেকে একটা পর্যন্ত কাজ করে সাজিয়ে আসে। সাজাবার সময় কেউ কোন বাধা দেয়নি। [ছবি দেখুন] কিন্তু সকাল হতেই দেখা যায় সেগুলো কে বা কারা সরিয়ে ফেলেছে। সকালে খোঁজ নিয়ে কে সরিয়েছে তা কেউ বলতে পারে নি।


(আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যে কর বৃদ্ধি

ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য কি?

ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য তামাক পাতা থেকে তৈরি না পুড়িয়ে যে তামাকজাত দ্রব্য সরাসরি সেবন করা হয়, সেটা মুখে রেখে দিয়ে, চিবিয়ে বা নাক দিয়ে গন্ধ শুঁকে হতে পারে, তাই ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ইংরেজীতে (Smoke-less Tobacco (SLT) নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এতে কোন ধোঁয়া বের হয় না। বেশীর ভাগ সেবনকারী মুখে চিবিয়ে খান, কিংবা পিকের সাথে রস খেয়ে ফেলে দেন। যে কোন তামাকদ্রব্যের মতোই ধোঁয়াবিহীন তামাকে নিকোটিন (Nicotine) আছে এবং তা মুখের ভেতরের আস্তরণ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে।

নীতি নির্ধারণী পর্যায় ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যে কর বৃদ্ধির চিন্তা ভাবনা কম:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তামাক দব্যের উপর কর আরোপোর কারনে দাম বৃদ্ধির ফলে কার্যক (আরো পড়ুন )


মাননীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী, জনাব এম এ মান্নান এর সাথে তাবিনাজ প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

আসন্ন ২০১৭-১৮ বাজেটে ধোয়াঁবিহীন (গুল, জর্দা) তামাক এক্স ফ্যাক্টরি প্রথা বাতিল করে প্যাকেট/ কৌটা ওজন ও সাইজ অনুযায়ী কার্যকর ভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স নির্ধারণ করার দাবি জানাতে মাননীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী, জনাব এম এ মান্নান এর সাথে তাবিনাজ প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ।

আসন্ন ২০১৭-১৮ বাজেটে ধোয়াঁবিহীন (গুল, জর্দা) তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জনাব এম এ মান্নান মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, এর সঙ্গে ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে দুপুর ১ টায় তাবিনাজ সদস্যরা দেখা করতে যান। অর্থ প্রতিমন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান আশ্বাস দেন যে, আগামি বাজেট ২০১৭-১৮ এ ধোঁয়াবিহীন তামাকের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন ফরিদা আখতার, আহবায়ক, তাবিনাজ, সাইদা আখতার, সমন্বয়ক, তাবিনাজ, ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, গ্রান্ট ম্যানেজার, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) বাংলা (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কর বৃদ্ধি

বাংলাদেশে তামাক দ্রব্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি। এখানে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৪৩% ধোঁয়াযুক্ত ও বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন। যদিও ধূমপানের কারণে স্বাস্থ্য ক্ষতির বিষয়টি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রাধান্য পেয়েছে। ২০০৭ সালের জরিপে দেখা যাচ্ছে বছরে ৫৭,০০০ মানুষ মারা যাচ্ছে এবং কয়েক লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। কিন্তু জরিপে এটাও দেখা যাচ্ছে, মোট ৪ কোটি ১৩ লক্ষ তামাক সেবনকারীর মধ্যে ২ কোটি ১৯ লক্ষ (২৩%) ধূমপানের মাধ্যমে এবং ২ কোটি ৫৯ লক্ষ (২৭.২%) ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য সেবন করেন। অর্থাৎ ধোঁয়াযুক্ত তামাক দ্রব্যেও চেয়ে সেবনের দিক থেকে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের হার বেশি। দেশে আইনের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোড়ালোভাবে পরিচালনা করা হলেও এই সংখ্যা এখন বেড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। তামাক নিয়ন (আরো পড়ুন )


আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও শিশুরা এখনও তামাক পণ্য বিক্রি করছে

শিশুদের দিয়ে তামাক পণ্য অর্থাৎ জর্দ্দা, গুল, সাদাপাতা, বিড়ি, সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ এ কথা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ ( ২০১৩ সালে সংশোধনী) তে ৬ (ক) তে বলা আছে। আইনে এ কথা বলা থাকলেও আমরা প্রতি নিয়ত শিশুদের দিয়ে এ পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে দেখি। তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর পক্ষ থেকে শিশুদের দিয়ে তামাক পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা দেখার জন্য ২২ আগষ্ট, ২০১৬-তারিখে শ্যামলী বাস স্ট্যান্ড কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ড ও গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে পরিদর্শন করা হয়। সেখানে আমরা শিশুদের দিয়ে কেনা বেচা করতে দেখতে পাই এবং ২ জন শিশু পান ও সিগারেট বিক্রেতার কথা এখানে তুলে ধরা হলো।

বিক্রেতার নাম- শামীম, বয়স-১৩ বছর ৬ মাস। পিতার নাম- মোস্তফা, গ্রামের বাড়ি: কিশোরগঞ্জ, ঢাকায় থাকে পানির টেংকী টুলার বাগ মিরপুর। বাবা নিরাপর্ত্তা কর্মী। এরা তিন ভাই। বড় ভাই ব্যবসা করেন, ছোট ভাই পড়াশুনা করেন (আরো পড়ুন )


বাজেট অনুসারে জর্দ্দা ও গুলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কি?

তামাক পণ্য (জর্দ্দা, গুল, সাদাপাতা, বিড়ি, সিগারেট) ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। এই ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবহার কমাবার জন্য সরকার এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সংগঠন নানান ধরনের কার্যক্রম করে যাচ্ছে। তামাকের ব্যবহার কমাবার একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলো পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে ব্যবহার কমানো। অর্থাৎ ট্যাক্স বৃদ্ধির মাধ্যমে দাম বাড়ানো। এতে দুটো দিক কাজ করবে, এক দিকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে অন্য দিকে ক্রয় ক্ষমতার ওপর চাপ পড়লে ব্যবহার কমবে।

বাংলাদেশে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য জোড়ালোভাবে কাজ করছে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত করার কৌশল হিসাবে প্রধান মন্ত্রী একটি সহজ তামাক কর কাঠামো প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করার অঙ্গীকার করেছেন। তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) সরকারের কাজে এর প্রতিফলন দেখার আশায় রয়েছে।

জর্দ্দা, গুল ও সা (আরো পড়ুন )


তামাক পণ্যের মোড়ক প্যাকেট/ কৌটায় সচিত্র সর্তকবাণী

“১৯ শে মার্চ থেকে জর্দ্দা, গুল সহ সকল ধরণের তামাক পণ্যের মোড়ক প্যাকেট/ কৌটায় সচিত্র সর্তকবাণী বাজারজাত বাধ্যতামূলক থাকলেও তা সুনির্দিষ্ট ভাবে আনা হচ্ছে না”

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) অনুযায়ী সকল প্রকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটায় অনূন্য শতকরা ৫০ ভাগ স্থান জুড়ে স্বাস্থ্য ক্ষতি সম্পর্কিত রঙিন ছবি ও লেখা সম্বলিত সচিত্র সতর্কবানী দিতে হবে এবং এমনভাবে দিতে হবে যেন ব্যান্ডরোল বা ষ্ট্যাম্প সংযুক্তির বা অন্য কোন কারনে ঢেকে না যায়। বিধি অনুসারে সচিত্র সর্তকবাণী সম্বলিত প্যাকেট, কৌটা এবং মোড়ক ব্যতীত তামাকজাত দ্রব্য বাজারজাত বা বিক্রি বাধ্যতামূলক।

গত ১৭ ই আগষ্ট তামাক বিরোধী নারী জোটের (তাবিনাজ) পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ও শ্যামবাজার এর জর্দ্দা ও গুলের দোকান পরিদর্শন করা হয়। আইন অনুযায়ী সতর্ক (আরো পড়ুন )


তামাক পণ্যের দাম বৃদ্ধির উপর কিছু কথা

তামাকসেবীদের মতামত: টাংগাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল এলাকার দাইমা জরিনা বেগম। তাঁর বয়স ৫৪ বছর। স্বামী আয়েন উদ্দিন। ৪/৫ বছর যাবৎ পানের সাথে সাদা (সাদাপাতা) খাওয়া শুরু করেন। সাদা বলতে বাজার থেকে সাদাপাতা কিনে সেটাকে পানিতে ধুয়ে আবার শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করে। তিনি শ্বাশুড়ী এবং দাদী শ্বাশুড়ীকে দেখেছেন পানের সাথে সাদা খেতে। তার সাথে একটু আধটু মিষ্টি জর্দাও খেতেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় পান খাওয়া শুরু করলেন কিভাবে? তিনি বললেন, শ্বাশুড়ী আমারে পান বানাই দিতো আর কইতো পান খাও নইলে মুখ দিয়া আইটা গন্ধ হোবো। সেসময়ই পানের সাথে সাদা খাওয়া শুরু করেন জরিনা বেগম।

জরিনা বেগমের দাঁতের ব্যাথা পান খাওয়া শুরুর আগে থেকে। শ্বাশুড়ী বলতো সাদাপাতা দিয়ে পান খেলে দাঁতের ব্যথা সারবে। দাঁতের ব্যথা ছাড়াও কোমড় ব্যথা, হাটু ব্যথা ছিল জরিনা বেগমের।

একদিন এসএসএস হাসপাতাল (আরো পড়ুন )


তামাক কম্পানি ফিলিপ মরিস উরুগুয়ের কাছে মামলায় হেরে গেছে

মাত্র প্রায় ৩৫ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ উরুগুয়ে। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি নানা কারণে বিশ্বে পরিচিত। বিশেষ করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কয়েক রাউন্ড আলোচনা এখানেই হয়েছে। এখন দেশটি বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে কারণ তারা বিশ্বের বৃহত্তম তামাক কম্পানি ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনালকে মামলায় হারিয়ে দিয়েছে। ফিলিপ মরিস মামলা করেছিল যে উরুগুয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সুইজারল্যান্ড ও উরুগুয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভংগ করেছে। সুইজারল্যান্ডে ফিলিপ মরিস কম্পানি হিশেবে নিবন্ধিত। মামলাটি করা হয়েছিল বিশ্ব ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের আরবিট্রেশান পেনেলের কাছে।

ফিলিপ মরিস উরুগুয়ের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা এবং তার কম্পানির ব্রান্ড নাম ব্যবহারে নিষধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে। উরুগুয়ে সরকারের তামাক বিরোধি আইনের অধিনে সিগারেটের প্যাকেটে উভয় দিকে শতকরা ৮০% ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কব (আরো পড়ুন )


আসন্ন বাজেট (২০১৬-২০১৭) তে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের উপর কর বৃদ্ধির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাক্ষাৎ

আসন্ন বাজেট (২০১৬-২০১৭) তে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের উপর কর বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার জন্য ২৫ মে, ২০১৬ তারিখ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সভাকক্ষে চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নজিবুর রহমানের সাথে তাবিনাজের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। এই প্রতিনিধি দলে অংশগ্রহন করেন কুমিল্লা, জামালপুর, টাংগাইল, জেলার তাবিনাজ সদস্যগণসহ ঢাকা আহছানিয়া মিশন, উবিনীগ ও তাবিনাজের সচিবালয় নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ঢাকা।

নির্দিষ্ট ভাবে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের উপর কর বাড়ানোর দাবীতে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের ক্ষতি ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যেমন, ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন মুখের ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার, অগ্নাশয়ের ক্যান্সার, রক্তচাপ ও হৃদকম্পন বৃদ্ধির মতো মারাত্মক রোগের কারণ। এছাড়া নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদান সংক্রান্ত জটিলতা (যেমন কম ওজনের সন্তান জন্মদান) হতে পারে ।

সবচেয়ে বেশি মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক (আরো পড়ুন )


জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য খাতে সঠিক বরাদ্দ জরুরি

বাজেটে অর্থ বরাদ্দ যেমন জরুরি, তেমনি অর্থ সংগ্রহের পদ্ধতির মাধ্যমেও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সম্ভব। বাইরে থেকে কোনো প্রকার অর্থ সাহায্য ছাড়াই উচ্চহারে করারোপ করে তামাকের মতো ক্ষতিকর পণ্য যেমন— বিড়ি, সিগারেট, সাদাপাতা, জর্দা, গুল ইত্যাদি ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে নিয়ে আসতে পারলে সেবনের হার কমবে, অতএব ক্ষতির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে। কথাটি সরলীকরণ নয়, বরং বিভিন্ন দেশের গবেষণায় প্রমাণিত সত্য। এটা ঠিক, উচ্চকর বা নিম্নকর নির্ভর করে কোন পণ্যের ওপর তা আরোপ করা হয়েছে। বাজেটের পরে প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষ খাদ্যদ্রব্য, নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের দাম বাড়ল কি কমল, তা নিয়ে উদ্বেগ জানায়। কিন্তু এটা আমরা দেখি না যে, সাধারণ মানুষের ব্যবহারের তালিকায় যেসব ক্ষতিকর পণ্য আছে, যার ওপর উচ্চ করারোপ করলে তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, তা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে। তামাকদ্রব্য, মদ ও অন্যান্য ক্ষতিকর খাদ্যদ্রব্য ও পানী (আরো পড়ুন )


উবিনীগ, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)

‘উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা’ (উবিনীগ) শুরু হয়েছে ১৯৮৪ সালে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নয়ন কর্মকান্ড আসলেই কতটুকু সুফল বয়ে আনছে তা নিয়ে ভাবনা থেকেই শুরু হয় উবিনীগের যাত্রা। প্রথমত ধারণাগত দিকগলো পর্যালোচনা করা হয়, যেমন ‘উন্নয়ন’ কথাটা বলতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলো আসলে কী বোঝায়, এর সামাজিক চরিত্রটা কী দাঁড়াবে। এর সঙ্গে ছিল নারীর দিক থেকে বিবিধ প্রশ্ন তোলা, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশলের ভূমিকা ইত্যাদি। এভাবে নানান দিক খতিয়ে দেখার জন্য উবিনীগ কিছু গবেষণা কাজ হাতে নেয়। উবিনীগের নামের সাথে জুড়ে রয়েছে বিকল্পের কথা। বিকল্প উন্নয়ন নয়, ‘উন্নয়ন বিকল্পের’ অর্থাৎ উন্নয়নের প্রথাগত চিন্তার বাইরেও আমরা দেশ ও দশের উন্নতির কথা ভাবতে পারি। আসলে ইংরেজি ‘ডেভেলপমেন্ট’ শব্দটির অনুবাদ করে ‘উন্নয়ন (আরো পড়ুন )


জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে জর্দা, গুলসহ সব ধরণের তামাক পন্যের উপর করারোপ করা, এবং তামাকের দ্বারা সৃষ্ট রোগের চিকিৎসা করা হোক

তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) প্রতিবছর তামাক পণ্যের উপর কর আরোপ করার দাবী জানিয়ে আসছে। কারণ উচ্চহারে কর আরোপ করলে এর ব্যবহার কমবে বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু যারা তামাক পণ্য উৎপাদন করে এবং এর বাণিজ্যের সাথে যুক্ত, তারা নানা অজুহাতে উচ্চহারে কর আরোপের বিরোধীতা করে আসছেন এবং রাজস্বখাতে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা বলে সরকারকে জনস্বাস্থ্যের পক্ষে কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। অথচ আমরা দেখেছি ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকী এবং এর সাথে জড়িত রয়েছে নানা ধরণের সামাজিক সমস্যা।

বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য ব্যবহার

বাংলাদেশে সাধারণভাবে ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে সাদাপাতা বা আলাপাতা, জর্দা, গুল, কিছু পরিমাণে নস্যি। পনের বছর বয়স ও তার উর্ধ্ব বয়সের নারী ও পুরুসের ম (আরো পড়ুন )


প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আসন্ন ২০১৬-১৭ বাজেটে সকল তামাক পণ্যের উপর উচ্চহারে করারোপের দাবি

মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অবিলম্বে তামাকের বিদ্যমান জটিল শুল্ক-কাঠামোর পরিবর্তে কার্যকর তামাক শুল্কনীতি প্রণয়ন এবং আসন্ন বাজেটে সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের খুচরা মূল্যের উপর সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপের দাবিতে তামাকবিরোধী নারী জোটের আয়োজনে মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পযর্ন্ত ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২৪টি জেলায় জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন তামাক বিরোধী সংগঠনসমূহ। বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, সাতক্ষীরা, টাংগাইল, রাজবাড়ি, বরগুনা, মাগুড়া, নড়াইল, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, নারায়নগঞ্জ,মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, গোপ (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য: জর্দা, সাদাপাতা, গুল খেতে আনন্দ কিন্তু ক্ষতির শেষ নাই

ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য কি?

না পুড়িয়ে যে তামাকজাত দ্রব্য সরাসরি সেবন করা হয়, সেটা মুখে রেখে দিয়ে, চিবিয়ে বা নাক দিয়ে গন্ধ শুঁকে হতে পারে, তাই ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ইংরেজীতে smoke-less tobacco (SLT) নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এতে কোন ধোঁয়া বের হয় না। বেশীর ভাগ সেবনকারী মুখে চিবিয়ে খান, কিংবা পিকের সাথে ফেলে দেন। যেকোন তামাকদ্রব্যের মতোই ধোঁয়াবিহীন তামাকে নিকোটিন (Nicotine) আছে, এবং তা মুখের ভেতরের আস্তরণ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে।

দুই ধরণের ধোঁয়াবিহীন তামাকদ্রব্য পাওয়া যায়:

১. চোষণ ও চিবানো (চর্বণ) তামাক (Chewing Tobacco): এগুলো খোলা পাতা আকারে, যেমন সাদা পাতা (আলা পাতা), গুঁড়ো বা টুকরো করে নানা ধরণের সু (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য জর্দা ও গুল উৎপাদন

একটি অনুসন্ধান
বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের অন্যতম যেখানে পৃথিবীর ৯০% ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবনকারী লোক বাস করেন। এত উচ্চ সংখ্যক সেবনকারী এবং মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রেক্ষিতে ১৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে জনগণের মধ্যে ৩০% ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার ৩০% কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। সংখ্যাগত ভাবে ১১ দেশে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন। এ সব দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর লেসটে। (primenews.com.bd September 11, 2013)

তামাক বিরোধী নারী জোট পরিচালিত এ অনুসন্ধানমূলক গবেষণা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় এ জন্য যে নারীরাই ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের প্রধান (আরো পড়ুন )


তামাকের উৎপাদন ও ব্যবহার: নারীর জন্য হুমকি

যেখানে নারী শ্রমিকরা বেশী কাজ করে সেখানে ধূমপান বেশী হয়। এছাড়া চা শ্রমিক, বাসা বাড়িতে কাজ করেন এই পেশার নারীরা সরাসরি তামাকজাত দ্রব্য যেমন জর্দা, সাদাপাতা, গুল অর্থাৎ ধোঁয়াবিহীন তামাক ৫০-৬০% সেবন করে থাকেন। একই সাথে দিনমজুর পেশার পুরুষ, শ্রমিক, রিক্সাচালক, গাড়িচালক এবং অন্যান্য পেশার পুরুষরা বিড়ি/কমদামী কেটু সিগারেট সেবন করে থাকেন। উবিনীগের একটি গবেষণায় “সর্বনাশা বিষ-কীটনাশকের ব্যবহার ও নারী"বইতে দেখা গেছে বিড়ি কারখানায় কাজ করা শিশু-কিশোররা অল্প বয়স থেকেই বিড়ি, গুল সেবন করে থাকে।

নারীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা লক্ষণীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রির্পোট আনুযায়ী আগামীতে নারীদের ধূমপান তিন গুণ বাড়বে, প্রায় ৫৩ কোটি নারী যার ৮০% উন্নয়নশীল দেশেই হবে। দক্ষিণ এশিয়াতে ধূমপায়ী নারী (সিগারেট, বিড়ি)-৩%। বাংলাদেশে ২৯% নারী তামাক ব্যবহারকারী আছে। তার মধ্যে ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবনের (আরো পড়ুন )


তথ্যচিত্র তামাকে ক্ষতি ও নারী

ভূমিকা

তাবিনাজ (তামাক বিরোধী নারী জোট) গঠনের পর থেকে আমরা বুঝতে পারছি, এই কাজ আরও অনেক আগে শুরু করা দরকার ছিল। যাদের সাথেই আমরা কাজ করেছি তাঁদের এটা বোঝানোর দরকার পড়ে নি যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নারীদের জন্য কত ক্ষতিকর। তারা নিজেরা ব্যবহার করুক কিংবা তার আশে পাশে, ঘরে বাইরে যারা আছে তারা করুক, তামাকের ক্ষতি থেকে নারীর রেহাই পাওয়া খুব কঠিন কাজ। তবুও এখন থেকেই কাজ করলে অনেক উপকার হতে পারে। তাই তাবিনাজ খুব সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ৩১ মে, ২০১০ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে নারী সংগঠন সমূহের সাথে সভা করতে গিয়ে তাবিনাজ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

মূল কাজ হচ্ছে নারীদের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা। নারী নিজে তাকে রক্ষা করতে পারলে তার পরিবারের অন্য সকলেও রক্ষা পাবেন এমন আশা নিশ্চয়ই করা যায়। কিন্তু এই কাজ ভাল (আরো পড়ুন )


জর্দা, গুলসহ সকল তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী মূদ্রণ নিশ্চিত করতে হবে

তাবিনাজ (তামাক বিরোধী নারী জোট) তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের সহায়তার উদ্দেশ্যে ৬৪টি জেলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাবিনাজ মূলত: ধোঁয়াবিহীন তামাক অর্থাৎ জর্দা, গুল, সাদাপাতাসহ সকল ধরনের তামাক পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এর জন্য কাজ করছে।

তাবিনাজের অধিকাংশ সদস্য গ্রামে উপজেলা এবং জেলায় রয়েছেন এবং তামাক ব্যবহারের কারণে ক্ষতির দিক তুলে ধরে ব্যাপক সচেতনতার কাজ করে যাচ্ছে তাবিনাজ। তামাক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ রয়েছে, তাবিনাজ এই উদ্যোগগুলোর সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে প্রথম চুক্তি Convention on Tobacco Control (FCTC) কে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম স্বাক্ষর করে ২০০৩ সালে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০৫ প্রণয়ন করা হ (আরো পড়ুন )


তামাক চাষ বন্ধে কৃষককে দিতে হবে ভর্তুকি

১৯৯৯ সালে বিএটির গোল্ডলীফ সিগারেটের প্রচারণা কার্যক্রম ভয়েজ অব ডিসকভারীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপীল খারিজ করে দিয়েছে আপীল বিভাগ। অনেক দিনের প্রত্যাশিত একটি রায়। সংযুক্ত হাইকোটের রায়…

তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাগাম টানতে কৃষকদের ভর্তুকি এবং ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স বন্ধ করাসহ ছয়দফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার হাইকোর্টর রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বলেন, 'রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে আপিল বিভাগ বলেছেন- হাইকোর্টের (আরো পড়ুন )


ঈশ্বরদী হাসপাতালে তামাকজাত দ্রব্য আগুনে পুড়িয়ে সচেতনতা সৃষ্টি

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তামাক বিরোধী নারী জোট-এর ‍"তামাকজাত দ্রব্যের অভিযান চালানো হয়।

ঈশ্বরদী হাসপাতালে জর্দা, গুল, সাদাপাতা, বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিলে এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কিনা দেখার উদ্যোগ নেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তামাকজাত দ্রব্য, হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়, এবং এই বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত দ্রব্য হাসপাতালের সামনে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এটা ছিল প্রতীকীভাবে আইন সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ।

এ অভিযানে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর সমন্বয়ক সাইদা আখতার, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরো পড়ুন )


তামাক সেবন টেকসই উন্নয়নের অন্তরায়

তামাক সেবনে স্বাস্থ্য ক্ষতি ও নানা সামাজিক ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। সারা পৃথিবীতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ, যার অধিকাংশই পুরুষ এবং পরিবারের প্রধান তামাক সেবন করছেন; তাদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন বাংলাদেশসহ স্বল্প আয়ের দেশে। এখানে মানুষের আয়ও কম, আবার তারা সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল ইত্যাদি তামাকদ্রব্যের জন্য খরচ করছেন নিয়মিতভাবে। বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহভাবে বিরাজ করছে। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-গ্যাটস (Global Adult Tobacco Survey-GATS) ২০০৯ অনুসারে, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন। দেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ১৩ লাখ, যার মধ্যে ২৩ শতাংশ (২ কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭.২ শতাংশ (২ কোটি ৫৯ লাখ) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। সম্প্রতি বায়োমেডিক সেন্টার (BMC) থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, (আরো পড়ুন )


হাসপাতালের সামনে তামাক পণ্যের জমজমাট ব্যবসা

নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) এর গেইটের দুই পাশে তামাক পণ্য (সিগারেট, পানের সাথে জর্দ্দা ও সাদাপাতা) এর ব্যবসা জমজমাট

কথাটা বলার অর্থ হচ্ছে আমরা নিশ্চয় সকলে জানি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালের সংশোধনীসহ) রয়েছে। তামাক ব্যবহার ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই আইন রয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ২০০৫ (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৪ ধারা ধূমপান মুক্ত এলাকা হিসাবে কয়েকটি জায়গাকে পাবলিক প্লেস হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো হাসপা (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাক এবং আইনের প্রয়োগ

বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য জর্দা, গুল, সাদাপাতার ব্যবহার অনেক বেশি। বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের ব্যাপকতায় দেখা গেছে, ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪৩.৩% (৪ কোটি ১৩ লক্ষ জন) কোন না কোনভাবে তামাক ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ৪৪.৭% পুরুষ (২ কোটি ১২ লক্ষ জন) ও ১.৫% মহিলা (৭ লক্ষ জন) ধূমপান করছেন। এবং ২৬.৪% পুরুষ (১ কোটি ২৫ লক্ষ জন) ও ২৭.৯% মহিলা (১ কোটি ৩৪ লক্ষ জন) চর্বণযোগ্য তামাক ব্যবহার করছেন। কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন (৬৩% (১ কোটি ১৫ লক্ষ জন)। অনেকে আবার ধূমপান এবং ধোঁয়াবিহীন দুটোই একসাথে ব্যবহার করে। জর্দা গুলের ব্যবহার ধনীদের চেয়ে গরীব এবং গ্রামে ব্যবহারকারী বেশি। গরীব ও শ্রমিক শিশুদের মধ্যে জর্দার ব্যবহারের প্রচলন আছে।

পানের সাথে জর্দা খাওয়া সামাজিক ভাবে খারাপ চোখে দেখে না। অর্থাৎ সামাজিক ভাবে এই পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। পরিবারের বড় ছোট একসাথে বস (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাক অসংক্রামক রোগের ঝুকি বাড়ায়

তামাক একটি বিষাক্ত গাছ। এর মধ্যে আছে নিকোটিন। সাত হাজারের অধিক বিষাক্ত যৌগিক পদার্থ। যার সত্তরটি কেবল মাত্র ক্যান্সারের কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। তামাক হিরোইন এর চাইতে শক্ত নেশা দ্রব্য।

তামাক ব্যবহারের সাথে যুক্ত রোগের তালিকা দিনে দিনে দির্ঘায়িত হচ্ছে। নতুন ভাবে যুক্ত হয়েছে এবডমিনাল এ্যায়োরটিক এনিউরিজম, মায়ালসিক লিউকোমিয়া ও কাটারাক্ট। সারভাইকাল ক্যান্সার, কিডনি ক্যান্সার। প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, পরিওডেনটাইটিস এবং পাকস্থলির ক্যান্সার। এর সাথে রয়েছে কার্ডিওডাসকুলার ডিজিজ, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, এজমা, অষ্টিওপোরোসিস; ব্লাডার, স্বরযন্ত্র, ফুসফুস, মুখ, গলার ক্যান্সার; শিশুর জন্মগত ক্রটি, শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ইত্যাদি। এক কথায় তৃতীয় সহস্রাদ্বের উষা লগ্নে অসংক্রামক ব্যাধি নিরব ঘাতকের মত পৃথিবীকে গ্রাস করছে। এর মূলে রয়েছে নিকোটিন, তামাক।

সম্প্রতিক কালে বিশ্বব্যাপি (আরো পড়ুন )


নারায়ণগঞ্জের সরকারী হাসপাতালকে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল ব্যবহার থেকে মুক্ত রাখার ঘোষণা

তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার, বক্ষব্যাধি, স্ট্রোক এবং অন্যান্য অনেক রোগে নারী পুরুষ এমনকি শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। তামাক ব্যবহারের এই ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০০৫, সংশোধিত ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। উল্লেখিত আইনের ৪ নং ধারা মোতাবেক পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) তে পাবলিক প্লেস এর সংজ্ঞায় হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন অন্তর্ভুক্ত আছে।

হাসপাতালগুলোকে তামাক মুক্ত রাখার লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখ বুধবার নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতাল এর সম্মেলন কক্ষে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও ইউনাইটেড ফোরাম অ্য (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তাবিনাজের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আয়োজনে ১২ আগষ্ট, ২০১৫ বুধবার কেআইবি কমপ্লেক্স, কৃষি খামার সড়ক, ফার্মগেট, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালের সংশোধনী সহ) ‘ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তাবিনাজের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা’। সকাল ১০ টা থেকে দিনব্যাপী এই কর্মশালা চলে। বিকাল ৬টায় তাবিনাজের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করণীয় নির্ধারণের মাধ্যমে এই কর্মশালার পরিসমাপ্তি ঘটে।

এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারী ছিলেন বাংলাদেশের ৪০টি জেলার তাবিনাজ নারী প্রধান সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং যারা তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্ (আরো পড়ুন )


তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০১৫-১৬

ধোঁয়াবিহীন তামাক অর্থাৎ জর্দা, গুলের উপর কর আরোপ এর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় নাই

এবারের বাজটে ধোঁয়াবিহীন তামাকের উপর কর আরোপের কোন পদক্ষেপ দেখা যায় নাই। অর্থাৎ জর্দা, গুলে’র উপর কর আরোপ এর ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় নাই। কেবলমাত্র বিড়ি ও অল্প দামের সিগারেটের উপর সামান্য কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর দামি সিগারেটের উপর করহারের কোন পরিবর্তন করা হয় নি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় এ বছরে জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্যত দামি সিগারেট গত বছরের তুলনায় দামে সস্তা হলো। তাই এবারের বাজেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে মূলত বড় তামাক কোম্পানিকেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার তেমন কোন পদক্ষেপ নাই।

ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের ব্যবহার বর্তমানে বাংলাদেশে ধোঁয়াযুক্ত তামাক যেমন সিগারেট ও বিড়ির চেয়েও বেশি (আরো পড়ুন )


'তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা জরুরী' শীর্ষক মতবিনিময় সভা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫, (২০১৩ সালের সংশোধনী) প্রণীত হয়েছে। এই আইনের ধারা ১২-তে বলা আছে “তামাক ও তামাক জাতীয় ফসল উৎপাদন ও ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ। তামাক জাতীয় ফসল উৎপাদন ও চাষ নিরুৎসাহিত করিবার লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় নীতিমালা গ্রহণ করিতে পারিবে।” তাবিনাজের পক্ষ থেকে তামাক জাতীয় ফসল উৎপাদন ও চাষ নিরুৎসাহিত করিবার লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ নীতিনির্ধারণী মহলে তুলে ধরে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর আয়োজনে ১১মে,২০১৫ তারিখ সোমবার কেআইবি কমপ্লেক্স, কৃষি খামার সড়কে সকাল ১০টা থেকে ‘তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা জরুরী’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন ও চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা জরুরী’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মকব (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের উপর কর ও ভ্যাট আদায়ের দাবীতে তাবিনাজের মানববন্ধন

ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের উপর পৃথক পৃথক ভাবে কর আদায়ের দাবীতে ১০মে, ২০১৫ তারিখ বিকেল ৪টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এই মানববন্ধনে বাংলাদেশের ৪০টি (কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, পঞ্চগড়, নীলফামারী, ভোলা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, সিলেট, ফেনী, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ি, পিরোজপুর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, মাদারীপুর, নাটোর, খুলনা, যশোর, বরিশাল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, গোপালগঞ্জ, রংপুর, হবিগঞ্জ, বাগেরহাট, চাঁদপুর, রাজবাড়ি এবং চট্টগ্রাম) জেলার নারী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো প্রতিবছর তামাক পণ্যের উপর কর আরোপ করার দাবী জানিয়ে আসছে। কারণ উচ্চহারে (আরো পড়ুন )


তামাক কোম্পানি পুরস্কারের বিরুদ্ধে তাবিনাজের জেলা পযার্য়ের প্রতিবাদী মানববন্ধন:

‘নারী-বান্ধব (?) কোম্পানি হিসেবে তামাক কোম্পানি’ বিএটিসি’কে পুরস্কার দেয়া ও গ্রহণকরা নারীর অবমাননা ও আইনের লঙ্ঘন, এ পুরস্কার প্রত্যাহার করতে হবে।

গত ৮ই মার্চ, ২০১৫ বিশ্ব নারী দিবসের প্রাক্কালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি `Most female friendly Organization’ হিসেবে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হয় ডেইলি স্টার পত্রিকায় ১৭ মার্চ, ২০১৫ তারিখে। বাংলাদেশে তামাক বিরোধী নারী জোটের (তাবিনাজ) পক্ষ থেকে বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানিকে পুরস্কার দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের ১৪টি জেলায় ৩০ ও ৩১মার্চ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় সিরাজগঞ্জ, নাটোর, দিনাজপুর, রংপুর, নরসিংদী, জামালপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বান্দরবান, কক্সবাজার, ভোলা, সাতক্ষীরা, মাগুড়া ও ঢাকা জেলায়।

জেলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় প্রেসক্লাবের সামনে, চৌর (আরো পড়ুন )


তামাকজাত পণ্যের ওপর কর আদায় করার দাবিতে তাবিনাজের জেলা পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন

ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য জর্দা ও গুল কারখানার অধিকাংশরই সাইন বোর্ড বা কোন নাম ফলক না থাকায় বেশীর ভাগ কারখানাগুলোকে চিহ্নিত করা যায় না। সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে তারা ঘরোয়া পরিবেশে দিনের পর দিন এই কাজ করে যাচ্ছে। এই সকল কারখানাগুলো করের আওতায় আছে কি না জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের খতিয়ে দেখা উচিত। তামাকজাত পণ্যের মধ্যে বিশেস করে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য যেমন জর্দা, গুল ইত্যাদি কর আরোপের আওতায় এনে দাম বাড়িয়ে এর ব্যবহার কমানোর দাবি তুলছে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)।

আইনের সঠিক বাস্তবায়ন ও জর্দা, গুল কারখানাগুলিকে ট্যাক্স ও ভ্যাট এর আওতায় আনা এবং সকল ধরণের তামাক পণ্যের ওপর ৭০ শতাংশ কর বৃদ্ধির দাবিতে ২২ মার্চ, ২০১৫ তারিখে লালমনিরহাট, নরসিংদী, নওগাঁ, যশোর, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার প্রেস ক্লাবে তামাক বিরোধী নারী জোট-এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা (আরো পড়ুন )


তাবিনাজের দাবি: তামাকের উপর ৭০% কর বাড়াও

 তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) প্রতিবছর সরকারকে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরোপ করার আহবান জানিয়ে দাবী করছেন যে, তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত করতে ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ওপর উচ্চহারে কর ও শুল্ক আরোপ করতে হবে। আমরা জানি জাতীয় বাজেটে জনগণের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ও বিলাসদ্রব্যের ওপর কর আরোপ করা হলে সেই পণ্যের দাম বাড়বে এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। সরকারের দিক থেকে আমরা আশা করছি যে এমন কিছু বিশেষ কৌশল বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহার কমানো যাবে ও পরোক্ষভাবে মানুষের উপকার করা হবে। এবং এর ফলে মানুষ নানা ধরণের রোগ ও আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকবেন।

তামাকজাত দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত এবং ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন রয়েছে। আইন বাস্তবায়নের বিধিমালা এখনো প্ (আরো পড়ুন )


পাবনা জেলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে তাবিনাজের মতবিনিময় সভা

তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার উদ্যোগে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তি বর্গের সাথে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ মঙ্গলবার বেলা ১১.০০ টায় পাবনা পুলিশ লাইন পিসিসিএস সভা কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাবনা সিভিল সার্জন ডা: মো: শামসুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উবিনীগের আঞ্চলিক সমন্বক জয়নাল আবেদীন খান ।

প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক), মোল্লা মাহমুদ হাসান; বিশেষ অতিথি জেলা তথ্য অফিসার মঞ্জুর ই মওলা; অতিরিক্তি উপ-পরিচালক (শস্য) লোকমান হোসেন, খামার বাড়ি পাবনা; জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো সিনিয়র অফিসার আব্দুল আজিজ; মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল, পাবনা; সিনিয়র শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মতিয়র রহমান শাহ, পাবনা; মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ পরির্ (আরো পড়ুন )


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে তাবিনাজের মতবিনিময় সভা

ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মূলক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে কমিউনিটি সেন্টারের কর্তৃপক্ষদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, সকাল-১১:০০ ঘটিকায় নগর ভবনস্থ সেমিনার কক্ষে।

মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ইউপিএইচসিএসডিপি'র প্রোগ্রাম অফিসার, ডাঃ সানজিদা ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খোন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাবিনাজ ও নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার সমন্বক সাইদা আখতার এবং ক্যাম্পেন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস্রে প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইভা নাজনীন।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনছার আলী খান। সভাপতিত্ব করেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. মোঃ মাহবুবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কমিউন (আরো পড়ুন )


জর্দা, গুল, সাদাপাতাসহ ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য ব্যবহার বন্ধ করুন

বাংলাদেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবনের প্রবনতা অনেক বেশি। পানের সাথে জর্দা, সাদাপাতা ও গুলের ব্যবহার গ্রাম ও শহর সবখানেই দেখা যায়। পান, সুপারি, সাদাপাতা এবং সঙ্গে নানা রংয়ের পান মসলা খাওয়া সামাজিক ভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে এর ক্ষতির দিক কেউ দেখেনি। বিয়ে শাদীতে পানের সাথে জর্দা খাওয়া একটি আকর্ষণীয় ব্যাপার কিন্তু ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে ৪৩% (৪ কোটি ১৩ লক্ষ) প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কোন না কোন ভাবে তামাক সেবন করেন। ধূমপানের হার (২২%) ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবনের হার (২৭%)। ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার নারীদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় বেশী। ২৮% প্রাপ্ত বয়স্ক নারী এবং ২৬% প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করেন (গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-২০০৯)।

ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা ৩০ কোটি মানুষকে মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে আটকে রেখেছে। ভারতে ২২ কোটি, বাংলাদেশে ২ কোটি ২০ ল (আরো পড়ুন )


বাংলাদেশে তামাকচাষের আগ্রাসী সম্প্রসারণ ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে নীতি সংলাপ

তামাকচাষের ভয়াবহতা ও ক্ষয়-ক্ষতি নীতিনির্ধারণী মহলসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে তুলে ধরে এ বিষয়ক করণীয় স্থির করার লক্ষ্যে ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, সকাল ১০:০০টায় সিরডাপ অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশে তামাকচাষের আগ্রাসী সম্প্রসারণ: ঝুঁকি ও করণীয়’ শীর্ষক একটি নীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই সংলাপটি আয়োজন করেন ‘তামাক বিরোধী নারী জোট(তাবিনাজ)’ ‘প্রয়োজনের জন্য জ্ঞান(প্রজ্ঞা)’র যৌথ উদ্যোগে ‘তামাক বিরোধী সাংবাদিক জোট- আত্মা’। নীতি সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, বিশেষ অতিথি ছিলেন এডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী এমপি, আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক এমপি, নবী নেওয়াজ এমপি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য।

মূল উপস্থাপনা ‘বাংলাদেশে তামাকচাষের আগ্রাসী সম্প্রসারণ: ঝুঁকি ও করণীয়’ সম্পর্কে করেন তাইফুর রহমান, সিটিএফকের বাংলাদেশ প্রত (আরো পড়ুন )


খাদ্য ফসল চাষের দাবিতে বিক্ষুব্ধ কৃষক সমাজের র‌্যালী ও মানববন্ধন

গত ২৩ নভেম্বর ২০১৪, রবিবার, বিকাল ২.৩০ মিনিটে তামাকের বিকল্প ফসল চাষের পক্ষে বিক্ষুব্ধ কৃষকসমাজের আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামে একটি র‌্যালী ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তামাকচাষ নিরুৎসাহিতকরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন নীতিমালা না থাকায় বিগত কয়েক দশকে অরক্ষিত কৃষকদের ব্যবহার করে তামাক কোম্পানিগুলো আগ্রাসীভাবে তামাক চাষ বাড়িয়ে চলেছে। ফলে সারা দেশে এই বিষাক্ত ফসলের আবাদ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী দেশে ২০১৩-১৪ মৌসুমে ১০৮,০০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে, ২০১২-১৩ মৌসুমে যা ছিল ৭০,০০০ হেক্টর। অর্থাৎ এক বছরেই তামাক চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে ৩৮,০০০ হেক্টর। সাময়িক মুনাফার প্রলোভনে পরে কৃষক ক্রমশ তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠায় খাদ্য ও অর্থকরী ফসলের জমি চলে যাচ্ছে তামাকের দখলে। সরকারের দেওয়া কোটি কোটি টাকার ভর্তূকীকৃত সার ও সেচ (আরো পড়ুন )


তামাকের ক্ষতি থেকে নারীকে রক্ষা কর শীর্ষক কর্মশালা

তামাকের ক্ষতি থেকে নারীকে রক্ষা কর শীর্ষক রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর কর্মশালা

তাবিনাজ ও এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)-র যৌথ আয়োজনে ২৮ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার নারী সংগঠদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয় এসিডি-র হলরুম রাজশাহীতে। সঞ্চালনা করেন এসিডি-র প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর এহসানুল আমিন ইমন। সভার আলোচনার বিষয় ছিল “নারীকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ’’।

আলোচনা সভার প্রথম অধিবেশনে এসিডি-র নির্বাহী পরিচালক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ ফেরদৌস আজমল সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ), রাজশাহী বিভাগ। বিশেষ অতিথি হ (আরো পড়ুন )


লামায় বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে উবিনীগের র‌্যালী সমাবেশ

বান্দরবানের লামায় উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারনী গবেষণা (উবিনীগ), নয়াকৃষি আন্দোলন ও তামাক বিরোধী নারী জোটের (তাবিনাজ) যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে, তামাক চাষ বন্ধ করো খাদ্য ঘাটতি, ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতা দূর করো, এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি লামা পৌর এলাকার কাটাপাহাড় থেকে কলিঙ্গাবিল হয়ে লামামুখ গিয়ে শেষ হয়। লামা পৌরসভার কাউন্সিলর জোসনা বেগমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র‌্যালীতে দুই শতাধিক আদিবাসী ও বাঙ্গালী নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালী শেষে কলিঙ্গাবিল চার রাস্তার মাথায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উবিনীগর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার আঞ্চলিক সমন্বক রফিকুল হক টিটোর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার কাউন্সিলর জোসনা বেগম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার দেব, উবিনীগের কর্মসূচী সহযোগী আলী আকবর, গবেষক সারথ (আরো পড়ুন )


খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা চাই

খাদ্য ঘাটতি, ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতা দূর করতে দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার দাবীতে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে ১৬ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে বেলা ১১ টায় বিশ্ব খাদ্য দিবস, ২০১৪ উপলক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা, দেশের খাদ্য সংকট মোকাবেলা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা দাবী জানান সরকারের কাছে। কারণ তামাক কোম্পানীগুলো প্রলুবদ্ধকরণে কৃষি জমিতে তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে খাদ্য সংকট সৃষ্টি এবং তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছে। খাদ্য সংকট মোকাবেলা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কোম্পানীগুলোর এ ধরণের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

তামাক চাষে খাদ্যের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। বারো মাসের খাদ্য ফসলের ক্ষতি করছে। তামাক চাষ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কৃষি জমির হ্ (আরো পড়ুন )


দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১৩-তে “তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিধানের (গ) “তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচার বা উহার ব্যবহার উৎসাহিত করিবার উদ্দেশ্যে, কোন দান, পুরস্কার, বৃত্তি প্রদান বা কোন অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার (sponsor) বহন করিবেন না; উল্লেখ আছে। কিন্তু

দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বেনসন সিগারেটের প্রচারণা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের টার্গেট করে গত ২১ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র) কনসার্টের আয়োজন করেছিল। তামাক বিরোধী সংগঠন ও গণমাধ্যমে সক্রিয় প্রতিবাদের কারণে এক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানীর (আরো পড়ুন )


চট্টগ্রাম বিভাগে তামাক বিরোধী নারী জোটের আলোচনা সভা

গত ২৫ আগস্ট ২০১৪, তারিখে তাবিনাজ ও ইপসার আয়োজনে সিটিএফকের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার নারী সংগঠদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনায়তনে। সভা সঞ্চালনা করেন ইপসার স্মোক ফ্রি প্রজেক্টের টিম লিডার নাছিম বানু শ্যামলী। সভার আলোচনার বিষয় ছিল “নারীকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ’’।

আলোচনা সভার প্রথম অদিবেশনে ইপসার প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন মজুমদার, পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্রগ্রাম বিভাগ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরী, সিভিল সার্জন, চট্রগ্রাম; চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কমিশনার শাহেদা কাসেম সাথী, আন্জুমান আরা বেগম।

স্বাগত বক্ (আরো পড়ুন )


ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য জর্দা ও গুল উৎপাদন

বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের অন্যতম যেখানে পৃথিবীর ৯০% ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবনকারী লোক বাস করেন। এত উচ্চ সংখ্যক সেবনকারী এবং মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির প্রেক্ষিতে ১৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে জনগণের মধ্যে ৩০% ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের হার ৩০% কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। সংখ্যাগত ভাবে ১১ দেশে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন। এ সব দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভুটান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর লেসটে। (primenews.com.bd September 11, 2013)

তামাক বিরোধী নারী জোট পরিচালিত এ অনুসন্ধানমূলক গবেষণা বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় এ জন্য যে নারীরাই ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের প্রধান ব্যবহারকারী। নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার নেতৃত্বে ২২টি তাবিনাজ সদস্য সংগঠন ৭টি (আরো পড়ুন )


বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস ২০১৪

কর বৃদ্ধির আওতায় ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য আনা হোক

প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারও পালিত হলো বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এই দিবসে ‘কর বৃদ্ধির আওতায় ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য আনা হোক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ)। সহযোগিতায়: ক্যাম্পেন ফর টোবাকে ফ্রি কিড্স (CTFK)। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক জাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধি’। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় আসাদ এভিনিউর সিবিসিবি অডিটোরিয়ামে। এই সভায় চিকিৎসক, অথনীতিবিদ, কর কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারী আন্দোলনের নেত্রী অধ্যাপক লতিফা আকন্দ। সভাপ্রধান ছিলেন ফরিদা আখতার নির্বাহ (আরো পড়ুন )


তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন সংশোধনের শীর্ষক জাতীয় কর্মশাল

ধূমপান এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও এর ক্ষতির শিকার শ্রমজীবী মানুষেরাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশী। সার্বিকভাবে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীরা। এই অপূরণীয় ক্ষতি রোধ করতে হলে অবিলম্বে আমাদের সচেতন কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ধোঁয়াবিহীন যেমন-জর্দা, গুল, সাদাপাতা সহ সকল তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্টিকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব এই আহ্বানে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) ‘তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে।

২২ মে, ২০১২ সকাল ১০.০০টা থেকে বেলা ২.০০ টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) আয়োজিত ‘তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলে (আরো পড়ুন )


তাবিনাজ প্রসঙ্গে কিছু কথা

বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যেও নিয়ন্ত্রণহীন উৎপাদন ও ব্যবহারের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্য নারীদেও একটি জোট হিসাবে ‘তামাক বিরোধী নারী জোট’ (তাবিনাজ)-এর আত্মপ্রকাশ। ইংরেজিতে Anti-Tobacco Women`s Alliance এই জোটের সংক্ষিপ্ত নামকরণ বাংলা নামের সাথে মিলিয়ে করা হয়েছে তাবিনাজ (Tabinaj) । 

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে ৩১ মে, ২০১০ পালন করার জন্যে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও উবিনীগ “নারী স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য তামাক কোম্পানী দায়ী” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই সভায় দেশের ১৬টি জেলার নারী প্রধান সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী আন্দোলন, পরিবেশ আন্দোলন, উন্নয়ন সংগঠক, গবেষক, সাংবাদিক, লেখিকা, বিজ্ঞানীসহ সর্বস্তরের নারী ও পুরুষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাবিনাজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে ৬ মার্চ, ২০১১ তারিখে আত্মপ্রকাশ করেছে। (আরো পড়ুন )